মসলার ব্যবসা

মসলার ব্যবসা আইডিয়া যা আপনাকে সত্যিই লাখপতি বানাবে!

মসলার ব্যবসা করে এক মাসেই লাখপতি হওয়ার খুব সহজ আইডিয়াটি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
তবে হাঁ এটি বলা যত সহজ করা কিন্তু তত সহজ নয়। এর জন্য বেশ কয়েকটি নিয়ম অবশ্যই ফল করবে হবে।
বাংলাদেশ ও ভারতে যে পরিমাণ মসলার ব্যবসা হয় তা পৃথিবীর আর অন্য কোন দেশে সে পরিমাণ ব্যবসা হয় না।
প্রতিদি হাজার মণ মরিচ গুঁড়া, হলুদ গুঁড়া, ধনিয়ার গুঁড়া, জিরা গুঁড়া ইত্যাদি কেনা বেচা হয় বাংলাদেশ ও ভারতে।

কিভাবে শুরু করবেন মসলার ব্যবসা?

মসলার ব্যবসা করতে চান? কিভাবে ব্যবসা শুরু করবেন? বিশ্বাস করুন, মসলার ব্যবসা শুরু করলে আপনি অনেক লাভবান হতে পারবেন। শুরুতেই আপনাকে কিছু নিয়মকানুন মেনে তারপর ব্যবসা শুরু করতে হবে। নিচের নিয়ম কানুন মানলে আপনি সহজে ব্যবসা করতে পারবেন।

মশলার ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে মসলা গুড়া করার জন্য মেশিন কিনতে হবে শুরুতেই। মেশিন ছাড়া আপনি মসলা গুড়া করতে পারবেন না, অতএব আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন না। মসলা গুড়া করার মেশিনের দাম নির্ভর করে তার স্পিড এবং ক্যাপাসিটি এর উপর। যে মেশিনের স্পিড যত বেশি সেই মেশিনের দাম কত বেশি। বাজারে মসলার মেশিন এর দাম ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু।
অথবা আপনি বাজার থেকে কিনে অন্যের মেশিনে গুড়া করে নিতে পারেন।

কি কি মশলার ব্যবসা করতে চান?

আপনি যে যে মসলা গুঁড়ো করে বিক্রি করতে চান সেগুলো শুরুতেই আপনাকে কিনতে হবে যেমন,

  • কাঁচা হলুদ
  • শুকনা মরিচ
  • শুকনা ধনিয়া
  • জিরা

এর পর আপনাকে কোম্পানির নাম দিয়ে প্যাকেট তৈরি মশলা গুঁড়ো বিক্রি করতে হবে। প্যাকেট তৈরি করার সময় মনে রাখতে হবে, প্যাকেট আকর্ষণীয় কিনা। কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের নাম স্পষ্ট হয়েছে কি না? মসলা তৈরির উপকরণ লেখা আছে কি না?
প্যাকেট সিল করার জন্য আপনি একটি সিলিং মেশিন কিনে নিতে পারেন তাহলে, সহজেই আপনি প্যাকেটগুলো সিল করে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। এটি ৫০০ থেকে শুরু করে ২০০০০ টাকা লাগে।

আরও পড়ুন: বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

মশলার ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ ধাপ

মসলার ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে সিটি কর্পোরেশন বা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে। প্রয়োজনে কমার্শিয়াল বৈদ্যুতিক কানেকশন নিতে হবে। অতপর মসলা গুড়া করার মেশিন এর রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এর পর সেলস এ্যান্ড মার্কেটিং শুরু করবে দিতে হবে। তবে এটিই শেষ কথা নয় প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারো সাথে বসে পরামর্শ নিন।

এক নজরে মশাল ব্যবসার জন্য যা যা প্রয়োজন তা হল-

  • এলেক্ট্রাইক্যাল কানেকশন
  • মসলার মেশিন এর রেজিস্ট্রেশন
  • সরকারি অনুমতি
  • ট্রেড লাইসেন্স

কি কি মসলার ব্যবসা করা যেতে পারে?

হলুদ, পিয়াজ, মরিচ, আদা, রসুন, এলাচ, কাবাবচিনি, কিশমিশ, জাফরান, ঢোলমরিচ, গরম মশলা, জয়িত্রী, জায়ফল, জিরাা, তেজপাতা, দারচিনি, ধনে, মেথি, গোলমরিচ, মৌরি, যষ্ঠিমধু, রাঁধুনী, লবঙ্গ, স্টার মসলা, সরিষা, কালিজিরা, শা জিরা, পোস্তা দানা, স্টার ইন্স ইত্যাদি।

মসলার ব্যবসা করতে কত টাকা লাগে?

৪০ হাজার টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করা যায়। মূলধন নির্ভর করে আপনি কি পরিমান পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন তার উপর।
শুধু একটি মসলা নিয়ে শুরু করলে খরচ কম হবে। আবার অনেকগুলো পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করলে মূলধন বেশি লাগবে।
কাচামাল পাইকারি দোকান থেকে কিনে সেটা মিলে গুঁড়া করে বিক্রি করলে খরচ কম হবে। শুরুতে সেটাই করা ভালো।

সর্বপরি মসলার ব্যবসা অনেক লাভ জনক। মাসে একলক্ষ টাকা আয় করা খুব সহজ, যদি আপনি নিয়ম-কানুন মেনে চলেন।
খাঁটি মসলার গুঁড়া তৈরি করলে স্থায়ী গ্রাহক তৈরির মাধ্যমে লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন পুরণ হবে সহজেই।
প্রবন্ধটি প্রিয় ক্যারিয়ারের মসলার ব্যবসা আইডিয়া থেকে নেওয়া হয়েছে। এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *