ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায়

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় : ৬মাস পর মাসিক ৫০০ ডলার ইনকাম

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় জানতে হলে আগে জানতে হবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরির কৌশল। কারণ ইউটিউব মানেই হল ভিডিও আর ভিডিও।
আর এই ভিডিওর মাধ্যমে YouTube থেকে আয় করার ব্যাপারটি বর্তমানে কারোই অজানা নয়। তবে ইউটিউব থেকে আয় করার রয়েছে অনেক উপায় ও পদ্ধতি।
আপনি যদি সঠিক পরিকল্পনা ও পদ্ধতি অনুযায়ী একটি ইউটিউব চ্যানেল শুরু করেন, ৬ মাস পর থেকেই কমপক্ষে ৫০০ ডলার মাসিক ইনকাম সম্ভব।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ইউটিউব থেকে আয় করার উপায় বা কিভাবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করবেন সে সম্পর্কে।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় সত্যিই আছে?

নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পুরনের পর ইউটিউব কতৃপক্ষকে মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে হয়। আর সেখান থেকেই শুরু হয় ইউটিউব ইনকাম।
শুধুমাত্র এডসেন্স মনিটাইজেশন এর মাধ্যমেই ইউটিউব থেকে আয় সম্ভব এ কথাটি ঠিক নয়। ইউটিউব থেকে আয় এর হাজারো উপায় রয়েছে।
যেমন, কোন প্রোডাক্ট বিক্রি, অনলাইন সেবা বা কোর্স বিক্রি ইত্যাদি। এছাড়াও আরও রয়েছে যেমন,

  • ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম
  • ভিডিও এডিটিং সার্ভিস
  • প্রোডাক্ট রিভিউ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • স্পন্সরড কনটেন্ট
  • ডোনেশন ইত্যাদি।

ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম কি? ও কিভাবে?


ইউটিউব চ্যানেল পার্টনার প্রোগ্রামের ব্যাপারটি মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। YouTube পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে শুধুমাত্র এডসেন্স নিয়ে
টাকা আয় করা যায় তা নয়, এর পাশাপাশি আরো অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। নিচে সুবিধা ও নিয়ম গুলি বলা হল,

  • পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে ইউটিউব প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশন ফিস, সুপার চ্যাট, চ্যানেল মেম্বারশিপ প্রোগ্রাম ইত্যাদি সুবিধা আছে।
  • ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হতে আপনার দরকার হবে একটি ইউটিউব চ্যানেল এর।
  • পার্টনার প্রোগ্রামে যুক্ত হতে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে গত ১২ মাসে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘন্টা ভিডিও ওয়াচটাইম থাকতে হবে।
  • ইউটিউব চ্যানেলে কোনো প্রকার কপিরাইট স্ট্রাইক থাকা যাবেনা। অর্থাৎ সকল কন্টেন্ট ইউনিক হতে হবে।

চ্যানেল পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম

এজন্য আপনার একটি ইন্টারনেট কানেকশন, একটি মোটামুটি ভালো মানের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ লাগবে।
তবে মোবাইল দিয়েও অনলাইনে ইউটিউব থেকে আয় করা যায়।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার সহজ উপায়

নিচে YouTube চ্যানেল থেকে টাকা আয়ের বেশ কিছু প্রমাণিত পদ্ধতি ও কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হল।

বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখু!!!

যারা ফ্রিতে ডিজিটাল মার্কেটিং/ফ্রি ল্যান্সিং করে প্রতি মাসে নিশ্চিত আয় করতে চান তাদের জন্যই মূলত এ কোর্সটি।
রেজিস্ট্রেশন করতে এখানে ক্লিক করুন Cell: 01711981051

ফেসবুক গ্রুপ:
বিনামূল্যে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে বা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে নানা প্রশ্নের সামাধান পেতে মেম্বার হতে পারেন “ডিজিটাল মার্কেটিং হেল্পলাইন” ফেসবুক গ্রুপটিতে।
গ্রুপ লিংক https://www.facebook.com/groups/digitalhelp

প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইউটিউব থেকে আয়

বিভিন্ন পণ্য বিক্রি বর্তমানে ইউটিউবারদের ও পাবলিক ফিগারদের আয়ের অন্যতম উৎস হয়ে উঠছে। আপনার চ্যানেলের যদি যথেষ্ট পরিমাণ ফ্যান ফলোয়িং থাকে, যারা আপনার কাছ থেকে কিনতে আগ্রহী হবে, সেক্ষেত্রে ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবদের কাছে বিক্রি করতে পারেন মার্চেন্ডাইজ।

আপনার ইউটিউব চ্যানেলও যেহেতু একটি ব্র্যান্ড, সেক্ষেত্রে বিক্রি হওয়া মার্চেন্ডাইজ এ নিজস্বতা রাখার চেষ্টা করুন।
এর ফলে চ্যানেল হিসেবে আপনার প্রোমোশন হবে ফ্রিতেই।
এছাড়াও আপনি ভিউয়ারদের কাছ থেকেও পণ্য নিয়ে মতামত নিতে পারেন। এর ফলে খুব সহজেই পণ্য বিক্রি করা যাবে।
মার্চেন্ডাইজ বিক্রি করতে পারেন অনলাইন শপ খুলে কিংবা ফেসবুক পেজেও।

ভিডিও এডিটিং সার্ভিস দিয়ে আয়

আপনি যেহেতু ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করবেন, সেক্ষেত্রে ভিডিও এডিটিংয়ে পারদর্শীতা থাকার কথা। আপনি যদি মনে করেন আপনার ভিডিও এডিটিং
অন্যদের চেয়ে ভালো ও আপনি এই কাজে পারদর্শী, সেক্ষেত্রে আপনি ভিডিও এডিটিং সার্ভিস প্রদান করতে পারেন।

অর্থের বিনিময়ে ভিডিও এডিটিং সার্ভিস প্রদান করতে পারেন অন্য ইউটিউবারদের। এছাড়াও বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মেও ভিডিও এডিটিং
এর কাজ করে ভালোই আয় করা যায়।

ভিডিও এডিটিং অত্যন্ত ডিমান্ডিং একটি সার্ভিস। তাই এই বিষয়ে পারদর্শিতা থাকলে অন্যদের সাহায্য করে আয় করতে পারেন।

আরো জানুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি ও ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে অনলাইনে আয় করবেন

রিভিউ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়


ইউটিউবে সকল ধরনের প্রোডাক্ট রিভিউ এর প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। তাই কোনো কোম্পনীর প্রোডাক্ট রিভিউ করে দিতে পারেন। তাতে সেই কোম্পানী আপনাকে পজেটিভ রিভিউ করার জন্য সম্মানী দেবে। অথবা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পাবেন। কোন প্রডাক্টের বর্ণনা দিয়ে ডেসক্রিপশনে কেনার অ্যাফিলিয়েট লিংক প্রদান করার মাধ্যমে আপনিও আ্যফিলিয়েট কমিশন পেতে পারেন।

কোর্স অনলাইন বিক্রি করে আয়

শিক্ষামূলক ইউটিউব চ্যানেল হলে যা শেখান তার সেরাটা দিয়ে তৈরি করতে পারেন অনলাইন কোর্স। দেখবেন অনেকেই টাকা দিয়ে কোর্স কিনছে।
হক না সেটা খুব সামান্য টাকা দিয়ে। শুরু করুন সফলতা একদিন ধরা দেবেই। এছাড়াও বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক চ্যানেল খুলেও আয় করা যায়।

স্পন্সরড কনটেন্ট এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়

স্পন্সরড কনটেন্ট বর্তমানে ইউটিউবারদের আয়ের একটি প্রধান উৎস । বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বা সার্ভিস এর প্রমোশনের জন্য ভিডিও
এর নির্দিষ্ট সেগমেন্ট অর্থের বিনিময়ে কিনে নেয়।
অথবা আপনার ভিডিও ও কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর টপিক একই ধরনের হলে আপনিও উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাথে স্পন্সরশীপ
এর ব্যাপারে আলাপ করতে যোগাযোগ করতে পারে।

ডোনেশন এর মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয়

যারা ফ্রি ও সেবামূলক কন্টেন্ট অথবা ফ্রি ট্রেনিং দিয়ে থাকেন তারা সাবক্রাইবারদের কাছ থেকে ডোনেশন নিতে পারেন।

ইউটিউব প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা দেয়?

সাধারণত প্রতি ১০০০ ভিউতে ইউটিউব ৩ থেকে ৫ ডলার পাওয়া যায়। যা বাংলাদেশী টাকায় ২৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা বা কমবেশি হতে পারে।
তবে এটা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কখনও কখনও ১০০ ভিউয়ের জন্য ৫ ডলারও পাওয়া যায়। এটা নির্ভর করে কোন দেশ থেকে ভিউ বেশি হল
বা কোন ধরনের এাড এ ক্লিক হল তার উপর।

ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা তুলবো?

ইউটিউব থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। বাংলাদেশে আইবিএল, ডিবিবিএলসহ অনেক ব্যাংক থেকে ওয়্যার টেন্সফার করা যায়।

সর্বপরি ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে YouTube এর নিজস্ব ওয়েবসাইটের ভিডিও গুলো দেখুন। আর সে অনুযায়ী পলিসি এ্যাপ্লাই করুন।
গুগলে সার্চ দিয়ে ইউটিউবের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং করে আয় করার উপায় সম্পর্কে আপডেট ধারণা নিতে থাকুন।
আশা করা যায় ইউটিউব চ্যানিল থেকে আয়ের স্বপ্ন হাতে ধরা দেবে।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।


ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে ফ্রি পরামর্শ চান? বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন
আরও জানতে ভিজিট করুন: অনলাইন ইনকাম ।। ফেসবুক গ্রুপ ।। ইউটিউব চ্যানেল।। যোগাযোগ
মোবাইল+হোয়াটসঅ্যাপ (shebaru): 01711981051 (সকাল ১০ – রাত ৯ টার মধ্যে কল করুন)


Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *