চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পড়াশোন শেষ করে নয় বরং আগে থেকেই চাকরির জন্য নিজেকে তৈরি করা বুদ্ধিমানের কাজ।
তবে মনে রাখতে হবে, যখন জীবন-ধারণের সম্বল হয়ে পড়ে চাকুরী, যখন সেটা দেশসেবা বলে মনে না হয়, তখন তা করো না- ডা. লুৎফর রহমান।
সুতরাং দেশ সেবার কথা মাথায় রেখে পড়াশোনা পরবর্তী চাকরীর প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিৎ।
চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি:
মনে রাখবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একটি মন্ত্র রয়েছে, কঠিন প্রশিক্ষণ সহজ যুদ্ধ। আজকাল সরকারী বে-সরকারী সকল চাকুরীতেই প্রচুর কম্পিটিশন হয়। সাধারণত প্রার্থি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এমসিকিউ, লিখিত এবং ভাইভা হয়ে থাকে। কোন কোন ক্ষেত্রে এর যে কোন একটি দিতে হয়। যেমন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার জন্য শুধু ভাইভা দিতে হয়। যদিও কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন লিখিত পরিক্ষা নেওয়া হচ্ছে। যেভাবেই মূল্যায়ন করা হোক না কেন, এর জন্য আপনার ভালো প্রস্তুতি থাকতে হবে।
আরও দেখুন: চাকরির পএিকা সমূহের তালিকা
সরকারি চাকরি
সাবাই জানে আজকাল সরকারী চাকুরী সোনার হরিণ। প্রতি বছর যদি ৫ লক্ষ্য চাকুরী প্রার্থি থাকে তাদের মধ্যে ৪ লক্ষ্য নিরানব্বেই হাজার জনই সরকারী চাকুরী চায়। আর সরকারী চাকুরীর কোটাও সবমিলিয়ে ১০ হাজারের মত। সুতারাং চিন্তা করে দেখুন এটা কত টাফ। আবার এর মধ্যে টাকা পয়সা ও নানা রকম কোটা ত আছেই। তাই এর জন্য চাই কমপক্ষে ৩ বছর মেয়াদি লং প্লান। আর থাকতে হবে অপরিসীম ধৈরয। সাথে দৈনিক কমপক্ষে ১২ ঘন্টা পড়াশোনা করার অভ্যাস। তাহলেই বিসিএসসহ যেকোন চাকুরী আপনার হাতে ধরা দেবে। তবে শেষ কথা হল ভাগ্যেও থাকতে হবে।
বিসিএস প্রস্তুতি:
পূর্ববর্তী বিসিএস পরিক্ষার প্রশ্নমালা সংগ্রহ করুন। আপনি বিভিন্ন সময়ের প্রশ্নমালা সংগ্রহ করে একটি প্রশ্ন ব্যাংক বানাতে পারেন।
উক্ত প্রশ্ন ব্যাংক থেকে ধারণা নিয়ে নিজেই নিজের জন্য প্রশ্নমালা তৈরি করুন এবং উত্তর লেখার চেষ্ঠা করুন।
এর পর নিজেই নিজের উত্তরমালা দেখে মার্কিং করুন। এইভাবে প্রশ্নমালা তৈরি করুন এবং উত্তর লেখার চর্চার মাধ্যমে বিসিএস পরিক্ষার প্রস্ততি নিতে পারেন।
ব্যাংক প্রস্তুতি
আজকাল বাংলাদেশে অনেক ব্যাংক সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যাংক গুলো পরিচালনার জন্য অনেক জনবল নিয়োগ করতে হচ্ছে। তাই চাকুরী প্রার্থিদের জন্য এটা একটি ভালো ক্ষেত্র হিসেবে দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে দু’ধরনের ব্যাংক রয়েছে। একটি হচ্ছে ইসলামিক ব্যাংকিং অন্যটি হল, কনভেনশনাল ব্যাংকিং। অনেকে রয়েছেন ইসলামি ব্যাংক ছাড়া চাকুরি করবেন না, তাদের জন্য বাংলা, ইংরেজী, সাধারণ জ্ঞানের পাশাপাশি ইসলামিক জ্ঞানও থাকতে হবে।
শিক্ষক নিয়োগ
শিক্ষক হওয়া অনেকের স্বপ্ন। তবে যারা ভালো ছাত্র ও অন্যাকে কিছু শেখাতে আগ্রহি তাদের জন্য এ পেশায় আসা ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জন্য খুবই ভালো রেজাল্ট থাকতে হয়। আজকাল অবশ্য লবিংও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। সরকারী মেডিকেল কলেজ ও অন্যান্য সরকারী কলেজে বিসিএস এর মাধ্যমে শিক্ষক নেওয়া হয়। সরকারী হাই স্কুল গুলোতে আলাদা পরিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নেওয়া হয়। সরকারী প্রাইমারি স্কুল গুলোতে আলাদা প্রাইমারি স্কুল পরিক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ হয়ে থাকে। এছাড়া বেসরকারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরির জন্য নিবন্ধন দিতে হয়।
বিদেশে চাকরি
বাংলাদেশে চাকরি পাওয়ার চেয়ে বিদেশে চাকরি পাওয়া সহজ। কিন্তু বিদেশে যাওয়ার জন্য ভিসা পাওয়াটাই মূলত কঠিন। আবার তার জন্য কঠিন নয় যার প্রয়োজন অনুযায়ী নুন্যতম যোগ্যতা ও টাকা আছে। সুতরাং যার এ দুই একসাথে থাকে, তার জন্য দেশে চাকরির জন্য সময় নস্ট না করে বিদেশে যাওয়াই ভালো।
আরও পড়ুন: বিদেশে কাজের ভিসা ও সকল দেশের জব ভিসার খবর
বিদেশে পড়াশোনা ও জব
অনেকেই বিদেশে গিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করে। বিদেশে জব ভিসা নিয়ে যাওয়র চেয়ে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যাওয়া সহজ। তবে মিনিমাম যোগ্যতা ও কমপক্ষে এক বছরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি নিয়ে যেতে হয়। যদি এ দুটি থাকে তবে বিদেশই হতে পারে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো গন্তব্য। কারণ দেশে পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়া যাবে তার কোন গ্যারান্টি নেই। অন্যথায় বিদেশে পড়াশোনা অবস্থায়ই চাকরি পাওয়া যায়। পড়াশোনা শেষে আবার সেটা অভিজ্ঞতা হিসেবে কাজে লাগে। কিন্তু তার জন্য জানা চাই কোন দেশে পড়াশোনা করতে যাবে? কোথায় পড়াশোনার পাশাপাশি পার্টটাইম জব করা যায়? কতই বা খরচ লাগবে? পার্টটাইম জব করে কি পড়াশোনার খরচ মেটানো যাবে? এসকল প্রশ্নের উত্তর খুজুন নিচের লিংকে।
বিস্তারিত: বিদেশে উচ্চশিক্ষা: কেন করবেন? যোগ্যতা কি লাগে? স্কলারশিপ লাভের উপায়