অনলাইনে ভারতের ট্রেনের সময় সূচি দেখে টিকেট কাটুন আজই

বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ভারতে যান। তারা কেউ চিকিৎসা, কেউবা ঘোরাফেরা কিংবা আত্মীয় বাড়িতে যান। ভারতে এক রাজ্য থেকে এক রাজ্য গমনের জন্য প্রধান ও সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ট্রেন। বলতে গেলে ভারতের পরিবহন ব্যবস্থা ভারতীয় রেলওয়ের উপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন: কেন ভারতের ট্রেন টিকেট প্রয়োজন?

উত্তর: ভারতে যেহেতু এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য হাজার হাজার কিলোমিটার দুরে সেজন্য কম খরচে ট্রেনে ভ্রমন করা যায়। ভারতীয় ট্রেন ভ্রমণ যেমনি নিরাপদ তেমনি আরামদায়ক। ট্রেনের মধ্যে থাকা, খাওয়া ও ঘুমানোর সব আয়োজন।

প্রশ্ন: কেন বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ট্রেনের টিকেট কাটবো?

উত্তর: সাধারণত ভারতে গিয়ে ট্রেনের টিকেট কাটা হতো। কিন্তু আজকাল ৭ দিন আগেও ট্রেনের টিকেট পাওয়া যায়না। তাই যত আগে থেকে টিকেট কাটা যায় ততই ভালো। আর যখন আপনি ভারতে যাওয়ার আগেই টিকেট কাটবেন তখন অবশ্যই বাংলাদেশ থেকে টিকেট কাটতে হবে।

প্রশ্ন: কিভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ট্রেনের টিকেট পাওয়া যায়?

উত্তর: বর্তমানে বাংলাদেশী কিছু অপারেটর ভারতীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বাংলাদেশী যাত্রীদের জন্য ফোন ও ইন্টারনেটে যোগাযোগের মাধ্যমে টিকেট কেটে দেন। আমরা বিনির্মান টেকনোলজি  প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় ট্রেনের টিকেট কাটতে পারি। সাধারণত ভারতের বাইরে থেকে ভারতীয় ট্রেনের টিকেট কাটা যায়না।

প্রশ্ন: একজন এজেন্ট হিসেবে আমি কিভাবে ভারতীয় ট্রেনের টিকেট কাটতে পারবো?

উত্তর: প্রথমত আপনি আমাদের এজেন্ট হবেন এবং আপনাকে একটি এজেন্ট আইডি দেয়া হবে। এটা ব্যবহার করে আপনি আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে বুকিং রিকোয়েস্ট পাঠাবেন। সেখানে যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট নাম্বার লিখে দিন, সময়, ট্রেন ও সিট সিলেক্ট করবেন। তারপর আমরা আপনার টিকেট ফাইনাল করে দিলে আপনার কাছে ও যাত্রীর কাছে এসএমএস ও ই মেইল যাবে। অতপর আপনি টিকেটের মূল্য পরিশোধ করবেন।

প্রশ্ন: যাত্রী হিসেবে কেউ কিভাবে টিকেট কাটবে?

উত্তর: যাত্রী আমাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে বুকিং রিকোয়েস্ট পাঠাবেন। সেখানে যাত্রীর নাম ও পাসপোর্ট নাম্বার লিখে দিন, সময়, ট্রেন ও সিট সিলেক্ট করবে। তারপর আমরা  যাত্রীকে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হয়ে তারপর  টিকেট ফাইনাল করব। যাত্রীর কাছে এসএমএস ও ই মেইল যাবে। ফোনে কথা বলার পরই যাত্রীকে টিকেটের মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

প্রশ্ন: টিকেট কিভাবে যাত্রী বা আমি হাতে পাবো? টিকেট দেখালেই কি ট্রেনে উঠতে দিবে?

উত্তর: টিকেট ই-মেইলের মাধ্যমে দেয়া হবে। সেটা প্রিন্ট করে নিলেই হবে। এটা বাংলাদেশের টিকেটের মতো নয়। তবে এখানে মূল হলো পিএনআর নাম্বার। এই নাম্বার মনে রাখলেই আপনি ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কারণ এই নাম্বারের বিপরীতে তাদের সিস্টেমে আপনার নাম ‍ও পাসপোর্ট নাম্বার রয়েছে।

প্রশ্ন: এজেন্ট হলে কি সুবিধা পাবো?

উত্তর: প্রতিটি টিকেটে এজেন্টদের জন্য কমিশন রয়েছে। আপনি আমাদের কমিশন চার্ট দেখলে বুঝতে পারবেন। বিস্তারিত কমিশন চার্ট। একটি টিকেটে মূল্য অনুসারে ৫০-১০০  টাকা পর্যন্ত লাভ করার সুযোগ রয়েছে।

প্রশ্ন: একজনের টিকেটে কি আরেকজন ভ্রমণ করতে পারবে?

উত্তর: জি না, যেহেতু একজন বিদেশী হিসেবে আপনি ভারতীয় ট্রেনের টিকেট কেটেছেন সেখানে আপনার নাম ও পাসপোর্ট নাম্বার লিখা রয়েছে তাই একজনের টিকেটে আরেকজন ভ্রমণ করতে পারবেন না।

প্রশ্ন: যতজন ভ্রমন করবে সবার তথ্য লাগবে?

উত্তর: জি, সবার নাম, পাসপোর্ট নাম্বার লাগবে।

প্রশ্ন: শিশুদের বেলায় রেলের পলিসি কি?

উত্তর: শিশুদের বেলায় বিমানের মতো ৩টি ক্যটাগরি এখানে নেই। এখানে শিশু যদি সিট প্রয়োজন হয় তাহলে তার নাম ঠিকানা দিয়ে টিকেট করতে হবে। সিট প্রয়োজন না হলে টিকেট লাগবেনা।

প্রশ্ন: কোনো কারণে টিকেট ক্যানসেল করতে হলে কি করতে হবে?

উত্তর: টিকেট ক্যানসেল এর জন্য ভারতীয় রেলওয়ের নিজস্ব পলিসি আছে। তবে আমাদের কাছ থেকে টিকেট ক্যানসেল করতে হলে কমপক্ষে ৭২ ঘন্টা আগে জানাতে হবে। এবং টিকেট ফিস এর ৩০% কেটে রেখে দেয়া হবে।

প্রশ্ন: টিকেটের তথ্য যেমন ট্রেন, সিট তারিখ কিংবা যাত্রীর তথ্য পরিবর্তন করা যাবে কিনা?

উত্তর: ট্রেন, সিট তারিখ পরিবর্তন করা যাবে তবে সেটা অবশ্যই ৭ দিন আগে এবং সিট খালি থাকা সাপেক্ষে। আর যাত্রীর তথ্য যেমন নাম বা পাসপোর্ট নাম্বার পরিবর্তন করা যাবেনা।

প্রশ্ন: বয়স্ক, রোগী কিংবা গর্ভবতী মহিলাদের নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাবে কিনা?

উত্তর: আগেই বলেছি, ভারতীয় ট্রেন ব্যবস্থা নিরাপদ ও আরামদায়ক। তবে এক্সপ্রেস তুলনামুলক ভালো। সেক্ষেত্রে মেইল ট্রেন বাদ দিতে পারেন। তবে উভয় ট্রেনে আপনি চাইলে হুইল চেয়ার ব্যবহার করতে পারবেন। এবং সেটা টিকেট কাটার সময় উল্লেখ করে দিতে হবে।

প্রশ্ন: টিকেট কাটার পদ্ধতি কি? আমি সেটা কিভাবে জানবো?

উত্তর: বিনির্মান টেকনোলজি আপনাদের জন্য একটি সহজ ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরী করেছে সেটা দেখে আপনি টিকেট কাটতে পারবেন।

প্রশ্ন: ভারতীয় রেলওয়ের টিকেট কাটতে গিয়ে বিভিন্ন সাংকেতিক শব্দ রয়েছে। এবং বিভিন্ন ক্লাসের টিকেট রয়েছে। সেগুলো আমরা কিভাবে বুঝবো?

উত্তর: আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা আলাদা একটা ফাইলে এসমস্ত তথ্য আপনাদেরকে সরবরাহ করবো।

প্রশ্ন: যাত্রীও অনলাইন থেকে টিকেট কাটবে এজেন্টও অনলাইন থেকে টিকেট কাটবে। তাহলে পার্থক্য থাকলো কোথায়।

প্রথমত: যাত্রীরা টিকেট কাটতে পারবে। কিন্তু সেজন্য কমিশন পাবে না। আর এজেন্ট কমিশন পাবেন। এজন্য যাত্রীরা কিন্তু এজেন্ট দামেই টিকেট কাটবেন। কম দামে নয়। তাছাড়া যাত্রীদেরকে আগেই পেমেন্ট করতে হবে। আর এজেন্টরা ইচ্চা করলে টিকেট কনফার্ম হওয়ার পর পেমেন্ট দিতে পারবেন।  এছাড়া এজেন্টদের আমরা সব শিখিয়ে দেব যে সুবিধা সাধারণ যাত্রীরা পাবেন না।

প্রশ্ন: টিকেট বিপননের জন্য বিনির্মান থেকে কি ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

উত্তর: প্রথমত আপনি যেকোনো সময় ফোনে সহযোগিতা পাবেন। দ্বিতীয়ত আমরা অনলাইন ও অফলাইনে প্রমোশন চালাবো। তৃতীয়ত কোন এলাকায় কোন এজেন্ট এই তালিকাও আমরা আমাদের সাইটে শেয়ার করবো।

প্রশ্ন: বিনির্মান টেকনোলজি কি ধরনের কোম্পানী? তাদের অফিস কোথায়? তারা কিভাবে ভারতীয় টেন টিকেট সেবাটি দিয়ে থাকে।

উত্তর: বিনির্মাণ একটি বাংলাদেশী টেকনোলজি ও ট্যুর অপারেটর কোম্পানী। একটি ভারতীয় রেলওয়ে এজেন্ট এর সাথে এই কোম্পানীর চুক্তির মাধ্যমে এই সার্ভিসটি প্রোভাইড করা হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *