অস্ট্রেলিয়া ভিসা খরচ: অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ

উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম শীর্ষ একটি দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া। 

এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত বারো হাজারেরও বেশি সমুদ্র সৈকত বিশিষ্ট, অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী, খেলাধূলায় অগ্রসর এই দেশটি তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। 

তাছাড়া দেশটি শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষনা, উদ্ভাবন, জীবনযাত্রার মান ও বসবাসের দিক থেকে সেরা। 

আর সব মিলিয়ে অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবেও বিবেচিত অস্ট্রেলিয়া। তাই তো প্রতি বছর পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে সাত থেকে আট লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পাড়ি জমায় অস্ট্রেলিয়াতে। 

অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ অনেকটা ব্যয় বহুল হলেও স্কলারশিপ নিয়ে এই দ্বীপ দেশটিতে পাড়ি জমাতে পারেন আপনিও। 

তাই অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ সংক্রান্ত যাবতীয় খুটিনাটি বিষয় আপনাকে সহজে ব্যাখ্যা করে দেখাবো আজকের এই ভিডিও তে। 

অস্ট্রেলিয়ান ডিগ্রীসমূহ

অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডি, পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা সহ প্রায় সকল ধরণের প্রোগ্রামেই যাবার সুযোগ রয়েছে। ব্যাচেলর ডিগ্রীর ক্ষেত্রে সময় লাগে তিন থেকে চার বছর, মাস্টার্স ডিগ্রীর ক্ষেত্রে দেড় থেকে দুই বছর এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে সাধারণত তিন থেকে ছয় বছর সময় লাগে। বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগই মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ায় যায়। এর কারণ বেশিরভাগ স্কলারশিপই মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য দেওয়া হয়। ব্যাচেলর পর্যায়ে খুব একটা স্কলারশিপ পাওয়া যায় নাহ। আবার কোর্স ভিত্তিক মাস্টার্স প্রোগ্রামেও খুব একটা  স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। পক্ষান্তরে থিসিস ভিত্তিক মাস্টার্স প্রোগ্রামে ফান্ড বা স্কলারশিপ পাবার সুযোগ বেশি। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভাল যে, অস্ট্রেলিয়ায় মাস্টার্স 

কোর্স মূলত কোর্স ভিত্তিক ও থিসিস ভিত্তিক এই দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেহেতু কোর্স ভিত্তিক প্রোগ্রামে স্কলারশিপের সুযোগ তুলনামূলক কম, তাই রিসার্চ বা থিসিস ভিত্তিক প্রোগ্রামের দিকে ঝোঁকাটাই শ্রেয়। এক্ষেত্রে আবার প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। ব্যাপারটা কঠিন মনে হচ্ছে তাই না?

তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই, প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগের আদ্যোপান্ত নিয়ে আমাদের সম্পূর্ণ একটি ভিডিও রয়েছে। ভিডিও এর লিংক আমি ডিসক্রিপশন বক্সে দিয়ে দিচ্ছি।

বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন

অস্ট্রেলিয়ায় মূলত উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়, যথাঃ বিশ্ববিদ্যালয়, অন্যান্য স্ব-স্বীকৃত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অনুমোদিত রাজ্য ও অঞ্চল উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা ইতোপূর্বেই জেনেছি যে, অস্ট্রেলিয়ায় ৪২ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তম্মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৭ টি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩ টি, আর আন্তর্জাতিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ২ টি। সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ই মানের দিক দিয়ে অনন্য। তম্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয় হলোঃ University of Melbourne, Australian National University (ANU), University of Sydney,  University of New South Wales (UNSW), University of Technology Sydney (UTS), University of Queensland, University of Western Australia (UWA), University of Wollongong, University of Queensland (UQ), Monash University, University of Adelaide। ব্যাচেলর, মাস্টার্স এবং পিএইচডি এই তিন প্রোগ্রামেই আপনার পছন্দসই এবং বর্তমান বাজারে চাহিদাসম্পন্ন প্রায় সকল কোর্সই খুঁজে পাবেন অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। তম্মধ্যে Biomedical Engineering, Computer Science and Information Technology, Accountancy, Tourism and Hospitality Management, Agricultural Sciences, Architecture কোর্সগুলো অনেক জনপ্রিয়। 

টিউশন ফি

অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ তুলনামূলক ব্যায়বহুলই বটে। অস্ট্রেলিয়ায় ব্যাচেলর ডিগ্রি করতে চাইলে সাধারণত বছরে ২০ হাজার থেকে ৩২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার টিউশন ফি বাবদ দিতে হয়। মাস্টার্স ডিগ্রির ক্ষেত্রে টিউশন ফি এবং কোর্সের ব্যয় বছরে প্রায় ২০ হাজার থেকে ৩৭ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার হয়ে থাকে আর ডক্টরাল ডিগ্রি বা পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে  ১৪ হাজার থেকে ৩৭ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার খরচ হয় প্রতিবছরে। এই টিউশন ফি, থাকা-খাওয়ার খরচ সহ আনুসাংগিক যাবতীয় খরচ বহন করে অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া বেশিরভাগ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সম্ভবপর নয়। তবে আশার বিষয় হচ্ছে যে, অস্ট্রেলিয়ায় বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর স্কলারশিপ দেওয়া হয়। 

স্কলারশিপ 

অস্ট্রেলিয়াতে বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েক ধরনের স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে, যথাঃ ফুল ফান্ডিং ও লিভিং এক্সপেন্সেস স্টাইপেন্ডসহ স্কলারশিপ, ফুল ফান্ডিং স্কলারশিপ,পার্শিয়াল ফান্ডে স্কলারশিপ। বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে, আবার অস্ট্রেলিয়ার সরকারের পক্ষ থেকেও স্কলারশিপ দেওয়া হয়। বাংলাদেশী বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা সাধারণত সরকারি স্কলারশিপ নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমায়। এক্ষেত্রে Australian Government Research and Training Program (AGRTP), Australia Awards Scholarships (AAS), Destination Australia Scholarships, Endeavour Leadership Program, John Allwright Fellowship (JAF), International Postgraduate Research Scholarships (IPRS),  Vera Thiess Fellowship for Women in Developing Countries ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সরকারী অনেক স্কলারশিপ এর ক্ষেত্রে প্রায় সব ধরনের খরচ আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া, যাবতীয় পড়াশোনার খরচ, থাকা-খাওয়ার খরচসহ যাবতীয় খরচ থেকে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন, আবার  প্রতি মাসে নগদ অর্থও  পেতে পারেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা স্কলারশিপ প্রদানকারী বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইটে নজর রাখুন, স্কলারশিপ সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানার চেষ্টা করুন। 

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এবং যোগ্যতা 

আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, প্রথমে আপনাকে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন ফি জমা দেওয়া সহ আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফি জমা দেওয়ার পরই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ান অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার আবেদন করতে কোন ধরনের ফি এর প্রয়োজন পড়ে না। এখন যদি যোগ্যতা বা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর কথা বলি তবে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ই তাদের নিজেদের মতো ভর্তির মানদন্ড দিয়ে থাকে। তবে কিছু বিষয় বা নিয়মাবলী সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে একই হয়ে থাকে। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক, অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়তে বা আবেদন করতে হলে সাধারণত কি কি ডকুমেন্টস এবং যোগ্যতা থাকা দরকারঃ

  • আপনি যদি ব্যাচেলর ডিগ্রীতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক হন, তবে আপনাকে সেকেন্ডারী এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় ভাল গ্রেড নিয়ে উর্ত্তীর্ণ হতে হবে। এবং মাস্টার্সের প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে আর পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে আপনার থাকতে হবে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এক্ষেত্রে আপনার পূর্ববর্তী একাডেমিক পরীক্ষায় কমপক্ষে ৬০% নম্বরের প্রয়োজন পড়বে। 
  • অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষায় পড়াশোনা করতে গেলে আপনার GRE বা GMAT পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে বর্তমানে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে GRE বা GMAT পরীক্ষা দেওয়ার ও প্রয়োজনও পড়ছে। এক্ষেত্রে আপনার IELTS বা TOEFLকিংবা PTE যে কোনো একটিতে পর্যাপ্ত স্কোর বা মার্ক্স থাকলেই চলবে। IELTS এর ক্ষেত্রে স্কোর ৬.৫ বা ৭.০ এর মধ্যে হলেই চলবে। আর PTE এর ক্ষেত্রে ৫৫ থেকে ৬০ মার্ক্স পেলেই হবে। আর TOEFL এর ক্ষেত্রে ২৩৫ থেকে ২৪০ মার্ক্স পেলেই হয়। 
  • এছাড়াও আপনার পূর্ববর্তী নিকটতম শিক্ষক কতৃক প্রদত্ত Letter of Recommendation (LOR), আপনার যোগ্যতা ও দক্ষতা গুলোযথাসম্ভব গুছানো এবং চমৎকার ভাবে রচনা আকারে উপস্থাপিত একটি  Statement of Purpose (SOP), সিভি বা রিজিউমি, ব্যাংক সল্ভেন্সি ডকুমেন্টস, পাসপোর্ট, হেলথ সার্টিফিকেট, শনাক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ইত্যদি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হতে পারে। 
  • Bonus Tips: অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষাবৃত্তি প্রদানকারী সংস্থার  ক্ষেত্রে এক্সট্রা কারিকুলার এক্টিভিটিস বা সামাজিক কর্মকান্ডগুলো অনেক গুরুত্ব বহন করে। এজন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন কর্মকান্ড করার চেষ্টা করুন। এবং সম্ভবপর হলে পাবলিকেশন বের করুন, প্রোগ্রামিং দক্ষতা অর্জন করুন।আপনার সিজিপিএ যদি কম থাকে তবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কিছু ভালো জার্নালে গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত থাকলে তা বেশ ভালো কাজে দিবে স্কলারশিপ পাবার ক্ষেত্রে। 

ভিসার জন্য আবেদনের নিয়মাবলী এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

আপনার স্কলারশিপের জন্য পূর্ণকালীন মেয়াদে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি আবেদন যদি মঞ্জুর হয়ে যায়, তৎপরবর্তীতে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ভিসা পেতে হলে আপনাকে অস্ট্রেলিয়ান এম্বেসী এর দ্বারস্থ হতে হবে। আর এই অস্ট্রেলিয়ান এম্ব্যাসি ঢাকার গুলশানে অবস্থিত। সেখানে আপনাকে আপনার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত অফার লেটার ও CoE (Confirmation of Enrollment) সহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র সহ আবেদন করতে হবে ভিসার জন্য। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই অফার লেটার ও CoE (Confirmation of Enrollment) বাদে আর কি কি কাগজপত্র থাকা প্রয়োজন ভিসার আবেদনের জন্য? বেশ, তবে জেনে নেওয়া যাক, ভিসার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন ও কি নিয়মাবলী পালন করে আবেদন করতে হবেঃ

  • প্রথমেই ভিসা আবেদন ফর্ম টি প্রয়োজনীয় সব তথ্য দিয়ে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত সত্যায়িত অফার লেটার ও CoE (Confirmation of Enrollment) যোগ করার প্রয়োজন হবে। 
  • সার্টিফিকেট, মার্কশীট, ট্রান্সক্রিপ্ট সহ একাডেমিক সকল কাগজপত্র সংযুক্ত করার দরকার হবে। আর এই প্রত্যেকটি কাগজপত্রই যেন সত্যায়িত হয় সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। 
  • ভিসা আবেদন ফর্মের সাথে আপনার সদ্য তোলা স্পষ্ট পাসপোর্ট সাইজের ছবিটি দিবেন। আর পাসপোর্ট এর ফটোকপিও সাথে জমা দেওয়া লাগবে।
  • আয়ের উৎস হিসেবে ছয় মাসের ব্যাংক স্ট্যাটমেন্ট, ব্যাংক সলভেন্সি পেপার, ইনকাম ট্যাক্স পেপার, ফিক্সড জামানত সহ স্পন্সর কর্তৃক হলফনামা অর্থাৎ এফিড্যাভিট এর কাগজপত্র ইত্যাদি সংযুক্ত করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে স্পন্সরকে এক বছরের খরচ বাবদ সাদারণত ১৯,৮৩০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার দেখাতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষ এই খরচ বেশি-কম হয়ে থাকে। 
  • সিভি, এসওপি, রেফারেন্স লেটার, মোটিভেশনাল লেটার সহ ল্যাংগুয়েজ টেস্ট এর জন্য দেওয়া আইইএলটিএস বা টোফেল এর সার্টিফিকেট এর কাগজপত্র দেখাতে হবে।
  • এছাড়াও পুলিশ ক্লিয়ারান্স, হেলথ ইন্স্যুরেন্স, মেডিক্যাল রিপোর্ট, সর্বশেষ যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন সেই প্রতিষ্ঠান থেকে নো অব্জেকশন সার্টিফিকেট সহ ক্ষেত্র বিশেষ আরো অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে।

আপনার প্রদত্ত এসব কাগজপত্রগুলো এম্ব্যসি থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। অতঃপর সেখান থেকে সব প্রক্রিয়া শেষে মাস তিনেকের মধ্যে ভিসা পাঠানো হবে, যদি কাগজপত্র সংক্রান্ত কোনো জটিলতা না থাকে। 

স্টুডেন্ট ভিসার পরামর্শ চান?

তাহলে গুগল ফরম টি পুরন করুন এখনি… এখানে ক্লিক করুন

অথবা যোগাযোগ করুন এখানে…

আমাদের ফেসবুক গ্রূপ এ যুক্ত হোন:
স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে যোগাযোগ করতে “স্টূডেন্ট ভিসা হেল্পলাইন” ফেসবুক গ্রুপ এ জয়েন করুন।
এই গ্রুপে পাবেন সকল দেশের স্কলারশিপ তথ্য। আবার মতামত ও প্রশ্ন করতে পারবেন যে কোন সময়।
গ্রূপ লিংক: www.facebook.com/groups/studentvisahelpline

আবেদনের সময়কাল 

অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বিদেশী শিক্ষার্থীদের দুইটি সেশনে ভর্তি নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত ফেব্রুয়ারি এবং জুলাই মাসে সেশন দুটি শুরু হয়। মূলত আবেদনের পর আপনি উত্তীর্ণ হলে, আপনার কাছে অফার লেটার পাঠানো হবে। অফার লেটার পাওয়ার পর টিউশন ফি সহ বিভিন্ন নির্দেশাবলি পালনের মাধ্যমে কনফারমেশন অফ এনরোলমেন্ট পাবেন, তারপর ভিসার জন্য আবেদন করবেন। আর এক্ষেত্রে ক্লাস শুরুর দুই মাস পূর্বেই ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। তাই আবেদনের শেষ তারিখ কবে সেটির দিকে খেয়াল রাখবেন, আর ক্লাস কবে শুরু হবে তা জানবেন। 

কিছু প্রশ্ন

আপনাদের মনে আরো কিছু প্রশ্ন আসতে পারে যে,

অস্ট্রেলিয়ায় সপ্তাহে কত ঘন্টা পার্ট টাইম চাকরির সুযোগ রয়েছে?

= এক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত অনুযায়ী এক জন শিক্ষার্থী সেমিস্টার চলাকালীন সময়ে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারে। তবে ক্ষেত্রবিশেষ এই সময়ের তারতম্য হয়ে থাকে। আর ভ্যাকেশন টাইমে শিক্ষার্থীরা নিজের ইচ্ছামতো কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে।

অস্ট্রেলিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা ও জীবন-যাপন খরচ বাবদ প্রতি মাসে কত টাকা খরচ হতে পারে? 

=  আপনার এসব যাবতীয় খরচ বাবদ প্রতি মাসে ১৫০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের কাছাকাছি ব্যয় হতে পারে। শহরভেদে এই খরচের ক্ষেত্রে সামান্য কিছু পার্থক্য হতে পারে। 

পরিশেষে

আশা করি, অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ সংক্রান্ত খুটিনাটি বিষয়াদি নিয়ে আপনাদের মনে উদীত এ যাবতকালের যাবতীয় প্রশ্নের সমাধান দিতে পেরেছি।
এছাড়াও যদি আপনার মনে অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা সংক্রান্ত আরো কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে তা এক্ষুণি কমেন্ট বক্সে করে ফেলুন।
আর উচ্চশিক্ষা বিষয়ক আরো গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্যাদি পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।


Student Visa পেতে চান? কোন চিন্তা নেই, সেবারু ডটকম আছে আপনার পাশে।
আমাদের কাছ থেকে কল পেতে এখানে ক্লিক করে গুগল ফরম পুরন করুন- রেজিস্ট্রেশন ফরম
ফেসবুক গ্রুপে প্রশ্ন করতে বা আমাদের লাইভ দেখতে জয়েন করুন- https://fb.com/groups/studentvisahelpline
নিয়মিত ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন: ইউটিউব চ্যানেল
Mobile: +8801711981051 / What’s app (10 am-9pm)। এই সময়ের মধ্যে কল করুন প্লিজ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *