এতোকাল আমরা জেনে এসেছি ইউটিউব এ কনটেন্ট বানানোর মাধ্যমে আয় করা যায়। তবে তার পাশাপাশি ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে বেশ বড় অংকের টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই।
আর সে কারণে আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছে কিভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থাৎ ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আয় করা যায় সে সম্পর্কে।
জেনে নেওয়া যাক!
- ফেইসবুক এ কনটেন্ট আপলোড করে আয় করার জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে একটি ফেসবুক পেজ।
- ফেসবুক পেজে থাকতে হবে ন্যূনতম 10 হাজার ফলোয়ার।
- দুই মাসের ভেতরে 60000 মিনিট ওয়াচ টাইম সংগ্রহ করতে হবে।
- প্রত্যেকটি ভিডিও ন্যূনতম তিন মিনিটের হতে হবে।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে কেন ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করবেন?
শুরুতেই জানিয়ে রাখা ভালো! ফেসবুকে এবং ইউটিউবে মূলত সমান অংকের টাকা আয় করা যায় সমান ভিউয়ের ওপর ভিত্তি করে।
তবে আপনি কি একটা জিনিস কখনো লক্ষ্য করেছেন? ইউটিউব এর তুলনায় একটু ভিডিও ফেসবুকে বেশি ভিউজ হয়। এর অন্যতম একটি কারণ হলো, ফেসবুক কোন ধরনের কোয়ালিটি কন্টেন্ট পছন্দ হয় তাহলে মানুষ এটি অনেক বার শেয়ার করে, এবং ঝড়ের গতিতে ভিউজ বৃদ্ধি পায়। সুতরাং সেখান থেকে ইউটিউব এর তুলনায় ফেসবুকে আয় বেশী আসে।
ইউটিউব মনিটাইজেশন আনাটা অনেকটাই জটিল বিষয়, ফেসবুকে তুলনামূলক সোজা। এমনকি অনেক ফেসবুক পেজ রয়েছে, যেগুলো ফেসবুক এবং ইউটিউব উভয়খানেই ভিডিও কন্টেন্ট মেক করে থাকে ,অথচ ফেসবুকে তাদের আয় ,ইউটিউবের তুলনায় ১০০ গুন বেশী হয়।
তাদের কন্টেন্টের মূল বিষয় হল মোটিভেশনাল ভিডিও।
যেমনঃ Life motivation
মূলত সে কারণেই ফেসবুকে এ কনটেন্ট এর মাধ্যমে আয় করা ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। তবে একটা জিনিস মনে রাখবেন । ফেসবুকে মনিটাইজেশন পাওয়াটা যতটা সোজা তার চেয়ে মনিটাইজেশন টিকিয়ে রাখা ততটাই কঠিন।যেকোনো ধরনের পলিসি ভাইরাসের কারণে ফেসবুক আপনার পেজ মনিটাইজেশন কেড়ে নিতে পারে। সুতরাং সাবধান থাকা শ্রেয় ।
তো আশা করি ফেসবুকে কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে আয় করা সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা আপনাদেরকে দিতে সক্ষম হয়েছি।
সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন! আল্লাহ হাফেজ!