পোল্যান্ড, দেশ হিসেবে যার রয়েছে সমৃদ্ধ ইতিহাস এবং অপূর্ব সৌন্দর্য্য। শুধু ইতিহাস আর সৌন্দর্য্যে নয়, জীবনযাত্রার মান বিবেচনায়ও পোল্যান্ড অনন্য। তাছাড়া ইউরোপ মহাদেশের মধ্যস্থলের এই দেশটি কিন্তু অনেক প্রতিভাধর ব্যক্তিত্বের জম্মভূমিও বটে। নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রথম নারী মেরি কুরি কিংবা বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস কোপার্নিকাসের মতো খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের বিকাশ এই পোল্যান্ডের মাটিতেই, পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়েই। আর তাই পড়াশোনার মানে প্রাচীনকাল থেকেই প্রশংসনীয় বিধায়, পৃথিবীর নানা প্রান্তের বহু শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বপ্নভূমি পোল্যান্ড। আপনারও যদি পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ থাকে এবং আপনি যদি স্কলারশিপ নিয়ে পোল্যান্ডে পাড়ি জমাতে চান, তবে আজকের এই ভিডিও আপনার জন্য। এই ভিডিও তে আমি আপনাকে জানাবো পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ও স্কলারশিপ কিংবা ভিসা পেতে কি কি করণীয়, কি কি ডকুমেন্টস থাকা প্রয়োজন, এ সমস্ত বিষয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে। তাই আমার সাথেই থাকুন।
বিশ্ববিদ্যালয় ও কোর্স নির্বাচন
পোল্যান্ডের উচ্চশিক্ষা প্রদানকারী অনেকগুলো ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন, ইউনিভার্সিটি, টেকনিক্যাল ইউনিভারসিটি, মেডিক্যাল একাডেমি, এগ্রিকালচারাল একাডেমি, ইকোনমিক্যাল একাডেমি। আর পোল্যান্ডে বিশ্বমানের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তম্মধ্যে Jagiellonian University, University of Warsaw, Adam Mickiewicz University Poznan, Gdańsk University of Technology, AGH University of Science and Technology অন্যতম। এছাড়াও পোল্যান্ডে আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যেগুলো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গ্লোবাল র্যাংকিং এ অনেক এগিয়ে।
পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট কিংবা গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে বিভিন্ন ফিল্ডে পড়াশোনা করার বহু কোর্স চালু রয়েছে। যেগুলো আন্তর্জাতিক চাকুরী বাজারে যথেষ্ট চাহিদা সম্পন্ন। তম্মধ্যে জনপ্রিয় কিছু ফিল্ড হলো, Environmental Science, Fashion Designing, Business Management, Art, Economics, Data Science ইত্যাদি। এছাড়াও পোল্যান্ডে নার্সিং কোর্সেরও গুরুত্ব অনেক। তাই প্রতিবছর বিভিন্ন দেশের অনেক শিক্ষার্থী এই নার্সিং পড়ার জন্যও পোল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছে।
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় ভাষা পোলিশ হওয়ায় পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশিরভাগ কোর্স এই পোলিশ ভাষায় পড়ানো হয়। তবে ভয় পাবার দরকার নেই, শুধু পোলিশ ভাষাতে নয় ইংরেজী ভাষাতেও বহু কোর্স চালু রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে একটূ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট ঘাটাঘাটি করে খুঁজে বের করতে হবে। আর আপনি চাইলে পোলিশ ভাষার কোর্সও করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা ল্যাংগুয়েজ টেস্ট দিতে হবে। আর বাংলাদেশেই বিভিন্ন ইনস্টিটিউট রয়েছে যারা পোলিশ ভাষা ট্রেনিং দেওয়ায়। এ সকল ট্রেনিং সেন্টার থেকে চাইলেই আপনি খুব দ্রুত সময় পোলিশ ভাষা শিখতে পারবেন।
টিউশন ফি ও অন্যান্য খরচ
সুইজারল্যান্ড, EU/EEA এর অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহ থেকে শিক্ষার্থীরা যদি পোল্যন্ডের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোলিশ মাধ্যমে পড়াশোনা করতে আসে, তবে তাঁদের টিউশন ফি বাবদ কোনো খরচ পরিশোধ করা লাগে নাহ। আর যেহেতু আমরা এই সকল অঞ্চলের নাহ, তাই আমাদের ক্ষেত্রে ব্যাচেলর কিংবা মাস্টার্স পর্যায়ে টিউশন ফি তো লাগবেই। এক্ষেত্রে ব্যাচেলর ডিগ্রীর জন্য আপনার বছরে ৫০০ থেকে ৬০০০ ইউরো পর্যন্তও খরচ হতে পারে। আর ব্যাচেলরের পড়াশোনার ক্ষেত্রে প্রায় চার বছর সময় লাগে।
আর মাস্টার্সের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাধারণত সময় লাগে দুই বছর। আর এই মাস্টার্স ডিগ্রীর ক্ষেত্রে আপনার এই টিউশন ফি বাবদ খরচ হতে পারে ১০০০ থেকে ৮০০০ ইউরো পর্যন্ত। ।তবে এক্ষেত্রে সুসংবাদ হচ্ছে, পিএইচডি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে আপনার টিউশন ফি বা এই ধরনের কোনো চার্জ বা ফি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আর এই পিএইচডি এর ক্ষেত্রে সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন থেকে ছয় বছর। আর মাস্টার্স পর্যায়েও কিন্তু অনেক স্কলারশিপ বা ফান্ডিং রয়েছে। এগুলোর মাধ্যমে আপনি ফ্রি তেও পড়াশোনা করতে পারবেন। তবে ব্যাচেলর ডিগ্রীর ক্ষেত্রে এসব সুবিধা তুলনামূলক অনেক কম।
এবার আসি আবাসন খরচ ও অন্যান্য খরচের ব্যাপারে। যেহেতু পোল্যান্ডের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হোস্টেলে থাকার সুবিধা রয়েছে, সেহেতু হোস্টেলেই থাকতে পারেন। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকতে গেলে আপনার খরচ পড়বে ১০০ ইউরোর মতো, কিন্তু বাইরে বাসা নিয়ে থাকতে গেলে এই খরচ আরো অনেক বেশি পড়ে। এক্ষেত্রে বলা চলে, থাকা-খাওয়া বাবদ প্রতিমাসে আপনার ৩৫০ থেকে ৫০০ ইউরোর মতো লাগতে পারে। তবে কিছু কিছু শহরের ক্ষেত্রে এই খরচ ৫৫০ থেকে ৮০০ ইউরোও হতে পারে।
স্কলারশিপ ও ফান্ডিং
আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য পোল্যান্ডে বহু স্কলারশিপ চালু রয়েছে। যেগুলোর কোনোটি আপনার টিউশন ফি, থাকা-খাওয়া সহ এমনকি প্লেনে যাওয়ার খরচটাও বহন করবে। কোনোটি আবার আপনার টিউশন ফি তে বেশ ভালো ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকবে। আর এক্ষেত্রে বেশিরভাগ স্কলারশিপই দেওয়া হয়ে থাকে Polish National Agency for Academic Exchange (NAWA) এর তরফ থেকে। এছাড়াও সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে বিভিন্ন স্কলারশিপ বা ফান্ড দেওয়া হয় প্রতি বছরই। আবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্কলারশিপের ব্যবস্থা করে থাকে। যাইহোক, পোল্যান্ডের কিছু উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ হচ্ছে,
- Government of Poland Łukasiewicz Scholarship
- University of Warsaw Ph.D. Scholarship
- Maria Curie-Skłodowska University Scholarship
- Ulam International Programme
- SWPS University of Social Sciences and Humanities Scholarship
এছাড়াও আপনি এসিস্টেন্টশিপ ম্যানেজ করে অর্থাৎ রিসার্চ এসিস্টেন্ট কিংবা টিচার্স এসিস্টেন্ট হিসেবে ফান্ডিং বা গ্রান্ট নিয়েও আপনার পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারেন।
ভর্তির আবেদনের সময়কাল
পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরে দুটি সেমিস্টার হয়ে থাকে। আর প্রতিটা সেমিস্টারের কার্যক্রম সাধারণত ১৫ সপ্তাহ ধরে চলে। এক্ষেত্রে অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলে উইন্টার সেমিস্টার। আর সামার সেমিস্টার সাধারণত চলে ফেব্রুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত। অতঃপর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলে সামার ভ্যাকেশন। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির আবেদনের সময়কাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নির্ভর করে। সাধারণত, আমাদের মতো EU/EEA বহির্ভুত দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনের সময়কাল থাকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে আগষ্টের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও যোগ্যতা
এখন আমি আপনাদেরকে জানবো যে, পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ার জন্য আপনার কি ধরনের যোগ্যাতা থাকা লাগবে এবং আপনার কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন। এক্ষেত্রে,
- পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার জন্য দরকার ভালো সিজিপিএ বা গ্রেড। এক্ষেত্রে প্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ই নুন্যতম রিকোয়ারমেন্ট বেসলাইন হিসেবে একটা গ্রেড নির্দিষ্ট করে দেয়। তাই বিগত একাডেমিক পরীক্ষাগুলোতে ভালো একটা গ্রেড বা সিজিপিএ থাকা জরুরী।
- আপনি যদি ইংরেজী মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পোল্যান্ডে যেতে চান, তবে IELTS এ আপনার ৬.৫ থেকে ৭ এর মতো স্কোর থাকতে হবে। ল্যাঙুয়েজ টেস্ট এর জন্য আপনি চাইলে TOEFL, PTE ইত্যাদি এক্সাম ও দিতে পারেন।
- আর আবেদনের ক্ষেত্রে ডকুমেন্টস হিসেবে আপনার প্রয়োজন পড়বে বিগত সকল একাডেমিক সার্টিফিকেটস, ট্রান্সক্রিপ্টস, IELTS বা গ্রহণযোগ্য কোনো ল্যাঙুয়েজ টেস্টের সার্টিফিকেট, এনআইডি বা জম্মসনদ, পাসপোর্টের কপি, রিজিউমি, মোটিভেশন লেটার, রিকোমেন্ডেশন লেটার।
এক্ষেত্রে আরো কিছু ব্যাপার, মাস্টার্সে আবেদনের জন্য ব্যাচেলরের থিসিস থাকা লাগবে। আর তাছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত কোনো জার্নালে আপনার যদি কোনো রিসার্চ পেপার থাকে, তবে তা আপনার স্কলারশিপ পাবার ক্ষেত্রে অনেক সহায়ক হবে। আর কিছু কিছু নির্দিষ্ট কোর্সের জন্য যেমন, মাস্টার্স অব আর্টস, ফিজিক্যাল এডুকেশন, মেডিক্যাল ইত্যাদির ক্ষেত্রে আপনার Aptitude Test দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
পোল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য কি কি যোগ্যতা ও ডকুমেন্টস থাকা দরকার সে সম্পর্কিত খুটিনাটি বিভিন্ন তথ্য দেওয়া আছে। তাই ওয়েবসাইটগুলো ঘাটাঘাটি করলে আরো সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম তথ্য সম্পর্কে জেনে যাবেন।
ভিসার জন্য আবেদনের নিয়মাবলী এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
এখন আমি আপনাকে একটি দুঃখের সংবাদ দিব। আর তা হলো বাংলাদেশে পোল্যান্ডের কোনো এম্ব্যাসী নেই, তাই আপনাকে পোল্যান্ডের ভিসার জন্য যেতে হবে ভারতের দিল্লীতে। সেখানে গিয়ে আপনাকে এই ভিসার জন্য ৪৯০০ রুপি পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আপনাকে পরিশোধ করতে হবে ইন্ডিয়ান কারেন্সিতে। এক্ষেত্রে ভিসা প্রসেস হতে সাধারণত ১৪ দিনের মতো সময় লাগে, তবে ক্ষেত্রবিশেষ আরেকটু বেশি সময়ও লাগতে পারে।
আর এই ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে, প্রথমেই আপনাকে পোল্যান্ড ভিসা আবেদন ফর্মটি ডাউনলোড করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে নিতে হবে। অতঃপর পোল্যান্ড শেঞ্জেন ভিসা আবেদন ফর্মটি পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে, এই শেঞ্জেন ভিসা আপনার কাছে থাকলে আপনি শেঞ্জেন ভুক্ত দেশগুলোতে এই একই ভিসা দিয়েই যাতায়াত করতে পারবেন। তবে এটি একটি স্বল্প স্থায়ী ভিসা। অর্থাৎ আপনি সর্বোচ্চ তিন মাসের জন্য শেঞ্জেন ভুক্ত কোনো দেশে এই ভিসা দিয়ে পর্যটন বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে যেতে পারবেন।
যাই হোক এবার আসি, পোল্যান্ডের ভিসার জন্য আপনার আর কি কি কাগজপত্র লাগবে সেই ব্যাপারে। এক্ষেত্রে, আপনাকে আবেদন ফর্মটির সাথে আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করে দিতে হবে। এছাড়াও আপনার দরকার হবে বৈধ পাসপোর্ট, অফার লেটার, সিভি বা রিজিউমি, একাডেমিক কাগজপত্র, IELTS সার্টিফিকেটের কপি, ভিসা এপ্লিকেশন পেমেন্ট ফি এর কপি, ব্যাংক সলভেন্সি ডকুমেন্টস, হেলথ ইনসিওরেন্স ইত্যাদি। এছাড়াও আরো অতিরিক্ত কিছু কাগজপত্রেরও প্রয়োজন হতে পারে।
কাজের সুবিধা ও স্থায়ী বসবাস
ইউরোপের অন্যান্য দেশ যেমন, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, স্পেন ইত্যাদি দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করার জন্য সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজের অনুমতি পায়। পক্ষান্তরে পোল্যান্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পার্ট টাইম জবের জন্য সপ্তাহে ১০ ঘন্টা কাজের অনুমতি পায়। তবে ইউরোপের অন্যান্য সব দেশের মতো সামার ভ্যাকেশনে পোল্যান্ডের শিক্ষার্থীরা ফুল টাইম কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে। আর আপনার যদি পোলিশ ভাষা ভালোভাবে আয়ত্বে থাকে, তবে তা আপনাকে ভালো বেতনের কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিবে।
স্বাভাবিকভাবেই আপনার পড়াশোনা শেষ করতে প্রায় চার বা পাঁচ বছর লেগে যাবে। অতঃপর আপনি পোল্যান্ডে স্থায়ী বুসবাস বা পারমানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) এর জন্য চাইলে আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি পিআর কার্ড পেয়ে যান, তবে আপনি দশ বছর পোল্যান্ডে এই কার্ডের বদৌলতে থাকতে পারবেন। কারণ এই কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা থাকে দশ বছর। এছাড়াও আপনি পিআর পাবার পাঁচ বছর পর নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, আপনি যদি পোল্যান্ডের কোনো নাগরিককে বিয়ে করেন তবে মাত্র তিন বছরের মধ্যেই পাবেন স্থায়ী বসবাসের সুযোগ।
পরিশেষে,
আশা করি, অত্র আলোচনায় পোল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ সংস্ক্রান্ত যাবতীয় বিষয়াদি নিয়ে আপনার মনের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। এছাড়াও আপনার মনে যদি এ সংক্রান্ত আরো কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তবে এক্ষুণি তা কমেন্ট বক্সে করে ফেলুন। আর বিদেশে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক যেকোনো প্রয়োজনে-
যোগাযোগঃ সেবারু,২/৪ ব্লক-জি,লালমাটিয়া,ঢাকা-১২০৭,বাংলাদেশ।০১৭১১-৯৮১০৫১,০১৮৯৭৯৮৪৪২০,০১৮৯৭৯৮৪৪২১।