Shebaru

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা লাভের সহজ উপায়। সিঙ্গাপুর ভিসা AtoZ

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা লাভের সহজ উপায়। সিঙ্গাপুর ভিসা AtoZ

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা নিয়ে পাড়ি জমানোর আগে জেনে নিন কাজের ভিসা কি? কত ধরনের ভিসা চালু আছে সিঙ্গাপুরে?
কোন কাজের বেতন কেমন? সিঙ্গাপুর ভিসার জন্য কত টাকা লাগে? এই বিষয়গুলো জেনে বুঝে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে
পারি জমানো উচিৎ। সিঙ্গাপুর ভিসা নিয়ে মাসে ৬০-৭০ হাজার টাকা নিশ্চিত বেতন! এ ধরনের বিজ্ঞাপনের পিছনে ঘুরে সময় নস্ট করবেন না। হা পাবেন, আপনার যদি ঔবেতন পাওয়ার যোগ্যতা থাকে। নিচে সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ও অন্যান্য ভিসা সম্পর্কে আলোচনার
চেষ্টা করিছি।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২১ কারা পাবেন?

১. পেশাজীবি বা প্রফেশনাল ভিসা

এমপ্লয়মেন্ট পাস – যোগ্যতাসম্পন্ন বৈদেশিক প্রফেশনাল, ম্যানেজার এবং এক্সিউটিভ ইত্যাদি। এ ধরনের পেশাজীবীর মাসিক বেতন নুন্যতম ৩৩০০ সিঙ্গাপুরী ডলার। অর্থাৎ তাদের বেতন প্রায় ২ লাখ টাকার উপরে। এছাড়াও রয়েছে এন্ট্রি পাস ভিসা– এটি মুলত যারা সিঙ্গাপুরে নতুন ব্যবসা খুলতে যাচ্ছেন তাদের জন্য। এরপর আছে পারসোনালাইসড এমপ্লয়মেন্ট পাস/ভিসা – উচ্চ বেতনভুক্ত এমপ্লয়মেন্ট পাস ধারনকারী ও বৈদেশিক প্রফেশনাল। যেমন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী ইত্যাদি।

২. দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মীদের জন্য কাজের ভিসা

সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসা: এ ধরনের ভিসার মধ্যমে এন্ট্রি লেভেলের দক্ষ কর্মী যাদের নুন্যতম বেতন ২২০০ (এক লক্ষ্য ৩৮ হাজার প্রায়) সিঙ্গাপুরী ডলার এবং যারা এমওএম এর নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যাতাসম্পন্ন কর্মী।
এছাড়াও রয়েছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা – আধাদক্ষ কর্মী যারা হোটেল, ক্লিনার, কন্সট্রাকশন, মেশিনারী, মেরিন বা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে। তা ছাড়াও গৃহকর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট আছে সিঙ্গাপুরে। সাধারণত সিঙ্গাপুরের বাসাবাড়ীতে কাজের জন্য এ ধরনের ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া হয়। এছাড়াও নার্স, গৃহ তত্ত্বাবধায়ক, গৃহকর্মী, বিদেশী শিল্পীদের বার, হোটেল বা নাইটক্লাবে বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য পারমিটের ব্যবস্থা আছে সিঙ্গাপুরে।

৩. পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য ভিসা

স্থায়ী বাসিন্দা, এমপ্লয়মেন্ট পাস ও এস পাস ভিসা ধারীদের পরিবারের সদস্যদের যেমন, বউ / স্বামী ও ছেলেমেয়ে রা শর্ত পুরণ সাপেক্ষ্যে ডিপেন্ডন্ট ভিসা লাভ করে থাকে। তবে এর জন্য তাদেরকে শর্ত পুরন সাপেক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদের ভ্রমন পাস / লং টার্ম ভিসিট পাস/ভিসা দেওয়া হয়।

৪. স্টুডেন্ট ভিসা/উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসা


বিদেশী ছাত্রছাত্রী ও প্রশিক্ষনার্থীদের জন্য ভিসার ব্যবস্থা আছে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তির যাবতীয় কাগজ-পত্র
দাখিল করতে হবে।

৫. অন্যান্য পাস / ভিসা

অল্প সময়ের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত অর্থাৎ সর্বোচ্চ ৬০ দিন কাজের জন্য বিদেশী নাগরিকদের মিসেলেনিয়াস ওয়ার্ক ভিসা দিয়ে থাকে সিঙ্গাপুর।
সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২১ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য সিঙ্গাপুরের জনশক্তি মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশের জনশক্তি মন্ত্রনালয় এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

সিঙ্গাপুর কাজের ভিসার জন্য কি কি জানতে হবে?

আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করতে যাচ্ছেন সে কোম্পানির ভিসার ধরন, বেসিক রেট, প্রতি বছর ফ্রি রিনেউ করা যাবে কি না?
কোন শর্ত আছে কি না ইত্যাদি। আপনার পরিচিত কোন লোক যদি সিঙ্গাপুর থাকেন, তাহলে তাকে দিয়ে উক্ত কোম্পানিতে ভিজিট করে সব কিছু ঠিক আছে কিনা, তা চেক করতে বলতে পারেন। ভিসা পরবর্তী সময়ে কি কি সেবা পাবেন তা জেনে নেবেন।

সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুর দক্ষ ও অদক্ষ এ দুই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়ে থাকে। যদিও এই মূহুর্তে বন্ধ রয়েছে। সরকারীভাবে প্রশিক্ষণ দিতে সারা দেশে ৬০টি ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন কারিগরি সেন্টার থেকেও প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ আছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এসব পরিচালনা করে থাকে।
মাত্র ২০০ টাকা ফি দিয়ে এখানে ভর্তি হওয়া যায়। তবে বিশ্বাসযোগ্যতা ও জানাশোনার অভাবে প্রায় সবাই দ্বারস্থ হন বেসরকারি ট্রেনিং সেন্টারগুলোতে। সেখানে ওয়েল্ডিং, টাইলস ফিটিংসহ বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং দেওয়া হয়। তবে অনেকে মিথ্যা বেতনের ও সুযোগ সুবিধার
কথা বলে প্রতারিত করছে। এ থেকে সাবধান হতে হবে বিদেশগামীদের।

আরও পড়ুন: বিদেশ যেতে প্রতারণা থেকে বাঁচবেন যেভাবে

সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করার নিয়ম

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রচুর কর্মী সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে চাকুরীর জন্য যাচ্ছেন। এই ওয়ার্ক পারমিটের সত্যতা যাচাই না করার কারণে প্রতারণার হাতে পড়ে অনেকে রন ভঙ্গ দিচ্ছেন। বিভিন্ন এজেন্ট ভূয়া ওয়ার্ক পারমিট প্রদানের মাধ্যমে টাকা পয়সা আত্নস্বাৎ করছে।
তাই সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করার অনলাইন প্রক্রিয়াটি বিস্তারিত আলোচনা করা হল এখানে –

সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করার জন্য এই www.mom.gov.sg ওয়েব সাইটে গিয়ে পর্যায়ক্রমে ক্লিক করুন eServices > Work Permit for Foreign Worker > Work Permit Validity Check via Work Permit (WPOL) > I agree > Enquire
সবশেষে সাবমিট বাটনে ক্লিক করলেই সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করতে পারবেন।
তবে ওয়েবসাইটের নিয়মিত আপডেট হওয়ার কারণে উপরের নিয়ম কাজ নাও করতে পারে। কিন্তু ওয়েবসাইটে গেলেই মেনু বার থেকে
ভিসা চেক করার নিয়ম পেয়ে যাবেন।

ঘুরে আসুন: বিদেশে কাজের ভিসা ২০২১ ও সকল দেশের জব ভিসার খবর

ট্যাগ: সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা, সিঙ্গাপুর কাজের ভিসা ২০২১, সিঙ্গাপুর হোটেল ভিসা, সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসা, সিঙ্গাপুর জব ভিসা,
সিঙ্গাপুর ভিসা কত টাকা, সিঙ্গাপুর ভিসা প্রসেসিং, সিঙ্গাপুর টুরিস্ট ভিসা, সিঙ্গাপুর ক্লিনার ভিসা, সিঙ্গাপুরের ভিসা চেক করার নিয়ম,
বাংলাদেশে সিঙ্গাপুর ভিসা এজেন্টদের লিস্ট, সিঙ্গাপুর এস পাস ভিসা, সিঙ্গাপুর ড্রাইভিং ভিসা, সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার বাংলাদেশ।

বিদেশে হোটেল জব ভিসার প্রচুর চাহিদা!

বিদেশে রন্ধনশিল্পীদের কাজের অপার সম্ভবনা রয়েছে। অর্থাৎ যারা বিভিন্ন হোটেল ও রিসোর্টে খাবার রান্না করে তাদের চাকরির সুযোগ বেশি।এ পেশার লোককে শেফ বলা হয়।
মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে এমন কি মালদ্বীপ, মালয়শিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের মতো উন্নত দেশে একজন প্রফেশনাল শেফের মাসিক বেতন বাংলাদেশী টাকায় কমপক্ষে ষাট থেকে সত্তর হাজার টাকা।
এ পেশার লোকদের ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসা সংক্রান্ত জটিলতাও অনেকাংশে কমে হয়। তবে যারা রন্ধন শিল্পটাকে ভালোবাসে তাদের জন্য এটা খুব ভালো।
এ পেশায় জব ভিসা নিতে চাইলে আগে পুষ্টিকর ভালো ভালো রান্নার রেসিপি জানতে হবে।

বিদেশে ফাইভস্টার হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বার, কফিশপ, ইত্যাদিতে চাকরির জন্য বা ট্রেনিং এর জন্য আমাদের ইউটিউব ও ফেসকুকের সাথেই থাকুন।

আশা করি উপরের তথ্য গুলো আপনার কাজে লাগবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

PLEASE SHARE THIS

আমাদেরকে আনুসরন করুন

SOCIAl MEDIA

নিউজলেটার

আমাদের বিভিন্ন প্যাকেজ আপডেট, অফার কিংবা নিউজ আপনার ইমেইলে সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

Scroll to Top