এমবিবিএস কোর্সের সময়:
MBBS কোর্সটি ৫ বছর ব্যাপী একটি কোর্স। এরপর এক (১) বছর ইন্টার্নশিপ রয়েছে। তবে ইন্টার্নী করার সময় ডাক্তারগণ সরারি নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাতা পেয়ে থাকেন।
MBBS এ যা পড়ানো হয় :
এর পূর্ণরূপ হল- Bachelor in Medicine & Bachelor is Surgery (MBBS) । ৫ বছর ব্যাপী MBBS কোর্সটিতে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিষ্ট্রি, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি ফরেনসিক মেডিসিন, কম্যুনিটি মেডিসিন, ফার্মাকোলজি, মেডিসিন, সার্জারী ও গাইনকোলজি ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়।
চাকুরীর বাজারে MBBS এর চাহিদা:
MBBS এর বিষয় রেটিং:
চাহিদার দিক থেকে MBBS শীর্ষে অবস্থান করছে। প্রতিবছর মেডিকেল কলেজগুলোতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি মেধাবী শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়। শুধু দেশেই নয় বিদেশেও এমবিবিএস পড়ার চাহিদা বেশি। যেমন, তুরস্কে এমবিবিএস, জার্মানিতে এমবিবিএস, ভারতে এমবিবিএস পড়া যায়। তবে বিদেশে ডাক্তারি করার জন্য বিদেশী কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড় ভালো। কারণ অনেক দেশ বাংলাদেশের এমবিবিএস ডিগ্রি গ্রহণ করে না।
আরও পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা…
এমবিবিএস ভর্তির জন্য স্কলারশীপ সমূহ:
মেডিকেল শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে এ সংক্রান্ত বৃত্তির সংখ্যা নগন্য।
দেশে :
(ক) ডাচ বাংলা ব্যাংক বৃত্তি,
(খ) ইমদাদ সিতারা বৃত্তি,
(গ) ফেয়ার এন্ড লাভলি বৃত্তি (শুধুমাত্র মেয়েদের)।
বিদেশে :
(ক) মনোবুশো বৃত্তি (পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর জন্য),
(খ) কমনওয়েলথ বৃত্তি (পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর জন্য),
(গ) বৃটিশ কাউন্সিল বৃত্তি (পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর জন্য)।
কোথায় পড়ানো হয়:
আমাদের দেশে বতৃমানে ১৪ টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এর সবগুলোতেই MBBS কোর্স চালু রয়েছে। এচাড়া বেসরকারি পর্যায়ে অনেকগুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এছাড়া সরকারি পর্যায়ে অনেকগুলো মেডিকেল কলেজ রয়েছে। সরকারি পর্যায়ে আসন সংখ্যা ২০৬০টি। ছাত্রদের পছন্দ ও মেধাস্থান অনুযায়ী কে কোন মেডিকেলে চান্স পাবে তা নির্ধারিত হয়।
আরো পড়ুন- প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তথ্য ২০২১…
ভারতে মেডিকেলে উচ্চশিক্ষা
ভারতে এমবিবিএস ভর্তি বা মেডিকেল রিলেটেড পড়াশোনা বেশ উন্নত। অনেকগুলো আন্তর্জাতিক পরীক্ষার প্রথম কয়েকটি অংশ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও দেওয়া যায়। যেমন MRCP , MRCS এর প্রথম দুটি অংশই কলকাতা থেকে দেওয়া যায়। এছাড়া PLAB -এর প্রথম অংশ বাংলাদেশে, দ্বিতীয় অংশ কলকাতায় দেওয়া যায়। এই সকল ইন্টারন্যাশনাল ডিগ্রি নেওয়ার সুবিধা হল এই যে, এই ডিগ্রি নেবার পর ডাক্তারগণ বিশ্বের যেকোন দেশে ডাক্তারি করতে পারবেন। এমবিবিএস ও ইন্টার্নী করার পর ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোতে বিদেশে স্কলারশীপ খুবই নগণ্য। তবে কয়েক বছর ট্রেইনিং থাকলে পৃথিবীর ভিন্ন বড় বড় হাসপাতালে অব সারডারশীপ ও পরবর্তীতে ফেলোশীপ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু নন-ক্লিনিক্যাল বিষয় বা গবেষণার জন্য খুব সহজেই স্কলারশীপ পাওয়া যায় এবং এক্ষেত্রে গবেষকের জন্য খুব লোভনীয় চাকরির সুযোগ রয়েছে।
কিরগিজস্থানে এমবিবিএস ভর্তি
কম খরচে কিরগিজস্থানে MBBS পড়ার সুযোগ দিচ্ছে কিরগিজস্থান। একজন মেডিকেল স্টুডেন্ট জন্য চায়না, রাশিয়া, ইউক্রেন, কিরগিজস্থান, উজবেকিস্থান,
ইন্ডিয়া, ইউরোপ এ পড়াশোনার সুযোগ আছে। তবে আমার মতে কম খরচে ভালো মানের এমবিবিএস ডিগ্রী নিতে চাইলে কিরগিজস্থান খুব ভালো।
কেন কিরগিজস্থান এমবিবিএস এর জন্য ভালো? জানতে নিচের পুরো ভিডিওটি ভালো করে দেখুন প্লিজ।
এমবিবিএস পাশের পর চাকুরির সুবিধা:
এমবিবিএস ভর্তি নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডাক্তারগণের জন্য চাকুরির সুবিধা আছে। এছাড়া ডাক্তারগণ ইচ্ছা করলে বিসিএস-এর মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে সরকারি ক্যাডারভুক্ত হয়ে চাকুরি করতে পারেন। দেশের পাশাপাশি বিদেশেও তারা পয্যাপ্ত চাকুরির সুবিধা পাবেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান-জাতিসংঘ, WHO, CARE ইত্যাদিসহ অন্যান্য মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ডাক্তারগণের জন্য চাকুরির ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ থেকে পাশ করা বহু ডাক্তার এখন বিদেশে চাকুরিতে আছেন।
বিদেশে এমবিবিএস MBBS পড়াশোনা:
এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই যেকোন ছাত্র-ছাত্রী ইচ্ছা করলে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায়, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ও এমবিবিএস ভর্তি হতে পারে। বিদেশে ডিগ্রি নেবার ক্ষেত্রে “রয়াল ইউনিভার্সিটি অব ইংল্যান্ড” সবার চেয়ে এগিয়ে। এখান থেকে FRCS অথবা MRCP ডিগ্রি নিতে পারলে বিশ্বব্যাপী এর স্বীকৃতি রয়েছে। এছাড়া এডিনবার্গ, গ্লাসগো ও আমেরিকা, মালয়েশিয়ার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকেও ডিগ্রি নেওয়া যায়। তবে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় এমবিবিএস পড়াশোনার আগ্রহ দিন দিন বেড়ে চলেছে। কারণ এখানে বাংলাদেশীদের জন্য কম খরচে তুলনামূলক সুবিধা বেশি পাওয়া যায়। মাসা ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কিছু মালয়েশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের বিএমডিসি কতৃক এ্যাপ্রুভ।
আর মাশা ইউনিভার্সিটি তে প্রচুর বাংলাদেশী শিক্ষার্থী রয়েছে।
বিএমডিসি নীতিমালা (বিদেশে MBBS)
- যে বছর বা সেশনের বাংলাদেশের মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষায় যে পয়েন্ট লাগে, তাকে SSC+HSC (বিজ্ঞান বিষয়ে) সম পয়েন্ট থাকতে হবে।
- বিএমডিসি অফিস থেকে ফরেইন স্টাডির বৈধ সার্টিফিকেট বা ইল্লিজিবিটি সার্টিফিকেট নিতে হবে।
- যে দেশে পড়তে যাচ্ছেন বা যে মেডিকেল কলেজে পড়তে যাচ্ছেন, সেই মেডিকেল কলেজ বিএমডিসির লিস্টেট বা অনুমোদন আছে কিনা সেটা জেনে নিবেন।
আরও পড়ুন:
মিশর, তুরুষ্ক, উজবেকিস্থান, রাশিয়া সহ পৃথীবির অনেক দেশে তুলনামূলক কম টাকায় এমবিবিএস করার সুযোগ থাকে।