Shebaru

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি পার্ট টাইম  জব

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি পার্ট টাইম  জব

উচ্চশিক্ষার কথা শুনলে প্রথমেই যে প্রশ্নটি আমাদের মাথায় ঘুরপাক খায়, সেটি হলো কোন দেশে সাধ্যের ভেতর উচ্চশিক্ষা লাভ করা সম্ভব এবং বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি পার্ট টাইম  জব ।দেশের বাইরে পড়তে যেতে চাইলে নানা বিষয়ের চিন্তা করেই এগোতে হয়। উচ্চশিক্ষার কেউ কেউ বৃত্তি পেয়ে পাড়ি জমান। কেউ কেউ খোঁজেন পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ । বেশ কয়েকটি দেশ বিদেশিদের কম খরচে পড়ার সুযোগ দেয় এবং দেয়  কর্মসংস্থানের সুযোগ ।

জার্মানি

সিংহভাগ শিক্ষার্থীর কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের সহজ দেশ জার্মানি। কেন জার্মানি আসবেন? প্রথম কারণ হলো জার্মানির শিক্ষার মান। বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার জন্য জার্মানিকে স্বর্গ বলা চলে। এবং এখানে রয়েছে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য পার্ট টাইম  জব সুবিধা ।

জার্মানির প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট সার্ভিস সেন্টার রয়েছে৷ সেখানে কোথায় কাজ আছে, বেতন কত হবে তা নিয়ে নানা ধরণের তথ্য দেওয়া থাকে ৷ 

স্টুডেন্ট ভিসাতেই তার স্পষ্ট উল্লেখ থাকে বছরে নব্বই দিন অর্থাৎ সপ্তাহে দুই দিন, ৮ ঘন্টা অথবা বছরে ১৮০ দিন অর্ধেক দিন, অর্থাৎ সপ্তাহে ১০ ঘন্টা বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা  কাজ করতে পারবেন ।

জব বেশিরভাগ সময় শহর ভিন্নতায় ভিন্ন ভিন্ন ।তবে আপনাকে অবশ্যই পরিশ্রমী হতে হবে।আপনি চাইলে একদিনের চাকরিও করতে পারেন। পার্টটাইম জব প্রচুর আছে। যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে সবসময়ই রিসার্চ এ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে লোক খোঁজা হয়৷ যে কোন দিন এসে তারা কাজ করতে পারে, এ ধরণের কাজের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতির প্রয়োজন হয় না ক্যাম্পাসেই গবেষণাগার থাকায় ক্লাস থেকে খুব বেশি দূরে যেতে সহয় না   ৷  ফলে একজন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়তি আয়ও করতে পারবেন জার্মানিতে।

অস্ট্রেলিয়া

বিদেশে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম জনপ্রিয় দেশ অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাওয়ার ভিসা পাওয়া তুলনামূলক সহজ। পাশাপাশি দেশটিতে পড়াশোনার সঙ্গে আছে খণ্ডকালীন (পার্ট টাইম) কাজের সুযোগ।অস্ট্রেলিয়ায় নতুন অর্থবছর ২০২৩-২৪ এর মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভিসা ক্যাটাগরিতে নানা সুবিধা পাবেন। শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা বাড়ছে। সপ্তাহে ২০ কর্মঘণ্টাকে বাড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা করা হয়েছে, বহাল থাকবে এ বছরের শেষ পর্যন্ত। নির্ধারিত সময় থেকে নির্বাচিত স্নাতক ডিগ্রির জন্য কাজের অধিকার ২ থেকে ৪ বছর এবং সব ডক্টরেট ডিগ্রির জন্য ৪ থেকে ৬ বছর পর্যন্ত প্রসারিত হবে। 

শিক্ষামন্ত্রী জেসন ক্লেয়ার বলেন, \’আমরা দক্ষ কর্মীদের শেখাই ও প্রশিক্ষণ দেই। এর অর্থ হলো তারা যেন দীর্ঘ সময় ধরে এদেশে থাকতে পারে এবং অস্ট্রেলিয়ায় যে দক্ষতা অর্জন করেছে তা ব্যবহার করতে পারে।\’

\’অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট\’ গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মধ্যে কর্মী ঘাটতিতে থাকার তালিকায় দ্বিতীয়তে আছে অস্ট্রেলিয়া।

অস্ট্রেলিয়ায় গড় খণ্ডকালীন বেতন প্রতি বছর $67,440 বা $34.58 প্রতি ঘন্টা । এন্ট্রি-লেভেল পজিশন প্রতি বছর $55,411 থেকে শুরু হয়, যখন বেশিরভাগ অভিজ্ঞ কর্মী প্রতি বছর $120,198 পর্যন্ত উপার্জন করে।

কানাডা

আন্তর্জাতিক পড়ুয়াদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য কানাডা। সহজ অভিবাসননীতি এর মূল কারণ।দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার সুযোগও পাওয়া যায় অনেক বেশি।

কানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থী  খণ্ডকালীন কাজ করতে পারেন।একাডেমিক প্রোগ্রাম চলাকালে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। একাডেমিক বিরতির সময় পূর্ণ সময় কাজ করতে পারেন।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে বা বাইরে খণ্ডকালীন কাজ করার জন্য ওয়ার্ক পারমিটের প্রয়োজন নেই কানাডায় ।পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরে শিক্ষার্থীরা পোস্ট-গ্রাজুয়েশন ওয়ার্ক প্রোগ্রামের (PGWP) জন্য আবেদন করতে পারেন।

যুক্তরাজ্য

শিক্ষার গুণগত মানের দিক থেকে বিশ্বের বড় বড় খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যুক্তরাজ্যে।প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়  ঐতিহ্যের জন্য যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।  পড়া শেষে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের ওয়ার্ক ভিসায় দুই বছর পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ যুক্তরাজ্য ।  

যুক্তরাজ্যে অবস্থান ও কর্মসংস্থানের জন্য যা যা জানা দরকার, ব্রিটেনে বৎসর জুড়ে, ফ্রি ক্যারিয়ার ইভেন্ট, জবস ফেয়ার , নেটওয়ার্কিং ইভেন্ট, ফ্রি কোর্সসহ বিভিন্ন প্রকার ফ্রি ট্রেনিং ইভেন্ট হয়ে থাকে, ইত্যাদি বিশেষ সুযোগ সুবিধা গুলোর সঠিক ভাবে ব্যাবহার করে নিজেদের দক্ষতাকে বাড়িয়ে আগামীদিনের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়েতুলতে পারেন।

প্রতিটি ইউনিভার্সিটির নিজস্ব ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট এন্ড এডভাইস ডিপার্টমেন্ট এবং স্টুডেন্ট সাপোর্ট সেন্টার শিক্ষার্থীদের এসকল বিষয়ে সহায়তা প্রদান করে।

সবচেয়ে বেশি কাজের সুযোগ করে দেয় জব এজেন্সিগুলো।

আর্ক হসপিটালিটি 

ইনডিড ফ্লেক্স

ল্যাঙ্গুয়েজ এম্পায়ার। 

অন কল ইন্টারপ্রেটার্স

জবস্ ফর ইউ 

আয়ারল্যান্ড

অন্যতম আকর্ষণীয় দেশ আয়ারল্যান্ড শীর্ষ সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে । পড়াশোনার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সুযোগও আছে ।  বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা, একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত আয়ারল্যান্ড। এখানে রয়েছে ব্যাপক গবেষণার সুযোগ । পড়াশোনার ফাঁকে প্রতি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ আছে। গ্রীষ্ম ও শীতের ছুটিতে প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত খণ্ডকালীন কাজ করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। এ ক্ষেত্রে বৈধ অভিবাসন স্ট্যাম্প টু প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্নাতকের পর ১২ থেকে ২৪ মাস কাজ করার অনুমতি ও সুযোগ আছে।

হ্যাঁ, আয়ারল্যান্ডে ভারতীয় ছাত্রদের জন্য পোস্ট স্টাডি ওয়ার্ক ভিসা পাওয়া সম্ভব । আপনি স্নাতক হওয়ার পর কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই আয়ারল্যান্ডে কাজ করতে পারবেন ।

রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিং মলে কাজ করে ঘণ্টায় সাত থেকে ১২ ইউরো পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। 

আপনি ক্যারিয়ারের বিকল্প, স্নাতকোত্তর অধ্যয়ন এবং চাকরি খোঁজার বিষয়ে আপনার ক্যারিয়ার পরিষেবা থেকে পরামর্শ পেতে পারেন।

PLEASE SHARE THIS

আমাদেরকে আনুসরন করুন

SOCIAl MEDIA

নিউজলেটার

আমাদের বিভিন্ন প্যাকেজ আপডেট, অফার কিংবা নিউজ আপনার ইমেইলে সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

Scroll to Top