কুরআনে বৰ্ণিত ফল

কুরআনে বৰ্ণিত ফল- ফলাদি ও উদ্ভিদের নাম

আল্লাহ ৱাব্বুল আলামীন অত্যন্ত দয়াপৱবস হয়ে‌ এ পৃথিবীতে আমাদেৱকে সৃস্টিৱ সেৱা জীব মানুষ হিসেবে তৈৱী কৱেছেন। সেইসাথে আমাদেৱ জীবন – জীবিকা নিৰ্বিঘ্নে পৱিচালনাৱ জন্য নানাবিধ সুস্বাদু ফল, উদ্ভিদ এবং উপযোগী ফসলাদিৱ ভাৱসম্যপূৰ্ণ সমাবেশ ঘটিয়েছেন। পৃথিবীৱ নানাবিধ আবহাওয়া ও বৈচিত্ৰপূৰ্ণ পৱিবেশেৱ মানুষেৱ জীবন ধাৱনেৱ উপযোগী ফল ফলাদি ও খাদ্য শষ্যেৱ উদ্ভাবন কৱেছেন। পৃথিবীৱ যে ভূখন্ডেৱ আবহাওয়া যেমন সে দেশেৱ মানুষেৱ জন্য উপযোগী ফসল ও ফলেৱ যোগান দিয়েছেন আমাদেৱ মহান ৱব।
শুধু মানুষ নহে; অন্যান্য জীব জন্তু ও মাখলুকাতেৱ প্ৰয়োজনীয়তাৱ কথা ও তিনি ভুলে যান নি। সুবহান আল্লাহ!
অদ্যকাৱ নিবন্ধে আল্লাহ পাকেৱ দেয়া অগনিত নে’আমতেৱ মধ্য হতে কিছু ফল ও ফসলাদিৱ নে’আমতেৱ কথা আমৱা আলোচনা কৱবো ; যা আল্লাহ পাক কালামে হাকীমে উল্লেখ কৱেছেন।
উল্লেখ্য যে, অদ্যকাৱ নিবন্ধে উল্লেখিত ২৯ টি ফসলাদিৱ মধ্য হতে ক্ৰমিকনং ১২ ‘খামতু’ ও ২৫ নং ‘জাক্কুম’ শুধুমাত্ৰ জাহান্নামীদেৱ খাদ্য হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে; বাকী সবগুলোই আমাদেৱ জন্য সুসংবাদ ও নে’আমতেৱ উপকৱন। আলহামদুলিল্লাহ।

১. আল ইনাবু : العنب আঙুর ফল। ‘এবং আঙুর ও শাকসবজি।’ (সূরা আবাসা- ২৮)।
২. আর রুম্মান : الرمان আনার। ‘সেখানে রয়েছে ফলমূল; খেজুর ও আনার।’ (সূরা রহমান- ৬৮)।
৩. আত তিন : التين ডুমুর (ফল বা গাছ)। ‘ডুমুর ও জলপাই (বা তার গাছের) এর শপথ।’ (সূরা তিন – ১)।
৪. আন নাখলু : النخل খেজুর গাছ। ‘এবং শস্যক্ষেত ও দুর্বল এবং ঘন গোছাবিশিষ্ট খেজুর বাগানে।’ (সূরা শুয়ারা – ১৪৮)।
৫. আজ-জারউ : الذرع বীজ, চারা, শস্য বা শস্যক্ষেত। ‘মহান আল্লাহ, যিনি সৃষ্টি করেছেন নানা ধরনের বাগান। যার কিছু মাচার ওপর বিছানো থাকে (কা-হীন) এবং কিছু মাচার ওপর বিছানো থাকে না (কা-বিশিষ্ট) এবং যিনি সৃষ্টি করেছের খেজুর গাছ ও বিভিন্ন স্বাদের খাদ্যশস্য।’ (সূরা আনআম- ১৪১)।
৬. আর রাতাবু : الرطب তাজা ও পাকা খেজুর। ‘তুমি খেজুর গাছের কা- ধরে নাড়া দাও। তোমার ওপর তা ফেলবে পাকা তাজা খেজুর।’ (সূরা মরিয়াম- ২৫)।
৭. আল ফাকিহাতু : الفاكهة যে কোনো ফল। ‘তাতে রয়েছে ফলমূল ও খোসায় ঢাকা খেজুর।’ (সূরা রহমান – ১১)।
৮. আজ জায়তুন : الزيتون জলপাই। ‘ডুমুর ও জলপাই (বা তার গাছের) এর শপথ।’ (সূরা তিন – ১)।
৯. আস সামারু : الثمر যে কোনো ফল। ‘খেজুর ও আঙুর ফলগুলো। তা থেকে তোমরা গ্রহণ করো নেশাদ্রব্য ও উত্তম রিজিক।’ (সূরা নাহল – ৬৭)।
১০. আস সিদরু : السدر কুল বা বরই গাছ। ‘কাঁটাবিহীন বরই গাছ তলায়।’ (সূরা ওয়াকিয়া – ২৮)।
১১. আল আসলু : الاثل ঝাউ গাছ। ‘আমি তাদের বাগান দুইটিকে এমন দুই বাগানে পরিবর্তন করলাম, যেখানে রইল কিছু বিস্বাদ ফল, ঝাউ গাছ ও কুল গাছ।’ (সূরা সাবা – ১৬)।
১২. আল খামতু : الخمط তেঁতো ও বিস্বাদ খাবার বা আরবি ভাষায় ‘আরাক’ নামক বিশেষ লতা গাছ। ‘আমি তাদের বাগান দুইটিকে এমন দুই বাগানে পরিবর্তন করলাম, যেখানে রইল কিছু বিস্বাদ ফল, ঝাউ গাছ ও কুল গাছ।’ (সূরা সাবা – ১৬)।
১৩. আল আব্বু : الاب পশুখাদ্য। গৃহপালিত ও বন্যপশু যে ফল খায়। ‘তাতে উৎপন্ন করেছি ফলমূল ও ঘাস।’ (সূরা আবাসা – ৩১)।
১৪. আল কিসসাউ : القثاء শসা। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা – ৬১)।
১৫. আল ফুমু : الفوم মটরকলাই বা গম। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা – ৬১)।
১৬. আল বাকলু : البقل সবজি বা যে কোনো উদ্ভিদ। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা – ৬১)।
১৭. আল আদাসু : العدس ডাল। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্যÑ তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা- ৬১)।
১৮. আল বাসালু : البصل পেঁয়াজ। ‘তারা বলল, তুমি তোমার প্রভুর কাছে প্রার্থনা করো। যেন তিনি আমাদের জন্য ভূমিজাত খাদ্যদ্রব্য; তরকারি, শসা, গম, মসুর ও পেঁয়াজ উৎপন্ন করেন।’ (সূরা বাকারা – ৬১)।
১৯. আল হাব্বু : الحب শস্যদানা বা বীজ। ‘নিশ্চয় আল্লাহ বীজ ও আঁটিকে অঙ্কুরিত করেন।’ (সূরা আনআম – ৯৫)।
২০. আস সানাবিলু : السنابل শিষ বা মুকুল। ‘যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে তাদের দৃষ্টান্ত হলো বীজের মতো, যা থেকে সাতটি শিষ বের হয় এবং প্রত্যেক শিষে থাকে ১০০ বীজ।’ (সূরা বাকারা – ২৬১)।
২১. আন নাবাতু : النبات উদ্ভিদ। ‘যেন আমি তা (পানি) দিয়ে উৎপন্ন করি শস্যদানা ও উদ্ভিদ।’ (সূরা নাবা – ১৫)।
২২. আর রায়হানু : الريحان পুদিনা জাতীয় এক ধরনের গুল্ম ও ধনিয়া পাতা বা যে কোনো সুগন্ধ গুল্ম। ‘আরও রয়েছে ভূষিযুক্ত শস্যদানা ও সুগন্ধি ফল।’ (সূরা রহমান – ১২)।
২৩. আজ জানজাবিলু : الزنجبيل আদা বা এক ধরনের মূল্যবান সুগন্ধি। ‘তারা সেখানে এমন শূরা পান করবে, যাতে মেশানো থাকবে জানজাবিল’। (সূরা দাহর – ১৭)।
২৪. আল কাফুরু : الكافور কর্পূর। ‘নিশ্চয় সৎ মানুষ জান্নাতে এমন পাত্রে পান করবে, যাতে মেশানো থাকবে কর্পূর।’ (সূরা দাহর – ৫)।
২৫. আজ জাক্কুমু : الزقوم কাঁটাযুক্ত গাছ বা ক্যাকটাস। ‘আপ্যায়নের জন্য এটাই উত্তম না কাঁটাযুক্ত গাছ?’ (সূরা সাফফাত- ৬২)।
২৬. আন নাজমু : النجم ঘাস বা এমন গাছ, যার ডাল হয় না। ‘লতাপাতা ও বৃক্ষরাজি তাঁকে সিজদা করে।’ (সূরা রহমান – ৬)।
২৭. আস সাজারু : الشجر ডালবিশিষ্ট গাছ। ‘লতাপাতা ও বৃক্ষরাজি তাঁকে সিজদা করে।’ (সূরা রহমান -৬)।
২৮. আল কিনওয়ানু : القنوان খেঁজুরের কাঁদি। ‘এবং খেজুর গাছ, যার শীর্ষদেশ কাঁদির ভারে নুয়ে থাকে।’ (সূরা আনআম ৬ : ৯৯)।
২৯. আত তালউ : الطلع খেঁজুর গাছের শিষ। ‘এবং খেজুর গাছ, যার শীর্ষদেশ কাঁদির ভারে নুয়ে থাকে।’ (সূরা আনআম – ৯৯)।
সুবহানআল্লাহ্ সৃষ্টি জগৎ কতইনা বৈচিত্র্যময়! এ সকল নে’আমত গ্রহন করে শুকরিয়া আদায় করার তাওফিক দান করুন ইয়া রব

ঘরে বসে অনলাইনে ইসলামিক স্টাডিজ বেসিক কোর্স করুন ও নিয়ে নিন ১০০০+ ইসলামিক বই। রেজিস্ট্রেশ করুন এখনি…

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *