প্রায় পাঁচ দশক ধরে, জাপান বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয় জাপানকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য একটি আদর্শ স্থান হিসেবে গড়ে তুলেছে।
জাপানে বিভিন্ন ধরণের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রকমের চাহিদা পূরণ করে। জাপানে মোট ৮৬ টি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ৯৫ টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৯৭ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যার কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিষয় এবং শিক্ষণ পদ্ধতি অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুঁজে নিতে পারবেন।
জাপান যেতে শিক্ষাগত যোগ্যতা
জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন পূরণে প্রথম পদক্ষেপ হলো স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন। আর এই ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে যেখানে আপনি পড়াশোনা করতে চান। সাধারণত, স্টুডেন্ট ভিসার জন্য SSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রয়োজন। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রয়োজন হতে পারে।
আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণ স্বরূপ, আপনাকে পরীক্ষার সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় একাডেমিক ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জাপানি ভাষা (JLPT) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে দেয়।
জাপান স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- Acceptance letter from educational institution
- CV and resume
- Statement regarding why you want to study in Japan
- Proof of Bank Balance
- Proof of non-involvement in criminal and criminal activities
- Visa application form
- Two passport size photographs
- Valid passport
- Scan copy of Electronic Confirmation of Visa Enrolment
- Academic and work experience documents
- Travel related documents.
কেন স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়া উচিত?
বিশ্বজুড়ে উচ্চশিক্ষার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য হিসেবে জাপান দীর্ঘদিন ধরে খ্যাতি অর্জন করেছে। প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আকর্ষণে জাপানের পথে পড়ি দেয়। কিন্তু জাপানের প্রতি এই আগ্রহের মূলে কেবল উন্নত শিক্ষাব্যবস্থাই কি একমাত্র কারণ?
না, অবশ্যই নয়! জাপানে পড়াশোনার আরও অনেক সুবিধা রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন, এবারের আলোচনায় সেই সুবিধা গুলো তুলে ধরা যাক।
০১-কম খরচে উচ্চ শিক্ষা
শিক্ষা মানে শুধু ডিগ্রি অর্জন নয়, বরং জ্ঞান অর্জন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার মাধ্যমে নিজেকে একজন সমৃদ্ধ ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলার অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু অনেকের জন্য, জাপানে উচ্চ শিক্ষার খরচই হয়ে দাঁড়ায় প্রধান বাধা।
এই ক্ষেত্রে জাপান একটি আশার আলো হিসেবে কাজ করবে। কারন, জাপানের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। যদিওবা মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য, খরচ কিছুটা বেশি হতে পারে, তবে এখনও অনেক দেশের তুলনায় অনেক কম।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতেও শিক্ষার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। তাদের বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন বৃত্তি ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা প্রদান করে যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার খরচ বহন করতে সাহায্য করে। জাপানে শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি, বিশেষ করে যারা ভালো রেজাল্ট করে।
০২-কর্মসংস্থানের সুযোগ
শিক্ষা হলো আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি, এই সময়ে আমরা ব্যক্তি হিসেবে গড়ে উঠি এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিই। অনেকেই উন্নত শিক্ষার জন্য বিদেশ ভ্রমণের স্বপ্ন দেখে। মূলত সেইসব শিক্ষার্থীদের কাছে জাপান একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।
কারণ, জাপানের আইন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ 28 ঘন্টা করে পার্ট-টাইম কাজ করতে পারবে। তাই এটা ষ্পষ্ট করে বলা যায় যে, জাপানে বিভিন্ন ধরণের পার্ট-টাইম চাকরির সুযোগ রয়েছে, যেমন:
- ওয়েটার, ক্যাশিয়ার, বা ডেলিভারি ম্যান
- দোকানে সহকারী, সেলসপার্সন, বা কাস্টমার সার্ভিস প্রতিনিধি
- শিশুদের বাচ্চাদের ইংরেজি শিক্ষক বা টিউটর
- ডেটা এন্ট্রি, রিসেপশনিস্ট বা প্রশাসনিক সহকারী
০৩-উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
Topuniversities এর তথ্য অনুসারে, পৃথিবীর শীর্ষ ২০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ টি জাপানে অবস্থিত। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং টোহোকু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠান গুলো বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে।
০৪-শৃঙ্খলা ও কর্মদক্ষতা
জাপান শুধু উন্নত প্রযুক্তি ও অত্যাধুনিক শহরের জন্যই বিখ্যাত নয়, বরং জাপানের অনন্য সংস্কৃতির জন্যও সমাদৃত। জাপানি সংস্কৃতি শৃঙ্খলা ও কর্মদক্ষতার উপর অত্যধিক গুরুত্ব দেয়, যা তাদের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।
জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে ছোটবেলা থেকেই শিশুদের নিয়ম মেনে চলতে, সময়মত কাজ শেষ করতে এবং শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখানো হয়। এই শৃঙ্খলাবোধ তাদের ভবিষ্যতের কর্ম জীবনেও প্রভাব ফেলে।
স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায়
জাপান – উন্নত প্রযুক্তি এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য ব্যাপক পরিচিত। তবে শুধু পর্যটন নয়, বরং উচ্চশিক্ষার জন্যও জাপান আজকের দিনে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। জাপান, বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়, শীর্ষস্তরের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং বৃত্তিমূলক দক্ষতা অর্জনের অসাধারণ সুযোগ।
কিন্তু স্বপ্ন পূরণের পথ কখনোই মসৃণ হয় না। জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাত্রা শুরু করতে হলে, ভিসার ধরণ সম্পর্কে জ্ঞান রাখা অপরিহার্য। আর আপনার ভিসার ধরণ নির্ভর করবে আপনার অধ্যয়নের মেয়াদের উপর। যা নিচের আলোচনায় ফুটিয়ে তোলা হলো।
মেয়াদ অনুযায়ী জাপান স্টুডেন্ট ভিসার ধরন
বিশ্বের অন্যতম উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার জন্য জাপান সুপরিচিত। প্রতি বছর অসংখ্য শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষা অর্জন ও কর্মজীবনের সুযোগের আশায় জাপানের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির জন্য ভিড় জমায়।
তবে, কেবলমাত্র ভর্তি হয়ে গেলেই হবে না! জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের ভিসার ব্যবস্থা করতে হবে। আর আপনার ভিসার ধরণ নির্ভর করবে আপনার যে কোর্সে ভর্তি হচ্ছেন তার মেয়াদের উপর।
জাপান শর্ট টার্ম স্টুডেন্ট ভিসা
৯০ দিনের শর্ট টার্ম ভিসা আপনার জাপানে পড়াশোনা করার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে সাহায্য করবে। ৯০ দিনের শর্ট টার্ম ভিসা, যা \”ভিসা ওয়েভার\” নামেও পরিচিত। এটি আপনাকে ৯০ দিনের মধ্যে একটি বা দুটি ছোটোখাটো কোর্স, যেমন ভাষা শিক্ষা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি করার জন্য সুযোগ করে দিবে। মজার ব্যাপার হলো, এই সুবিধা সকল দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে, বাংলাদেশ এই সুবিধা ভোগী দেশ গুলোর মধ্যে একটি।
জাপান মিড টার্ম স্টুডেন্ট ভিসা
৯০ দিন থেকে শুরু করে ২০ সপ্তাহ পর্যন্ত জাপান ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন হয় মিড টার্ম ভিসা। মূলত দীর্ঘমেয়াদী ভাষা কোর্স, গবেষণা, জাতীয় পরীক্ষা, ইন্টার্নশিপ কিংবা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে এই ভিসা ব্যবহার করা যায়। সাধারণত জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা সহজেই মিড টার্ম ভিসা পেয়ে যাবেন। তবে অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে নিয়মাবলী আলাদা হতে পারে। আর উক্ত ভিসার জন্য আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
জাপান লং টার্ম স্টুডেন্ট ভিসা
বিদেশে উচ্চশিক্ষা – শুধু একটি আশা নয়, বরং আপনার স্বপ্নের বাস্তব রূপ। দীর্ঘমেয়াদী ভিসা আপনার সেই স্বপ্নকে স্পর্শ করার সুযোগ করে দিবে। ২০ সপ্তাহ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ বছর মেয়াদী এই ভিসার মাধ্যমে আপনি জাপানের যে কোনো মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপনার পছন্দের দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন।
দীর্ঘমেয়াদী ভিসা হলো এমন একটি ভিসা যা আপনাকে ২০ সপ্তাহের বেশি কিন্তু ২ বছরের কম সময়ের জন্য কোনো নির্দিষ্ট দেশে থাকার অনুমতি দিবে। এই ভিসার সুবিধা হলো, আপনি শুধুমাত্র পড়াশোনার জন্যই নয়, বরং ভ্রমণ, গবেষণা, ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ বা পরিবারের সাথে দেখা করার জন্যও এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
আর জেনে রাখা ভালো যে, ১২ বছরের বেশি বয়সের যে কোনো শিক্ষার্থী দীর্ঘমেয়াদী ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, ভিসা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া
জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত জাপান, শিক্ষার্থীদের মনে জাগিয়ে তোলে এক অনাবিল আকাঙ্ক্ষা। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা ব্যবস্থার অধিকারী এই দেশে উচ্চশিক্ষা লাভের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। তাই এবার আমি আপনাকে ধাপে ধাপে জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানাবো, যাতে আপনার যাত্রা হয় সহজ ও নির্বিঘ্ন।
১. কোর্স নির্বাচন
প্রথমে, আপনাকে আপনার পছন্দের কোর্স নির্বাচন করতে হবে। জাপানে বিভিন্ন ধরণের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যা বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রি এবং ডিপ্লোমা অফার করে। তাই আপনার আগ্রহ ও যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে সঠিক কোর্স নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
২. ভিসার ধরণ নির্ধারণ
আপনার কোর্সের মেয়াদ অনুযায়ী ভিসার ধরণ নির্ধারণ করতে হবে। কারণ, উপরের আলোচনায় আমি আপনাকে বিভিন্ন মেয়াদের ভিসার ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন
আপনাকে আপনার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হবে। সেজন্য আপনাকে প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি, যেমন- শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রমাণ, সুপারিশ পত্র, ব্যক্তিগত বিবৃতি ইত্যাদি জমা দিতে হবে।
৪. ভিসা আবেদন
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে ভর্তি নিশ্চিত হওয়ার পরে, আপনি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র, যেমন: ভিসার আবেদন ফর্ম, পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি নিশ্চিতকরণপত্র, আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ (ব্যাংক স্টেটমেন্ট) ইত্যাদি ডকুমেন্টস জমা দিতে হবে।
৫. সার্টিফিকেট অফ এলিজিবিলিটি (COE) সংগ্রহ
ভিসার জন্য আবেদন করার পরে, আপনাকে জাপান ইমিগ্রেশন অফিস থেকে \”সার্টিফিকেট অফ এলিজিবিলিটি\” (COE) সংগ্রহ করতে হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপনাকে COE এর জন্য আবেদন করতে সাহায্য করবে।
৬. সার্টিফিকেট অফ এনরোলমেন্ট (COE) সংগ্রহ
আপনার CoE স্ক্যান কপি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে হবে। তারা আপনাকে \”সার্টিফিকেট অফ এনরোলমেন্ট\” (CoE) প্রদান করবে, যা সাধারণত আপনার কোর্স শুরু হওয়ার এক মাস আগে পাওয়া যায়।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলে স্টুডেন্ট ভিসায় জাপান যাওয়ার উপায় শেয়ার করা হয়েছে। যারা আমাদের দেশ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য জাপান যেতে চান, তাদের জন্য এই লেখাটি অনেক হেল্পফুল হবে। আর আপনি যদি জাপান স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে আরো কোনো তথ্য জানতে চান তাহলে নিচে কমেন্ট করবেন। আর এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।