স্টুডেন্ট ভিসা পেতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের উচ্চশিক্ষা নীতিমালা জানা প্রয়োজন। কারণ স্টুডেন্ট ভিসার জন্য একেক বিশ্ববিদ্যালয় একেক নিয়ম করেছে।
কিভাবে বিদেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন?
ধরেন আপনি কানাডার একটি বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতে চান। তাহলে আপনার প্রথম কাজ হল সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। প্রস্ততি বলতে আমি বলছি না যে শুধু ভাল ফল অর্জন করলেই চলবে। বরং যে দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চান সে দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে ভালো ধরণা নিতে হবে। সংশ্লিষ্ঠ দেশের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার যোগ্যতাটাও তৈরি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় আপনাকে ভর্তির প্রাথমিক অনুমতি জানিয়ে যে চিঠি দিবে তাই অফার লেটার। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রদত্ত অফার লেটার প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বার বার পড়তে হবে। ভালভাবে জেনে নিন টিউশন ফির পরিমাণসহ অন্যান্য বিষয়।
কীভাবে ভিসা প্রসেসিং করবেন?
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর তাদের পাঠানো অফার লেটার বা ভর্তির অনুমতিপত্রে উল্লেখিত ডেডলাইনের মধ্যেই প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে হবে। অন্যথায় ভর্তি বাতিল হবে। তাই নির্দিষ্ট তারিখের পূর্বে আপনাকে সেদেশের ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও প্রায় সব নিয়মই এক রকম। কোন দেশে ভিসা পেতে হলে প্রথমে সে দেশের ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ভিসার আবেদনপত্র সরবরাহ করে থাকে। তা না হলে নির্দিষ্ট দূতাবাস থেকে ভিসার আবেদনপত্র সংগ্রহ করে সঠিক তথ্য দিয়ে নির্ভুল ভাবে প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ দূতাবাসে জমা দিতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিনে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। ভিসার জন্য সাধারনত যে সব কাগজপত্র লাগে-
- শিক্ষাগত কাগজপত্রঃ সনদপত্র, নম্বরপত্র, প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রশংসাপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ মূলকপি।
- পাসপোর্টঃ পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ১ বছর থাকতে হবে এবং পেশা, জন্ম তারিখ ও অন্যান্য সকল তথ্যের সাথে শিক্ষাগত
কাগজ পত্রের মিল থাকতে হবে। আপনার পাসপোর্ট করা না থাকলে পাসপোর্ট করে নিন। - শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমানপত্র বা অফার লেটার।
- আর্থিক সামর্থ্যের প্রমানপত্রঃ আবেদন ও ভর্তি প্রসেসিং অংশে এ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিন।
- ছবিঃ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে, পরিস্কার ভদ্র পোশাকে তোলা স্মার্ট ও স্পষ্ট ছবি হলে ভাল হয় এবং রঙ্গিন হওয়াই উত্তম।
- টিউশন ফি’র ব্যাংক ড্রাফটঃ প্রতিষ্ঠান ভেদে টিউশন ফি ভিন্ন হয়ে থাকে।
- ভাষাগত দক্ষতার প্রমানপত্রঃ আবেদন ও ভর্তি প্রসেসিং অংশে দেখুন।
- পুলিশ ছাড়পত্রঃ পুলিশ ছাড়পত্রের জন্য নিজ নিজ থানায় যোগাযোগ করে একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদানের মাধ্যমে এটি সংগ্রহ করা যায়।
তবে আপনার বিরুদ্ধে দেশ ও আইনবিরোধী কন কাজে জরিত থাকের অভিযোগ থাকলে আপনি পুলিশ ছাড়পত্র পাবেন না।
কোন দেশে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া সহজ
অনেকেই প্রশ্ন করে কোন দেশে স্টুডেন্টদের জন্য ভিসা পাওয়া সহজ হবে? উত্তরে বলা যায় আপনার যদি যোগ্যতা থাকে তাহলে সকল দেশেই সহজ।
কারণ পৃথিবীর সকল দেশই চায় তার দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সবচেয়ে মেধাবীরা পড়ুক । আর তাদের জন্য নতুন কিছু আবিষ্কার করুক।
তবে মোটামুটি ভাবে বলা যায় বাংলাদেশী সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্ডিয়া, মালয়েশিয়া, চায়না খুব সহজ। আর বাকীগুলো একটু কঠিন বটে।
কানাডায় পড়াশোনা
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার নিয়ম ও খরচ
কানাডা উন্নত দেশ গুলোর মধ্যে অন্যতম। শান্তি প্রিয় ও নিরাপদ একটি দেশ হল কানাডা। তবে কানাডায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক ভালো।
বিশেষয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা কানাডায় গিয়ে সহজের ক্যারিয়ার গড়তে পারে। তবে প্রতি বছর গড়ে অনার্স কোর্সের জন্য ১৫ লাখ টাকা লাগে।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং, ভর্তি যোগ্যতা ও এজেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এখানে
আরও পড়ুন: কানাডায় উচ্চশিক্ষা: কানাডায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায় ২০২৪
জার্মান স্টুডেন্ট ভিসা ২০২৪
কারণ আপনাকে দেখাতে হবে যে জার্মানিতে আপনি নিজের খরচ মেটাতে পারবেন। জার্মান দূতাবাস, ঢাকার ওয়েবসাইটে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে ইউরো জমা দেওয়ার বিস্তারিত নিয়ম পেয়ে জাবেন।
জার্মানিতে পড়াশোনার যেকোনো সাহায্য লাগলে দূতাবাস আন্তরিকতার সঙ্গে সাহায্য করে থাকে।তবে এক্ষেত্রে সরাসরি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন অথবা ই–মেইল বা ফোনেও কথা বলা যাবে।
ইন্ডিয়ান স্টুডেন্ট ভিসা
হাঁ, আজকাল বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ইন্ডিয়ায় পড়াশোর জন্য যাচ্ছে, কারণ খুব কম খরচে এবং কম চাপে পড়াশোনার উত্তম দেশ হয় ইন্ডিয়া।
ইন্ডিয়ায় ভর্তি ও ভিসা বিষয়ে আরও পড়ুন ভারতে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপ, খরচ ও অনলাইন আবেদন পদ্ধতি ২০২১
মালয়েশিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ২০২১
মালয়েশিয়া বিশ্বের ১৩৯ তম বেস্ট পছন্দের দেশ, যেখানে শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য আসে।
বিস্তারিত মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা স্কলারশিপ ও ক্যারিয়ার ২০২১
ইতালি স্টুডেন্ট ভিসার খরচ
ইতালিতে স্টুডেন্ট গার্ডিয়ান ভিসা সাবক্লাস ৫৯০ – এই ভিসায় স্টুডেন্ট আবেদন করতে পারে কিন্তু এই ভিসা পেতে ২৫,০০০-৩০,০০০ টাকা খরচ হবে এবং আপনার একাউন্টসে যথেষ্ঠ পরিমাণ অর্থ দেখাতে হবে।
তবে পরিবারের কাউকে আগে থেকেই ইতালির অধিবাসী হতে হবে। শিক্ষার্থীর বয়স ২১ বছরের বেশি হলেই আপনি এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আয়ারল্যান্ড স্টুডেন্ট ভিসা
আয়ারল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম এক ধনী দেশ। যে দেশ উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত এবং ১৯২১ সালে যুক্তরাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীনতা লাভ করে।
আপনারা নিশ্চই তৈরি হয়েছেন আয়্যারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষার জন্য। আর দেরি কেন? বিস্তারিত নিচে।বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক যেকোনো প্রয়োজনে-
যোগাযোগঃ সেবারু,২/৪ ব্লক-জি,লালমাটিয়া,ঢাকা-১২০৭,বাংলাদেশ।০১৭১১-৯৮১০৫১,০১৮৯৭৯৮৪৪২০,০১৮৯৭৯৮৪৪২১।