বিদেশে উচ্চশিক্ষা করতে যাওয়া অনেকের কাছে সোনার হরিণ। আবার কারো কাছে পান্তা ভাত। সবাই বিদেশের স্টুডেন্ট ভিসা পান না।
আবার অনেকেই আছে যারা একটু চেষ্টা করলেই বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও ভিসা পাবে। এটি হয় শিক্ষার্থীর যোগ্যতার বলে।
এমনকি স্কলারশিপও পেয়ে যাবে। নিশ্চই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে, কারা সেই সৌভাগ্যের অধিকারী। আবার হত ভাগাটাই বা কে?
কেন বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবেন। কিভাবে যাবেন এবং কোন দেশে পড়তে গেলে আপনার জন্য ভালো হবে। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে
মনোযোগ দিয়ে নিচের লেখাটি পড়ুন।
কেন বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করবেন?
যদি খরচের কথা চিন্তা করেন তাহলে দেশের সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ভালো অপশন নেই। তার পর কেন বিদেশে পড়তে চায়?
কারণ পড়াশোনার মান, কর্ম সংস্থান ও নিরাপদ জীবন যাপনের উপর যারা গুরুত্ব দেন, তারাই বিদেশী বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি হতে চায়।
বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো সাধারণত ছাত্র রাজনীতি মুক্ত থাকা ও খাওয়ার মান অনেক ভলো। পড়াশোনার মান তো আছেই।
বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর বেশির ভাগই আমেরিকা, ইংল্যান্ড, কানাডা, জার্মানী, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ড অবস্থিত।
এছাড়াও ফিনল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, বেলজিয়াম, মালয়েশিয়া, চায়না, ইন্ডিয়াসহ উন্নত দেশ গুলোতে অবস্থিত।
তাই যদি আপনার আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকে তাহলে জীবনের সবচেয়ে বেটার বিনিয়োগটা বিদেশে পড়া লেখার জন্যই করুন।
আর যদি স্কলারশিপ পেয়ে যান, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
কিভাবে বিদেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন?
ধরেন আপনি কানাডার একটি বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে চান। তাহলে আপনার প্রথম কাজ হল সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা।
প্রস্ততি বলতে আমি বলছি না যে শুধু ভাল ফল অর্জন করলেই চলবে। বরং যে দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান সে দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে ভালো ধরণা নিতে হবে।
সংশ্লিষ্ঠ দেশের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার যোগ্যতাটাও তৈরি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ভর্তির প্রাথমিক অনুমতি জানিয়ে যে
চিঠি দিবে তাই অফার লেটার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত অফার লেটার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বার বার পড়তে হবে। ভালভাবে জেনে নিন টিউশন ফির পরিমাণসহ অন্যান্য বিষয়।
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য করণীয় কি?
স্কলারশিপের জন্য দরকার হল, ভালো রেজাল্ট, ভাষা দক্ষতা, সময়মত পরিকল্পনা গহন ও নিরলস প্রচেষ্টা। এ কয়টি জিনিসই বিদেশে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি পাওয়ার পূর্বশর্ত। এ বিষয়গুলো যথা যথভাবে পালন করলেই স্কলারশিপ খুব সহজেই হাতে নাগালে চলে আসবে। অন্যথায় পণ্ডশ্রমই করে যেতে হবে। তখন স্কলারশিপ নামক সোনার হরিণ আর ধরা দেবে না। মনে রাখতে হবে যে শিক্ষার্থী দেশে স্কলারশিপ
পাওয়ার জন্য যোগ্য সে বিদেশেও বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য। রেজাল্ট খারাপ, ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা নেই এমন শিক্ষার্থীর জন্য কিন্তু ফুল স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভনা কম।
হাঁ সে আংশিক স্কলারশিপ পেতে পারে।মূলত দেখার বিষয় হল, সংশ্লিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ উচ্চশিক্ষা বৃত্তির জন্য যা চায় আপনার তা আছে কিনা?
বিদেশে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি জন্য Youth Opportunities, youth carnival, খোলা বাক্স, এর মত ওয়েবসাইট গুলো ভিজিট করতে পারেন।
অথবা যে দেশে বা যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চান সে দেশ বা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর নিজস্ব ওয়েব সাইট নিয়মিত ভিজিট করতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে কখন তারা উচ্চশিক্ষা বৃত্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাল করে।
আপনি কোন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান?
নিচের টেবিল থেকে যে দেশের পড়াশোনা ও স্কলারশিপের সুযোগ সম্পর্কে জানতে চান তার উপরে ক্লিক করে বিস্তারিত পড়ুন।
মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা | ভারতে উচ্চশিক্ষা | চীনে উচ্চশিক্ষা |
ইউকে উচ্চশিক্ষা | কানাডা উচ্চশিক্ষা | আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা |
সৌদিআরবে উচ্চশিক্ষা | তুরস্কে উচ্চশিক্ষা | হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষা |
জাপানে উচ্চশিক্ষা | জার্মানীতে উচ্চশিক্ষা | সিঙ্গাপুরে উচ্চশিক্ষা |
ভাষা দক্ষতা কেমন লাগে?
এ পর আপনার যা লাগবে সেটি হল ভাষার দক্ষতা। আমেরিকা, কানাডা, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশের প্রধান ভাষা যেহেতু ইংরেজি তাই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। যেহেতু পৃথিবীর প্রায় সকল দেশই নিজদেশের ভাষা অথবা আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি ভাষায় পড়াশোনা করতে হয়।
সুতরাং বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন ভাষাগত দক্ষতা। আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে প্রায় পৃথিবীর সব দেশেই ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশোনা করা যায়। তাই বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ইংরেজী বিষয়ে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এমকি দেশেও প্রায় সকল সাবজেক্টে ইংরেজিতে পড়তে এবং লিখতে হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মাত্রায় স্কোর চাওয়া হয়। তবে বেশিরভাগই আইইএলটিএস (IELTS) স্কোর ৫.৫ থেকে ৬.৫। এবং টোফেল (TOEFL) স্কোর ৬০ থেকে ১০০ পর্যন্ত চায়। এছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে জিআরই (GRE) অর্থাৎ- Graduate Record Examination, জিম্যাট (GMAT) অর্থাৎ- Grauate Management Admission Test, নিউস্যাট (NEWSAT) ইত্যাদি পরীক্ষার প্রয়োজন হয়ে থাকে।
বিদেশে পড়াশোনার খরচ কেমন?
বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে, শুরুতেই নিশ্চিত হোন আপনার পরিবার সে খরচের যোগান দিতে পারবে কি না। এছাড়া যদি অন্য কেউ আপনার ব্যয়ভার বহন করে তাহলে তার সঙ্গে আপনার রক্তের সম্পর্ক কি না তা নিশ্চিত হোন । কারণ, ভিসা অফিসের অফিসার চান শিক্ষার ব্যয়ভার বহনকারীর সঙ্গে যেন শিক্ষার্থীর রক্তের সম্পর্ক থাকে। এবং আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণস্বরূপ প্রতিটি দূতাবাসেই ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। যা সংশ্লিষ্ঠ ব্যাংক থেকে গ্রহণ করতে হয়। দূতাবাসের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদানও করতে হয়।
কোন দেশের স্টুডেন্ট ভিসা নেবেন?
আপনি বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাবেন কিনা এর উপর ভিত্তি করে দেশ নির্বাচ করা উচিৎ। কারণ বিদেশে পড়ালেখার সাথে ব্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে। যদি স্কলারশিপ পেয়ে যান, তাহলে বিশ্বের এক নম্বর দেশের ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং এ এক নম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে অসুবিধা নাই।
কিন্তু যদি স্কলারশিপ না পান। অথবা আংশিক স্কলারশিপ পান সেক্ষেত্রে আপনার সামর্থ অনুযায়ি দেশ নির্বাচন করা উচিৎ।
কারণ, আমেরিকায় সাধারণত গ্রাজুয়েট লেভে পড়তে বছরে বিশ লাখ টাকা লাগে। কানাডায় বছরে পনের লাখ টাকা লাগে।
অস্ট্রেলিয়া ও ইউকেতে পনের থেকে আঠারো লাখ টাকা লাগে। মালয়েশিয়া, চায়না ও ইন্ডিয়ায় মোটামুটি বাংলাদেশের
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মতই পড়া লেখার খরচ।
সঠিক কোর্স নির্বাচন করবেন কিভাবে?
গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট ও পিএইচ.ডি ডিগ্রীসহ উচ্চতর সকল প্রোগ্রামেই কোর্স নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান গ্লোবালাইজেশনের যুগে উচ্চশিক্ষার অনেক কোর্সের মধ্যে আপনাকে এমন একটী কোর্স বেছে নিতে হবে যা আপনার ভবিষ্যৎ পেশাগত দক্ষতার পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে গণ্য হবে।
তাছাড়া বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য আপনি একেবারে একটি নতুন বিষয়ও বেছে নিতে পারেন। আমাদের দেশে প্রচলিত নয় কিন্তু বিশ্ব প্রেক্ষাপটে গুরত্বপূর্ন এবং চাহিদা সম্পন্ন এরকম কোন বিষয়কেও আপনি পছন্দ করতে পারেন। তবে সাধারন বিদেশের পাশাপাশি আমাদের দেশও যথেষ্ট চাহিদা আছে এরকম কোন কোর্সকে উচ্চশিক্ষার নির্বাচন করাই শ্রেয়।
আরো পড়ুন- বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির জন্য সকল সাবজেক্ট এর তালিকা…
কীভাবে স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং করবেন?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর তাদের পাঠানো অফার লেটার বা ভর্তির অনুমতিপত্রে উল্লেখিত ডেডলাইনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে হবে। অন্যথায় ভর্তি বাতিল হবে। তাই নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে আপনাকে সেদেশের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও প্রায় সব নিয়মই এক রকম। কোন দেশে ভিসা পেতে হলে প্রথমে সে দেশের ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ভিসার আবেদনপত্র সরবরাহ করে থাকে। তা না হলে নির্দিষ্ট দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সঠিক তথ্য দিয়ে নির্ভুল ভাবে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ দূতাবাসে জমা দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসার জন্য সাধারনত যে সব কাগজপত্র লাগে-
- শিক্ষাগত কাগজপত্রঃ সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ মূলকপি।
- পাসপোর্টঃ পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ১ বছর থাকতে হবে এবং পেশা, জন্ম তারিখ ও অন্যান্য সকল তথ্যের সাথে শিক্ষাগত
কাগজ পত্রের মিল থাকতে হবে। আপনার পাসপোর্ট করা না থাকলে পাসপোর্ট করে নিন। - শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমানপত্র বা অফার লেটার।
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমানপত্রঃ আবেদন ও ভর্তি প্রসেসিং অংশে এ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিন।
- ছবিঃ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে, পরিস্কার ভদ্র পোশাকে তোলা স্মার্ট ও স্পষ্ট ছবি হলে ভাল হয় এবং রঙ্গিন হওয়াই উত্তম।
- টিউশন ফি’র ব্যাংক ড্রাফটঃ প্রতিষ্ঠান ভেদে টিউশন ফি ভিন্ন হয়ে থাকে।
- ভাষাগত দক্ষতার প্রমানপত্রঃ আবেদন ও ভর্তি প্রসেসিং অংশে দেখুন।
- পুলিশ ছাড়পত্রঃ পুলিশ ছাড়পত্রের জন্য নিজ নিজ থানায় যোগাযোগ করে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদানের মাধ্যমে এটি সংগ্রহ করা যায়।
তবে আপনার বিরুদ্ধে দেশ ও আইনবিরোধী কন কাজে জরিত থাকের অভিযোগ থাকলে আপনি পুলিশ ছাড়পত্র পাবেন না।
কোন দেশে বিনা বেতনে পড়াশোনার সুযোগ আছে?
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইউনিভার্সিটিগুলোতে নাম মাত্র ব্যয়ে অথবা বিনা বেতনে অধ্যয়নের সুযোগ রয়েছে জার্মানীতে। জার্মান সরকার তাদের বাজেটের একটি বিরাট অংশ ব্যয় করে শিক্ষা ক্ষাতে। তাই এখানে স্কলারশিপসহ অনেক ভালো মানের শিক্ষা লাভ করা যায়। আপনি যদি স্কলারশিপ নাও পান, তবে গ্রাজুয়েট কোর্সের জন্য প্রতি বছর মাত্র ৩৫০০ ডলার খরচ হবে।
উত্তর পূর্ব ইউরোপের স্ক্যান্ডেনেভিয়ান পাঁচটি দেশ (ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন) এ দেশ গুলোতেও খুব সুবিধা নিয়ে পড়ালেখা করা যায়। যেমন, নরওয়েতে বিশ্বমানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি স্তরে উচ্চশিক্ষা একদম ফ্রি, সেক্ষেত্রে নরওয়েজিয়ান ভাষায় দক্ষতাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডেও বিভিন্ন স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে । এ সব বৃত্তির মাধ্যমে বিনামূল্যে পড়ালেখা ছাড়াও থাকা-খাওয়ার জন্য বৃত্তি পাওয়া যায়। তবে এসব সুবিধা সাধারণত স্নাতকোত্তর কিংবা পিএইচডি ডিগ্রীর জন্য দেওয়া হয়।
বিদেশে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম কাজের সুযোগ আছে কি?
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য পার্টটাইম কাজের সুবিধা আছে। এ সুবিধাটি আমাদের মতো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই প্রয়োজন।
সেসব দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা (ঘণ্টাভিত্তিক পারিশ্রমিক সুবিধায়) কাজ করার সুবিধা আছে।
এ সুবিধা শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচের একটা বড় অংশের যোগান দেয়। সে দেশে যাওয়ার পরই এসব সুবিধা গ্রহণের পথ খুঁজে পাবেন।
কানাডায় উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বর্তমানে কানাডায় উচ্চশিক্ষা একটি স্বপ্ন। কারণ, কানাডার আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা
অনেক কম তাদের প্রচুর মানব সম্পদ দরকার এজন্য লেখাপড়া শেষ করে পার্মানেন্ট হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক
সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। শুধু তাই নয় কানাডায় পড়াশোনা চলাকালীন পার্ট টাইম জব করার সুযোগও রয়েছে। তবে পার্ট টাইম জব
করে পড়াশোনার খরচ চালানো সম্ভব কি না? কানাডায় যাওয়ার জন খরচ কেমন লাগবে? কোন প্রদেশে পড়াশোনা করা ভালো, থাকা খাওয়ার খরচ কেমন? এ বিষয় গুলো
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আগেই জেনে নিতে হবে। আর তা না হলে কানাডা যাওয়ার পর বিপদেও পড়তে পারেন। তাই গিয়া ভাবভার আগে ভাবিয়া কানাডা যান।
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত…
ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪
আপনি কি ইউকেতে পড়াশোনার জন্য আগ্রহী? এটা নিয়ে কি আপনার মনে অনেক প্রশ্ন? আর কোন চিন্তা নেই, আমরা আছি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার জন্য। যাতে করে আপনি আপনার মেধা কাজ লাগিয়ে সফলভাবে ইউকে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে পারেন সে জন্যই আমরা আছি আপনার পাশে। আইএলটিএস ছাড়াই সরাসরি ইউকেতে গ্রাজুয়েশন পোস্ট গ্রাজুয়েশন করা সম্ভব একটি ব্যাপার।
এবং প্রসেসিংয়ের সময় মাত্র দুই মাস। তাই স্বপ্ন পূরণে আর দেরি না করে আজই চলে আসুন আমাদের অফিসে। অথবা যোগাযোগ করুন নিচের মোবাইল নাম্বারে। আমরা আপনাকে দেব সঠিক
স্টুডেন্ট ভিসা ইনফর্মেশন, ফিনান্সিয়াল গাইডেন্স, স্টেটমেন্ট অফ পারপাস, অ্যাপ্লিকেশন সাবমিশন টেকনিক ও ইউকে স্কলার্শিপ ২০২৪।
বিস্তারিত যোগাযোগ...
অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা
এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বে ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত বারো হাজারেরও বেশি সমুদ্র সৈকত বিশিষ্ট, অর্থনীতিতে সমৃদ্ধশালী, খেলাধূলায় অগ্রসর এই
দেশটি তরুণ শিক্ষার্থীদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। তাছাড়া দেশটি শিক্ষাব্যবস্থা, গবেষনা, উদ্ভাবন, জীবনযাত্রার মান ও বসবাসের দিক থেকে সেরা।
আর সব মিলিয়ে অন্যতম শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবেও বিবেচিত অস্ট্রেলিয়া। তাই তো প্রতি বছর পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে সাত থেকে আট লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পাড়ি জমায় অস্ট্রেলিয়াতে। অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণ অনেকটা ব্যয় বহুল হলেও স্কলারশিপ নিয়ে এই দ্বীপ দেশটিতে পাড়ি জমাতে পারেন আপনিও।
বিস্তারিত অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা…
মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা
অবশ্যই মালয়েশিয়া স্বল্প খরচে থাকা ও পড়াশোনার জন্য অন্যতম একটি দেশ। মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর বেস্ট স্টুডেন্ট সিটিজ ক্যাটাগরিতে ২০১৬ সবচেয়ে সাশ্রয়ী শহরের মর্যাদা লাভ করেছে। মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষার মান খুবই উন্নত। মালয়েশিয়া থেকে লেখাপড়া করে পৃথিবীর যেকোন দেশে চাকুরী অথবা পরবর্তী পর্যায়ের লেখাপড়ার জন্য যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মালয়েশিয়ায় কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, এমবিবিএস, বিবিএ, এম.বিএ. পিএইচ.ডিসহ প্রায় সকল বিভাগে পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে।
মালয়েশিয়াতে পড়াশোনার সকল বিষয় জানতে আরও পড়ুন- মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ এটুজেড…
চায়না স্কলারশীপ উচ্চশিক্ষা ২০২৪
চায়নাতে ১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে অবস্থিত অবস্থিত সকল ইউনিভার্সিটি তে স্টাডি করতে পারেন এবং চায়নার লিভিং কস্ট বাংলাদেশের মতোই। আপনি সেখানে থাকলে চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ এবং চাইনিজ কালচার এবং খাবার-দাবার রপ্ত করতে পারবেন এবং যেটি পরবর্তীতে আপনার জীবন চলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কাজে লাগবে। ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ এবং সংস্কৃতি খুবই গুরুত্ববহ।চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ জানা থাকলে আপনি চায়নার বড় বড় কোম্পানির সঙ্গে চাকরি করতে পারবেন এবং বাংলাদেশও অনেক চাইনিজ কোম্পানি এবং চাইনিজ বিনিয়োগ এবং চাইনিজ অফিসার রয়েছে এবং আপনি চাইনিজ ভাষা জানলে সেগুলোতে কাজ করতে পারবেন চাকরি করতে পারবেন অথবা তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন।
চায়না স্কলারশিপ ও পড়াশোনা বিস্তারিত…
ভারতে উচ্চশিক্ষা
ভারতীয় সরকার থেকে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া বেসরকারী বিশশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তির
ব্যবস্থা কম থাকলেও ভাল ফলাফল সাপেক্ষে আংশিক স্কলারশিপের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ
ইউরোপ কিংবা আমেরিকার তুলনায় অনেক কম। তাছাড়া থাকা খাওয়ার খরচও অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক সস্তা।
ভারতে উচ্চশিক্ষা বিস্তারিত…
অস্ট্রিয়ায় পড়ালেখা
আইনস্টাইন যে শহরে পড়ালেখা করেছেন অস্ট্রিয়ার রাজধানী সেই ভিয়েনা বিশ্বের অন্যতম শিক্ষার্থীবান্ধব শহর বলে বিবেচিত।
এ দেশটিতে পড়াশোনা করা যায় অপেক্ষাকৃত কম খরচে। ইউরোপীয়দের জন্য যেখানে সেমিস্টার ফি ৪৫০ ডলার,
সেক্ষেত্রে অন্যদের জন্য ৭০০ ডলারের মতো, যা উন্নত অনেক দেশের তুলনায় কম।
তাইওয়ান পড়ালেখা
এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানও শিক্ষার দিক দিয়ে বেশ অগ্রসর। দেশটিতে লিবারেল আর্টসের যে কোনো বিষয়ে পোস্টগ্র্যাজুয়েট করতে প্রায় ৩ হাজার ইউএস ডলার লাগে। তা ছাড়া জীবনযাত্রার খরচও তুলনামূলক অনেক কম। প্রতিবছর আবাসনের পেছনে গড়ে ২ হাজার ৩৩০ ইউএস ডলার ব্যয় হয় এই দেশটিতে। বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে দেশটির বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থী বান্ধব শহরের মধ্যে শীর্ষ ২০ এর একটি তাইওয়ানের রাজধানী তাইপে। এছাড়া তো আছেই সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের নামমাত্র খরচে পড়ালেখার সুযোগ ও স্কলারশিপ।
ইতালিতে পড়ালেখা
ইতালিতে একাডেমিক সাফল্যের সাথে বিভিন্ন যোগ্যতাকেও প্রাধান্য দিয়ে ছাত্রবৃত্তি, লোন, বেতন হ্রাসের ব্যবস্থা করে তারা। থাকা-খাওয়ার জন্য খরচ ইউরোপীয় দেশের তুলনায় বেশি।
এখানে বছরে ১৪ হাজার ডলারের মত লাগে। রাজধানী রোম, বিখ্যাত শহর মিলান ছাড়াও আরো বেশ কিছু শহরে
অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়সূহ বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষার্থীদের জন্য পছন্দের জায়গা।
গ্রিসে পড়ালেখা
গ্রিসে সরকারী ইউনিভার্সিটিতে বিনা টিউশন ফিতে বা অল্প খরচে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। তবে সেটা ব্যাচেলর লেভেলে, মাস্টার্সে নয় ।
কিন্তু ব্যাচেলর প্রোগ্রামের বেশিরভাগই গ্রীক ভাষায় অধ্যায়ন করতে হয়। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাচেলর ও
মাস্টার্স পর্যায়ে ইংরজিতেও উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
পোল্যান্ড পড়ালেখা
আপনি যদি পোলিশ ভাষায় পারদর্শী হন এবং পোলিশ ভাষায় আপনার কোর্স এনরোল করেন, তাহলে অন্য সকল পোলিশ শিক্ষার্থীর মতো আপনিও বিনামূল্যে অধ্যায়ন করতে পারবেন। ইংরেজিতেও আপনার ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ আছে এই দেশটিতে।
তবে, সেক্ষেত্রে আপনার প্রতি বছরে প্রায় ২ হাজার ১৮৫ থেকে ৩ হাজার ২৮০ ইউএস ডলার ব্যয় হবে।
স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪ চেক লিস্ট:
বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়ার আগে নিচের বিষয় গুলো সম্পন্ন করেছেন কিনা, মিলিয়ে নিন। আর তা না হলে বিপদেও পড়তে পারেন।
সুতরাং মনোযোগ সহকারে নিচের অংশটি পড়ুন।
- ইংরেজীতে দক্ষতা অর্জন করা। তবে চীন, জাপান, জার্মানী, ফ্রান্স এসব দেশে যেতে চাইলে ঐ দেশের ভাষাটা শিখে নেয়া ভালো। প্রয়োজনে GRE, SAT, GMAT বা TOFEL প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
- সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ইংরেজীতে করিয়ে নিতে হবে।
- পাসপোর্টে যাতে কোন সমস্যা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট হওয়া দরকার।
- যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান তার খরচ জোগার করা। যদি কর্তৃপক্ষ মনে করে ব্যয়ভার বহন করা শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভব নয়,
তাহলে ভিসা মিলবে না। - কোন এডুকেশন কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইলে আগে তাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া।
বাংলাদেশের বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান সমূহ
বাংলাদেশে বেশ কিছু স্টুডেন্ট ভিসা কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে অবশ্যই ভালো-খারাপ আছে। যদি আপনি সত্যিই প্রতারণার হাত থেকে বাঁচতে চান,
এবং দৃঢ় সিন্ধান্ত নেন পড়াশোনার জন্য বিদেশে যাবেন তাহলে ভালোভাবে যাচাইবাছাই করে কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নিন।
আগে ভেবে দেখুন আপনার যোগ্যতা, অর্থনৈতিক সামর্থ্য, উদ্দেশ্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী কোর্স ও ইউনিভার্সিটি ঠিক আছে কিনা। অন্যথায় কারো প্ররোচনায় পড়ে
আপনার যে যোগ্যতা নেই সেই অফার নিয়ে বিদেশে পড়তে গেলে কিন্তু সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি!
ফ্লাই করার পূর্বে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট দেশের জীবন যাত্রা সম্পর্কে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
যাতে করে বিদেশ যাওয়ার পর স্টুডেন্টকে কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হয় না। সর্বপরি আমার সাথে যোগাযোগ করে বিদেশে উচ্চশিক্ষা পরামর্শ সেবা নিতে পারেন।
ট্যাগ: বিদেশে উচ্চশিক্ষা, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও ভিসা তথ্য, বিদেশে উচ্চশিক্ষা কেন করব, বিদেশে উচ্চশিক্ষা, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ ২০২৪, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ ২০২৪, বিদেশে উচ্চশিক্ষা বৃত্তি, বিদেশে উচ্চশিক্ষা প্রথম আলো, বিদেশে উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা, এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা, এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা
বিদেশে উচ্চশিক্ষার যোগ্যতা, কম সিজিপিএ নিয়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা।
online seminars with a certificate, online seminars free, online seminars for students, ফ্রি অনলাইন সেমিনার, উচ্চশিক্ষার জন্য সেমিনার।
প্রিয় স্টুডেন্ট ও অভিভাবক, এই সময়ে প্রথিবীর যেকোনো দেশে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে পড়তে যাওয়া বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য খুবই দরকার। এবং করোনা পরিস্থিতির পর স্টুডেন্ট ভিসা
আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। এই সুযোগ ভবিষ্যতে নাইও থাকতে পারে। তাই আপনার উজ্বল ভবিষ্যতের জন্য এখই বিদেশে উচ্চশিক্ষার সিন্ধান্ত নিন।
বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক যেকোনো প্রয়োজনে-
যোগাযোগঃ সেবারু,২/৪ ব্লক-জি,লালমাটিয়া,ঢাকা-১২০৭,বাংলাদেশ।০১৭১১-৯৮১০৫১,০১৮৯৭৯৮৪৪২০,০১৮৯৭৯৮৪৪২১।