খাদ্য ও পুষ্টি মূলত একে অপরের পরিপূরক। সুস্থ শরীরের অন্যতম শর্ত হলো সুষম খাদ্য এবং যথাযথ মানের পুষ্টি উপাদান।
এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন খাদ্য ও পুষ্টির মধ্যে পার্থক্য সম্পৃক্ততা ঠিক কোথায়? খাদ্য ও পুষ্টি কি? ইত্যাদি যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের আর্টিকেল।
চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাকঃ
খাদ্য কি ?
খাদ্য মূলত সেই সকল উপাদান যেগুলো আমাদের শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। মোটাদাগে বলতো খাদ্য উপাদান কে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। তার পাশাপাশি ভিটামিন খনিজ লবণ এবং পানি রয়েছে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে,
পুষ্টি কি?
বলতো পুষ্টি হলো এক ধরনের শক্তি বা শক্তি মানদণ্ড যেটি আমাদের দৈহিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য গঠনে সহায়তা করে থাকে। বিভিন্ন খাদ্য বিভিন্ন পুষ্টিমানসম্পন্ন হয়ে থাকে।
তাহলে খাদ্য এবং পুষ্টির মধ্যে মূল পার্থক্য কোথায়?
- মূলত খাদ্য আমাদের দেহে কর্ম শক্তি সৃষ্টি করে থাকে, অপরদিকে পুষ্টি আমাদের জীব দেহের বৃদ্ধি এবং বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে।
- যদি কোন পদার্থ আহারের উপযোগী হয়ে থাকে এবং এর ফলে শরীরে কোন ধরনের ঝুঁকি সৃষ্টি না হয় তাহলে সেগুলো খাদ্য বা সুখাদ্য। মূলত সকল সুখাদ্যই খাদ্য বলে বিবেচিত। অপরদিকে পোস্টটি মূলত একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক প্রক্রিয়া।
- খাদ্যের মূল কাজ হলো আমাদের ক্ষুধা নিবারণ করা। আমাদের যখন খিদা পায় তখন মূলত আমরা সুখাদ্য গ্রহণ করে থাকি। হতে পারে সেগুলো কার্বোহাইড্রেট অথবা প্রোটিন। কার্বোহাইড্রেট আমাদের দেহের তাপ শক্তি বৃদ্ধি করে এবং কর্মঠ করে তোলে।এবং প্রোটিন আমাদের দেহের ক্ষয়পূরণ করতে সহায়তা করে। অপরদিকে পুষ্টির মূলত আমাদের দৈহিক গঠনে সহায়তা করে তার পাশাপাশি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে। যখন দেহের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি দেখা দেয় তখন স্বভাবতই মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে।
এক ওয়েবে সব কিছু!
বিদেশে চাকরি | বিদেশে উচ্চশিক্ষা | অনলাইন ট্রেনিং |
---|---|---|
কানাডায় চাকরি | চীনে উচ্চশিক্ষা | ডিজিটাল মার্কেটিং |
সৌদিআরবে চাকরি | ভারতে উচ্চশিক্ষা | বিদেশ চাকরি |
রোমানিয়ায় চাকরি | কানাডায় উচ্চশিক্ষা | ইংরেজী শিক্ষা |
এখন প্রশ্ন আসতে পারে খাদ্য এবং পুষ্টি উপাদানের মধ্যে সম্পৃক্ততা অর্থাৎ সাদৃশ্যটা কি?
মূলত খাদ্য গ্রহণ করলেই আপনি পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করতে পারবেন। এক ধরনের খাদ্য একই ধরনের পুষ্টি উপাদান সম্পন্ন হয়ে থাকে।
আমাদের কমবেশি সকলের উচিত খাদ্য এবং পুষ্টি বিজ্ঞান সম্পর্কে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধারণা রাখা। কেননা একটি মানুষের দৈহিক এবং মানসিক বৃদ্ধির জন্য খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান এর কোন বিকল্প নেই।
সবাই ভালো থাকবেন – সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ!