দেশের সকল কলেজ-মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির অনলাইন ২০২৩ আবেদন শুরু হয়েছে। এখন ঘরে বসে অনলাইনে
শিক্ষার্থীরা ভর্তির আবেদন করতে পারছেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তির আবেদন করতে পারবেন কলেজে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা।
৩১ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। তবে এবারও তিন দফায় আবেদন গ্রহণ করে একাদশে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেয়া হবে না। ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে।
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ একাদশে ক্লাস শুরু করবেন সদ্য এসএসসি ও সমমান উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ।
কলেজ ভর্তি অনলাইন আবেদেন করুন আজই
কলেজ ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন?
১। এসএসসি পাশের রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর
২। একটি সচল মোবাইল নম্বর এবং
৩। কলেজের পছন্দক্রম
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
আবেদন শুরুঃ- ৮ ডিসেম্বর, ২০২২ইং
আবেদন শেষঃ- ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২ইং
ঘরে বসে কলেজ ভর্তি সেবা পেতে ফোন করুন।
মোবাইলঃ +8801711981051 (What\’s App available)
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া:
অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) এর মাধ্যমে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন করতে পারবে না। শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা।
১৫০ টাকা আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দের তালিকা দিতে হবে।
যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে ৩২৮ টাকা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছে তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই বাছাই করে শিক্ষার্থীকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে।
তিন ধাপে অনলাইন আবেদন করা যাবে :
প্রথম ধাপ:
ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন ৮ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ২০০২২ পর্যন্ত চলবে। যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করেছেন, আবেদনের যোগ্য হলে তাদেরও এ সময়ের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১৮ থেকে ২২ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের আবেদন যাচাই বাছাই ও আপত্তি-নিষ্পত্তি করা হবে। পুনঃনিরীক্ষার ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ হবে ২৬ ডিসেম্বর।
একই দিন আবেদন করা শিক্ষার্থীরা পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় পাবেন। আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করবে।
প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নির্বাচন চলবে ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত না করলে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন ও আবেদন বাতিল হবে।
তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ কলেজ ভর্তি অনলাইন আবেদন
৯ ও ১০ জানুয়ারি ২০২৩ দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১২ জানুয়ারি।
একই দিনে দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি ২০২৩।
তৃতীয় ধাপে কলেজ ভর্তি আবেদ
১৬ জানুয়ারি ২০২৩ তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ করা হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৮ জানুয়ারি ২০২৩।
একইদিনে তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে। তৃতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে ১৯ ও ২০ জানুয়ারি ২০২৩।
ভর্তি ও ক্লাস শুরু হবে কবে?
আগামী ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ অবধী একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি চলবে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ থেকে বিভিন্ন কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু হবে।
গ্রুপ নির্বাচন করা হবে যেভাবে
বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন।
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান,
মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন।
ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা নেওয়া হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে বলে জানা গেছে।
কলেজ (একাদশ) ভর্তিতে কোটা ব্যবস্থা
কলেজের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে ও এসব আসনে ভর্তির জন্য মেধার ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির নূন্যতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ২ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে।
যদি আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তিল সুযোগ পাবেন। অনলাইন আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়ন পত্র দাখিল করতে হবে। সংশিষ্ট কর্মকর্তা দপ্তর প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তার একধাপ ওপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়ন পত্র দাখিল করতে হবে। মোট আসনের ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সন্তানদের সন্তানের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও সন্তানদের সন্তান শনাক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রদত্ত সনদপত্র দাখিল করা জরুরী।
মেধাক্রম নির্ধারণ পদ্ধতি
সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন বছরের গ্রেড পয়েন্ট ও প্রাপ্ত নম্বর সমতুল্য করে হিসাব করতে হবে। বিজ্ঞান গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর প্রাপ্তদের মেধাক্রম নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত ও উচ্চতর গণিত বা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে। যদি তারপরেও প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা নিরসন না হয়, তবে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের ক্ষেত্রে সমান মোট নম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে। এক গ্রুপের প্রার্থী অন্য গ্রুপে ভর্তির ক্ষেত্রে জিপিএ একই হলে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থী বাছাইয়ে জটিলতা নিরসন না হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনতে হবে।
স্কুল এন্ড কলেজ ও সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত যোগ্যতা সাপেক্ষে স্ব স্ব বিভাগে (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবেন। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব বিভাগে ভর্তি নিশ্চিত করেই কেবল অবশিষ্ট শূন্য আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে।
কলেজে (একাদশ) ভর্তি ফি
ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের কলেজে ভর্তির ফি হবে ৩ হাজার টাকা। জেলা পর্যায়ের কলেজে দুই ভার্সনের ভর্তির ফি ২ হাজার ও উপজেলা পর্যায়ের কলেজে দুই ভার্সনে ভর্তির ফি ১ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ননএমপিও ভূক্ত বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার কলেজের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার ৫০০ টাকা।
ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার ননএমপিও কলেজে বাংলা ভার্সনে ভর্তির জন্য ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির জন্য ৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জেলা পর্যায়ের কলেজের বাংলা ভার্সনে ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ৪ হাজার টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর উপজেলা পর্যায়ের কলেজে বাংলা ভার্সনে ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সনে ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরকারি কলেজগুলো সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তির ফি নেবে। দরিদ্র, মেধারী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য কলেজগুলোকে ফি যতদূর সম্ভব মওকুফে ব্যবস্থা নিতে হবে।
hsc admission 2023,hsc admission 2023 last date,hsc admission 2023 notice pdf,\”xi class admission online application form,hsc admission 2023 notice,hsc apply online,hsc admission 2023 result,hsc admission 2023 bd, সাত কলেজ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি, কলেজ ভর্তি আবেদন, ক্যাডেট কলেজ ভর্তি, নটরডেম কলেজ ভর্তি, কলেজ ভর্তি আবেদন ২০২৩
প্রিয় পাঠক আশা করি উপরে লেখাটি আপনার কাজে এসেছে। আর হাঁ, আপনি চাইলে এস এস সির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষা করতে পারবেন।