যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় ভর্তি হতে চায় এ লেখাটি মূলত তাদের জন্নেই। বাংলাদেশসহ বিশ্বে সাংবাদিকতার চাহিদা বেড়েই চলেছে।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা (Mass Communication & Journalism) বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এ নামেই সাবজেক্টটি রয়েছে।
এ সাবজেক্টে সাংবাদিকতার বিভিন্ন অংশ ছাড়াও তথ্য প্রযুক্তি, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হয়।
দেশে সরকারী ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে। বিদেশেও সাংবাদিকতায় উচ্চশিক্ষা লাভ করা যায়।
সাংবাদিকতার চাহিদা
বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেভাবে বেড়ে চলেছে, সেই সাথে এই বিষয়ের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মিডিয়া একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। যে কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে এর চাহিদা বৃদ্ধিপাচ্ছে।
সাংবাদিকতার ক্ষেত্র
প্রিন্ট মিডিয়া (পত্রিকা, ম্যাগাজিন, সাময়িকী ইত্যাদি) : সম্পাদকীয় বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ, বার্তা বিভাগ, রিপোর্টিং বিভাগ, প্রুফ এডিটিং বিভাগ, ফটোগ্রাফি বিভাগ, অলংকরণ বিভাগ, বিজ্ঞাপন বিভাগ, প্রচার বিভাগ, রেফারেন্স লাইব্রেরি, প্রিন্টিং/ছাপা বিভাগ।
বিষয়ভিত্তিক অবস্থান
ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়ের বর্তমান অবস্থান কলা ও মানবিক অনুষদে উপরের দিকে।
কোথায় পড়ানো হয়?
সাংবাদিকতা বিষয়টির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও এটি মূলত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়। এছাড়াও কিছু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও এই বিষয়টি পড়ানো হচ্ছে।
চাকুরি সুবিধা কেমন?
এই বিভাগের সবচেয়ে বড় সুবিদা হলো শিক্ষার্থীরা ছাত্র জীবনেই চাকুরি পেয়ে যায় এবং বিশাল অভিজ্ঞতা অর্জন করে।
সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীরা বিসিএস ক্যাডার হয়া ছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক হিসেবে
এবং বিভিন্ন প্রাইভেট ফার্ম ও এনজিও গুলোতে চাকুরি লাভ করে থাকে। এখানে প্রথমদিকে হয়তো আয়ের পরিমাণটা কম। তবে অভিজ্ঞতা অর্জনের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আয় রোজগার। দেশে আপনার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী সম্মানী ১০-৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। তবে ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এ অঙ্ক বাড়তে পারে। আর যদি সাংবাদিকতার মাধ্যমে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার সাংবাদিক হওয়া যায় তাহলে সম্মানী এর দ্বিগুণও হতে পারে।
অনলাইন মিডিয়ায় সাংবাদিকতা
বর্তমানে ইন্টারনেটের কল্যাণে আরেকটি ক্ষেত্রে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেটি হলো- অনলাইন মিডিয়া।
সম্পাদকীয় বিভাগ, প্রশাসনিক বিভাগ, বার্তা বিভাগ, রিপোর্টিং বিভাগ, প্রুফ এডিটিং বিভাগ, ফটোগ্রাফি বিভাগ, অলংকরণ বিভাগ, বিজ্ঞাপন বিভাগ, রেফারেন্স লাইব্রেরি। এছাড়াও এর চেয়ে কমবেশি বিভাগ থাকতে পারে। এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে ঐ প্রতিষ্ঠানের উপর।
সাংবাদিকতা পড়তে হলে কি কি গুন থাকা চাই?
- ১. সিদ্ধান্ত
- ২. সততা
- ৩. ব্যক্তিত্ব
- ৪. ব্যবহার
- ৫. সাহসিকতা
- ৬. বস্তুনিষ্ঠতা
- ৭. অধ্যবসায়
- ৮. নিয়মানুবর্তিতা ও যোগাযোগ
- ৯. দায়বদ্ধতা
- ১০. বিচক্ষণতা
কোথায় করবেন সাংবাদিকতা কোর্স?
যাদের পক্ষে এখন আর সাংবাদিকতায় স্নাতক করা সম্ভব নয়, তারাও করে নিতে পারেন ৬মাস, একবছর বা ২ বছর মেয়াদী স্নাতকোত্তর বা ডিপ্লোমা অথবা সার্টিফিকেট কোর্স। দেশের সরকারি বে-সরাকারি বহু প্রতিষ্ঠানে এ ধরণের কোর্সকরার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ তথ্য অধিদপ্তর, প্রেস ইনস্টিটিউট বা প্রেস কাউন্সিলসহ প্রথম আলো, নয়দিগন্তসহ অনেক বেসরকারি ইলেক্ট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এখন এসকল কোর্স চালু করেছে। ঢাবি, রাবি’সহ দেশের কয়েকটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকতায় স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর কোর্স রয়েছে। তাছাড়া রয়েছে ১ ও ২ বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্স। কোর্স করে আপনি বিভিন্ন পত্রিকায় আপনার লেখা পাঠাতে থাকুন ও সেই সঙ্গে আপনার বায়োডাটাও পাঠাতে থাকুন।ভর্তির যোগ্যতাঃ স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি হতে যে কোন বিভাগ থেকে এইচএসসি পাশ হতে হবে। আর স্নাতকোত্তর বা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে স্নাতক পাশ হতে হবে।
আরও কোন জানার থাকলে দয়া করে কমেন্ট করুন। আমরা আপনার প্রশ্নের জবাব দিতে পারলে খুশি হব। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
যোগাযোগঃ সেবারু,২/৪ ব্লক-জি,লালমাটিয়া,ঢাকা-১২০৭,বাংলাদেশ।০১৭১১-৯৮১০৫১,০১৮৯৭৯৮৪৪২০,০১৮৯৭৯৮৪৪২১।