Shebaru

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা খবর ২০২২

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা খবর

মালয়েশিয়া কলিং ভিসা খবর ২০২২

মালয়েশিয়ার কলিং ভিসা, শ্রমবাজার, মালয়েশিয়ার প্রবাসী সম্পর্কিত সকল আপডেটেড খবর পেতে সেবারু ডট কম সবসময় আপনাদের পাশে ছিল।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০২২ সালে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা চালু হল। কিন্তু তার পরও কিছু বাধা অর্থাৎ সমস্যা রয়েগেছে। আবার সম্ভাবনাও আছে।
নিচে কলিং ভিসার সকল তথ্য তুলে ধরা হল।

মালয়েশিয়ার ঘোষণা

মালয়েশিয়ার কোম্পানি বা নিয়োগকর্তারা খুব শিগগিরই সোর্স কান্ট্রিগুলো থেকে কলিং ভিসায় অনুমোদিত কর্মসংস্থানের জন্য প্রতিটি সেক্টরে বিদেশী কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ার জন্য অনলাইন আবেদন জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। আজ সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে এক বিবৃতিতে মানব সম্পদ মন্ত্রী সারাভানান বলেছেন, খুব শিগগিরই মালয়েশিয়ার কোম্পানি বা মালিকদের কলিং ভিসায় বিদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য অনলাইনে আবেদনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।
এই বিষয়ে আমি নিয়োগকর্তাদের পরামর্শ দিতে চাই যে আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুততর করার উদ্দেশ্যে কোন দালাল মধ্যস্থতাকারী বা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে কোনও অর্থ প্রদান করা থেকে বিরত থাকবেন। আজ রাতে মালয়েশিয়া থেকে প্রবাসী সাংবাদিক এম এ আবির এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মানব সম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর দেশটির মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে সম্মত হয়েছিলাম যে বিদেশী কর্মী নিয়োগে বৃক্ষরোপণ খাত ছাড়া অন্য সব খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে পারবে, যেমন কৃষি, উৎপাদন,পরিষেবা, খনি ও খনন, নির্মাণ এবং গৃহস্থালি পরিষেবাগুলির জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

কিভাবে আগালো কলিং ভিসার পথ?

উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন যাবত মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। বহু কূটনৈতিক উদ্যোগের পর গত মাসে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে দেশটিতে জনশক্তি রফতানি সংক্রান্ত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী এম সাভারানান ও বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ উল্লেখিত স্বারকে স্বাক্ষর করেন। বায়রার সাধারণ সদস্যরা দীর্ঘ দিন যাবত সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে দেশটিতে কর্মী প্রেরণের সুযোগ পায় সে দাবি জানিয়ে আসছে। মন্ত্রী সারাভানান আজ বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, যাহারা বিদেশি কর্মী নিয়োগ দিতে চান তাদের নিজস্ব আবেদন জমা দিতে হবে এবং বিদেশী কর্মীদের প্রকৃত চাহিদার ভিত্তিতে।

মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রবেশের শর্তসমূহ

যে নিয়োগকর্তারা বেসরকারী কর্মসংস্থান সংস্থাগুলোর পরিষেবাগুলি ব্যবহার করেন তাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সংস্থাগুলো সরকার নিবন্ধিত এবং ব্যক্তিগত কর্মসংস্থান সংস্থা আইন ১৯৮১ এর অধীনে জনশক্তি উপদ্বীপ মালয়েশিয়া বিভাগ দ্বারা প্রত্যয়িত লাইসেন্স রয়েছে। সরকার পূর্বে জানিয়েছিল যে বিদেশী কর্মীদের মালয়েশিয়া প্রবেশের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) মেনে চলতে হবে যা গত ১৪ ডিসেম্বর ২০২১-এ কোভিড-১৯ মন্ত্রী পর্যায়ের সভা দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। মনে রাখতে হবে বিদেশি কর্মীদের কোয়ারেন্টাইন অবশ্যই বাধ্যতামূলক। সুত্র: দৈনিক ইনকিলাব

মন্ত্রণালয় সূত্রেজানা যায় যে, দশটি রিক্রুটিং এজেন্সির প্রত্যেকটির সাথে ২০টি করে আরও দুইশরিক্রুটিং এজেন্সি নিয়ে কনসোর্টিয়াম গঠনকরা হয় এবং প্রবাস কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে এ কনসোর্টিয়াম দেখাশোনা করারও দায়িত্ব দেওয়া হয়। একইভাবে এবারও মালয়েশিয়া ১০টা থেকেবাড়িয়ে ২৫টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির সংখ্যা নির্ধারণকরে। বাংলাদেশ থেকে এরসাথে দশটিকরে ২৫০টি রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্তকরার প্রস্তাবদেয় যা সর্বশেষ মালয়েশিয়া সরকার রাজি হয়েছে। অর্থাৎ উভয় সরকার রাজি হলেও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে সিস্টেমনিয়ে।

যে মাহাথিরসরকার সিস্টেম স্থগিত করেছিল সেইমাহাথির সরকার সিস্টেমের কোনোগলদ নেই মর্মে ঘোষনাকরে। ফলে বর্তমান মালয়েশিয়া সরকার সেইসিস্টেমই প্রয়োগ করতেপ্রস্তুত এবং বাংলাদেশকে প্রস্তাব দিয়েছে। সিস্টেম সম্পর্কে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ায় আশঙ্কা রয়েছে যে গতবারের মত এবারওহঠাৎ করে মার্কেট বন্ধকরে দেওয়া হবে কিনা, মার্কেট বন্ধকরলে ইতোমধ্যে শ্রম বাজারে বিনিয়োগ করা অর্থেরকী হবে এবং ব্যাপক ক্ষতিরসম্মুখীন হবে কিনা? মালয়েশিয়ার প্ল্যান্টেশন অ্যাএসোসিয়েশন ইতোমধ্যে আশঙ্কাপ্রকাশ করে বলেছেযে, কর্মীনিয়োগের সকলখরচ তারাবহন করবে কিন্তু বাংলাদেশে কর্মীর অতিরিক্ত অর্থ লেনদেনকরতে হবেনা এ নিশ্চয়তা কে দেবে? আবার সেইকর্মী মালয়েশিয়ায় এসে অতিরিক্ত খরচের অভিযোগদেবেনা তারই বা নিশ্চয়তা কী?

এদিকে বাংলাদেশের রিক্রুটিং এজেন্সির নানান জোট বা সিন্ডিকেট ব্যানার ফেস্টুনটানিয়ে অতিরিক্ত অভিবাসনব্যয় নিয়ে বক্তব্য, বিবৃতি, প্রতিবাদ, স্মারকলিপি ইত্যাদি দিলেও কোনো পক্ষ বা এজেন্সি কতকমখরচে কর্মী প্রেরণ করবে তারকোনো স্পষ্ট ঘোষণা বা পরিকল্পনা পেশ করেনি। নিজেরা নানান জোটকরে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চারহলেও সেই সিন্ডিকেট যেননিজেরাই গঠনকরেছে। তাই মন্ত্রীবলেছেন, এজেন্সি দেখছে তারব্যবসার স্বার্থ, আমি দেখবোদেশ ও কর্মীর স্বার্থ। তবে এত দিনেও কোনো সমাধান নাআসায় এসব মিলিয়ে মালয়েশিয়ান নিয়োগ কর্তাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিএকধরনের অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। এসববিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট প্রক্রিয়া ও খরচের সরকারি সিদ্ধান্ত প্রকাশকরা হয়নি। এতে অনিশ্চয়তা আরও বেড়ে গেছে। ব্রিটিশআমল থেকে বিদেশেকর্মী প্রেরণে অভিজ্ঞপ্রতিষ্ঠান বিএমইটি এ বিষয়ে কোনো উপযুক্ত সমাধাননিয়েও এগিয়ে আসেনি। ফলে হতাশা আরওবেড়ে গেছে।

সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিংএজেন্সি বলছে, যারা মালয়েশিয়ায় যাবার জন্যপ্রস্তুত ছিল তারা আরঅপেক্ষা করতে রাজি না কারণ বয়স বেড়ে যাচ্ছে, তাই এখনঅন্য কোনো দেশেযেতে চাপ দিচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মীপাঠানোর কার্যক্রম কবেশুরু হবে বা কবে থেকে কর্মীযাবে, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের ওপর। সূত্র আরও জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার দিকথেকে সবকিছু দ্রুত ও সাবলীলভাবে এগোলেও অনিশ্চয়তাসৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ থেকে।

১৮ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়াকেএকটি চিঠি দেয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, মালয়েশিয়া কর্মীনিয়োগের জন্য যে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, তাতেযেন বাংলাদেশকে যুক্ত করাহয়। কিন্তু এ বিষয়ে আপত্তিরয়েছ মালয়েশিয়ার। দেশটি কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ডসহ ১৪টি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান প্রক্রিয়ার মতোই বাংলাদেশথেকে কর্মী নিতে চায়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, এবার সবকিছু স্বাভাবিকভাবে শুরু হলে আগামী দুই বছরেঅন্তত পাঁচলাখ কর্মীর মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর সুযোগহবে। এ ছাড়া অভিবাসন ব্যয়ও আগের তুলনায়কমিয়ে আনার চিন্তাভাবনাচলছে।

মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্রেরসঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতেসরকার আন্তরিক। এ লক্ষ্যে কারিগরি বিষয় গুলো নির্ধারণে কাজচলছে। কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় কতহবে, ডাটা ব্যাংকে নিবন্ধনকরা প্রয়োজন কিনা, প্রয়োজন হলে কবেথেকে চালুহবে, বাংলাদেশে একটি অনলাইনপদ্ধতি চালুকরা ও মালয়েশিয়া সরকারের কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতির সঙ্গে এই পদ্ধতিকীভাবে যুক্ত হবে, এ ধরনের বিষয় গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনাচলছে। তবে কোনো বিষয়েইসরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তেআসতে পারেনি।
তথ্য সূত্র: এডব্লিউ ও ই-সুজন।

অনলাইন জরিপে টপ ১০ মালয়েশিয়ান নিউজ ওয়েবসাইট

  1. Malaysiakini: মালয়েশিয়াকিনি একটি পুরস্কার বিজয়ী স্বাধীন সংবাদ সরবরাহকারী।
  2. Utama: ওয়েবসাইট টি স্থানীয় ভাষার মালেতে সর্বশেষ মালয়েশিয়ার সংবাদ পান।
  3. Utusan Online.
  4. Free Malaysia Today.
  5. The Malay Mail Online | Malaysia.
  6. Bernama.
  7. Lowyat.net | Technology News Malaysia. …
  8. Paul Tan\’s Automotive News.
  9. SAYS Malaysia
  10. Kosmo Online

আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার খবর-কলিং ভিসা ও আজকের মালয়েশিয়া

PLEASE SHARE THIS

আমাদেরকে আনুসরন করুন

SOCIAl MEDIA

নিউজলেটার

আমাদের বিভিন্ন প্যাকেজ আপডেট, অফার কিংবা নিউজ আপনার ইমেইলে সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

Scroll to Top