সফলতার গল্প এক দিনে তৈরি হয় না। কঠোর পরিশ্রম আর প্রবল মানসিক ধৈর্য একজন মানুষকে সফলতার শিখরে নিয়ে যায়।
কঠোর পরিশ্রম ছাড়া সফলতার কোনো সহজ পথ খোলা নেই। আমাদেরকে যা মনে রাখতে হবে, তা হচ্ছে কাজ, কাজ এবং কাজ।
পরিশ্রমের ভিতর দিয়েই কাজের প্রকৃত আনন্দ বের করে আনতে হবে। কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
অভ্যাসের মাধ্যমে দ্বিগুণ কাজ করা যায়। আগে যে কাজ করতে বিরুদ্ধ মানসিকতা কাজ করতো, এখন অভ্যাসে পরিণত হওয়ায় সে
কাজটি না করলেই বরং স্বস্তি পাচ্ছেন না। এর ফলে দ্বিগুণ কাজ হচ্ছে।
নিজের মধ্যে থেকে ভয় দূর করুন:
পৃথিবীতে absolute smartness বলে কিছু নেই। অতি সাধারণ থেকে শুরু করে উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা পর্যন্ত জড়তায় ভোগেন— কেউ কম, কেউ বেশি।
এ সমস্যার শিকার অনেক সাধু-সন্নাসীরাও। জনবল, পদবি, চেহারা, অর্থ, ক্ষমতা, জ্ঞান, আত্মবিশ্বাস, সাহস ইত্যাদির অধিকারী যারা,
তাদের ভিতর এর মাত্রা তুলনামূলক কম থাকে।
জড়তা বা ভয় অতিক্রম করার পর যা অবশিষ্ট থাকে, তাহলো সামর্থ্য, ব্যক্তিত্ব, যোগ্যতা ইত্যাদি। একটি বিশ্ববিদ্যারয়ের মনোবিজ্ঞানের ৬০০ জন ছাত্রকে তাদের ব্যক্তিগত সমস্যা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ৭৬% উত্তর দিয়েছিল, তাদের আত্মবিশ্বাসের অভাব। বাকিদের বক্তব্রও পরোক্ষভাবে আগের উত্তরটির কাছাকাছি।
মূল কথা হলো সামর্থ্য বা যোগ্যতা সম্পর্কে ভীতির কারণেই দায়িত্ব পালন অথবা সুযোগ গ্রহণ বাধাগ্রস্ত হয়্ জড়তা বা ভয় ছাড়া আর কিছুই নেই যা মানুষের এত বেশি ক্ষতি করতে পারে।
সফলতার গল্প বানাতে সাহসী হতে হবে
সাহসী হোন, আত্মবিশ্বাসী হোন। সাহস যোগান এভাবে— এমন কে আছে যে আমাকে নাজেহাল করার সাহস দেখায়! পিপীলিকার মতো হাজার বছর নয়,
সিংহের মতো এক মুহূর্ত বাঁচুন। ভীরু মরে হাজারবার; বীর মরে একবার।
ভয় হলো ধক্ষংসাত্মক আবেগ যা আত্মবিশ্বাসকে চুরমার করে দেয়; ব্যর্থতাকে অনিবার্য করে তোলে।
হীনমন্যতা পেশীর ক্ষমতা আর মস্তিষ্কের শক্তি কেড়ে নেয়। স্বকীয়তাকে অচল অথর্ব করে ফেলে, ব্যক্তিত্বকে পদদলিত করে।
‘ভয় পাওয়ার ভয়’ বা ‘টেনশনের ভয়ে টেনশন’ই আমাদেরকে অনেকাংশে পিছিয়ে দেয়।
আত্মপ্রত্যয় ও নিজের উপর আস্থা হারানোর চেয়ে ক্ষতিকর আপর কিছু হতে পারে না। অতএব আস্থা হারাবেন না।
যে কাজে ভয় পান, সে কাজ ভয় পান, সে কাজ বেশি বেশি করার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
যে কাজ দেখে আজ পালিয়ে যাচ্ছেন, হয়ত আগামীকালই সে কাজের মুখোমুখি হতে হবে।
আপনি প্রকৃতপক্ষে কী করতে পারেন, তা না জানার কারণ হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের অভাব। ভীতি সম্পর্কে এক কথায় বলা যায়।, ভয় করলে ভয়, না কররে নয়্ নিজেকে যতটা মনে করেন, অন্যের কাছে আপনি হয়ত তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনি নিজেকে দোষ-গুণে মূল্যায়ন করেন, কিন্তু অন্যেরা শুধু গুণ দিয়েই বিচার করে। তাই হৃদয়ে বিশ্বাস রাখুন যে আপনি ছোট নন, নিজেকে কখনো ছোট ভাববেন না।নিজের জ্ঞান-বুদ্ধিকে অবজ্ঞা করে অন্যের যোগ্যতাকে অতি মূল্যায়ন করবেন না বা নিজের দুর্বলতাকে অন্যের যোগ্যতার সঙ্গে তুলনা করবেন না। নান্দনিকতাকে কাজে লাগিয়ে নিজের ভিতর থেকেই নিজেই আবিষ্কার করা সম্ভব।
অবশেষে বলা যায় এক রাতেই সফলতার গল্প পড়ে নিজেকে উজ্জেবিত না করে ধীরে ধীরে পরিকল্পনা মাফিক সফলতা পাওয়া সবচেয়ে ভালো।