ওজন কমানোর উপায়

ওজন কমানোর উপায়-সবচেয়ে কার্যকরী উপায়!

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা ইন্টারনেটে ওজন কমানোর উপায় খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে যান। কিন্তু তেমন কার্যকর
কোনো উপায় খুঁজে পান না। আর সে কারণে আমাদের আজকের আর্টিকেলে পাঠকদের জন্য আমরা এমন কিছু  উপায় শেয়ার
করতে চলেছি, যা দ্রুত ওজন কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

 তাহলে চলুন তার আগে জেনে নেই ওজন কমানোর উপায় গুলো কি তা সম্পর্কে।

ওজন কমানোর উপায় সমূহ-

 ওজন কমানোর কথা শুনলেই আমাদের ভয় লাগে। কারন মানুষ বিভিন্ন মতামত দেয়। তার অধিকাংশ করতে গেলে মাঝপথে
হতাশ হয়ে ছেড়ে দিতে হয়। আজ আমরা জানাব কিভাবে বাস্তব সম্মত ও বিজ্ঞাণ সম্মতভাবে আপনি অতিরিক্ত ওজন কমাবেন।

১। বেশি বেশি পানি পান করুন

 বেশি বেশি পানি পান করা ওজন কমাতে বেশ সহায়ক বলে বিবেচনা করা হয়। বিশেষ করে আমাদের শরীরে অতিরিক্ত টক্সিন বের
করে দেওয়ার জন্য পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং বেশি বেশি করে পানি পান করুন। আর খাবার শুরুর
আগে ভালো করে পানি পান করুন। এতে খেতে বসলে ক্ষুধা কম লাগবে। আর খাবার কম খাওয়া হবে। ফলে দ্রুত ওজন
হ্রাস পাবে।.

২। হেঁটে ফোনে কথা বলুন

আমাদের অনেকের অভ্যাস হয়েছে ফোনের দীর্ঘক্ষণ ধরে কথা বলার। বিশেষ করে পরিবারের মানুষ  অথবা অফিসের  কলিগদের
সাথে কাজ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে হয়। আর তাই আমরা বসে কথা বলি। যা ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কথা বলার
পাশাপাশিওজন কমানোর জন্য  চাইলে ঘুরে ঘুরে  ফোনে কথা বলতে পারেন । এবং সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো চাইলে
এভাবে আপনি প্রতি 10 মিনিটে 36% ক্যালরি নষ্ট করতে পারবেন। এটি খুব অসাধারণ উপায় তাই না!

৩। মসলাদার খাবারের অভ্যাস গড়ে তুলুন

আপনি কি জানেন দৈনন্দিন খাবারে আপনি যে সকল মসলাগুলো ব্যবহার করে থাকেন তা আপনার ওজন হ্রাস করতে অনেক
সহায়তা করে। সে কারণে সিদ্ধ খাবার খাওয়া পরিহার করুন। কেননা সেদ্ধ খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত হলেও তা আপনার ওজন
বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। সে কারণে সিদ্ধ খাবার ছেড়ে মসলাদার খাবার খান। এটি আপনার ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করবে।

৪। দিনে ঘুমানোর অভ্যাস পরিহার করুন 

 আমাদের  অনেকের  দিনের বেলা ঘুমাবার অভ্যাস হয়েছে। কাজেই যাদের এই অভ্যাস রয়েছে তাদের  অতিসত্বর এটি পরিহার করা
খুবই প্রয়োজন। কেননা দিনের বেলা ঘুমানো ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। সে কারণে রাতে আট ঘণ্টা ঘুমানো  যথেষ্ট। আর
রাতের পরিপূর্ণ ঘুম আপনার সুন্দর শরীর গঠনে সহায়ক রুপে কাজ করে।।

৫।জগিং করুন

সাধারনত আমাদের হাটতে বললে আমরা ভাবি সারাদিন যা হেঁটেছি তাই যথেষ্ট। কিন্তু ডাক্তারের ভাষ্য মতে জগিং বা হাঁটা হল নিয়ম
করে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটাচলা করা। যার ফলে আপনার ঘাম ঝরতে হবে। আর এই জন্য বাইরে যাওয়ার কোনো
দরকার পরবে না ।  চাইলে ঘরের ভেতরে জগিংয়ের কাজটা সেরে নিতে পারেন। এর জন্য আপনি সবসময় নির্দিষ্ট সময়ে নিয়ম
করে জগিং করবেন।

৬। আস্তে আস্তে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন

যে সব ব্যক্তিরা বেশ তাড়াতাড়ি খাবার খায় তাদের স্বভাবতই  ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারন এর ফলে, খাবার দ্রুত শেষ
হয়। আর খাবারের চাহিদা তাই বেড়ে যায়। কাজেই ধীরে ধীরে খাবার খান যাতে করে, সেগুলোর  ডাইজেস্ট হওয়ার জন্য সময়
পাওয়া যায়। এর ফলে সুস্থ্য খাদ্যাভাস গড়ে উঠবে। আর আপনি যদি খাবার ভালো করে চিবিয়ে খান তবে আপনার খাবের চাহিদাও
কমে যাবে। এতে খাবের স্বাদ আরো ভালো করে পাওয়া যায়।

৭। পুষ্টিবিদ এর পরামর্শ নিন

আপনি যদি সব নিয়ম ঠিক করতে সক্ষম না হন তবে একজন পুষ্টিবিদ এর পরামর্শ নিন । উনি আপনাকে আপনার উচ্চতা
অনুযায়ী কিভাবে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমাবেন তার সুনির্দিষ্ট চার্ট বা তালিকা দিবে।যা আপনি মেনে চললে স্বাভাবিক নিয়মে
আপনি ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবেন। আর ডায়েট চার্ট আপনার খাদ্যাভাসকে সুশৃংঙ্খল করে।

৮। রোজা বা ফাস্ট রাখা

বর্তমানে রোজা বা ফাস্ট রেখে অতিরিক্ত স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। যা একটি বিজ্ঞান সম্মত উপায় হিসেবেও বিবেচিত হয়েছে। যদিও
এর ধর্মীয় প্রভাব আছে। তারপরও সব শ্রেণীর মানুষের কাছে এই উপায় ব্যাপক জনপ্রিয়। এতে সপ্তাহে কয়েক দিন রোজা রাখার ফলে
খাদ্যাভাস ঠিক থাকে আর শরীরের ওজন হ্রাস পায়।

প্রাকৃতিক উপায়ে ওজন কমানোর উপায় গুলো যদি আপনি ভালো করে মেনে চলেন তবে আপনি ওজন কমানোর চেষ্টায় সফল হবেন। 
আশাকরি উপরোক্ত আর্টিকেল আপনার ভালো লেগেছে। আপনি আর কি বিষয় সম্পর্কে জানতে চান তা আমাদের কমেন্ট
সেকশনে জানাবেন। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবে, ধন্যবাদ!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *