Shebaru

কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে?

কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যাব

কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে?

ভালো চাকরির কথা চিন্তা করলেই আসে কোন বিভাগে ভর্তি হব? যেমন ধরা যাক একজন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য
কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে? এবং বিভাগ রিভিউ সম্পর্কে একটা ভালো ধারণা থাকা দরকার।
সেই সাথে একটি কথা মনে রাখতে হবে শুধু ভালো বিষয় নিয়ে পড়লেই হবে না। ভালো রেজাল্টও করা চাই। অন্যথায় ভালো চাকরি পা্ওয়া যাবে না।
শিক্ষার্থীর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির বিষয় বা বিভাগ নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্নের সমাধান পাবেন এই লেখাটিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রচলিত বিভাগ

বর্তমানে বাংলাদেশ ও বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয় সমূহ যেমন- বিজ্ঞান, মানবিক, সমাজ বিজ্ঞান, বিবিএ, কম্পিউটার সায়েন্স, আইন, ইংরেজি সাহিত্য, ফার্মেসি ইত্যাদি।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় সকল সাবজেক্ট পড়ানো হয়, কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো এ ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রম।
ভালো চাকরি পাওয়ার জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলেছে সম্পূর্ণ বাজারমুখি সাবজেক্ট।
যেমন-বিবিএ, কম্পিউটার সায়েন্স, আইন, ইংরেজি সাহিত্য, ফার্মেসি, ইলেকট্রিক্যাল-ইলেক্ট্রনিক্স, টেলিকমিউনিকেশন, এমবিএ ইত্যাদি।
এসব বিষয় থেকে পাশ করার পর সহজে একজন ছাত্র বা ছাত্রী চাকুরি বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়।

পড়াশোনার বিষয় নির্ধারনের মাপকাঠি

সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিষয় নির্ধারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের নিরন্তর ধেয়ে চলার ধারায়-এ মূল্যের উত্থান ও পতন হয়ে থাকে। এক সময় যে বিষয়টি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে সময়ের ব্যবধানে যুগের চাহিদায় সেটিই হয়তোবা নেমে যায় পছন্দ তালিকার একেবারে নিচে। বর্তমান সময়ে কোন বিষয়ের চাহিদা কেমন, ভালো চাকরি ও দেশ সেবার বিস্তৃতি কতদূর, ভবিষ্যত কেমন হতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে মোটামুটি একটি প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন- মালয়েশিয়ায় স্কলারশিপ ও ভর্তি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য

কোন বিষয় নিয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে? এর সমাধানে পড়ুন

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং
(বিস্তারিত জানতে বিষয় গুলোর উপর ক্লিক করুন)

বর্তমানে বাংলাদেশ ও বিদেশে উচ্চশিক্ষা লাভ করতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ হল কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং।
এ বিষয়ে পড়াশোনা করলে গুগল, মাইক্রসফট, আ্যাপেলসহ ভালো ভালো কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরির সুযোগ আছে।
সবচেয়ে বড় কথা কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রি নিয়ে মোটামুটি কাজ জানলেও কেউ বেকার থাকে না।

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং

নেশা যার সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানো, তার জন্য পারফেক্ট বিষয় হল মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং । সেই সাথে পাওয়া যাবে মোটা অঙ্কের বেতন তো থাকছেই।
সুতারং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ের চাকরিকে ভালো না বলে পাড়া যায় না।

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

কেউ যদি দেশেই ভালো বেতনের চাকরি আশা করে তার জন্য মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়টি খুবই ভালো হবে।কারণ দেশেই প্রচুর গার্মেন্ট রয়েছে
যে গুলো আন্তর্জাতিক মানের বেতন দিয়ে থাকে। আর বাংলাদেশে এ শিল্পের আর বিকাশ লাভ করবে। এছাড়াও চাইলে বিদেশে চাকরি করা যায়।
আর সে কারণেই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনার চাহিদা বেড়েই চলেছে।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

পৃথিবীতে মানুষ বাড়ছে। সেই সাথে বেড়ে চলেছে কল কারখানা। এত মানুষের বসবাসের জন্য আবাসিক স্থাপনাও তৈরি হচ্ছে দুর্বার গতিতে।
আর এ সকল কিছুর সাথে সম্পর্ক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ছাড়া একটি ইমারত কল্পনা করা যায় না।
সুতরা সহজেই বলা যায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং একটি বর্তমান ও ভবিষ্যতের ভালো চাকরি পাওয়ার বিষয়।

ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং

উপরে সিভিল ইঞ্জিনিয়াদের কাজের যে পরিধি উল্লেখ করা হল তার প্রত্যেকটির সাথেই জড়িত ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ।
তবে এর ব্যবহার বড় বড় কল কারখানাতেই বেশি।আর বড় কোম্পানি গুলো চাকরির বেতনও বড়। কারণ বাসা বাড়ি, ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্টানে এ ধরনের কাজ করতে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এ পাশ করা লোক লাগে না।

হেলথ টেকনোলজি

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। এ কথা সবার জানা। তাই অসুখে পড়লে কেউ এর জন্য কম চেষ্টা করে না। নামি দামি হাসপাতাল ও
উন্নত হেলথ টেকনোলজি গ্রহণ করে থাকে। আর তাই হেলথ টেকনোলজি বিষয়ে পড়াশোনা করা উত্তম। দেশে বিদেশে চাকরি
সুযোগও রয়েছে প্রচুর। শুধু ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।

বিবিএ

যারা তুলনামূলক কম পড়াশোনা করে ভালো বেতনের চাকরি নিতে চায় তার জন্য বিবিএ তে পড়া ভালো। দেশে-বিদেশে সবখানে
বিবিএ ডিগ্রিধারীদের চাকরির সুয়োগ অনেক। এটা অনেক টা আলুর মত । আলু যেমন সব খাবাদের চলে তেমনি বিবিএ সব
কোম্পানিতে দরকার হয়।

রসায়ন

বিভাগটি পুরাতন হলেও চাকরি বাজারে বেশ চাহিদা আছে এখনও। বিভিন্ন ঔষধ ও ফুড কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি পাওয়া যায় রসায়নে পড়ে। বিসিএস সহ অন্যান্য পেশার সুযোগ তো থাকছেই।

সমাজ বিজ্ঞান

এই বিষয়ের ছাত্ররা সরকারী পরিক্ষাগুলোতে ভালো করে। কারণ এখানে চাকরির পরীক্ষার জন্য সহায়ক পড়াশোনা করানো হয়।
বিভিন্ন এনজিওতে এ বিষয়ে লোক নিয়ে থাকে। দেশে চাকরি করতে চাইলে সমাজ বিজ্ঞান পড়া বেশ ভালো।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা

শখের বসে পড়তে পারেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা কিন্ত মনে রাখবেন কাজ না জানলে চাকরি নাই। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা মূলত
প্রাটিক্যাল পেশা। ভালো কাজ জানা থাকলে টিভি চ্যানেল, প্রিন্ট পত্রিকা, রেডিও, অনলাইন মাধ্যমে ভালো বেতনে ক্যারিয়ার শুরু করা যায়।

আইন

মুখস্ত বিদ্যা যার ভলো তার জন্য আইন বিষয়ে পড়া ভালো। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাশা পাশি স্বাধীন পেশা হিসেবে আইন ভালো।
আর যদি রাজনিতীবিদ হতে চান তাহলে তো আইন বিষয়ে পড়াশোনার জুড়ি নেই।

ইংরেজি

আগে বেশ চাহিদা ছিল। বর্তমানে ইরেজি বিষয়ের চাহিদা কিছুটা কম। তার পরও কলা বিভাগের মধ্যে এক দুই নম্বরে এর অবস্থান।

এমবিবিএস

অনেকে মস্করা করে মা বাবার বেকার সন্তান (এমবিবিএস) বল্লেও প্রায় সব মা বাবাই চান তার সন্তান এমবিবিএস পড়ুক।
বাংলাদেশে এর চেয়ে বেশি টাকা উপার্জনের পেশে খুবে পাওয়া যায় না। সুতরাং এমবিবিএস এর অবস্থানই মূলত প্রথম।

ডেন্টাল

যদি এমবিবিএস চান্স না পাওয়া যায় তাহলে ডেন্টাল হল তার বিকল্প। কারণ এরও উপাধি ডাক্তার। টাকা উপার্জনের
সুযোগও এমবিবিএস এর চেয়ে কম না। সুতরাং নিঃসন্দেহে ডেন্টাল ভালো চাকরি সোপান। ভালো আয়ের হাতিয়ার।

হোটেল এ্যান্ড টুরিজম ম্যানেজমেন্ট

শখ, আনান্দ আর টাকা এই তিনের সমন্বয় যে বিষয়ে খুজে পাওয়া যায় তার নাম হোটেল এ্যান্ড টুরিজম ম্যানেজমেন্ট ।
ধরুন, কারো যদি কানাডায় চাকরি কিংবা বিদেশে তুরস্কে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভালো বেতনে চাকরি করার ইচ্ছা থাকে।
অথবা পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করার ইচ্ছা থাকে তার জন্য হোটেল এ্যান্ড টুরিজম ম্যানেজমেন্ট এক নম্বর।

কোন বিষয়ে অনার্স করা ভাল, কিভাবে পড়লে চাকরি পাওয়া যাবে, ইতিহাস নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়, আইন নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়, বাংলাদেশের সেরা সাবজেক্ট, রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়লে কি হওয়া যায়

ঘুরে আসুন- বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ তথ্য

এ সকল বিষয়ে বিদেশে পড়তে চান?

এ প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়া স্টাডি সেন্টার লিমিটেড ও ট্রাস্ট গ্লোবাল স্টাডি লিঃ ইউরোপ, আমেরিকাসহ এশিয়ার সকল দেশে প্রায় ১৫ বছর ধরে কাজ করে আসছে। এ প্রতিষ্ঠান ভর্তির পূর্বেই শিক্ষার্থীর যোগ্যতা, অর্থনৈতিক সামর্থ্য, উদ্দেশ্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী সাবজেক্ট ও ইউনিভার্সিটি সিলেক্ট করে দেয়। স্টুডেন্ট ভর্তির পূর্বেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায় ও জীবন যাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পায়। এ প্রতিষ্ঠান দুইটি পড়াশোনা শেষ হওয়া পযর্ন্ত নানা ধরনের সেবা প্রদান করে, এতে করে ভর্তির পর স্টুডেন্টকে ভোগান্তিতে পড়তে হয় না।

PLEASE SHARE THIS

আমাদেরকে আনুসরন করুন

SOCIAl MEDIA

নিউজলেটার

আমাদের বিভিন্ন প্যাকেজ আপডেট, অফার কিংবা নিউজ আপনার ইমেইলে সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

Scroll to Top
× How can we help you?