প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ বেঁচে থাকার জন্য প্রতিটি জীবের প্রয়োজন। আর এই পরিবেশ সুরক্ষায় জাতিসংঘ ৫ জুনকে
বিশ্ব পরিবেশ দিবস রুপে ঘোষণা করেছে। পরিবেশের যেকোন ক্ষতির জন্য প্রাণীকুলের বিনাশ জড়িত। আর তাই প্রাণের
বিকাশ ও পৃথিবীর জন্য সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক সংস্থা জাতিসংঘ এর গুরুত্ব অনুধাবন করে
বিশ্ব জুড়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি পালন করে।
পরিবেশ দিবসের সূচনা কবে?
১৯৬৮ সালে সুইডেন সরকার প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতি সবার মনোযোগ আকর্ষনের জন্য জাতিসংঘের কাছে একটি
প্রস্তাবনা পাঠায়। আর তারই ফলে আন্তর্জাতিক এই সংস্থা একটি অধিবেশনে এই নিয়ে তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সাথে
আলোচনা করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালে ৫ থেকে ১৬ জুন \”জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন\” অনুষ্ঠিত
হয়। আর তার পরে ১৯৭৩ সালে সংস্থাটি ৫ জুনকে পরিবেশ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়। আর ১৯৭৪ সাল থেকে
সকল সদস্য দেশ এই দিনটি পালন করে আসছে। প্রতি বছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারন করা হয় এই দিবস
উপলক্ষ্যে।
কেন পালন করা হয় পরিবেশ দিবস?
প্রথমে সামুদ্রিক দূষণ, জনসংখ্যা, গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বন্যপ্রানীর মতো বিষয় নিয়ে পরিবেশ দিবস পালন করা হত। তার
পরবর্তিতে প্রতি বছর আলাদা প্রতিপাদ্য সমসাময়িক বিষয় নির্ধারন করা হত। আর তা ১৪৩ টি দেশে একযোগে পালন
করা হয়। মানুষ যেন প্রকৃতি ও পরিবেশের গুরুত্ব অনুভব করে পরিবেশ সংরক্ষন ও এর প্রতি যত্নশীল হয় তার জন্য
এই দিন পালন করা হয়।
ফেসবুক স্ট্যাটাস পরিবেশ দিবস উপলক্ষে
পরিবেশ দিবসের সচেতনতায় বিখ্যাত ব্যক্তিরা ফেসবুক স্ট্যাটাস সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা এই দিনকে আরো অর্থবহ করে।
বিখ্যাত ব্যক্তি দালাই লামা তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন
এছাড়া আরো নানা ব্যক্তি বর্গ এই দিবসে নানা পোস্ট দিয়ে থাকেন। তেমনি আরো কিছু পোস্ট হলঃ
এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা ও সরকারি সংস্থাও এই দিবস উপলক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বানী বা পোস্ট শেয়ার করে মানুষের সচেতনতার জন্য। আর নানা সভা, র্যালী ও সেমিনার এই দিনকে আরো অর্থবহ করে।
আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ নিয়ে আর্টিকেল পড়তে পারেন। আর জানতে
পারবেন সকল গুরুত্বপূর্ণ দিবস যা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে আমাদের
কমেন্ট করুন। আর জানান আপনি কি বিষয়ে জানতে চান। ধন্যবাদ।