আমদের জীবনে ১৪ই এপ্রিল অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ এক মধুর স্মৃতি রেখে যায় সব সমইয়। বাংগালীর চিরন্তন ভালোবাসার সৃষ্টিও হয় এই সময়ই। নানা ঘটনা বহুল এই দিনে মানুষ বের হয় তার পরিবার, বন্ধু বা ভালোবাসার প্রিয়জনকে নিয়ে। আর এই দিন নিয়ে তাই প্রত্যেকেই দেয় কিছু আবেগি ফেসবুক স্ট্যাটাস। যা তাদের ভালো লাগাকে ফুটিয়ে তুলে। আজ আমরা জানব তেমনই কিছু স্মার্ট ফেসবুক স্ট্যাটাস। তবে তার আগে জেনে নেই কিভাবে এল এই পহেলা বৈশাখ বা কেন এটি আমাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ।
কিভাবে শুরু হল পহেলা বৈশাখ?
মুঘল সাম্রাজ্য থেকে প্রচলন হয় এই বাংলা এই নববর্ষের। যার আরেক নাম ১লা বৈশাখ। মুঘল সম্রাট আকবর এই পঞ্জিকার ব্যবস্থা করেন। কারন তার সমইয়ে কৃষকদের থেকে খাজনা আদায় করা খুব কষ্টের হত। তাই সভাসদদের পরামর্শ অনুযায়ী সম্রাটের আদেশে রাজকীয় জ্যোর্তিবিজ্ঞাণী ফতেউল্লাহ একটি পঞ্জিকা তৈরি করে। যা ছিল সৌরসন এবং আরবী হিজরী সনের সমন্নয়ে নতুন এক পঞ্জিকা। ১৫৫৮ এর ৫ ই নভেম্বর থেকে এই সন কার্যকর হয়। আগে একে ফসলি সন বলা হলেও, কালের পরিবর্তনে তা বংগাব্দ থেকে বাংলা বর্ষ নামেই সবার কাছে পরিচিত।
এই দিনে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করা হত। আর শুরু হত নতুন সালের সূচনা। বর্তমানে এখন এটি হালখাতা নামে পরিচিত। যেখানে ক্রেতা ও বিক্রেতা তাদের সব বোঝাপড়া শেষ করে মিষ্টান্ন গ্রহনের মাধ্যমে নতুন সাল শুরু করে।
পহেলা বৈশাখের ফেসবুক স্ট্যাটাস
আজ কাল পহেলা বৈশাখে আবেগি ফেসবুক স্ট্যাটাস বা স্মার্ট ফেসবুক স্ট্যাটাস দেয়া অনেক তরুনসহ সকল বয়সী মানুষের কাছে একটি ট্রেন্ডে পরিনত হইয়েছে। একদিকে এটি বেশ ভালোই হইয়েছে। এতে করে সবাই নিজস্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারছে। একই সাথে তার রক্ষণা বেক্ষণে সচেষ্ট হচ্ছে। আজ আমরা কিছু সাধারন মানুষের ফেসবুক স্ট্যাটাস ও বিখ্যাতদের কিছু লিখা জানাব আপনাদের। এতে তাদের মনের আবেগ ও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়। যেমন অনেকেই ছন্দে ছন্দে কবিতায় শুভেচ্ছে বিনিময় করে। যেমনঃ
নতুন বছর, নতুন ভাবে, নতুন সাজে, নতুন কাজে, নতুন আনন্দে, নতুন ভালোবাসায়,নতুন সম্ভাবনায়, ছুঁয়ে যাক তোমার হৃদয়, নতুন শুভকামনায়, শুভ নববর্ষ।
তেমনই ভাবে দেখা যায় কিছু বিখ্যাত মানুষের জীবন ঘন স্ট্যাটাস। আর প্রায় প্রত্যেকেরই ফেসবুক পোস্ট শুরু হয় বাংগালীর শ্রেষ্ঠ কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের বৈশাখ নিয়ে লেখা বিখ্যাত লাইনঃ
এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ।
তাপসনিশ্বাসবায়ে মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে,
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক॥
যাক পুরাতন স্মৃতি, যাক ভুলে-যাওয়া গীতি,
অশ্রুবাষ্প সুদূরে মিলাক॥
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক॥
এই লাইন গুলো দিয়ে। আমাদের পুরো মাসের চিত্র ফুটিয়ে তোলে।
যদিও বর্তমানে বৈশাখ মূলত পান্তা ইলিশ খাওয়া ও মেলা আর শোভা যাত্রায় সীমাবদ্ধ। তবে ধীরে ধীরে গ্রামবাংলার সেই পুরনো ধায়ার ফিরে নতুন ভাবে সামনে আসছে। আর আসছে বছরেও তার ব্যতীক্রম হবে না। যুগ যুগের বাংলার এই প্রিয় উৎসব ফিরে পাবে তার প্রাণ। এই কামনা সকলের। এছাড়া আরো পড়ুনঃ
১। ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় : আইডি, পেজ ও গ্রুপ দিয়ে আয়
২। কনটেন্ট বানিয়ে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়!
৩। ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা ও ৫ টি উপায়
সেবারু আপনাদের জানায় সবার আগে সর্বশেষ তথ্য। তাই আপনার জানা ও অজানা বিষয় নিয়ে আমাদের কমেন্ট করুন। আর জানুন নিত্য নতুন সব তথ্য।