ইউরোপের একটি সমৃদ্ধ দেশ ক্রোয়েশিয়া। রাজধানীর নাম হল, যাগ্রেব । প্রায় ৪২ লাখ জনসংখ্যার এই দেশটি ২০১৩ সালে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে যোগ দেয়।
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা লাভ করা বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার বিদেশে চাকরি প্রত্যাশিদের জন্য খুবই সাম্মানের। কারণ ইউরোপের দেশ বলে কথা।
সকলের প্রথম পছন্দ হল যে কোন একটি ইউরোপের দেশে ডুকতে পারলেই হয় । পরে সেখান থেকে অন্য দেশ যাওয়ার সুযোগ নিয়ে থাকে।
বর্তমানে ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা লাভের সম্ভাবণা বেশ। কারণ এখানে রয়েছে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা। পার্শ্ববর্তী দেশ আলবেনিয়া, সারভিয়া, উক্রাইন ছাড়াও শ্রমিক আনা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়াও বাদ যায়নি। নির্মাণ কাজে দক্ষ / অদক্ষ শ্রমিকের চাহিটা বেশি।
সম্প্রতি ইউরোপের জব ভিসার ক্ষেত্রে যে দেশটির নাম বেশি লোকমুখে সেটা হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া।
ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা পেলে কি কি সুবিধা আছে?
ইউরোপের মধ্যে মায়ের যে দেশগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে ক্রোয়েশিয়া অন্যতম। কনস্ট্রাকশন সেক্টরে রয়েছে পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ।
দক্ষ আদা-দক্ষ কনস্ট্রাকশন কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। মূলত এখানে ৯০ ভাগ কাজই হচ্ছে কনস্ট্রাকশন রিলেটেড।
২০২১ সংযোজন করা হইছে লেবার মার্কেট অ্যাসেসমেন্ট টেস্ট। অ্যাসেসমেন্ট এর মাধ্যমে নির্ধারণ করবে এই কাজের জন্য ক্রোয়েশিয়ান কেউ আছে কিনা।
যদি কেউ আগ্রহী না থাকে সে ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এর বাহির থেকে কাজের জন্য লোক হায়ার করা হয়।
ক্রোয়েশিয়াতে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য ডকুমেন্টস
আমি কিভাবে ক্রোয়েশিয়াতে ওয়ার্ক পারমিট ম্যানেজ? এই প্রশ্ন অনেকেই করে থাকেন। এখন কথা হল আপনি যদি ক্রোয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় আসতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই
- ক্রোয়েশিয়ান কোন কোম্পানি থেকে ওয়ার্ক পারমিট ম্যানেজ করতে হবে।
- ওয়ার্ক পারমিট এর ব্যবস্থা করে ক্রোয়েশিয়ার ভিসার জন্য ক্রোয়েশিয়ান দূতাবাস আবেদন করতে পারবেন।
- ক্রোয়েশিয়াতে ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন ?
- বাংলাদেশের পাসপোর্ট এর কপি
- বাংলাদেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ( সার্টিফিকেট বাংলাদেশ থেকে নেয়ার পর, বাংলাদেশ হাই কমিশন নিউ দিল্লি এবং এরপর ক্রোয়েশিয়ান এম্বাসি নিউ দিল্লি থেকে সত্যায়িত করে জমা করতে হবে)।পাসপোট কপি
- ওয়ার্ক এক্সপেরিয়েন্স যদি থাকে
- নির্দিষ্ট কাজের উপর কোন ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট যদি থাকে।
- উপরোক্ত ডকুমেন্টগুলো শুধুমাত্র ক্রোয়েশিয়া থেকে ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করার জন্য দরকার পড়বে।
- ক্রোয়েশিয়ার ভিসার আবেদন পূরণকৃত ফরম।
- বাংলাদেশী পাসপোর্ট এর কপি এবং সকল ব্যবহৃত পেইজ।
- বাংলাদেশী পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
- হেলথ ইন্সুরেন্স (মিনিমাম কভার ৩০ হাজার ইউরো পরিমাণ ) অথবা ক্রয়েশিয়ান কোম্পানি যদি আপনার জন্য ইতিমধ্যে ইনস্যুরেন্স করে থাকে তার কপি।
- এক কপি ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর (35 x 45 mm সাইজের )
- কনফার্ম ওয়ান ওয়ে টিকেট রিজার্ভেশন।
- ভিসা ফি ৬৪ ইউরো অথবা ৫০০০ ভারতীয় রুপি।
- ক্রোয়েশিয়ান ওয়াক পারমিট এর কপি।
- উপরের সমস্ত ডকুমেন্ট ক্রোয়েশিয়ার ভিসা আবেদনের জন্য ম্যান্ডেটরি। এখন কথা হল ভিসার আবেদনের জন্য আমাকে কি কোন প্রকার অ্যাপোয়েন্টমেন্ট দরকার আছে? জি হা আপনার দরকার আছে।
- ক্রোয়েশিয়ান কনস্যুলেটের জমা করতে যাবেন তার আগে অবশ্যই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
- ক্রোয়েশিয়া কনস্যুলেটে নির্ধারিত ডেটে আপনাকে সশরীরে হাজির হতে হবে।
- জমা দেওয়া ঠিক পনেরো থেকে বিশ দিনের মধ্যেই আপনাকে মেইল করা হবে আপনার ভিসার ডিসিশন জানানোর জন্য।
- ক্রোয়েশিয়া কনস্যুলেট বা দূতাবাসের এ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য আপনি ভিএফএস ক্রোয়েশিয়া নিউ দিল্লিস্থ ওয়েবসাইট চেক করতে পারেন এই লিংকে।
আশা করি ক্রোয়েশিয়া জব ভিসা বিষয়ক সকর তথ্য পেয়ে গেছেন। ক্রোয়েশিয়ার ভিসা সংক্রান্ত আরো কোন জিজ্ঞাসাবাদ পরামর্শ জানার জন্য দিল্লি
এ্যাম্বাসিতে যোগাযোগ করতে পারেন।