zika virus

ভয়াবহরুপে জিকা ভাইরাস : বিশ্বে একি ঘটতে যাচ্ছে?

জিকা ভাইরাস নিয়ে লিখেছেন মোঃ আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব*

বেশ কিছু দিন থেকে ভাইরাস নিয়ে সমগ্র বিশ্বে আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একেকবার একেক ভাইরাসের কথা শোনা যায়। অবশ্য কালের পরিক্রমায় প্রকৃতিগতভাবে তার অমোঘ খেয়ালে নতুন নতুন ভাইরাস সৃষ্টি হয়ে থাকে। ইতোমধ্যে এবিওলা, জিবিএস, নিপা, ইত্যাদি ভাইরাস নিয়ে জনমনে ভয়-ভীতি সৃষ্টি হয়েছিল এবং মানুষসহ কম-বেশী জীবজন্তুর ক্ষয়ক্ষতি পরিলক্ষিত হয়েছে। ইদানিং আবার জিকা ভাইরাস নিয়ে নানা ধরনের কথা বার্তা শোনা যাচ্ছে। অবশ্য এটি ততটা জীবন হানিকর নয়। আসলে ভাইরাস হলো নিউক্লিক এসিড ও প্রোটিন (নিউক্লিওপ্রোটিন) সমন্বয়ে গঠিত এক প্রকার অতি আণুবীক্ষণিক (Ultra-microscopic) অকোষীয় পরজীবী, যা কেবলমাত্র উপযুক্ত জীবকোষের অভ্যন্তরে বংশবৃদ্ধি করতে এবং বিশেষ বিশেষ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু জীবকোষের বাইরে জড়বস্তুর ন্যায় অবস্থান করে থাকে। ভাইরাস মূলত এক প্রকার রোগসৃষ্টিকারী জীবকণা। তবে কিছু কিছু ভাইরাস বিভিন্ন জীবের কল্যাণ সাধণও করে থাকে। প্রথমে দেখা যাক ভাইরাসের অপকারী ও উপকারী ভূমিকা কি ধরনের?

প্রথমত ঃ মানুষের ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম, বসন্ত, ভাইরাস হেপাইটাইটিস, এইড্স (AIDS + Aquired Immune Deficiency Syndrome) প্রভৃতি নানাবিধ মারাত্মক রোগ এই প্রকৃতির বিভিন্ন ভাইরাস দ্বারা সংঘটিত হয়। এদিকে এবিওলা (Ebiola) নামক ভাইরাসের আক্রমণে দেহের কোষ ফেটে যায়। অনেক সময় এর ফলশ্রুতিতে মহামারীর  প্রার্দুভার হয়, যা আফ্রিকায় এক সময় মারাত্মক রূপে পরিলক্ষিত হয়েছিল। আর গৃহপালিত পশুর রোগের ব্যাপারে বিশেষ করে গরু ও মহিষের “পা ও মুখের ক্ষত রোগ” এবং কুকুর ও বিড়ালের “জলাতঙ্ক” ভাইরাস দিয়ে   সংঘটিত হয়। তাছাড়া উদ্ভিদের রোগের বেলায় মোজাইক, বুসিস্ট্যান্ট, লিফরোল প্রভৃতিও কম নয়। আর একটি কথা, সব ব্যাকটেরিয়াকে মানুষের অপকার করে না। প্রচুর ব্যাকটেরিয়া আছে, যা মানুষের উপকার সাধন করে থাকে। আর সেই ব্যাকটেরিয়া আবার এই ভাইরাস ধ্বংস করে। এতদিন বিশেষ্ণরা বলে আসছিলেন যে জিকা ভাইরাস কেবল মশাবাহিত রোগ। কিন্তু ডালাসের (যুক্তরাষ্ট্র) একদল বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেন যে, যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। যাহোক, এতক্ষণ যদিও এর খারাপ দিকটা বললাম, উপকারও কম করে না যেমন- বসস্ত, পোলিও, প্লেগ, টাইফয়েড প্রভৃতি রোগের টিকা বা ভ্যাক্সিন তৈরীতে ভাইরাসের বাণিজ্যিক ব্যবহার সবিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে জিনতত্ত্বীয় এবং আণবিক জীববিদ্যা বিষয়ক বিভিন্ন প্রকারের পরীক্ষামূলক গবেষণায় ভাইরাস ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর ফাজ নামক ভাইরাস ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ব্যাকটেরিয়া জনিত আমাশয় রোগের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে। অধুনা প্রাণপ্রযুক্তির হাতিয়ারূপে বিশেষ বিশেষ ভাইরাস ব্যবহার করে বহু ক্ষতিকারক ও বিপজ্জনক পোকামাকড়কে দমন করা সম্ভব হয়েছে। একইসাথে জীব সৃষ্টি প্রক্রিয়া, অভিব্যক্তি ও ক্রমবিকাশের ধারা সম্পর্কে জ্ঞানলাভ করার চাবিকাঠি হলো এই ভাইরাস। কারণ ভাইরাসের মধ্যে জড় এবং জীবের উভয় বৈশিষ্ট্যাবলী বিদ্যমান। আর মজার ব্যাপার হলো, লাল টিউলিপ যে লম্বা এবং সাদা দাগ পড়ে তাতে ফুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়, তা সৃষ্টি করে অবাঞ্চিত হলেও এই ভাইরাস।

জিকা ভাইরাসের নাম করণ:

যাহোক, আমাদের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জিকা ভাইরাস’ এর কথায় ফিরে আসি। মূলত ‘জিকা (The Zika-Zee-ka) নামটি নেয়া হয়েছে উগান্ডার জিকা নামক বনের (ভিক্টোরিয়া হ্রদের কাছাকাছি) নাম ভিত্তি করে। উল্লেখ্য যে ১৯৪৭ সালের দিকে হলুদ জ¦র নিয়ে গবেষণার সময় বিজ্ঞানীরা জিকা বনে খাঁচায় একটি বানর রেখে আসে। পরবর্তীতে বানরটি জ¦রে পড়লে গবেষণা করে দেখা যায় যে তার দেহে একটি সংক্রামক এজেন্টের উপস্থিতি এসে ভর করেছে। আর ১৯৫২ সালের দিকে এর নাম দেয়া হয় ‘জিকা ভাইরাস’। এর দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৫৪ সালের দিকে নাইজেরিয়ায় এক জন মানুষের দেহে এই ভাইরাস ঘটনাক্রমে পাওয়া যায়। এর মধ্যে পাঁচ যুগ চলে যায়। গত বছর তথা ২০১৫ সাল নাগাদ আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার কয়েকটি দেশে এই ভাইরাস ক্রমে ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের দুইজন নাগরিকের দেহে এই ভাইরাসের দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে বলে ধরাও পড়ে। এই ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর উপসর্গ হলো জ্বর, ফুলকুড়ি, হারের জোড়ার ব্যাথা, চোখের প্রদাহ, ইত্যাদি।

জিকা ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়

আসলে ‘এডিস ইজিল্টি’ নামক মশার কামড়ের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানুষের দেহে অনুপ্রবেশ করে থাকে। তাই এই কথাটি সহজে বলতে পারি যে এই ধরনের মশার কামড় থেকে বাঁচার যে পন্থাগুলো আছে, সেগুলো মেনে চললেই তো আক্রমণ থেকে বাঁচা যায়। আর যত কথা বলি না কেনো, অনেক চিন্তা ভাবনা করেও বিজ্ঞানীরা অদ্যাবধি বিষয়টি পুরাপুরি নিশ্চিত হতে পারছেন না। তাঁদের কারও কারও মতে কয়েকটি দেশে শিশুদের ‘মাইক্রোসেফালি’ রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হলো এই জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মা। যতদূর জানা যায়, এই রোগ হলে নাকি শিশুদের মস্তিকের গঠন ঠিকমতো হয় না, ফলশ্র”তিতে শিশুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হওয়া এবং যুগপৎ শরীরিক বৃদ্ধি অস্বাভাবিক বা বিলম্বিত হওয়া থেকে শুর” করে অকালে মারা যাওয়ার আশংকাও বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এখনও এ বিষয়টি নিয়ে বৈজ্ঞানিকরা চিন্তা ভাবনার মধ্যে আছেন। তাছাড়া বিবিসি থেকে উল্লেখ করা হয়েছে কলম্বিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, বিরল এক ¯œায়বিক রোগের সাথে জিকা ভাইরাসের সংযোগ রয়েছে। আর জিকা ভাইরাস জীবনঘাতী না হলেও ¯œায়বিক ব্যাধির সংযোগ থাকার কারণেই ফল মারাত্মক হতে পারে। তবে সংযোগের বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য ৬ জনের মৃত্যুকে ঘিরে তদন্ত অব্যাহত আছে। এদিকে এই রোগের জন্য এ পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। তাই বোধ হয় সতর্ক থাকাটাই হবে সবচেয়ে বড় স্ট্রাটেজিক পয়েন্টে বুদ্ধিমানের কাজ। তবে অতটা ভয় পাওয়ার তেমন কারণ নেই। সতর্কতা অবলম্বন করলেই চলবে। বর্তমানে এই মর্মে জানা যায় যে, “জিকা” ভাইরাস সংক্রান্ত জটিলতায় ভেনিজুয়েলার তিন জন লোক মারা গিয়েছে।

অভিনব কায়দায় জিকা ভাইরাস ঠেকানো চেষ্টা

এই অত্যাধুনিক যুগে পৃথিবীর ২০৭টি দেশের প্রায় সারে সাতশত কোটি মানুষ জীবন সম্পর্কে কমবেশী তুলনামুলক সজাগ। এর মধ্যে ল্যাটিন আমেরিকার ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের প্রতিক্রিয়া এড়াতে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানিয়েছেন স্থানীয় আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও বিজ্ঞানীদের একটি বিশেষ সংগঠন। আর গর্ভপাত অবৈধ হলেও আপাতত পরিস্থিতি মোকাবেলায় শীঘ্রই এ ব্যাপারে একটি আবেদন সর্বোচ্চ আদালতে জমা দেবে বলে সংগঠনটি জানিয়েছেন। সর্বদিকে বিবেচনা করে আশংকাহেতু বিশেষজ্ঞরা এই মর্মে সতর্ক করে বলেছেন যে, মানব সভ্যতার জন্য ‘হুমকি’ হয়ে ওঠা মশাবাহিত রোগ জিকা ভাইরাস চলতি বছরে আমেরিকা বিশেষ করে উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলে ৩০-৪০ লাখ লোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি আছে। এদিকে গার্ডিয়ান পত্রিকায় উলিÍখিত এক প্রতিবেদনে বিশেষভারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে যে, ২৩টি দেশে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর মধ্যে অস্বাভাবিক আকৃতির মাথা নিয়ে জন্ম নেয়া আক্রান্ত শিশুদের জন্মের হার বাড়ার কারণে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে বিশ^ স্বাস্থ্যসংস্থা (WHO)। তাছাড়া এই সংস্থা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে এবং ০১-০২-২০১৬ তারিখে অত্র সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে (জেনেভার সুইজারল্যান্ড) জিকা ভাইরাসের উপর জর”রী মিটিং ডাকা হয়েছে। সবকিছু চিন্তা-ভাবনা করে জরুরী অবস্থা জারী করা যায় কিনা সে বিষয়টি উক্ত বিশ্ব সংস্থার বিবেচনাধীন ছিল। এর মধ্যে ব্রাজিলসহ ল্যাটিন আমেরিকার নানা দেশে “জিকা” ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের প্রেক্ষিতে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে। এতদ প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কিছু দেশে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সন্তান ধারনের ব্যাপারে সক্ষম দম্পত্তিকে নতুন করে পরিকল্পনা নিতে নিষেধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ভেনিজুলেয়ায় সন্দেহভাজনভাবে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় পাঁচ হাজার রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চলতি বছরে রিও ডি জেনিরো শহরে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক গেমের ক্ষেত্রে জিকা ভাইরাসের ছোবল থেকে সুরক্ষা দিতে সব রকম পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট অলিম্পিক কমিটি। এদিকে বাংলাদেশও বসে নেই, কারন এ দেশ ডেঙ্গু প্রবন অঞ্চল। আর ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসের বাহক প্রকারান্তরে একই মশা হওয়ায়, এর থেকে সতর্ক থাকার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে আইসিডিডিআর’বি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা প্রনিধানযোগ্য। জিকা ভাইরাসের দুষ্টচক্র তো আর বসে থাকে না।

গত ২৩/০৩/২০১৬ইং তারিখের একটি পত্রিকায় দেখলাম বাংলাদেশের চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত সনাক্ত করা হয়েছে। যে ভাবেই বলি না কেন, জিকা ভাইরাসের জন্যে হতে পারে মারাত্মক ¯œায়বিক রোগ। এক্ষেত্রে নতুন একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের দেহে দেখা দিতে পারে গুলেন-বারি সিনড্রোম নামক জটিল ¯œায়ুরোগ। এর কারণে আক্রান্ত ব্যক্তির পেশিগুলো দুর্বল ও শ্বাসকষ্টসহ আনুষঙ্গিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাছাড়া এর ফলে মানুষের ¯œায়ুতন্ত্র আক্রান্ত হয় এবং পক্ষাঘাতের সৃষ্টি হয়। ফলে মানবদেহের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এর জটিলতা কতদূর হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। কেননা বেশির ভাগ সময়ই এ রোগে আক্রান্তদের ইনটেনসিভ কেয়ারে রেখে চিকিৎসা দিতে হয়। এমনকি কখনো কখনো লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। তবে গুলেন বারি সিনড্রোম আক্রান্ত খুব কম রোগীই দেখা যায়। যতদূর তথ্যাদি পাওয়া গিয়েছে তাতে জানা যায় যে জিকা ভাইরাসের কারণে অসুস্থ প্রতি চার হাজার ব্যক্তির মধ্যে একজন এই এমন জটিলতায় আক্রান্ত হতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাংক উল্লেখ করেছে, এমন অবস্থা দাড়িয়েছে যে, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের অর্থনীতিতে জিকার প্রভাব সীমিত রাখতে হলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা দ্রুত ও সমন্বিত আন্তর্জাতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মশাবাহিত রোগটির কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হবে। এর মধ্যে শুধু এই কারণেই চলতি বছর লাতিন ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের জিডিপি ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বা শূণ্য দশমিক শূণ্য ৬ শতাংশ কমতে পারে। এর প্রকাপে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পর্যটননির্ভর ক্যারিবীয় দ্বীপগুলোয়। আর তাই জ্যামাইকা, অ্যান্টিগুয়া, বার্বাডোজ, কিউবা, বাহামা ও বেলিজ সবচেয়ে বেশি অর্থনৈতিক ক্ষতির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, শিশুদের মাইক্রোসেফালি রোগের সাথে জিকার সম্পর্ক থাকায় নবজাতক শিশু ও গর্ভবতী নারীরাই সর্বাধিক বেশি বিপদে রয়েছেন। অধিকন্তু গুলেন-বেরি সিনড্রোমের সঙ্গে জিকার কোনো যোগসুত্র দেখা গেলে অথবা শারীরিক সম্পর্কের মাধ্যমে এর বিস্তৃতির বিষয়টি প্রমাণিত হলে জনগণ আরো বেশি ভীত হয়ে পড়বে এবং এই কারণে অর্থনীতি ওপর এর নেতিবাচক প্রভাবও অনেক বেশী হতে পারে। এদিকে লাতিন ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে জিকায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে তাৎক্ষনিকভাবে ১৫ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সাথে টেকনিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে এবং প্রয়োজন হলে অতিরিক্ত সাহায্য পাঠানো হবে।

সূত্রাদিঃ

০১। কলেজ বায়োলজি (প্রথম পত্রঃ উদ্ভিদ বিজ্ঞান)- মোঃ আব্দুর রহিম এবং গাজী এস এম ইসলাম

০২। দৈনিক যুগান্তর- ৩০-০১-২০১৬ইং

০৩। দৈনিক প্রথম আলো- ৩০-০১-২০১৬ইং

০৪। দৈনিক ইত্তেফাক- ৩০-০১-২০১৬ইং, ০১-০২-২০১৬ এবং ০৪-০২-২০১৬ইং

০৫। দৈনিক কালেরকণ্ঠ- ৩১-০১-২০১৬ইং

০৬। দৈনিক বনিকবার্তা- ০৭-০২-২০১৬ইং, ১৩/০২/২০১৬ইং, ২১/০২/২০১৬ এবং ০২/০৩/২০১৬ইং

০৭। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন- ২৩/০৩/২০১৬ইং

০৮। সংশ্লিষ্ট বিশেষ্ণদের সাথে আলোচনা


লেখক: বিশিষ্ট অথর্নীতিবিদ এবং লেখক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সম্মাননা ও পদকপ্রাপ্ত।
Email: abdulbaki85@yahoo.com, www.goonijon.com, 01813333335, 01670451475, ০২9118356

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *