রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সীমিত সময়ের জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ভর্তির সুযোগ প্রদান করছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত এ কলেজটিতে পড়াশোনার মান অনেক উন্নত। এ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটি ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বচ্চবিদ্যাপিঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি দ্বারা সরাসরি পরিচালিত হয়।
এর রয়েছে নিজস্ব সুবিশাল দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস। নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, পর্যাপ্ত প্রাক্টিক্যাল ল্যাবসহ
পরিবেশ বান্ধব শিক্ষা ব্যবস্থা।
কেন ভর্তি হবেন এই কলেজে?
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত হওয়ায় সিলেবাস, কোর্স কারিকুলাম, প্রশ্নপত্র প্রনয়ণ, পরীক্ষা পর্যবেক্ষণসহ শিক্ষা সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম রাজশাহী ইউনিভার্সিটি কতৃক নিয়ন্ত্রিত। শিক্ষার মাধ্যম ইংরেজি। চার বছর মেয়াদী ৮ সেমিস্টারে বিভক্ত প্রতিটি কোর্সে রয়েছে ১৬০ ক্রেডিট। শিক্ষা সমাপ্তিতে শিক্ষার্থীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সনদ প্রাপ্ত অর্থাৎ একজন রাজশাহী ইনিভার্সিটির শিক্ষার্থী যে সার্টিফিকেট পাবে ঠিক একই রকম সার্টিফিকেট পাবে একজন রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং (বিশ্ববিদ্যালয়) কলেজের শিক্ষার্থী।
রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এ ভর্তির যোগ্যতা:
স্কলারশিপ লাভের যোগ্যতা কি? তা জানার আগে জেনে নিন ভর্তির যোগ্যতা কী কী লাগে।
২০১৫ ও তার পরবর্তী যে কোন সালে এস.এ.সি/দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় ( পদার্থ, রসায়ন, গণিত ) এ উত্তীর্ণ হতে হবে।
এবং ২০১৭ ও তার পরবর্তী য কোন সালে এইচ.এ.সি/ আলিম/ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি উভয় পরীক্ষায় নুন্যতম জিপিএ ৩.গগ সহ মোট জিপিএ ৭.০ থাকতে হবে।
ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে ৪.০ স্কেলকে ১.২৫ দ্বারা গুণন করে ৫.০ স্কেলে রূপান্তর করা হবে।
স্কলারশিপ লাভের জন্য যোগ্যতা কী কী?
স্কলারশিপের জন্য সবসময় একজন শিক্ষার্থীর মেধাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি উভয় পরীক্ষার রেজাল্ট, ভর্তি পরিক্ষায় ফলাফলকে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও অধ্যায়নরত অবস্থায় ভালো ফলাফলের উপর স্কলারশিপ নির্ভর করে।
এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ২০% স্কলারশিপ লাভ করে।
এস.এস.সি অথবা এইচ.এস.সি যেকোন একটি পরীক্ষায় ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ১০% স্কলারশিপ লাভ করে।
যদি কোন শিক্ষার্থী সম্পূর্ণ কোর্স ফি এককালিন প্রদান করে সে ক্ষেত্রে ১০% স্কলারশিপ অর্জন করবে।
রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সুবিধা সমূহ:
সাধারণত প্রাইভেট কলেজ বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধির জন্য ভালো টিচিং, উন্নতমানের ক্লাসরুম, উত্তম শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করে থাকে। এ ক্ষেত্রে রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ব্যাতিক্রম নয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজটির নানা সুবিধার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম। সুসজ্জিত সাইবার লাইব্রেরি। সার্বক্ষণিক কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ। ২৪ ঘন্টা ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সুবিধা। লোকাল ও ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব আবাসিক ব্যবস্থাসহ অনেক সুবিধা রয়েছে। পড়াশোনা শেষে বিদেশে স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগও রয়েছে।
যে সকল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ আছে:
চাকুরী বা কর্ম সংস্থানের জন্য যে সকল সাবজেক্ট বর্তমান সময়ে বেশে গুরুত্বপূর্ণ সেদিকে খেয়াল রেখে সাবজেক্ট চালু করেছে এ কলেজ। সাবজেক্ট গুলো হচ্ছে- বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বিএসসি ইন ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ও বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং। এছাড়াও চাকুরীর বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সকল সাবজেক্ট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের। বর্তমানে যে চারটি সাবজেক্ট চালু করা হয়েছে নিচে তার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হল:
বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
বর্তমানে বাংলাদেশে ভালো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। দেশে এখন প্রচুর Real estate বা construction/consultation ( বিল্ডিং তৈরির প্রতিষ্ঠান) ফার্ম আছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রচুর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দরকার। এাড়াও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের বিসিএসসহ বিভিন্ন সরকারি চাকুরির সুযোগ অন্যান্যদের তুলনায় বেশি। শুধু বাংলাদেশে নয় বিদেশেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর চাহিদা প্রচুর। বর্তমানে অনেক বাংলাদেশী সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সৌদি আরব, কুয়েত, দুবাই, কানাড, আমেরিকাসহ পৃথিবির বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছে। আরও পড়ুন- সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার বিস্তারিত…
বিএসসি ইন কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
কম্পিউটার সাইন্স এ লেখাপড়া করে কেউ বেকার থাকেনা। প্রযুক্তিতে খুব দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশ ও পৃথিবী। সে কারণেই কম্পিউটার সাইন্স এর চাহিদাও বাড়ছে দিন দিন। সরকারী- বেসরকারী চাকুরি পাওয়া খুবই সহজ এ সাবজেক্টটিতে পড়লে। এতো গেল দেশে চাকুরীর খবর। বিদেশে কম্পিউটার সাইন্স এর শিক্ষার্থীদের চাকুরির সুযোগ আরও বেশি।
গুগল, আমাজন, আলি বাবাসহ বড় বড় কম্পানিতে বাংলাদেশী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন- কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা বিস্তারিত…
বিএসসি ইন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং
দেশে বা বিদেশে চাকুরীর বাজারে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাহিদা অত্যন্ত ব্যাপক। এ সাবজেক্টের চাহিদা বর্তমানেও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। বিশেষত আগামী ৫/৬ বছর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের চাহিদা সবচেয়ে বেশি থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরও পড়ুন- ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ক্যারিয়ার বিস্তারিত…
বিএসসি ইন ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং
শিক্ষার্থী যদি টেকনোলজি আর সৃজণশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে বিকশিত করতে চায়; তবে তার জন্যইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্ট। কাজ জানলে এ বিষয়ের শিক্ষার্থীকে চাকুরী খোজাঁ লাগেনা, চাকুরীই তাকে খুজঁবে । Information and Communication Engineering (ICE) হচ্ছে Information Engineering এবং Communication Engineering এর সমন্বয়ে গঠিত একটি সাবজেক্ট।
এর সাথে Computer Science, Computer Engineering, Communication Engineering ও Software Engineering সাবজেক্টের সুনিবিড় সম্পর্ক।
রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ এর এই ডিপার্টমেন্টের আছে পর্যাপ্ত টিচার,মাল্টিমিডিয়া প্রোজেক্টরের ক্লাসরুম এবং ল্যাব সুবিধা।
কারা পরিচালনা করছেন রংপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ?
রংপুরের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী রংপুর গ্রুপের ডিএমডি আশরাফুল আলম আল-আমিন এর নিরলস প্রচেষ্টায় ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এ কলেজটি। জনাব আল-আমিন রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠায়ও বিশেষ ভূমিকা রাখেন। রংপুরের ইউনিভার্সিটি অব নর্থবেঙ্গল (প্রস্তাবিত) প্রতিষ্ঠারও অন্যতম উদ্যেক্তা তিনি।
রংপুর তথা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অর্থে ভালো শিক্ষা প্রদানের লক্ষ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জনাব আল-আমিন।
তাঁর সাথে থেকে নিরলসভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন জনাব মোঃ ইদ্রিছ আলী।
এই কলেজটির প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, কারমাইকেল কলেজ এর সাবেক প্রতিথযশা প্রফেসর নিরোধ বরন নাথ।
প্রফেসর নিরোধ বরন নাথ কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিভাগীয় চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন একাডেমিক দায়িত্ব কৃতিত্বের সাথে পালন করেছে।
তাঁর দক্ষ পরিচালনায় সহযোগিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়, রুয়েট,
চুয়েট থেকে পাশকৃত মেধাবী ও আন্তরিক শিক্ষক বৃন্দ।