স্পেনে উচ্চশিক্ষা

স্পেনে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ

নান্দনিক সৌন্দর্য্য, বিচিত্র সংস্কৃতি ও উন্নত অর্থনীতির দেশ স্পেন অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ড্রিম ল্যান্ড। আর হবেই না বা কেন, যেখানে উচ্চশিক্ষার তীর্থভূমি খ্যাত খোদ আমেরিকা থেকে শিক্ষার্থীরা আসে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য। আশা করি, আমদের আর বোঝার বাকি নেই যে স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য কতটা মানসম্পন। অন্যান্য স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থীদের মতো আপনারও যদি স্বপ্ন থাকে স্প্যানিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার, স্পেনে ঠাই পাবার, তবে আজকের এই ভিডিও আপনার জন্য। আজকের ভিডিও তে আমি আপনাদের স্পেনে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি জানাবো। আমার সাথেই থাকুন। 

স্প্যানিশ ডিগ্রীসমূহ ও আবেদনের সময়কাল 

স্প্যানিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর, মাস্টার্স বা পিএইচডি সহ প্রায় সব ধরনের প্রোগ্রামেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে। আর ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি এই তিন ধরনের ডিগ্রীর জন্য স্প্যানিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তিন ধাপে ভর্তি আবেদন গ্রহণ করে। 

ব্যাচেলর প্রোগ্রাম

প্রথম ধাপে বছরের শুরুর দিকে ব্যাচেলর ডিগ্রীতে ভর্তির আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এক্ষেত্রে  এই আবেদন গ্রহণ কার্যক্রম ফেব্রুয়ারী থেকে জুন মাস পর্যন্ত চলমান থাকে। ব্যাচেলর কোর্স সাধারণত ২৪০ ক্রেডিটের হয়ে থাকে এবং ৪ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে বিষয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে এই ক্রেডিট আরো কম বা বেশি হতে পারে।

স্পেনে ব্যাচেলর প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে, আপনি একই সাথে ডাবল ডিগ্রী নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে যেই কোর্সটিতে ভর্তি হয়েছেন, সেই কোর্স এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোর্সে আরেকটি ডিগ্রী নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত আরো ৪০ বা ৫০ ক্রেডিট আপনার পড়া লাগবে। 

মাস্টার্স প্রোগ্রাম 

দ্বিতীয় ধাপে বছরের মাঝামাঝি সময়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। এপ্রিল মাসে এই আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় আর শেষ হয় সেপ্টেম্বর মাসে। মাস্টার্স কোর্স ক্রেডিট ৬০ থেকে ১২০ হয়ে থাকে, আর কোর্সের মেয়াদ সাধারণত ১ থেকে ২ বছর হয়ে থাকে।

স্পেনে মাস্টার্স প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দুই ধরণের কোর্স অফার করে থাকে। এর মধ্যে একটি হলো স্পেনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় দ্বারা অনুমোদিত অফিসিয়াল কোর্স। আর আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক অনুমোদিত নিজস্ব কোর্স। এক্ষেত্রে অফিসিয়াল কোর্সগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় কতৃক অনুমোদিত নিজস্ব কোর্সগুলোর তুলনায় কম ব্যয়বহুল।

পিএইচডি প্রোগ্রাম

পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রতি বছর এপ্রিল মাসের দিকে এবং এই কার্যক্রম শেষ হয় অক্টোবরের দিকে। আর পিএইচডি কোর্সের মেয়াদ ৪ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে।

টিউশন ফি ও অন্যান্য খরচ

স্প্যানিশ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম বা গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর প্রতিবছর গড়ে সাধারণত টিউশন ফি বাবদ ৬০০ ইউরো থেকে ১৩০০ ইউরো পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই খরচ ৫০০০ ইউরো থেকে ১৮০০০ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যদি ক্রেডিট ফি এর হিসেবে যদি বলি, তবে আমাদের মতো বাংলাদেশী শিক্ষার্থী বা নন ইউরোপিয়ান শিক্ষার্থীদের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে প্রতি ক্রেডিটের জন্য ৫০ ইউরো থেকে ৮০ ইউরো পর্যন্ত ফি দেওয়া লাগতে পারে। আর গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে এই ফি ২২ ইউরো থেকে ৩৬ ইউরো পর্যন্ত হয়ে থাকে। 

স্পেনের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকলে আবাসন খরচ অনেকটা কম পড়ে। আর আপনি যদি হোস্টেলে সীট না পান কিংবা বাইরে থাকতে চান তবে আপনার মোটামুটি ৩০০ ইউরো এর মতো খরচ পড়বে আবাসন ফি বাবদ। তবে শহরভেদে এই খরচের তারতম্য হয়ে থাকে। আর স্পেনে থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় সব খরচ মিলিয়ে আপনার প্রতি মাসে ৫০০ থেকে ৬০০ ইউরো এর মতো খরচ হবে। এটিও সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার জীবনযাত্রার ধরনের উপর। 

বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন

স্পেনের মোট ৫০ টি প্রদেশের প্রতিটিতেই ভালো মানের উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। Universitat de Barcelona, La Universitat de València, Pablo de Olavide University, Universidad de Granada, Universidad de Salamanca, Universidad Deusto, Universidad Antonio de Nebrija, Universidad Complutense de Madrid, Universitat Autònoma de Barcelona, Complutense University of Madrid, University of Navarra, Technical University of Valencia এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো খ্যাত নামা বিশ্ববিদ্যালয় সহ স্পেনের সরকারি বেসরকারি সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৭৪ টি। 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববাজারে চাহিদা সম্পন্ন বিভিন্ন কোর্স অফার করে থাকে। তম্মধ্যে Medicine Courses এর ক্ষেত্রে Biomedicine, Physiotherapy, Neuroscience, Internal Podiatric Surgery, Genetics and Cell Biology, Engineering Courses  এর মধ্যে  Chemical Engineering, Civil Engineering, Electrical Engineering, Mechanical engineering, Aerospace Engineering, Engineering in Geomatics and Topography, Computer Science & Information Technology Courses এর মধ্যে Data Science and Management, Information Technology, Data Analysis, Cyber Security, Big Data & Analytics, Business & Management Courses এর মধ্যে International Marketing, Global Banking & Finance, Human Resources Management, Law Courses এর ক্ষেত্রে International Criminal Law, Law in Contracting and International Relations, Labor Law and Human Resources বহুল জনপ্রিয়। 

এক্ষেত্রে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি মাধ্যমে কোর্স অফার করে। আবার কিছু আছে কোর্স কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ভাষা হিসেবে স্প্যানিশ মাধ্যম ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে আপনি পড়তে আগ্রহী এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে গিয়ে হালকা একটু ঘাটাঘাটি করলেই জানতে পারবেন ঐ বিশ্ববিদ্যালয় কি ইংরেজী মাধ্যমে কোর্স অফার করে নাকি স্প্যানিশ মাধ্যমে। আর যদি আপনি স্প্যানিশ মাধ্যমেও পড়তে চান, সেক্ষেত্রেও দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নাই। কারণ স্প্যানিশ ভাষা শেখার জন্য আমাদের দেশে আধুনিক ভাষা ইন্সিটিউট সহ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট রয়েছে, যেখানে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে স্প্যানিশ ভাষা আয়ত্ব করতে শিখানো হয়। এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালইয়ের স্প্যানিশ ডিপার্টমেন্টে জুনিয়র এবং সিনিয়র কোর্স নামে এক বছরে  স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষা কোর্স গ্রহণ করা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ও স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষার কোর্স অফার করে থাকে। আর স্পেনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ লোকের মাতৃভাষা স্প্যানিশ। তাই বুঝতেই পারছেন, আপনার যদি স্প্যানিশ ভাষাটা আয়ত্বে থাকে, তবে পার্ট টাইম জব সহ অনেক ক্ষেত্রেই সুবিধা করতে পারবেন। 

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং যোগ্যতা 

ইতোমধ্যেই আমরা স্পেনে ভর্তি আবেদনের সময়কাল সম্পর্কে জেনে ফেলেছি। এখন আমরা জানবো, স্পেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য কি কি ডকুমেন্টস দরকার এবং কি কি যোগ্যতা আপনার থাকা চাই। এক্ষেত্রে- 

  • ব্যাচেলর ডিগ্রীতে ভর্তি হবার জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ন হতে হবে। এভাবে মাস্টার্স ডিগ্রীতে ভর্তি হবার জন্য ব্যাচেলর ডিগ্রী আর পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য মাস্টার্স ডিগ্রী পর্যন্ত উত্তীর্ণ হতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাল গ্রেড বা সিজিপিএ চেয়ে থাকে।
  • ইংরেজি মাধ্যমের জন্য ল্যাংগুয়েজ টেস্ট হিসেবে আপনাকে IELTS/TOEFL দিতে হবে। এক্ষেত্রে IELTS এ সাধারনত 5.5 – 7. 5 এর মতো স্কোর পেতে হবে। আর স্প্যানিশ ভাষার কোর্স কারিকুলামে পড়াশোনা করতে গেলে আপনাকে B1/B2 বা DELE (Diploma of Spanish as a Foreign Language) Intermediate বা DELE B1/B2 এর সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
  • এছাড়াও ব্যাচেলর থিসিস বা ইন্টার্নশীপ রিপোর্ট, Letter of Recommendation (LOR), Statement of Purpose (SOP), একাডেমিক বিভিন্ন কাগজপত্র যেমন, সার্টিফিকেট, মার্কশীট, ট্রান্সক্রিপ্ট এর প্রয়োজন পড়বে।

স্কলারশিপ ও ফান্ডিং

স্পেনের সরকারি, বেসরকারি প্রায় সকল ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে স্কলারশিপের সুবিধা। তবে এর জন্য আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলো সহ অন্যান্য স্কলারশিপ, ফান্ডিং, ফিলোশিপ বিষয়ক ওয়েবসাইটগুলো  একটু ঘাটাঘাটি করতে হবে। Spain Government Scholarships, UIC Barcelona Scholarship, European University of the Atlantic, University of Granada Scholarship সহ আরো বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ রয়েছে। যেগুলোর কোনোটিতে আপনি ফুল ফান্ড নিয়ে পড়তে পারবেন। অর্থাৎ আপনার টিউশন ফি সহ যাবতীয় কোনো খরচেরই প্রয়োজন পড়বেনা। আবার কোনোটিতে পার্শিয়াল ফান্ডিং দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে পড়ালেখার খরচের কিছুটা আপনাকে বহন করতে হবে। আর মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে স্কলারশিপ ছাড়াও আপনি রিসার্চ এসিস্টেন্ট কিংবা টিচার্স এসিস্টেন্ট হিসেবে এসিস্টেন্টশিপ ম্যানেজ করে ফান্ডিং বা গ্রান্ট নিয়েও পড়াশোনা করতে পারেন স্পেনে।

স্টুডেন্ট ভিসার পরামর্শ চান?

তাহলে গুগল ফরম টি পুরন করুন এখনি… এখানে ক্লিক করুন

অথবা যোগাযোগ করুন এখানে…

আমাদের ফেসবুক গ্রূপ এ যুক্ত হোন:
স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে যোগাযোগ করতে “স্টূডেন্ট ভিসা হেল্পলাইন” ফেসবুক গ্রুপ এ জয়েন করুন।
এই গ্রুপে পাবেন সকল দেশের স্কলারশিপ তথ্য। আবার মতামত ও প্রশ্ন করতে পারবেন যে কোন সময়।
গ্রূপ লিংক: www.facebook.com/groups/studentvisahelpline

ভিসার জন্য আবেদনের নিয়মাবলী এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার পাওয়ার পর, যত দ্রুত সম্ভব ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করে দিন। কারণ অনেকক্ষেত্রে বিভিন্ন কাগজপত্র গত জটিলতা থাকার কারণে অনেকেরই ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগে। মূলত ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ঢাকায় অবস্থিত স্পেনের এম্ব্যাসিতে গিয়ে ভর্তি আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করে সেটা পূরণ করতে হবে। অতঃপর আরো সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ভিসা আবেদন ফর্মের সাথে সংযুক্ত করে জমা দিতে হবে ঐ খানে। এখন তাহলে জেনে নেওয়া যাক, কি কি কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে ভিসা আবেদন ফর্মের সাথে।

  • অফার লেটার, সিভি, এসওপি, রেফারেন্স লেটার, মোটিভেশনাল লেটার
  • IELTS/TOEFL কিংবা DELE B1-B2 এর সার্টিফিকেট, আর যদি GRE/GMAT দিয়ে থাকেন সেগুলোর সার্টিফিকেট
  • সার্টিফিকেট, মার্কশীট, ট্রান্সক্রিপ্ট ইত্যাদি একাডেমিক কাগজপত্রের সত্যায়িত কপি
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি, পাসপোর্ট, ফ্লাইট বুকিং টিকেট, হাউজিং সার্টিফিকেট, নো অব্জেকশন সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য বীমা (ওএসএইচসি), মেডিক্যাল রিপোর্ট, 
  • ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট, ব্যাংক সলভেন্সি, স্কলারশিপের পেপার (যদি আপনি স্কলারশিপে স্পেন যান) ইত্যাদি সহ অতিরিক্ত আরো কিছু কাগজপত্র সংযুক্ত করে দেওয়া লাগতে পারে

কাজের সুবিধা ও স্থায়ী বসবাস

স্পেনে পড়াশোনা অবস্থায় আপনি সপ্তাহে মোট ২০ ঘন্টা কাজ করার অনুমতি পাবেন। স্প্যানিশ আর ইংরেজি এই দুই ভাষাতেই যদি দক্ষ হন, তবে তা আপনার ভালো স্যালারির কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিবে। তবে পার্টটাইম জবের স্যালারি দিয়ে স্পেনে পড়াশোনা, থাকা-খাওয়া সহ যাবতীয় খরচ বহন করা সম্ভবপর নয়। তাই চেষ্টা করুন স্কলারশিপ যোগাড় করার।

স্পেনে আপনি পড়ালেখা শেষে চাকুরী খোঁজার জন্য সর্বোচ্চ এক বছর থাকার অনুমতি পাবেন। আর স্পেনে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) বা স্থায়ী বসবাসের আবেদনের জন্য, আপনাকে চাকুরী পাবার পর বা নিজস্ব ব্যবসা দেওয়ার পর পাঁচ বছর একটানা বৈধভাবে থাকতে হবে। আর নাগরিকত্বের আবেদনের জন্য আপনাকে বৈধভাবে টানা দশ বছর স্পেনে থাকতে হবে। 

স্থায়ীভাবে বসবাসের ক্ষেত্রে আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে, স্পেনে যেকোনো ডিগ্রীর ফলাফলকে ১০ পয়েন্ট হিসেবে ধরা হয়। এক্ষেত্রে আপনি যদি ব্যাচেলর প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন, তবে পিআর পাওয়ার জন্য এই ১০ এ নুন্যতম ৬ পয়েন্ট পেতে হবে। আর আপনি যদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেন, তবে আপনাকে পেতে হবে ৭ পয়েন্ট। পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে পেতে হবে ৮ পয়েন্ট। তবেই আপনি পিআর এর জন্য আবেদন করতে পারবেন, নতুবা সম্ভব নয়। এছাড়াও পিআর আবেদনের জন্য আরো নানাবিধ শর্তাবলীও থাকে। আরেকটি ব্যাপার,  স্পেনে আপনি তিন বছর থাকার পর শর্তসাপেক্ষে টেম্পোরারি রেসিডেন্সি পারমিট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

পরিশেষে,

আমরা ইতোমধ্যেই জেনেছি যে, উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম মানসম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে একটি স্পেন। পড়াশোনার মান, জীবনযাত্রার মান সহ নানাবিধ বিষয় মিলিয়ে স্পেন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। তাই পরিশ্রম করুন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট ঘাটুন। এবং নিজের জন্য একটি স্কলারশিপ যোগাড় করুন। আর স্পেনের উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত আরো কোনো তথ্য জানার থাকলে কমেন্ট করুন।


Student Visa পেতে চান? কোন চিন্তা নেই, সেবারু ডটকম আছে আপনার পাশে।
আমাদের কাছ থেকে কল পেতে এখানে ক্লিক করে গুগল ফরম পুরন করুন- রেজিস্ট্রেশন ফরম
ফেসবুক গ্রুপে প্রশ্ন করতে বা আমাদের লাইভ দেখতে জয়েন করুন- https://fb.com/groups/studentvisahelpline
নিয়মিত ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন: ইউটিউব চ্যানেল
Mobile: +8801711981051 / What’s app (10 am-9pm)। এই সময়ের মধ্যে কল করুন প্লিজ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *