বাংলাদেশে শিক্ষানুরাগী শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে প্রিয় স্থান ক্যাডেট কলেজ। কারন তাদের শিক্ষার মান ও শিক্ষা ব্যবস্থা প্রচলিত
শিক্ষার থেকে অনেক ভিন্ন। এখানে ভর্তি পরীক্ষাও অন্যান্যদের থেকে আলাদা। আর তাই আমরা আজকে জানব ২০২২ এ
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি সকল বিষয় নিয়ে। এছাড়াও জানব কিভাবে তারা শারীরীক ও মানুষিক শিক্ষার প্রতি জোর দেয়, সেই
বিষয় নিয়েও। যারা ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হতে চাও তাদের জন্য এটি একটি গাইড লাইন রুপে দেয়া হল , যাতে সব তথ্য
পেয়ে , ভর্তির প্রস্তুতি নিতে পারে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশে কয়টি ক্যাডেট কলেজ আছে?
বর্তমানে বাংলাদেশে ১২ টি ক্যাডেট কলেজ আছে। তার মধ্যে ১৯৫৮ সালে চট্টগ্রাম ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ সবার
আগে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১২ টি কলেজের ভিতরে ছেলেদের জন্য ৯ টি এবং মেয়েদের জন্য ৩ টি কলেজ স্থাপন করা হয়।
মেয়েদের কলেজ গুলো আছে ময়মনসিং, ফেণী ও জয়পুরহাটে। আর ছেলেদের বাকি কলেজগুলো স্থাপিত হয়েছেঃ
ঝিনাইদহ, মির্জাপুর, রাজশাহী, সিলেট, পাবনা, বরিশাল, রংপুর, ও কুমিল্লায়।
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি সিলেবাস
অন্যান্য স্কুলের ভর্তির নিয়ম থেকে ভিন্ন এই ক্যাডেট গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন আর সিলেবাস। আর তারা তাদের নিজস্ব
ওয়েবসাইটে সিলেবাস দেয় যখনই ভর্তির বিজ্ঞাপণ দেয়। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ বছরের বাংলাদেশের
স্থায়ী ৬ষ্ঠ শ্রেনী পাশ যেকোন ছাত্র-ছাত্রী আবেদন করতে পারবে। এছাড়া অনলাইনে
WWW.cadetcollegeadmission.army.mil.bd এই ওয়েবসাইটে। আর ২০২২ সালে সিলেবাস কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে।
এইবার ৩০০ মার্কের পরীক্ষা হবে। যেখানে থাকবে ইংরাজি ১০০, বাংলা ৬০, গণিত ১০০।
এছাড়াও বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে ৪০ নাম্বারের পরীক্ষা হবে।
বাংলা ও ইংরেজি দুটো মাধ্যমেই পরীক্ষা দেয়া যাবে। তবে ভর্তি হলে তাকে অবশ্যই ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করতে
হবে। আর তাই গণিত ও ইংরেজির উপর শিক্ষার্থীদের অধিক জোর দিতে হবে ভর্তি পরীক্ষায় টিকতে হলে।
আর তাই এখনই আগের পরীক্ষার প্রশ্ন ও তার সমাধান ভিত্তিক ক্যাডেট কলেজ ভর্তি গাইড আজই সমাধান করা শুরু
করতে হবে। বইয়ের ভান্ডার রকমারি থেকে সহজেই নিতে পারেন। এছাড়া অবশ্যই শিক্ষার্থীকে ফ্রি রাইটিং যেকোন
বিষয় ভিত্তিক লেখার আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। তা না হলে সে ভালো ফলাফল করতে পারবে না। আর আজকের বিশ্ব
আর আর সমসাময়িক সাব ঘটনা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে সাধারণ জ্ঞানে ভাল করতে চাইলে।
ক্যাডেটে ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম গুলো কি?
সুস্থ স্বাভাবিক বাংলাদেশি যারা ৬ষ্ঠ শ্রেণী পাশ করেছে তারা ৭ম শ্রেনীর জন্য আবেদন করতে পারবে। আগে ছেলে
মেয়ে উভয়ই ৪ ফুট ৮ ঊচ্চতার সবাই আবেদনের যোগ্য বিবেচিত ছিল। তবে প্রতিবার আবেদনের পূর্বেচ এই সাইটে
গিয়ে পূর্ণ তথ্য নিতে হবে। পরীক্ষা সাধারনত তিন ধাপে সম্পন্ন হয়। প্রথমে লিখিত পরীক্ষা ও পরে মৌখিক, ও
শারীরিক, ডাক্তারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরাই পড়তে পারবে এইসব ক্যাডেট কলেজে। এখানে শারীরিকভাবে শক্ত,
সবল ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষৎ সামরিক বাহিনীর উত্তরসরি রুপে গড়ে তুলতেই এই উদ্যোগ। কঠোর নিয়ম
আর অনুশাষন তাদের মূল নিয়ম ।
কি কি কাগজপত্র লাগে আর কত টাকা ভর্তি ফি জমা দিতে হয়?
শিক্ষা জীবনের সর্বশেষ সার্টিফিকেট সহ ৫ম শ্রেণীর সার্টিফিকেট, জন্ম নিবন্ধন জমা দিতে হয়। তাছাড়া মা, বাবার
জাতীয় পরিচয় পত্র ও অন্যান্য আনুষাংগিক কাগজ পত্র দিতে হইয় আবেদনের সময়। আর সব তথ্য ও নিয়মাবলী
তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে দেয়া থাকে। ১৫ দিনের ভিতরে তোলা পার্সপোর্ট ছবিই সুধুমাত্র গ্রহনযোগ্য। নিয়মের
ব্যতিক্রম হলে আপনার আবেদন ক্যান্সেলও হইয়ে যেতে পারে। তাই প্রতিবার সতর্কতার সাথে পূরণ করে তা
পুনঃরায় চেক করে সাবমিট করতে হবে।
ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবিধা কি?
সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতেই মূলত ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা হয়। যাতে তারা যোগ্যতার সাথে
দেশের সুরক্ষায় আর উন্নতিতে উল্ল্যেখ যোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। কলেজ শেষে তারা যোগ্যতার ভিত্তিতে সবার
আগে সামারিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারে অফিসার পদে। এর জন্য তাকে শুধুমাত্র একটি বিশেষ পরীক্ষা দিতে
হয়। এছাড়া অন্যান্যদের অনেক কঠিন নিয়ম আর পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হয়, সামরিক বাহিনীতে যোগ দানের জন্য।
তাই দেরি না করে ভর্তির জন্য আজই প্রস্তিতি নিয়ে ফেল ছাত্র-ছাত্রীরা। কারন তোমার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনাই পারে
ক্যাডেট কলেজ ভর্তির স্বপ্ন বাস্তবে পরিনত করতে। তাই এইবার বা আগামী যখনই পরীক্ষা দিতে যাবে ,অবশ্যই শারিরীক
ও মানুষিক দৃড়তা রাখবে। যা তোমাকে কঠিন এই লড়াইয়ে জিততে সাহায্য করবে। এছাড়াও পড়াশোনা ও ভর্তি সংক্রান্ত
আমাদের সাবজেক্ট নির্বাচন করুন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির আগেই, ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর আপডেট তালিকা ও ভর্তি তথ্য
এই গুলো পড়তে পারেন। যাতে ভবিষৎ পড়াশোনা নিয়ে স্বচ্ছ ধারনা লাভ করা যায়।