বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ লাভের উপায়

ইউরোপীয়ান দেশগুলো সহ প্রায় বেশিরভাগ দেশেই স্কলারশিপসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধাদি মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ের জন্য বেশি দেওয়া হয়ে থাকে। স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জন্য খুব একটা স্কলারশিপ দেওয়া হয় নাহ। তাছাড়া এসিস্টেন্টশিপ অর্থাৎ রিসার্চ এসিস্টেন্ট এবং টিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করার সুযোগও খুবই কম থাকে। বিপরীতে মাস্টার্স এবং পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই এসিস্টেন্টশিপ এ ফান্ডিং যোগাড় করতে পারে। এটা অনেকটা চাকরীর মতো বলা চলে। 

এক্ষেত্রে আপনি যে প্রফেসরের রিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হবেন, তাঁর নিজস্ব গবেষণার কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য বা ল্যাবের কাজের জন্য, সপ্তাহে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনি তাঁকে সহযোগীতা করে থাকবেন, এমনটা শর্ত দিয়েই রিসার্চ এসিস্টেন্টশিপ দেওয়া হয়। আর টিচার্স এসিস্টেন্টশীপ এর ক্ষেত্রে, আপনি যে প্রফেসরের টিসার্চ এসিস্টেন্ট হিসেবে নিযুক্ত হবেন তাঁর যাবতীয় কাজ যেমন পরীক্ষার ডিউটি, খাতা চেক, নাম্বারিং ইত্যাদির জন্য সহযোগীতা করে থাকবেন, এমনটা শর্ত দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে এই এসিস্টেন্টশিপগুলোর সুবিধা হচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনার পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনো টিউশন ফি লাগবে নাহ, বরং আপনি নিজের খরচ বহন সহ কিছুটা সেভিংস ও করতে পারবেন। তবে টিসার্চ এসিস্টেন্টশিপ খুব একটা দেওয়া হয় নাহ, এক্ষেত্রে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য রিসার্চ এসিস্টেন্টশিপই বেশি দেওয়া হয়। 

এখন এক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন মনে চলে আসতে পারে, আর তা হচ্ছে,-

এসিস্টেন্টশিপ আপনি কিভাবে ম্যানেজ করবেন?

উত্তরটা আপনি এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝেই গেছেন। যেহেতু রিসার্চ এসিস্টেন্টশিপ এর ফান্ড আসে প্রফেসরদের নানা রিসার্চ গ্রান্ট থেকে, তাঁর মানে এই এসিস্টেন্টশীপ পেতে হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করার এছাড়াও আরো অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হলো, অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটিগুলোতে অনেক জায়গায় ভর্তির পূর্বেই এডভাইজর ঠিক করে যেতে হয়, এজন্যও প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করার প্রয়োজন হয়। 

কখন থেকে প্রফেসরদের সাথে যোগাযোগ করবেন?

এক্ষেত্রে আপনার ভর্তির আবেদনের অন্তত ছয় মাস পূর্ব থেকে কাজটি শুরু করা উচিত। তবে বেশি ভালো হয় যদি আপনি এই কাজটি বছর দুয়েক আগে থেকে করা শুরু করেন। কারণ ই-মেইল এর মাধ্যমে প্রফেসরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তাঁদের সাথে আলাপচারিতায় রিসার্চ এর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা,  একটু সময়সাপেক্ষ ব্যাপারই বটে। তাই ভর্তির আবেদনের সময়ের ঠিক আগে আগে এপ্লাই করবেন, এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। 

কোন প্রফেসরের সাথে যোগাযোগ করবেন?

এটি সম্পূর্ণই আপনার ব্যাক্তিগত আগ্রহের ব্যাপার। তবে এক্ষেত্রে আগ্রহের পাশাপাশি যেটি আপনার জন্য উপযোগী এবং যে প্রক্রিয়ায় আপনার ফাণ্ডিং পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেটি খুঁজে বের করতে হবে। তাই বুঝতে পারছেন, আপনাকে অবশ্যই এমন প্রফেসর খুঁজে বের করতে হবে, যাঁর হাতে ফান্ডিং আছে আর যিনি এসিস্টেন্টশিপ এর জন্য নতুন শিক্ষার্থী নিচ্ছেন। আর এই তথ্য গুলো খুঁজে বের করার জন্য, প্রথমে আপনার কোন বিষয়ে গবেষণা করতে আগ্রহ আছে, সেটি খুঁজে বের করতে হবে। অতঃপর সেই অনুযায়ী আপনাকে বিভিন্ন প্রফেসরদের ওয়েবসাইট, ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইট, ফান্ডিং এজেন্সির সাইটগুলোতে একটু ঘাটাঘাটি করতে হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *