বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলো চাইলে আপনি অনলাইন অথবা ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতে করতে পারেন। অথবা দুটোই এক সাথে করা সম্ভব।
ইউরোপ আমেরিকায়ও এ পদ্ধতি বেশ পপুলার। যেমন ওয়াল মার্ট, অথবা কেএফসির মত ট্রেডিশনাল কোম্পানি গুলো
কিন্তু এখন উভয় পদ্ধতি ব্যবহার করছে। যাদের সামর্থ কম তারা প্রাথমিক ভাবে অনলাইন প্লাটর্ফম ব্যবহার করতে পারেন
অত:পর ব্যবসা জমে উঠলে আউটলেটও দিতে পারেন। যাই হোক নিচে সেরা লাভজনক ব্যবসার ধারণা প্রদানের প্রয়াস চালানো হল।
স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa) কনসালটেন্সি:
এটাকে স্টাডি এ্যাব্রড বলা হয়। আবার কেউ কেউ এটাকে এডুকেশল কনসালটেন্সি কিংবা স্টুডেন্ট ভিসা কনসালটেন্সিও
বলে থাকে। এটি একটি অল্প পুঁজিতে বেশি লাভের ব্যবসা। এর জন্য আপনাকে একটি ট্রেডলাইসেন্স করতে হবে।
অত:পর যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পাঠাতে চান তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এবং একটি চুক্তি করতে হবে।
অত:পর বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসপেক্টাস্ ও যাবতীয় ডকুমেন্টস পাঠিয়ে দেবে।
এর পর আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে প্রচার করবেন এবং সংশ্লিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পাঠাবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ চুক্তি অনুযায়ী আপনার ব্যংক একাউন্টে টাকা পাঠাবে। তবে আপনি চাইলে সাব-এজেন্ট হিসেবেও
এ লাভজক ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। বিস্তারিত…
কাজের ভিসা (Work Visa) কনসালটেন্সি:
এ ব্যবসাকে বলে ম্যানপাওয়ার ব্যবসা আবার কেউ কেউ বলে আদম ব্যবসা। এটি খুবই লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশ যত বড় বড় ব্যবসায়ী দেখবেন এবং ঢাকা শহরে যত বড় বড় বাড়ী দেখবেন তার অনেকগুলোই এধরনের ব্যবসায়ীদের। তবে এ ব্যবসায় ঝুকিও আছে। ঝুকি আছে বলেই তো ব্যবসা। তাই আপনি যদি ঝুকি নিতে ভালোবাসেন তবে এ ব্যবসায় আসুন। অন্যথায় না আসাই ভালো। এর লাইসেন্স করতে মোটামুটি ২৫ লাখ টাকার মত লাগে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় অন্যের লাইসেন্স ব্যবহার করেও ম্যানপাওয়ার ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন। এ ব্যবসার এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
মেডিকেল ভিসা (Medical visa) কনসালটেন্সি:
ভারত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার রোগী ভিসা অফিসে ভিড় করছে। ভিসা পেতে অনেক সময় নানা ভোগান্তির স্বীকারও হচ্ছে। সুতরাং এ ধরনের রোগী যদি ভালো মানের মেডিকেল ভিসা সার্ভিস পায় তা হলে অবশ্যই আনার প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করবে। এ জন্য স্টুডেন্ট ভিসার মত হাসপাতাল গুলির সঙ্গে চুক্তি করতে হবে।
চুক্তি অনুযায়ি তারা আপনাকে একটি কমিশন দেবে। এর অর্থ এই নয় যে, হাসপাতাল আপনাকে যে কমিশন দিলো তা রোগীর কাছ থেকে অতিরিক্ত আদায় করে। বরং এটি হাসপাতালের মার্কেটিং ব্যয় হিসেবেই তারা ধরে নেয়। রোগীকে তার নির্ধারিত মূল্যই কেবল পরিশোধ করতে হয়। যদিও এটা সেবা মূলক ব্যবসা তথাপি এটিতে ভালো লাভও রয়েছে।
ঘুরে আসুন: ছাগলের খামার করে গ্রামে থেকে লাখপতি হওয়ার আইডিয়া
ইন্টেরিয়র ডিজাইন (Interior Design) সার্ভিস
ইন্টেরিয়র ডিজাইন হল আপনার বাড়ি, অফিস, দোকান কিংবা যে কোন স্থাপনাকে আধুনিক রুচির সঙ্গে সংগতি রেখে সুন্দর সাজানো। এ সকল কাজের মধ্যে অন্যতম হল, বাড়ির ইন্টেরিয়র ডিজাইন (Home Interior Design), কেবিনেট ডিজাইন (Cabinet Design), ফলস্ সিলিং ডিজাইন (False Ceiling Design), ওয়ার্ক স্টেশন ডিজাইন (Work Station Design), দোকান ঘর ডিজাইন (Shop Design) ইত্যাদি। বর্তমানে এটি একটি উদিওমান ব্যবসা। বর্তমানে এটি এমন লাভজনক ব্যবসা যে এ ব্যবসা করে অনেকেই লাখপতি হয়ে গেছেন।
ঘুরে আসুন: মসলার ব্যবসা আইডিয়া: মসলার ব্যবসা করে লাখপতি
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) সার্ভিস
বর্তমান সময়ে এটি সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা। আইটি ব্যবসার কথা চিন্তা করলেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর কথা চলে আসে। ডিজিটাল প্লাটফর্ম ছাড়া আজকাল কোন ব্যবসার মার্কেটিং প্রায় অসম্ভব হয়েয পড়েছে। এ ব্যবসায় পুঁজিও কম লাগে। একটি ট্রেড লাইসেন্স, একটি ছোট অফিস হলেই এ ব্যবসা আরম্ভ করা যায়। আপনি চাইলে ঘরে বসেও ইনকাম করতে পারন। কম্পানিকে বলে দিতে পারেন, আমি বাসায় বসে বসে কাজ করে দিতে চাই। তারা ভলো মনে করলেই আপনাকে কাজ দেবে। শুধু আপনার লাগবে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। আর লাগবে ইন্টারনেট কানেকশন। এবং একটি ভালো মানের ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেনিং।
সুতরাং নিশ্চই এ অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসার ধারণাটি বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
ট্যাক্স রিটার্ণ সেবা (Tax Return Service):
চাকরীজীবী ও ব্যবসায়ীদের ট্যাক্স রিটার্ণ জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়াও জমির দলিল, কম্পানি রেজিট্রেশন,
ব্যাংক লোনসহ নান কাজে ট্যাক্স ট্যাক্স সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। তাই এ ব্যবসাটি খুব জনপ্রিয় হচ্ছে।
তবে এ ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে একজন ইনকাম ট্যাক্স প্রফেশনাল হায়ার করতে হবে।
যিনি ট্যক্স বার এ্যাসোসিয়েশনের মেম্বার হবেন। এবং আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মার্কেটিং করলেই ব্যবসায় আরাম্ভ হয়ে যাবে।
তবে এটি একটি সিজেনাল ব্যবসা। জুন থেকে ডিসেম্বর পর্য়ন্ত ক্লাইন্ট পাবেন।
অফিস ও বাসার জন্য গাছ সরবরাহ (Nursery plants):
এ ব্যবসাটিও বেশ জমে উঠেছে। অফিস ও বাসা বাড়িতে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে গাছের বিকল্প নাই।
তাই সবাই চায় অফিসে বা বাসার বারান্দায় সুন্দর সুন্দর অর্কিড শোভা পাক। এটি খুব লাভজনক ব্যবসা।
আর এতে লস নেই বল্লেই চলে। সুতরাং আজই শুরু করুন বর্তমানের লাভজনক এ ব্যবসাটি।
আরও পড়ুন: চালের ব্যবসা আইডিয়া: কিভাবে চালের ব্যবসা শুরু করবেন?
গাড়ির ওয়ার্কশপ
স্মার্ট ব্যবসা আইডিয়া ব্যবসার সাথে বিশ্বাস ও সততার যোগসুত্র স্থাপন করতে পারলে আপনার সুনাম ও বৃদ্ধি পেতে থাকবে দিন দিন। সল্প পরিমান ঝুঁকি মোকাবেলা করে এ ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারবেন।
কিভাবে শুরু করবেন?
আপনি যদি সত্যিই প্রগতিশীল জীবন যাপনে নিজেকে তৈরি করতে চান, তাহলে অবশ্য এ ব্যবসা গুলি আপনার জন্য। উপরে বর্ণিত সকল ব্যবসাগুলি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে সেবারু ডট কম। তাই আপনি চাইলে সেবারুর সাব-এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ার বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে কাজ করতে পারেন। যদি চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন এ ব্যবসাই আপনার জন্য পারফেক্ট। আমাদের সংগে কাজ করতে চান তাহেলে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে। আর হাঁ, আগে সেবারু ডট কম ওয়েব সাইটটি ভলোভাবে দেখুন।
ব্যবসা গুলো সস্পর্কে বিস্তারিত জানতে আরও পড়ুন
- স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa)
- কাজের ভিসা (Work Visa)
- মেডিকেল ভিসা (Medical visa)
- ইন্টেরিয়র ডিজাইন (Interior Design)
- ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
- ট্যাক্স রিটার্ন সেবা (Tax Return Service)
- নার্সারী ব্যবসা (Nursery plants)
- নিরাপদ খাদ্য (Organic Food)
- টেইলারিং (Tailoring & Dress) ইত্যাদি।
ট্যাগসমূহ: লাভজনক ব্যবসা, বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা, সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি, অল্প পুজিতে লাভজনক ব্যবসা, লাভজনক ব্যবসার ধারণা, ফুটপাতে লাভজনক ব্যবসা, ফলের ব্যবসা, চালের ব্যবসা, মসলার ব্যবসা, ই কমার্স ব্যবসা