করনা মহামারীর কারণে প্রচুর মানুষ অনলাইনে কেনা কাটা করছে। এই সুযোগে অনেক প্রতারক চক্র সাধারণ অনলাইন ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করছে। অনলাইন শপিং প্রতারণা এড়াতে করণীয় বিষয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের পুলিশ।
যদিও প্রযুক্তির কল্যাণে ঘরে বসে অনলাইনে কেনাকাটা করা এখন একটি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে দাঁড়িয়েছে। জামাকাপড়, খাবার দাবার থেকে শুরু করে দৈনন্দিন ব্যবহার্য প্রত্যেকটি জিনিস অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। চলমান করোনা লকডাউনে মানুষ মার্কেটে গিয়ে কেনাকাটার বদলে ইন্টারনেটভিত্তিক শপিং ব্যবস্থাকে বেছে নিচ্ছেন। এর ফলে ই-কমার্স ব্যবসার রমরমা ব্যবসা চলছে বাংলাদেশে। কলকাতা ও ইন্ডিয়াতেও রয়েছে ই-কমার্স ব্যবসার দারুন ভবিষ্যৎ।
কি কি ভাবে প্রতারণা করা হচ্ছে?
ই-কমার্সের হাত ধরে ফেসবুকে অনলাইন শপিং পেইজের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। এর মধ্যে কিছু কিছু পেজ পাওয়া যায় যেগুলো নানা রকমের চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে লোকজনকে আকৃষ্ট করে। কখনো কখনো এক ধরনের প্রোডাক্ট দেখিয়ে অন্য ধরনের প্রোডাক্ট বা নিম্নমানের প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। একজন ক্রেতা বলেন, আমাকে শুধু প্যাকেট পাঠিয়েছে দ্বারাজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ করলে সমাধানের আশ্বাস দিলেও তা হয় নি। কিছু কিছু পেজ পাওয়া যায় যেগুলো প্রোডাক্ট অর্ডারের জন্য অগ্রীম মূল্য পরিশোধ করার পরও কোন প্রোডাক্টই ডেলিভারি দেয় না। অত:পর আপনি যদি তাদের চ্যালেঞ্জ করেন তারা আপনার নম্বর বা অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেয়। এ ধরনের পেজগুলো সাধারণত চালু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন পরিমাণের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অ্যাকাউন্টটি হঠাৎ করে ডিঅ্যাকটিভেট করে পালিয়ে যায়।
অনলাইন শপিং প্রতারণা এড়াতে পুলিশের পরামর্শ কি?
অনলাইন শপিং প্রতারণা ঠেকাতে বাংলাদেশ পুলিশ বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে নিচে তা উল্লেখ করা হল,
- সুপরিচিত বা সুপ্রতিষ্ঠিত অনলাইন শপ ছাড়া অন্য কোনো অনলাইন শপ থেকে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
- কাস্টমার রিভিউগুলো ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে নিতে পারেন।
- প্রতারণার শিকার হলে বিলম্ব না করে পুলিশকে অবগত করুন।
অনলাইন শপিং প্রতারণা এড়াতে আমাদের পরামর্শ
আমাদের কে অনেকে প্রশ্ন করে কিভাবে বুঝব কোন প্রতিষ্ঠান ভালো? সবাই তো বলবে আমরাই সবচেয়ে সৎ, বিশ্বস্ত।
বরং যারা প্রতারণা করবে তারা বেশি বেশি নিজেদের গুণগান করবে, যাতে ক্রেতাকে সহজে প্রতারিত করা যায়।
তাহলে কি অনলাইন কেনাকাটা বন্ধ করে দেবেন? না সে কথা বলছি না তবে সচেতন হতে হবে। এবং কিছু অনলাইন কেনাকাটার বা সেবা নেওয়ার জ্ঞান থাকতে হবে। সে সম্পর্কে নিচে বলা হল,
- পুলিশের দেওয়া পরামর্শ গুলিতো ফলো করবেনই। তার পর আরও কিছু নজর দারি করতে হবে আপনাকে।
- ফেসবুক পেজের সাথে সাথে ওয়েবসাইট থাকলে মনে করবেন প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বস্ততার দিক থেকে একধাপ এগিয়ে গেছে।
- আপনার পরিচিত কোন ফেসবুক ফ্রেন্ড আছে কি না যে তাদের ফেসবুক পেজের সঙ্গে আছে। বা কখন প্রডাক্ট বা সেবা নিয়েছে।
- গুগল বিজনেস পেজে রিভিউ কেমন?
- ইউটিউব চ্যানেল আছে কি না? সেখানে কমেন্ট গুলো কেমন?
- তারা যে যোগাযোগ নম্বরটি দিয়েছে সেটি সবখানে একই কি না? ল্যান্ড ফোন আছে কি না? থাকলে বেশি ভালো।
আসলে সঠিক ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান চেনা খুবই কঠিন। এটি মূলত আপনার যাচাই করার যোগ্যতা বলে ধরতে পারবেন। তার পর সামান্য কিছু টিপস দেওয়া চেষ্টা করেছি। পরে আরও সংযোজ করা যাবে যদি আপনারা পরামর্শ দেন। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।