আপনি জানেন কি? কম্পিউটার, টিভি এবং মোবাইল স্ক্রিন থেকে ব্লু লাইট বের হয়ে এসে আপনার চোখের নানা সমস্য সৃষ্টি করছে।
এই সমস্যা থেকে চোখ ভালো রাখার উপায় জরুরী নয়? কারণ এই নীল আলো আপনার চোখের রেটিনার প্রচুর ক্ষতি করে।
এ ধরনের চোখের ক্ষতি থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ব্লু কাট লেন্স এর চশমা। নাম টি নতুন লাগছে?
আপনি হয়তো ডাক্তারের কাছে গেলে আগে বলত এন্টি রিফ্লেকশন চশমা ব্যাবহার করেন। কিন্ত এন্টি রিফ্লেকশন এখন
একটি পুরাতন টার্ম। এরই নতুন ভার্সন হল ব্লু কাট লেন্স যে বিশ্ব ব্যাপি ব্যাপক সমাদৃত। বিশেষ করে যারা
অনেক বেশি সময় ধরে কম্পিউটার, মোবাইল কিংবা টিভি দেখেন তাদের জন্য এটি ব্যবহার করা খুবই দরকার।
এবার আসুন জেনে নেই এই নীল আলো প্রতিরোধক গ্লাসটি কি কি উপকার করে।
ব্লু কাট লেন্সের যত উপকার
এর বৈশিষ্ট্য হল এটি ডিজিটাল ডিভাইসগুলিতে কাজ করার সময় চোখের সমস্যাগুলির ঝুঁকি হ্রাসে সাহায্য করে।
বেশি সময় ধরে কম্পিউটারে কাজ করলে চোখের উপর যে প্রেসার পড়ে তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
অনেক সময় বেশিক্ষণ এ্যনরয়েড ফোন দেখলেও চোখ খচ খচ করে; এ থেকে পরিক্রাণ পাওয়ার উপায় হল এ লেন্স।
ডান চোখ লাফালে কিংবা বা চোখ লাফালে ব্লু কাট লেন্স বেশ উপকার দেয়।
ছোট বড় সকলের জন্য এ লেন্সটি ব্যবহার করা যায়। শিশুদের চোখের এলার্জি থাকলেও এটি ব্যাবহার করা যায়।
এক কথায় এই লেন্সটি কে আপনার চোখ ভালো রাখার উপায় হিসেবে নিতে পারেন।
অথচ এ লেন্সের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। শিশু থেকে বৃদ্ধ পযন্ত পড়তে পারে।
আপরি যদি অনেক সময় ধরে টিভি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, নোটবুক বা এন্ড্রয়েড ফোন ব্যবহার করেন? তাহলে আপনার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই লেন্সটি।
সাধারণত চশমার দোকানে যে সকল Anti-Reflection লেন্স পাওয়া যায়, তা থেকে Blue light Lens লেন্সটি অনেক বেশি কার্যকর।
দৃষ্টি নন্দন এই লেন্সটি যেমন আপনাকে দিবে বাড়তি সুরক্ষা,
তেমনি বাড়িয়ে তুলবে আপনার ব্যাক্তিত্বকেও।
শিশুদের জন্য চোখ ভালো রাখার উপায়
আজকাল শিশুরা যে পরিমাণে নানা ধরনের ডিজিটাল ডিভাইজ ব্যবহার করে থাকে, তাই তাদের এধরনের লেন্স খুবই উপযোগি।
কারণ শিশুরা স্কুল ও কলেজের ক্লাস, প্রাইভেট টিউশন ডিজিটার ডিভাইস ব্যবহার করে করছে তাই শিশুদের চোখের জন্য এটি জরুরী।
এ ছাড়া মোবাইল, কম্পিউটারে গেম খেলা, ইউটিউব দেখা ইত্যাদি তো আছেই। এক কথায়, ছোটদের স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের
স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার সময় নীল ক্ষতিকর আলো ঠেকাতে এ লেন্স এর জুরী নেই।
ব্লু-কাট লেন্সের ব্যবহার
যাঁরা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ করেন তাঁরা আগে থেকেই ব্লু-কাট লেন্সের ব্যবহার করতেন। তবে, এখন এই ধরনের চশমার বিক্রি আগের
তুলনায় তিনগুণ বেড়েছে।অন্যদিকে সানগ্লাসের বিক্রি কমেছে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া ব্লু কাট লেন্স কি ব্যবহার করা উচিত ?
বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এতে ক্ষতির কিছু নেই। তবে দামি লেন্স ব্যবহার করলে ভালো হয়।
তিনি বলেন, \’ব্লু-ব্লকার হিসাবে যেগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি তুলনামূলক একটু ভালো।
তবে, পরীক্ষা করে দেখা গেছে মনিটর, বিশেষত এলসিডি মনিটর থেকে বিটা বা আল্ট্রা রেডিয়েশন হয় না।
সে ক্ষেত্রে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করলে চোখে নিয়মিত আই ড্রপ দেওয়াই ভালো। কম্পিউটারের সামনে একটানা বসে না থেকে
আধঘণ্টা কাজের পর একটু ঘুরে আসা, চেয়ারে বসেই চোখের কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে।
লেন্স ও চশমার ফ্রেম কোথায় পাবেন?
সারাদেশের চশমান দোকান গুলোতে গেলেই ব্লু-কাট লেন্স পাবেন। তবে সেটা কতটা কাজের হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বলা যায় না।
তবে আপনি যদি অনলাইনে চশমার বিখ্যাত মার্কেট ঢাকার পাটুয়াটুলির দোকন থেকে ভিডিও কলে দেখে নিতে চান সেটা কিন্তু বেশ ভালে হবে।
আপনার পছন্দ অনুযায়ী চশমার ছবি Whats App এর মাধ্যমে দেখতে নিচের দেওয়া হোয়ার্টএ্যাপে ক্লিক করে জানালে
আপনাকে নতুন মডেল যেগুলো বর্তমানে চলে তার ছবি ও প্রয়োজনে ভিডিও পাঠানো হবে। সেখান থেকে বেছে নিয়ে বিকাশে পেমেন্ট করলেই
আপনার কাঙ্খিত ব্লুকাট পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে বলা যায় আপনি যদি দিনে ৩ বা ৪ ঘন্টা ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করেন তবে আপনার একটি ব্লু কাট চশমা অবশ্যই দরকার।
এতে করে আপনার চোখ ক্ষতিকর নিল আলো থেকে বেচে যাবে। চোখ চুলকানো, খচখচ করা ইত্যাদি থেকে বেচে যাবেন।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।