আপনার পোশাক কেমন হবে:
সৌন্দর্যের জয় সর্বত্র। আগে দর্শনধারী পরে শুণবিচারী। শেখ সাদী ও পোশাকের গুণেই সমাদৃত হয়েছিলেন। তাই বলে খুব দামি পোশাক পরতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। যেটাই পরেন না কেন, সেটা যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়। সেই সঙ্গে ব্যক্তিত্বকে বিকশিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
কোনো পণ্য বিপণনের ক্ষেত্রে যেমন সুন্দর মোড়ক বা প্যকেজিংংের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি পোশাক মানুষের জীবনে মোড়ক বা আবরণের কাজ করে। এটা রুচিবোধ ও ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। পোশাক আপনার পারসোনাল ব্র্যন্ডিং।
পোশাক হচ্ছে শরীরের ডেকারেশন। ১০ লাখ টাকার ব্যবসায় চার লাখ টাকার ডেকোরেশন থাকে। তাহরে ব্রান্ড প্রমোটরকর্মীর কেন ন্যূনতম ডেকোরেশন থাকবে না? খেয়াল করলে দেখবেন- বাসের কন্ডাক্টর কাউকে বলে, এই মিয়া ভাড়াটা দাও, কাউকে বলে, ভাইয়া দেন, আর বিশেষ ক্ষেত্রে-স্যার ভাড়াটা প্লিজ। যদিও সে কারো শিক্ষগত যোগ্যতা বা পদবি জানে না। এ জাতীয় ব্যবহারের মূলে রয়েছে বাসযাত্রীর সুন্দর পোশাক-পরিচ্ছদ।
চেহারা যাই হোক না কেন, গেট-আপ হতে হবে আকর্ষণীয়। পোশাক সুন্দর হলে মনেও ফুরফুরে আমেজ বিরাজ করে। কেউ জানে না আপনার পকেটে কত টাকা আছে; কিন্তু পোশাক-পরিচ্ছদ অনেক কিছু অর্থবহ করে তোলে। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাটাও একটি শিল্প।
একজন ব্রান্ড প্রমোটরকর্মী যখন তাঁর ক্রেতার সামনে যান, তখন প্রথম ৩০ সেকেন্ড খুবই মূল্যবান। প্রথম পলকই দামি। এই সময়ের মধ্যে সম্ভাব্য ক্রেতা ঠিক করে ফেলেন, তিনি ব্রান্ড প্রমোটরকর্মীর কথা শুনবেন কি শুনবেন না।
গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রেতা প্রথম ৩০ সেকেন্ড কোনো পণ্য দেখেন না, তিনি ব্রান্ড প্রমোটরকর্মীর পোশাক পরিচ্ছদ ও ধঢ়ঢ়ৎড়পয লক্ষ্য করেন। পোশাকের ক্ষেত্রে সর্বদা মনে রাখবেন আপনি নতুন বউ— বরপক্ষ আপনাকে দেখতে এসেছে; ঠিক সেইভাবে নিজেকে উপপস্থাপন করুন। পোশাক-পরিচ্ছদ ঠিক থাকলে ক্রেতা অন্তত বেফাস কথাবার্তা বলবে না বা অসম্মান করবে না।
মনে হতে পারে— আমি সাদাসিধে মানুষ; আমার আবার সুন্দর পোশাক- পরিচ্ছদ দিয়ে কী হবে? কতই-বা সুন্দর হবো? উত্তরে বলা যায়, কম সুন্দরী মেয়েদের কি সাজার দরকার নেই? যে যেমন তার অবস্থান থেকে আরো উন্নত হবে-এটাই স্বাভাবিক। প্রসঙ্গত, ছেলেরা পোশাককে শরীরের সঙ্গে মানিয়ে নেয় আর মেয়েরা মানিয়ে নেয় মনের সঙ্গে। ব্রান্ড প্রমোটর পেশায় স্বাভাবিকের তুলনায় বাড়তি পথ হাঁটার অভ্যাস করতে হবে। আর এ বিষয়টিই আপনাকে সাফল্যের পথে ধাবিত করবে। যদি এ অভ্যাস দীর্ঘদিন অব্যাহত রাখেন, তাহলে আশ্চর্যজনকভাবে ফল লাভ করবেন।
এই বাড়তি কাজের অভ্যাসের ফলে এক সময় কাজটা আপনার জন্য অত্যন্ত সহজ এবং আনন্দদায়ক হবে। উপরন্ত কাজটিকে বিশেষায়িত করে সুনিপুণভাবে করার সূক্ষè বৃদ্ধি করবে, সুপ্ত কর্মক্ষমতাকে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করবে। উদ্দেশ্যহীনতা ও লক্ষ্যহীনতাকে দূর করে সুনিদিষ্ট লক্ষ্য স্থির করতে সহায়ক হবে।