ঢাকার মসজিদ ও মন্দির

ঢাকার মসজিদ ও মন্দির

ঢাকাকে মসজিদের শহর বলা হয়। কারণ ঢাকায় যত মসজিদ আছে বাংলাদেশের অন্য কোন জেলাতে নেই। এমনিকি পৃথিবীর অন্য শহরেও মনে হয় নেই।
একইভাবে মন্দিরও কিন্তু কম নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে তাকালেই অনেক মন্দির চোখে পড়বে। পুরান ঢাকায়ও প্রচুর বিখ্যাত মন্দির রয়েছে।
ঢাকার বিভিন্ন বিখ্যাত মসজিদ ও মন্দির এই নগরীটিকে ঐতিহাসিকভাবে সমৃদ্ধ করেছে। সেই সাথে সাম্যের নিদর্শনও প্রকাশ করেছে।
এ লেখায় প্রাচিন ও বর্তমান ঢাকার বিখ্যাত সেই স্থাপনা সম্পর্কে আলোচা করা হল।

ঢাকার মসজিদ :

ঢাকায় কয়েকশ মসজিদ রয়েছে। বিখ্যাত মসজিদগুলোর মধ্যে রয়েছে সাত মসজিদ (সতের শতকের) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, তারা মসজিদ (আঠার শতকের), চকবাজার মসজিদ এবং হোসনে দালান মসজিদ।

ঢাকার মন্দির :

ঢাকায় বেশকিছু মন্দির রয়েছে। ঢাকেশ্বরী মন্দির (১১ শতকের), (বকশীবাজার), সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির-সিদ্ধেশ্বরী, লোকনাথ ও ইসকন মন্দির-স্বামীবাগ, জগদ্বন্ধু মহাপ্রকাশ মঠ-টিকাটুলী প্রভৃতি। এছাড়া রয়েছে শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির। রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকায় ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের নবনির্মিত মন্দির উৎসর্গ হয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি-২০০৫ সালে। চমৎকার কারুকাজ এবং শান্ত, সুন্দর পরিবেশ সব মিলিয়ে মন্দিরটি পূর্ণার্থী ও পর্যটকদের জন্য খুবই আকর্ষণীয়। এই মন্দির প্রতিদিনই খোলা থাকে সকাল ৫টা থেকে দুপুর ১২টা এবং বিকাল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।

বৌদ্ধ মঠ : ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহার, কমলাপুরের মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ মঠ। এটি বৌদ্ধ সংস্কৃতির প্রতিরূপ। এখানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন বৌদ্ধ পূর্ণিমা, প্রবারণা পূর্ণিমা, আষাঢ়ী পূর্ণিমা প্রভৃতি ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উদযাপিত হয়ে থাকে। চার্চ : আর্মেনিয়ান চার্চ (১৭৮১ সালের), সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রাল রমনা, সেন্ট ক্রিস্টিনা চার্চ, হোলি রোসারি চার্চ (১৬৭৭ সালের), তেজগাঁও। এই চার্চগুলি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনসহ অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনকালে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।


সংকলনে: আবু জাফর রাজুমেডিকেল ভিসা কনসালটেন্ট ( ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর)।
লেখাটি সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বিজ্ঞপ্তি: লেখাটি হুবহু কপি না করার জন্য অনুরোধ করছি। সাহায্যের জন্য বা রেফারেন্স হিসেবে অংশ বিশেষ ব্যবহার করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে এই পোস্টের লিংক প্রদানের অনুরোধ করছি। লেখকের কষ্টের মূল্য প্রদানে আপনার বিবেকের প্রতি আরজি রইল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *