Shebaru

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা সকল প্রসেসিং ও নিয়ম ২০২৪

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা হল একটি অফিসিয়াল ডকুমেন্ট যা বিদেশী নাগরিকদের অবসর ও পর্যটনের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেয়। এই ভিসার মেয়াদ তিন মাস, যা একটি অস্থায়ী ভিসা হিসেবে পরিচিত। এন্ট্রি চেকপয়েন্টে ইমিগ্রেশন অফিসার দর্শনার্থীদের একটি পাস প্রদান করবেন, যা আপনার পাসপোর্টে একটি অনুমোদন হিসেবে থাকবে।

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজনীয়তা

Table of Contents

মূলত দেশে থাকা সময় আপনার কাগজ পাতি অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সকল ধরনের ক্লিয়ারেন্স এবং পাসপোর্ট করতে এক ধরনের খরচ হয়ে থাকে সেগুলো এই ভিসার অন্তর্গত হবে না। যদিও ভিসা রিলেটেড তবে ভিসা প্রসেসিং খরচের ক্ষেত্রে এই খরচ গুলো ধরা হবে না। আপনি যদি সার্বক্ষণিক খরচ অর্থাৎ মালয়েশিয়ায় যেতে কত টাকা লাগে সেটি জানতে চান তার মধ্যে এই খরচ গুলো পড়তে পারে।

মালয়েশিয়া ভিসা পেতে আপনার যে নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট গুলোর প্রয়োজন হবে তা নিম্নে দেওয়া হলো:

  1. পাসপোর্টের: নূন্যতম ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে।
  2. ব্যাংক ব্যালেন্স: নূন্যতম ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা (জন প্রতি) সহ বিগত ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট।
  3. ব্যবসায়ীদের জন্য: ট্রেড লাইসেন্স ইংরেজীতে অনুবাদ সহ নোটারী কপি, কোম্পানির প্যাড ও ভিজিটিং কার্ড ইংরেজিতে।
  4. চাকুরীজীবীদের জন্য: অফিস থেকে এনওসি লেটার, ভিজিটিং কার্ড।
  5. ছবি: সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড, (৩৫*৫৪ সেমি)।

ভিসা প্রসেসিং খরচ

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে মাত্র ৫ হাজার ৮০০ টাকা লাগবে আপনার |সাথে আপনার বিমান আপ ডাউন টিকিট ক্রয় করা থাকলে আপনি খুব সহজেই তিন মাস মালয়েশিয়া টুরিস্ট হিসেবে থাকতে পারবেন। তবে, এই খরচ যেকোনো সময় পরিবর্তন হতে পারে।

ভিসা প্রসেসিং সময়

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং সময় সাধারণত ১০ দিন। তবে, এটি নির্ভর করে আপনার ডকুমেন্টস এর সঠিকতা এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরের উপর।

ভিসা প্রসেসিং এর ধাপ:

  1. ডকুমেন্ট প্রস্তুত: প্রথমে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত করুন।
  2. অনলাইন আবেদন: মালয়েশিয়া ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করুন।
  3. ফি প্রদান: ভিসা ফি প্রদান করুন।
  4. ডকুমেন্ট জমা: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অনলাইনে জমা দিন।
  5. ভিসা প্রাপ্তি: ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হলে আপনার পাসপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্প করা হবে।

ভিসা প্রসেসিং খরচের বিবরণ

ভিসা প্রসেসিং খরচের বিবরণ

মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং খরচের মধ্যে রয়েছে:

  • ভিসা ফি: ৫ হাজার ৮০০ টাকা।
  • বিমান টিকিট: আপ ডাউন টিকিটের খরচ।
  • অন্যান্য খরচ: ভিসা প্রসেসিং এর সময় অন্যান্য খরচ হতে পারে, যেমন ডকুমেন্টস ট্রান্সলেশন, নোটারী ফি ইত্যাদি।

 

ভিসা প্রসেসিং এর সুবিধা

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর সুবিধা হল:

  • সহজ প্রক্রিয়া: অনলাইনে আবেদন করা যায়।
  • কম খরচ: বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া  ভিসার জন্য কম খরচে আবেদন করা যায়।
  • দ্রুত প্রসেসিং: সাধারণত ১০ দিনের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়।

ভিসা প্রসেসিং এর জন্য টিপস

  1. ডকুমেন্ট সঠিকভাবে প্রস্তুত করুন: আপনার ডকুমেন্টস সঠিকভাবে প্রস্তুত করুন এবং সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা তা যাচাই করুন।
  2. অনলাইনে আবেদন করুন: অনলাইনে আবেদন করা সহজ এবং দ্রুত।
  3. ফি প্রদান করুন: ভিসা ফি সঠিকভাবে প্রদান করুন।
  4. ডকুমেন্ট জমা দিন: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট অনলাইনে জমা দিন।
  5. ভিসা প্রাপ্তি: ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হলে আপনার পাসপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্প করা হবে।

মালয়েশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন স্থান

মালয়েশিয়ায় অনেক জনপ্রিয় পর্যটন স্থান রয়েছে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য হল:

  1. কুয়ালালামপুর: মালয়েশিয়া রাজধানী এবং প্রধান শহর।
  2. ল্যাংকাউই: একটি সুন্দর দ্বীপ যা পর্যটকদের জন্য খুবই জনপ্রিয়।
  3. পেনাং: একটি ঐতিহাসিক শহর যা তার খাবারের জন্য বিখ্যাত।
  4. ক্যামেরন হাইল্যান্ডস: একটি পাহাড়ি এলাকা যা তার চা বাগানের জন্য পরিচিত।

অতিরিক্ত সুযোগ

আপনার মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আরো কিছু সুযোগ সুবিধা নিম্নে দেওয়া হলো:

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা
  1. মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা: আপনি মালয়েশিয়া থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করে আবার মালয়েশিয়ায় ফিরে আসতে পারবেন।
  2. অনলাইন ট্র্যাকিং: আপনার ভিসা আবেদন অনলাইনে ট্র্যাক করতে পারবেন।
  3. এক্সপ্রেস প্রসেসিং: আপনি যদি আপনার ভিসার দ্রুত প্রসেসিং করতে চান তাহলে আপনি অতিরিক্ত ফি প্রদানের মাধ্যমে আপনার ভিসা প্রসেসিং দ্রুত করতে পারেন |
  4. ভিসা এক্সটেনশন: মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ।
  5. ফ্যামিলি ভিসা: পরিবারের সদস্যদের জন্য একসাথে ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
  6. ভিসা কনসালটেশন: ভিসা প্রসেসিং এর জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারবেন।
  7. অনলাইন পেমেন্ট: ভিসা ফি অনলাইনে প্রদান করতে পারবেন।
  8. ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন: আপনার ডকুমেন্ট অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন।
  9. ভিসা রিনিউয়াল: মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে ভিসা নবায়ন করতে পারবেন।
  10. ট্রাভেল ইন্সুরেন্স: ভিসা প্রসেসিং এর সাথে ট্রাভেল ইন্সুরেন্স সুবিধা।

গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নাবলী সাধারণত সবাই জিজ্ঞাসা করে থাকে (FAQ)

1.মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ট্রেড লাইসেন্স (ব্যবসায়ীদের জন্য), এনওসি লেটার (চাকরিজীবীদের জন্য), ছবি ইত্যাদি।

2.ভিসা প্রসেসিং সময় কতদিন?

সাধারণত ১০ দিন, তবে এটি নির্ভর করে ডকুমেন্ট এর সঠিকতা এবং অন্যান্য ফ্যাক্টরের উপর।

3.ভিসা ফি কত?

বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য ৫ হাজার ৮০০ টাকা।

4.ভিসা প্রসেসিং এর ধাপগুলো কি কি?

ডকুমেন্ট প্রস্তুত, অনলাইন আবেদন, ফি প্রদান, ডকুমেন্ট জমা, ভিসা প্রাপ্তি।

5.ভিসা এক্সটেনশন করা যাবে কি?

হ্যাঁ, মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ আছে।

6.অনলাইন আবেদন করা যাবে কি?

হ্যাঁ, মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়।

7.ভিসা রিনিউয়াল করা যাবে কি?

হ্যাঁ, মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে ভিসা নবায়ন করা যাবে।

8.ভিসা প্রসেসিং এর জন্য কি কি খরচ হতে পারে?

ভিসা ফি, বিমান টিকিট, ডকুমেন্টস ট্রান্সলেশন, নোটারি ফি ইত্যাদি।

9.ভিসা আবেদন অনলাইনে ট্র্যাক করা যাবে কি?

হ্যাঁ, আপনার ভিসা আবেদন অনলাইনে ট্র্যাক করতে পারবেন।

10.ভিসা প্রসেসিং এর জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া যাবে কি?

হ্যাঁ, আপনার ভিসা আবেদন অনলাইনে ট্র্যাক করতে পারবেন।

এখানে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কিত shebaru.com  কমিউনিটি  থেকে  আরো 10 টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর বাংলায় দেওয়া হলো:

আপনার দরকারি আরো কিছু প্রশ্ন :

Q1:মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কী?

 মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা হল একটি অফিসিয়াল ডকুমেন্ট যা বিদেশী নাগরিকদের অবসর ও পর্যটনের উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেয়।

Q2:মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ কতদিন?

 সাধারণত, মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ তিন মাস।

Q3:মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কি কী ডকুমেন্টস প্রয়োজন?

 পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, নাগরিকত্ব সনদপত্র, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট, স্পনসরশিপ ডকুমেন্টস, জন্ম নিবন্ধন পত্র, এবং পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।

Q4:মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কত টাকা খরচ হয়?

 ভিসা ফি সাধারণত ২০ থেকে ৫০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে, তবে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।

Q5:মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কোথায় আবেদন করতে হয়?

আপনি অনলাইনে বা মালয়েশিয়া দূতাবাসে আবেদন করতে পারেন।

Q6:মালয়েশিয়া ভিসার জন্য কতদিন সময় লাগে?

সাধারণত ৫ থেকে ৭ কার্যদিবস সময় লাগে।

Q7:মালয়েশিয়া ভিসার জন্য কোন কোন ভ্যাকসিন প্রয়োজন?

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ডোজ সম্পন্ন থাকতে হবে।

Q8:মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কোন কোন ফর্ম পূরণ করতে হয়?

 অনলাইন ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে হয়।

Q9:মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কোন কোন ছবি প্রয়োজন?

সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।

Q10:মালয়েশিয়া ভিসার জন্য কোন কোন সার্টিফিকেট প্রয়োজন?

 পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট এবং নাগরিকত্ব সনদপত্র।

আশা করি এই তথ্যগুলো দ্বারা আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং  আপনার জন্য এই তথ্যগুলো জানা অনেক প্রয়োজনীয়. যদি আরো কিছু জানার থাকে বা জানতে চান তাহলে নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের কমিউনিটিতে বা আমাদের অফিসিয়াল পেজে shebaro.comযোগাযোগ করুন |

উপসংহার

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস এবং প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া  ভিসার জন্য আবেদন করতে মাত্র ৫ হাজার ৮০০ টাকা লাগে এবং সাধারণত ১০ দিনের মধ্যে ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়। তাই দেরী না করে ঘরে বসেই আমাদের এক্সপার্ট ভিসা অ্যাসিস্ট্যান্স টিমের সাহায্যে শুরু করুন মালয়েশিয়া ভিসা প্রসেসিং।

বিস্তারিত জানতে: কল করুন: 01711-981051 (সকাল ০৯:০০ টা – রাত ১০:০০ টা) সেবারু, ২/৪, তৃতীয় তলা, লালমাটিয়া, ঢাকা, বাংলাদেশ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top