ওরস্যালাইন জীবন রক্ষাকারী একটি উপাদান। তবে আমাদের অনেকেই রয়েছে যারা ওরস্যালাইন খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে অবগত নয়।
আর সে কারণে আমরা আজকের আর্টিকেলে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ ওরস্যালাইন খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে আপনাদেরকে
অবগত করতে চলেছি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ওর স্যালাইন খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি-
ডক্টর আরিফা জামান এর মতে ওরস্যালাইন খাওয়ার সঠিক নিয়ম –
ওরস্যালাইন বানানোর নিয়ম বড়দের জন এবং শিশুদের জন্য একই। এটি বানানোর ক্ষেত্রে কোন ধরনের বুদ্ধিমত্তা খাটানোর প্রয়োজন নেই।
কেবল মাত্র নির্দেশনা মোতাবেক, আধা লিটার পানিতে 1 প্যাকেট খাবার স্যালাইন গলাতে হবে এবং সেটা শিশু অথবা বড় সবার জন্য সমান।
তবে হ্যাঁ একটা কথা মাথায় রাখতে হবে।
খাবার স্যালাইন খাওয়ানোর পরিমাণের ওপর ভিন্নতা থাকতে পারে তবে তৈরি করার প্রক্রিয়া বলতে গেলে একই।
স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কিত লেখা পড়ুন এই লিংকে !
ওর স্যালাইন কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি বানানোর সঠিক পদ্ধতি ও কতক্ষণ এটি রাখা যাবে এতে বিভিন্ন বিষয়ে
আমাদের মনে নানা ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে। ওর স্যালাইন তৈরির ক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে-
- কখনোই মেয়াদোত্তীর্ণ ওর স্যালাইন ব্যবহার করা যাবে না।
- অবশ্যই প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ দেখে কিনতে হবে।
- ওর স্যালাইন খাওয়ানোর পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।
- পানি অবশ্যই বিশুদ্ধ হতে হবে। দরকার হলে ফুটিয়ে নিতে হবে। কেননা অসুস্থ দেহে ময়লাযুক্ত পানি বেশ ভারী প্রভাব ফেলতে পারে। সে কারণে অবশ্যই পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। অনেকেই পানি ফিল্টার করে নেন, তবে ফুটিয়ে নেওয়াটা বেশি শ্রেয়। পানি বিশুদ্ধকরণ এর ক্ষেত্রে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না যেহেতু এতে সেলাইন মেশানো হবে।
- সর্বদা মনে রাখতে হবে ওর স্যালাইন একটি জীবন রক্ষাকারী উপাদান। সুতরাং এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরনের গাফিলতি করা যাবে না। যথাযথ নিয়ম মেনে খাওয়াতে হবে এবং রোগীকে সুস্থ রাখতে হবে।
- ওরস্যালাইনের পাশাপাশি অন্য সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।
- এছাড়াও ডক্টর আরিফা জামান আরো বলেন, যদি কোনো শিশু বারবার পাতলা পায়খানা করে তাহলে প্রতিবার পাতলা পায়খানা করার পর ওর স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বড়দের ক্ষেত্র এক নির্দেশনায় প্রযোজ্য। খাবার স্যালাইন এর অনুপাত এর হেরফের হতে পারে।
আজকের আর্টিকেলটি এ পর্যন্তই।
আশা করি সেবারু ডটকম এর ওরস্যালাইন খাওয়ার সঠিক নিয়ম ব্লগ টি ভালো লেগেছে। কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে দয়া করে জানাবেন।
ও হাঁ, আপনিও কিন্তু এরকম ব্লগ লিখতে বা আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন! আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।
আরও ভালো জানার জন্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন। প্রবন্ধটি সংরক্ষণে রাখতে আপনার সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রাখুন।
যাতে প্রয়োজনে খুজে পেতে সহজ হয়। সাথে থাকার জন্য অন্তরের অন্তরস্থল থেকে এক রাশ প্রিতি ও ভালোবাসা রইল।