সেরা ১০ জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বিষয়ে তথ্য দেওয়ার আগে বলছি স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কারা?
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি বিভাগ যেখানে মহিলাদের স্বাস্থ্য এবং রোগ বিশেষ করে প্রজনন অঙ্গগুলিতে বজায় থাকে।
এর কিছু উপবিভাগ রয়েছে যেমন, অনকোলজি, মাতৃদুগ্ধ ,ষধ, মাতৃ-ভ্রূণ ষধ।গাইনোকোলজি রোগের মধ্যে রয়েছে গর্ভাবস্থার রোগ, সংক্রমণ, সৌম্য এবং

বাংলাদেশের অনেক ভালো গাইনোকোলজিস্ট ডাক্তাররা তাদের রোগীদের সুনামের সাথে

সেবা প্রদান করছেন।  আজ আমরা আপনাকে বাংলাদেশের সেরা ১০ জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কথা বলব।

রংপুর এর ডাক্তার সম্পর্কে জানতে এখনে ভিজিট করুনঃ রংপুরের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বৃন্দের তালিকা

সেরা ১০ জন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা

১. ডাঃ   ফারহানা আনাম

 ডাঃ ফারহানা আনাম বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ হিসেবে অন্যতম পরিচিত।

  তার দীর্ঘ ১৭ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।  তিনি ৮০% রোগীদের দ্বারা সুপারিশ করা হয়।

 তিনি বিশেষ করে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা এবং স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায় অভিজ্ঞ। 

তিনি সেমান অ্যানালাইসিস এবং ফ্রিজিং, বন্ধ্যাত্ব মূল্যায়ন, ডিম দাতা প্রোগ্রাম এবং ইন

ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) সম্পর্কিত সমস্যার চিকিৎসায়ও অভিজ্ঞ।

 ডাঃ ফারহানা আনাম এমবিবিএস প্রথম শ্রেণীর ফলাফলের সাথে সফলভাবে পাস করেন

এবং বিএসইউ থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে দক্ষতা অর্জন করেন।  তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জেফারসন

আল্ট্রাসাউন্ড এবং রেডিওলয় শিক্ষা ইনস্টিটিউটে একাডেমিক দক্ষতা অর্জন করেছিলেন। 

আইভিএফ -এর প্রতি তার প্রবল আগ্রহ রয়েছে এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সে নিজেকে এই খাতে উৎসর্গ করেছে।

২ ডাঃ  জান্নাত আরা ফেরদৌস

 ডাঃ জান্নাত আরা ফেরদৌস বাংলাদেশের ঢাকার আরেকজন জনপ্রিয় বন্ধ্যাত্ব ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ।

 তিনি বর্তমানে ঢাকার মিরপুরের হারভেস্ট ইনফার্টিলিটি কেয়ার লিমিটেডে চিকিৎসা সেবা অনুশীলন করছেন।

 তিনি ১৭ বছর ধরে সফলভাবে রোগীদের চিকিৎসা করছেন।  তিনি বিশেষ করে কুপনে বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসায়

অভিজ্ঞ, যাদের গর্ভধারণে অসুবিধা হয়।  ৬৩% রোগী তার কাছ থেকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

 ডা Jan জান্নাত আরা ফেরদৌস স্বাস্থ্যে এমবিবিএস এবং বিসিএস সফলভাবে শেষ করেছেন।  তিনি স্ত্রীরোগ ও

প্রসূতিবিদ্যায় MCPS এবং FCPS সম্পন্ন করেছেন।  ২০০৯ সালে তিনি পাকিস্তান থেকে বন্ধ্যাত্ব, আইভিএফ এবং

ডিম্বাশয় উদ্দীপনা প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন।

৩. ডাঃ  লায়লা আরজুমান্দ বানু

 ডাঃ লায়লা আরজুমান্দ বানু বাংলাদেশের ঢাকার অন্যতম জনপ্রিয় স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং অধ্যাপক।

 তিনি বাংলাদেশের এমবিবিএস এবং ডিজিও সফলভাবে বাংলাদেশের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সর্বোচ্চ

ফলাফল সহ সম্পন্ন করেছেন।

 তিনি তার রোগীদের উন্নতমানের চিকিৎসা প্রদানের জন্য আধুনিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। 

তিনি প্রায় দুই দশকের অভিজ্ঞতা নিয়ে এই পেশায় নিয়োজিত আছেন।

 ড L লায়লা আরজুমান্দ বানু কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জন অব

পাকিস্তানের (এফসিপিএস) ফেলো সদস্য।  তিনি ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অব সার্জন

(FICS) এর ফেলো সদস্যও।

 পড়াশোনা শেষ করে তিনি ফেডারেশন অফ এশিয়া ওশেনিয়া পেরিনেটাল সোসাইটির (FAOPS)

উপ-মহাসচিব হিসেবে যোগদান করেন।  ডাঃ আরজুমান্দ বানু ফার্টিলিটি অ্যান্ড স্টেরিলিটি

সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

 ৪. ডাঃ  বেগম নাসরিন কিরন

 ডাঃ বেগম নাসরিন কিরন বাংলাদেশের ঢাকার অন্যতম প্রখ্যাত

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ।  তিনি বন্ধ্যাত্ব এবং স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত

ল্যাপারোস্কোপিক সার্জন হিসাবেও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন।

 তিনি ২০১১ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সফলভাবে শেষ করেন।

 ড Begum বেগম নাসরিন কিরন স্তনের সমস্যা, উচ্চ ঝুঁকির গর্ভাবস্থা যত্ন, মেনোপজাল

কেয়ার, কলপোস্কোপি এবং গাইনোকোলজিক্যাল ম্যালিগন্যান্সির চিকিৎসায় অভিজ্ঞ। 

তিনি সিঙ্গাপুর এবং ভারত থেকে গাইনোকোলজি ল্যাপারোস্কোপি সার্জারি এবং

বন্ধ্যাত্ব প্রক্রিয়ায় শীর্ষস্থানীয় প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

 তিনি প্রায় দুই দশক ধরে উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি দিয়ে তার রোগীদের

নির্ভুলতার সাথে উচ্চমানের চিকিৎসা প্রদান করে আসছেন।  তিনি বর্তমানে ঢাকার গ্রিন

রোডের ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রাইভেট লিমিটেডে চিকিৎসা সেবা অনুশীলন করছেন।

 ৫.ডাঃ রেহনুমা জাহান

 ডাঃ রেহনুমা জাহান বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ।

 তার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থার যত্ন এবং স্বাভাবিক যোনি প্রসবের প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে।

  তিনি ১৪ বছর ধরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

 তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগে এমবিবিএস এবং

এমএস সফলভাবে শেষ করেছেন।  তিনি প্রসূতি ও স্ত্রীরোগের ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ প্রতিষ্ঠান

ও হাসপাতাল থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।  ডা. রেহনুমা জাহান বর্তমানে স্কয়ার হসপিটালস

লিমিটেডে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন।

 ৬. ডাঃ   দিলরুবা আক্তার

 ডাঃদিলরুবা আক্তার বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত স্ত্রীরোগ

বিশেষজ্ঞ এবং আইভিএফ বিশেষজ্ঞ।  আজকাল তিনি ল্যাব জোন প্রাইভেট

লিমিটেড, ঢাকার আরিচা হুই -তে অবস্থিত একটি মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে তার

চিকিৎসা সেবা অনুশীলন করছেন।  তিনি বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে

এমবিবিএস শেষ করেছেন।

 ডাঃ দিলরুবা তার রোগীদের বিশেষ করে গাইনোকোলজি এবং বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা সেবা

প্রদান করছেন ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে।  তিনি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা যত্ন,

পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজিজ (পিসিওডি), সাধারণ যোনি প্রসব এবং গর্ভাবস্থার

পরামর্শের ক্ষেত্রে সবচেয়ে অভিজ্ঞ।

 ৭. ডাঃ  রাশিদা বেগম

 ডাঃ রাশিদা বেগম বাংলাদেশের ঢাকার একজন স্বনামধন্য স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ

এবং প্রসূতি বিশেষজ্ঞ।  তিনি একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিবিএস সফলভাবে

শেষ করেছেন।  তিনি প্রসূতি ও স্ত্রীরোগে এফসিপিএস এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগে

এমএস সম্পন্ন করেছেন।

৮. ডাঃ  মোঃ রাহুল কুদ্দুস

 ডা Md মো Md রাহুল কুদ্দুস বাংলাদেশের অন্যতম সেরা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ,

আইভিএফ এবং বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ।  তার দীর্ঘ 18 বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।

  তাকে ৭০% রোগী সুপারিশ করে।  তিনি বীর্য বিশ্লেষণ, পারিবারিক চিকিৎসা, বীর্য হিমায়িত,

এআরটি বিশেষভাবে বীর্যবিদ্যার চিকিৎসায়ও অভিজ্ঞ।  তিনি বর্তমানে ঢাকার হারভেস্ট ইনফার্টিলিটি

কেয়ার লিমিটেডে চিকিৎসা সেবা অনুশীলন করছেন।

 ডাঃ মোঃ রাহুল কুদ্দুস ১০৭০ সালে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। স্নাতক সম্পন্ন করার পর,

তিনি ২০০৩ পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও শ্রম মন্ত্রণালয়ে সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে কর্মরত ছিলেন।

  তিনি ২০০৮ সালে হার্ভেস্ট ইনফার্টিলিটি কেয়ার লিমিটেড প্রতিষ্ঠায়

ডাঃ মুস্তাক আহমেদের সাথে জড়িত ছিলেন।

 ৯. ডাঃ  মুস্তাক আহমেদ

 ডাঃ মুস্তাক আহমেদ ঢাকার হারভেস্ট ইনফার্টিলিটি কেয়ার

লিমিটেডের অন্যতম সেরা বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ।  তিনি বন্ধ্যাত্ব মূল্যায়ন,

ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনে, ভ্রূণ হিমায়িত, স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যা যত্ন এবং প্রজনন ঔষধে অভিজ্ঞ।

 তিনি এই ক্ষেত ২ দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিজ্ঞ।  তিনি এমবিবিএস, ডিপ্লোমা ইন রিপ্রোডাকটিভ

মেডিসিন (জেনেভা) এবং অ্যাসিস্টেড রিপ্রোডাকটিভ টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর (নটিংহাম) সম্পন্ন করেন।

 ডক্টর মুস্তাক আহমেদের তার দেশের অবহেলিত বন্ধ্যাত্ব দম্পতিদের জন্য কাজ

করার ইচ্ছা তার মেডিকেল গ্র্যাজুয়েশনের শেষ বছরগুলিতে দেখা দেয়।  ১৯৯৫ সালে

জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রজনন মেডিসিনে ডিপ্লোমা করার সময়, তার গবেষণাপত্রটি

ছিল \”35 বছর বয়সের পরে ওসাইটের মান খারাপ হয়\”।  এই গবেষণা পত্র তাকে

অনেক খ্যাতি এনে দিয়েছে।  তিনি বন্ধ্যাত্বের জন্য শুধুমাত্র নারীরাই দায়ী ঐতিহ্য ভেঙে ২০০৫ সালে \”নারিকোন্থো পুরস্কার\” অর্জন করেন। 

১০. ডাঃ  টি.এ  চৌধুরী

 ডাঃ টি.এ.  চৌধুরী বাংলাদেশের ঢাকার, শান্তিনগরের অন্যতম জনপ্রিয়

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং প্রসূতি বিশেষজ্ঞ।  তিনি বাংলাদেশের একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়

থেকে এমবিবিএস সফলভাবে শেষ করেছেন।  তিনি বিশেষত প্রি এবং পোস্ট ডেলিভারি কেয়ার,

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা যত্ন, প্রসূতি যত্ন এবং অন্যান্য স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত সমস্যার চিকিৎসায় অভিজ্ঞ।

 ডাঃ টি.এ.  চৌধুরী ৪৬ বছর ধরে উচ্চ খ্যাতির সাথে তার চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন। 

বর্তমানে, তিনি ঢাকার ফরিদা ক্লিনিকে তার দক্ষতার চর্চা করছেন।  ফরিদা ক্লিনিক

বাংলাদেশে গাইনোকোলজি এবং প্রসূতি চিকিৎসার জন্য জনপ্রিয়।

আপনি আরও যদি জানতে চান স্ত্রী নিয়ে তাহলে এখনে ভিজিট কারতে পারেন

আপর স্বস্থ্যের জন্য ভালো খাবারের রেসিপি জানতে ভিজিট করুন

আশা করি উপরের তথ্য গুলো আপনার কাজে লাগবে। সেবারু ডটকমের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।