অল্প পুজিতে ঔষধের ব্যবসা ব্যবসা করে সফল মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়ায় প্রচুর। কারণ ঔষধের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
বর্তমানে ফার্মেসি ব্যবসা বেশ লাভজনক একটি ব্যবসা। কোম্পানি ভেদে অনেক ঔষধে ৫০% পর্যন্ত লাভ হয়ে থাকে।
এই লেখাটিতে ঔষধের ব্যবসা করতে কি কি কাগজ পত্র লাগবে? কি যোগ্যতা থাকা লাগবে, মূলধন কত লাগবে?
ইত্যাদি সকল বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।
কেন ঔষধের ব্যবসা করবেন?
ঔষধের ব্যবসায়ের লাভ সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনার পুঁজির উপর আপনার পুঁজি যত বেশি হবে লাভ তত বেশি হবে। সাধারণত ওষুধ বিক্রি করতে পারলে ১২-১৫% পর্যন্ত লাভ থাকে। ৩-৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে অনায়াসে ৫০ হাজার টাকা বা তার বেশি আয় করা সম্ভব। যদিও এর জন্য বেশ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। যা আমরা, এই লেখার শেষে আলোচনা করেছি। ব্যবসায় ব্যর্থ হওয়ার ৫টি কারণ পড়ে ধারণা নিতে পারেন।
ঔষধের ব্যবসায়র জন্য কোর্স করবেন কোথায়?
সাধারণত ওষুধের দোকান দিতে চাইলে ফার্মেসী ফাউন্ডেশন কোর্স করে নিতে হয়। এটা সাধারণত ৩ মাসের কোর্স করতে হয়। কোর্সে ভর্তির নোটিশ এই সরকারি ওয়েবসাইটে পাবেন। মনে রাখবেন, এখানে ৩ ক্যাটেগরিতে রেজিস্ট্রেশন হয়। যথা:
১. গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্টদের এই লাইসেন্স দেয়া হয়।
২. ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের এই লাইসেন্স দেয়া হয়।
৩. যারা শর্ট-কোর্স করে তাদের এই লাইসেন্স দেয়া হয়।
অল্প পুজিতে ঔষধের ব্যবসা করতে কি কি লাইসেন্স লাগবে?
ঔষধের দোকান দিতে হলে অবশ্যই আপনার লাইসেন্স থাকতে হবে। ড্রাগ লাইসেন্সের জন্যে আবেদন করতে যা যা লাগবে:
নাগরিকত্বের সনদপত্র/ভোটার আই.ডি কার্ডের ফটোকপি
পাসপোর্ট সাইজের ছবি
ট্রেড লাইসেন্স
ব্যাংক সলভেন্সি
দোকান ভাড়ার রসিদ/চুক্তিপত্র
ফার্মেসী ফাউন্ডেশন কোর্স সার্টিফিকেটের ফটোকপি
www.dgda.gov.bd এই সাইট থেকে ফরম ডাউন-লোড করে পূরণ করতে হবে। এছাড়া, এই সাইটে ড্রাগ লাইসেন্সের বিস্তারিত পাবেন। লাইসেন্সের জন্য আপনাকে প্রায় ২০ হাজারের মত টাকা খরচ করতে হবে।
অল্প পুজিতে ঔষধের ব্যবসা করতে কত টাকা লাগবে?
পুঁজি নির্ভর করে আপনার উপর। তবে, সর্বনিম্ন ২ লক্ষ টাকা পুঁজি লাগে। যেসব খাতে আপনার টাকার প্রয়োজন হবে,
১. দোকান ভাড়া
২. আসবাবপত্র
৩. ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন, থার্মোমিটার, প্রেশার মাপার যন্ত্র ইত্যাদি।
ঔষধের পাইকারি বাজার কোথায়?
ঔষধের কোম্পানি থেকে কিনতে পারেন। তবে, ঔষধের কোম্পানির থেকেও কমে পাবেন আপনি ঢাকার মিটফোর্ডে।
মিটফোর্ড থেকে স্বল্প মূল্যে ঔষধ কিনতে পারবেন। ফার্মেসী ব্যবসা নিয়ে আশা করি অনেক কিছু জানা হয়েছে।
ফার্মেসিতে ডাক্তার রাখলে বিক্রি ভালো হয়
হাসপাতালের আশে পাশে না হলে, ফার্মেসির পাশে ডাক্তার বসার ব্যবস্থা রাখুন। যাতে রোগীরা ডাক্তার দেখাতে পারে। আর ডাক্তার দেখানোর পর সাধারণত আপনার দোকান থেকেই তারা ওষুধ কিনবে।
কাস্টমারদের সাথে হাসি মুখে কথা বলুন। প্রেসক্রিপশন বুঝিয়ে দিন। কোন ওষুধ কখন খেতে হবে তা বুঝিয়ে দিন। অসুস্থ বা বয়স্ক মানুষের জন্য বসার ব্যবস্থা রাখুন। আপনার দোকান থেকে যেন কোন কাস্টমার ফেরত না যায়। সেজন্য কাস্টমারদের চাহিদা অনুযায়ী সব ধরণের ওষুধ রাখুন। কাস্টমার আকৃষ্ট এবং মানবসেবার উদ্দেশ্যে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে পারেন। এছাড়া, ডাইবেটিস পরীক্ষা, প্রেশার পরীক্ষা, ওজন মাপা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ফ্রি সেবা দিতে পারেন।
অল্প পুজিতে ঔষধের ব্যবসা করার গোপন টিপস
ফার্মেসি দোকান দেয়ার আদর্শ জায়গা হল হাসপাতালের সামনে দেয়া। তবে, মনে রাখবেন এসব জায়গায় আপনার প্রতিধন্ধি অনেক বেশি থাকবে। পাশাপাশি এসব জায়গাতে দোকান দিতে চাইলে আপনার অনেক পুঁজি লাগবে। পুঁজি বেশি থাকলে এসব জায়গায় দোকান দিয়ে মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন। অল্প বয়সে কোটিপতি হওয়ার উপায়।
আরও পড়ুন: বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
এই ছিল আজকে অল্প পুজিতে ঔষধের ব্যবসা আইডিয়া। আপনার যদি এই ব্যবসায় আগ্রহ থাকে তাহলে, শুরু করে দিতে পারেন।
আরও, কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।