শিশুর বয়স যখন চার ছুঁই ছুঁই তখনই মা-বাবার মাথায় চিন্তা আসে বাচ্চাকে একটি ভালো স্কুলে দিতে হবে।
কর্মজীবী বাবা-মার ক্ষেত্রে এই চিন্তাটা আরও প্রকট আকার ধারণ করে । কোথায় একটা সুষ্ঠু -সুন্দর পরিবেশের
প্রি স্কুল পাওয়া যাবে এ চিন্তাই যেন মাথায় ঘুরে সারাক্ষণ। এমন একটি পরিবেশ চাই যেখানে বাচ্চাটি খেলার ছলে শিখবে অনেক কিছু।
খেলতে খেলতে শিখে যাবে নানা রকম ছড়া, গান, গণনা সহ হরেকরকম মজার মজার গল্প যেগুলো শিশুর মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে।
আমাদের উদ্দেশ্য
সাধারণত প্রি-স্কুল গুলোর আসল উদ্দেশ্য থাকে শিশুদের স্কুলের উপযোগী করে গড়ে তোলা। তাদের স্কুলের অভ্যাস গড়ে তোলা তার সাথে সাথে প্রাথমিক বা শিক্ষার ভিত্তি স্থাপন করা। পরিবার থেকে বাহিরে এসে একটা সামাজিক পরিবেশে মিশে সামাজিক গুণাবলি গুলো অর্জন করা।
কেন আপনার বাচ্চাকে ভর্তি করাবেন?
অফিসের সময়টুকু বাচ্চাকে যেমন সাথে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না তেমনি ফাঁকা বাসায় শিশুকে রেখে যাও ঝুঁকির কারণ হয়ে যায়। অনেকে বাসার গৃহকর্মীর কাছে তার সন্তানকে রাখতে চান না। এটি নিরাপদ ও না । বিগত অনেক সময় আমরা এমন অনেক খবর দেখেছি ‘মালিকের সন্তানের অপর গৃহকর্মীর অত্যাচার’ এমন খবর গুলো বাবা-মাকে সন্তানকে নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেই এইটাই স্বাভাবিক। তাই শিশুদের জন্য নির্ধারিত এই ডে-কেয়ার গুলো । যেখানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর বা বিকাল পর্যন্ত শিশুরা থাকে এবং তাদের দেখাশোনার পাশাপাশি কিছু খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুর শিক্ষণ-শিখন পরিচালনা করা হয়।
আপনার সন্তান কি শিখবে?
প্রি-স্কুলের শিশুদের জন্য যেই সকল কারিকুলাম নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে বলা হয় ‘বিদ্যালয়ে প্রবেশের পূর্বে শিশুদের বিদ্যালয়ের প্রতি আগ্রহ তেরি করা প্রি-স্কুল গুলোর প্রধান উদ্দেশ্য’ শিশুর পরিবারের বাহিরে এসে সামাজিকীকরণ একটি অন্যতম মাধ্যমই হল স্কুল। এখানে শিশুরা আসবে তার সমবয়সীদের সাথে মিশবে খেলবে যার মাধ্যমে তাদের মাঝে সহমর্মিতা ও সহযোগিতার মতো সামাজিক গুণাবলি গুলো বিকাশ লাভ করবে। এর পাশাপাশি প্রাথমিক যেই শিক্ষা অর্জন করা প্রয়োজন বর্ণমালার পরিচিতি, গণনা করতে পারা। এমন ‘খেলতে খেলতে শিক্ষা’ মূলমন্ত্র গড়ে তোলা।
আমরা কি শেখাব না!
কিন্তু বর্তমানে এই প্রি-স্কুল গুলো কি করছে! বাচ্চা স্কুলে ভর্তি হয়েছে মানে তাকে ৩থেকে ৪টা বই পড়াতে হবে, স্বল্প সময়ের মাঝে বর্ণমালা লিখতে পড়তে জানতে হবে। ১ থেকে ৫০ পর্যন্ত বানান করেও লিখতে জানতে হবে এমন বাচ্চার বয়স উপযোগী নয় সেগুলো ও ছোট বাচ্চাদের অপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর অভিভাবক মেতে উঠছেন প্রতিযোগিতায়। কার সন্তান কত তাড়াতাড়ি এইসব আয়ত্ত করতে পারছে।
কেন শেখাব না?
শিশুর মানসিক বিকাশ ও সামাজিকীকরণে যেখানে অভিভাবক ও স্কুল গুলোর ভূমিকা অন্যতম সেখানে যদি তাদের জন্য কিছু সেশন তৈরি করা হয় যেখানে শিশুদের শিখন-শিক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে তারা সচেতন হবেন । এর পাশাপাশি শিশুর শারীরিক যত্নের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি কিভাবে যত্নশীল হওয়া যায়। সেই বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। যেই সেশনটি শিশুকে একজন মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে দিকনির্দেশনা দিয়ে যেমন সাহায্য করবে তেমনি আমাদের শিশুরা শুধু নম্বরের পিছনে দৌড়ানো প্রতিযোগিতায় মেতে উঠবে না। পাশাপাশি আমাদের প্রি-স্কুল বা ডে কেয়ার গুলোকে শিক্ষার্থী বান্ধব করে গড়ে তোলাও আবশ্যক। এতে করে শিশুদের শৈশব হবে আরও রঙ্গিন আরও সুন্দর আনন্দময়।
আমরা আরও পড়াই
১ম শ্রেণী থেকে ৭ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়াই।
স্থান: ঘাটারচর কেরানিগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
সাবজেক্টসমূহ: বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান। Contact here