আজওয়া খেজুর

আজওয়া খেজুর এর অজানা ইতিহাস জেনে নিন!

পবিত্র কোরআনুল কারিমে যেসকল পবিত্র ফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে আজওয়া খেজুর অন্যতম। কিন্তু আমাদের ভেতরে অনেকেই জানেনা এই পবিত্র ফলের মূল ইতিহাস সম্পর্কে।

সেকারনে আমাদের আজকের আর্টিকেলে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আজওয়া খেজুরের সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে  আপনাদের অবগত করা হবে।

 চলুন জেনে নেওয়া যাক !

 পবিত্র হাদীসের আজওয়া খেজুর এর  ইতিহাস  এভাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর চেয়ে কয়জন অন্যতম সাহাবী ছিলেন তার মধ্যে অন্যতম সালমান ফারসী রাযিআল্লাহু তা’আলা আনহু।

তিনি সাহাবী হওয়ার আগে একজন ইহুদির ক্রীতদাসী ছিলেন এবং সভাপতি হতে ছিল তার জাতিগোষ্ঠীর মত অত্যাচারী।

সে সালমান ফারসী কে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভারী কাজ করতো এবং বিভিন্ন অত্যাচার জুলুম করতো।

এক পর্যায়ে সে তার মালিকের কাছ থেকে মুক্তির দাবি জানায়। মালিক তাকে কেবলমাত্র একটি শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়ার কথা জানায়।

সে তার গোলামকে কিছু খেজুরের বীজ দেয় এবং ফলে এই খেজুরের বীজ গুলো থেকে  ফসল না ফলনও অব্দি তাকে কখনো ছাড় দেওয়া হবে না। এবং আরেকটি শর্ত ছিল।

অবশ্যই তাকে চলে সাউন্ড স্বর্ণের বিনিময়ে তারা পেতে হবে।

দুইটি শর্ত পূরণ করা এক কথায় তার পক্ষে ছিল অসাধ্য সাধন। এজন্য সে উপায়ন্তর না দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর  দ্বারস্থ হয়।

তারপর?

 রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর ঘটনা শুনে,সেই মালিকের কাছে গিয়ে হাজির হয়। এবং তৎক্ষনাত তাকে  40 আউন্স স্বর্ণ বুঝিয়ে দেন। 

অতঃপর মালিকের কাছ থেকে সেই বীজগুলো সংগ্রহ করে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম বীজগুলো হাতে নিয়ে দেখেন এগুলো  সবগুলোই পোড়া এবং এখান থেকে গাছ জন্মানো বলতে গেলে অসম্ভব।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম খেজুরের বাগান  যান এবং সালমান ফারসী কে বলেন,

“ তুমি সোজা বরাবর এ বীজগুলো বপন করতে করতে যাবে এবং মনের  ভুলেও পেছন ফিরে তাকাবে না।

কেবলমাত্র বীজ রোপন শেষে পেছনে ফিরে তাকাতে পারবে ”

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা মোতাবেক  সালমান ফারসি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে নবীজির  আদেশ পালন করেন।

বীজ রোপন করা হয়ে গেলে পেছন ফিরে তাকাতেই দেখে  সারা বাগান খেজুর গাছে ভরে গেছে  এবং  সেখানে থোকা থোকা খেজুর ধরেছে।

তবে এই খেজুর অন্যকিছুর গুলোর তুলনায় কিছুটা আলাদা। অনেক টাই পোড়া কয়লার বর্ণের।

মূলত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর হাদিস থেকে এই ঘটনাটি উঠে এসেছে। এর আগে ভিন্নধর্মী জাতের এই খেজুর না কখনো আরববাসী দেখেছে  না কখনো নাম শুনেছে!

আল্লাহ সকলকে বরকতময় এই খাবার খাওয়ার তৌফিক দিক-আমিন! এক সাইটেই পাবেন সকল সেবা ! ভিসিট সেবারু ডট কম!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *