রবিউল আউয়াল মাসে, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়, ফ্রান্সের দুটো বিল্ডিংয়ে প্রকাশ্যে আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন— শতাব্দীর সর্ব নিকৃষ্ট অসভ্যতা। কোন সভ্য সমাজের মানুষ এভাবে ভিন্ন বিশ্বাসের মানুষদের সেন্টিমেন্টের প্রতি এরকম উগ্র আচরণ করতে পারে না। এটা সুস্পষ্ট উস্কানিমূলক। এর প্রতিক্রিয়ায়, অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন ঘটনা বা পরিস্থিতির জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দায়ী থাকবে। কারণ সে বলেছে, ফ্রান্স ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করবে না। এটা নাকি তাদের বাক-স্বাধীনতা। শেইম! শেইম অন এমানুয়েল ম্যাক্রন!
হৃদয়ের সবটুকু ঘৃণা ও ক্ষোভ একত্রিত করে ধিক্কার জানাই এসব নরাধমদের— যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি অসহনশীলতা প্রদর্শনকে ও অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়াকে “ফ্রিডম অফ স্পিচ” বলে আখ্যায়িত করছে। পৃথিবীর কোন ভদ্র ও সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষ এহেন কাজকে সমর্থন করতে পারে না। আসলেই, এমানুয়েল ম্যাক্রন এর মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন।
গরিব আফ্রিকান দেশগুলোকে শোষণ নিপীড়ন করেই লুটেরা ফ্রান্সের আজকের এই বাহাদুরি। দাম্ভিকদের পতন অনিবার্য। আল্লাহ তায়ালা চাইলে মুহূর্তে এই দাম্ভিকদের দম্ভকে মাটির সাথে গুড়িয়ে দিতে পারেন। মনে রাখা দরকার যে “আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না”। ইতিহাস আমাদেরকে এটাই মনে করিয়ে দেয়। ইতিহাস বড়ই নির্মম !
এই ফ্রান্সে আইন করে মুসলিম নারীদের হিজাব পড়া নিষিদ্ধ করা হলেও, করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর, মুখ না ঢেকে চলাফেরা করলে ১৫০ ইউরো জরিমানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফ্রান্সে হঠাৎ গত একদিনে করোনায় ৪০ হাজার আক্রান্ত, মৃত্যু ২৯৮ জন। জানিনা এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব কিনা!
শুধু এতটুকু জানি— প্রিয়নবির প্রতি অসম্মান দেখিয়ে ওরা নিজেদেরকে কলঙ্কিত করেছে, সর্বোচ্চ অসভ্যতার পরিচয় দিয়েছে। আমার প্রিয় নবির মর্যাদাকে ওরা কস্মিনকালেও কিঞ্চিৎ কমাতে পারবেনা। কিভাবে তারা সেটা করবে? স্বয়ং আরশের অধিপতি প্রিয় হাবিবের সম্মানকে দ্যুলোক-ভূলোক ছাড়িয়ে, সাত আকাশ মাড়িয়ে তাঁর আরশ অবধি সমুন্নত করেছেন।
উপরের কথা গুলো বাংলাদেশের বিখ্যাত আলেম মিজানুর রহমান আজহারী (Mizanur Rahman Azhari) এর ভেরিফাইড ফেসবুক লিখেছেন।
বাংলাদেশে ফ্রান্সের পণ্য তালিকা:
বাংলাদেশে ফরাসি ব্র্যান্ডের বহুল প্রচলিত ৬টি পণ্য হলো,
- লাফার্জ সিমেন্ট,
- টোটাল গ্যাস সিলিন্ডার,
- বিক রেজর,
- কসমেটিকস প্রতিষ্ঠান গার্নিয়ার
- লরিয়েল
- মেডিসিন প্রোডাক্ট সানোফি
জনপ্রিয় এই ৬টি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও আরও অনেক ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠানের পন্য আমদানি করে থাকে বাংলাদেশ।