রমনা পার্ক এর ইতিহাস : রমনার নামকরণ করেন মোঘলরা। মোঘল আমল ১৬১০ থেকেই রমনার ইতিহাস শুরু বিশাল এলাকা নিয়ে। ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদে রাজধানী স্থানন্তরিত হওয়ার পর ঢাকার অনেক অঞচলের মত রমনা পরিণত হয়েছিল বিরান অঞ্চল। ১৮২৫ সালে জেলের কয়েদীদের নিয়ে রমনার জঙ্গল পরিষ্কারের কাজে নেমে পড়েছিলেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট চার্লস ড’চ। ঢাকা শহরের নির্মাণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে লন্ডন কিউই গার্ডেনের অন্যতম কর্মী আর এল প্রাউডলকের তত্ত্বাবধানে ১৯০৮ সালে শুরু হয় রমনা পার্কের নির্মাণ কাজ। এ কাজে তার প্রধান সহকর্মী ছিলেন অখিল বাবু। এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে সময় লেগেছিল কুড়ি বছর। ১৯৫২ সালে দেওয়া হয় পার্কের বর্তমান অবয়ব। এ পার্কের আয়তন ৬৮.৫০ একর। এখানে রয়েছে চমৎকার লেক। সেই লেকের পরিমাণ ৮.৭৬ একর।
এখানে য়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দু®প্রাপ্য গাছ যথা-নাগেশ্বর চাঁপা, স্বর্ণচাপা, কর্পুর, রিটা, নাগলিংগম, অর্জুন, মহুয়া, কুসুম, তেলসুর, অশোক ইত্যাদি। এখানে রয়েছে গোলাপ, চন্দমল্লিকা, গাঁদা প্রভৃতি ফুলের বর্ণিল বিন্যাস। রয়েছে সেগুন বাগান।
ভোরের স্নিগ্ধ হাওয়ায় কিংবা বিকেলের মনোরম পরিবেশের হাঁটার জন্য চমৎকার এ পার্ক। এখানে খাবার জন্য রয়েছে-থাই এন্ড চাইনিজ ফুড লিঃ নামে রেস্টুরেন্ট। পুরুষদের জন্য রয়েছে ব্যায়ামাগার এবং মহিলাদের জন্য রয়েছে মহিলা আঙ্গন। শিশুদের জন্য রয়েছে খেলাধুলার ব্যবস্থা।
এখানে প্রবেশের জন্য রয়েছে অরুনোদয়, অস্তাচল, বৈশাখী, উত্তরায়ন প্রভৃতি প্রবেশ দ্বার। ভোর ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অবস্থান করা যায় এ পার্কে। তবে রাতের পার্কে পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন।
জিয়া উদ্যান : সংসদ ভবনের পাশে জিযা উদ্যানে রয়েছে মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবর শহীদ জিয়া স্মৃতি সৌধ।