সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ pdf ডাউনলোড অপশন ও ঢাকা সহ বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার স্থানীয় সেহরি ও ইফতারের ক্যালেন্ডার টি প্রকাশ
করতে পেরে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। সেহরির শেষ সময় ও ইফতারের সময় নিয়ে বাংলাদেশ মতানৈক্য রয়েছে।
আমরা এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ২০২২ সালের সেহরি ও ইফতারের ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেছি।
নিচে ইসলামিক ফাইন্ডার প্রকাশিত ২০২২ সালের রমজানের ক্যালেন্ডার/১৪৪৩ হিজরী অনুযায়ী বাংলাদেশ টাইম দেওয়া হল।
সেই সাথে প্রত্যেক বিভাগ ও জেলার এলাকা ভিত্তিক কত টুকু সময় আগাবে বা পিছাবে তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিঃদ্রঃ নিচের তথ্য গুলো প্রতি রোয়ার দিনের আগেই আপডেট করা হবে।
রমজান | এপ্রিল-২০২২ | সেহরির শেষ সময় | ইফতারের সময়সূচি |
১ | ৩ | ৪.২৭ AM | ৬.১৯ PM |
২ | ৪ | ৪.২৬ | ৬.১৯ |
৩ | ৫ | ৪.২৫ | ৬.২০ |
৪ | ৬ | ৪.২৪ | ৬.২০ |
৫ | ৭ | ৪.২৩ | ৬.২১ |
৬ | ৮ | ৪.২২ | ৬.২১ |
৭ | ৯ | ৪.২১ | ৬.২২ |
৮ | ১০ | ৪.২০ | ৬.২২ |
৯ | ১১ | ৪.১৯ | ৬.২২ |
১০ | ১২ | ৪.১৮ | ৬.২৩ |
১১ | ১৩ | ৪.১৬ | ৬.২৩ |
১২ | ১৪ | ৪.১৫ | ৬.২৩ |
১৩ | ১৫ | ৪.১৪ | ৬.২৪ |
১৪ | ১৬ | ৪.১৩ | ৬.২৪ |
১৫ | ১৭ | ৪.১২ | ৬.২৪ |
১৬ | ১৮ | ৪.১১ | ৬.২৫ |
১৭ | ১৯ | ৪.১০ | ৬.২৫ |
১৮ | ২০ | ৪.০৯ | ৬.২৬ |
১৯ | ২১ | ৪.০৮ | ৬.২৬ |
২০ | ২২ | ৪.০৭ | ৬.২৭ |
২১ | ২৩ | ৪.০৬ | ৬.২৭ |
২২ | ২৪ | ৪.০৫ | ৬.২৮ |
২৩ | ২৫ | ৪.০৫ | ৬.২৮ |
২৪ | ২৬ | ৪.০৪ | ৬.২৯ |
২৫ | ২৭ | ৪.০৩ | ৬.২৯ |
২৬ | ২৮ | ৪.০২ | ৬.২৯ |
২৭ | ২৯ | ৪.০১ | ৬.৩০ |
২৮ | ৩০ | ৪.০০ | ৬.৩০ |
২৯ | ০১ | ৩.৫৯ | ৬.৩১ |
৩০ | ০২ | ৩.৫৮ | ৬.৩১ |
আরও পড়ুন: শুক্রবারের আমল ও জুমআর দিনের ফজিলত
জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২
ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা ও বরিশাল বিভাগসহ সকল জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২২।
বাংলাদেশের ১৪২৩ হিজরির আজকের জেলা ভিত্তিক সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নিচে দেওয়া হল (আপডেটেড)
ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যানুযায়ী ১৪৪৩ হিজরী (২০২২ খ্রিস্টাব্দ) সেহরি ও ইফতারের ক্ষেত্রে ঢাকার
সাথে অন্যান্য জেলার সময়ের পার্থক্য।
ঢাকার সাথে একই সময়ে সেহরি: গাজীপুর নারায়ণগঞ্জ মুন্সিগঞ্জ টাঙ্গাইল চাঁদপুর লক্ষীপুর ও রংপুর
একই সময়ে ইফতার: গাজীপুর মুন্সিগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ পিরোজপুর বরগুনা কিশোরগঞ্জ ঝালকাঠি
ঘুরে আসুন: দোয়া কুনুত অর্থসহ বাংলা উচ্চারণ ও আমল
ঢাকার সময়ের সাথে বাড়বে:
জেলার নাম | সেহরি | জেলার নাম | ইফতার |
মানিকগঞ্জ বগুড়া সিরাজগঞ্জ পঞ্চগড় নীলফামারী ভোলা | ১ মি. | মাদারীপুর | ১ মি. |
শরীয়তপুর দিনাজপুর ঠাকুরগাঁও জয়পুরহাট ফরিদপুর মাদারীপুর বরিশাল | ২ মি. | মানিকগঞ্জ ময়মনসিংহ গোপালগঞ্জ বাগেরহাট ফরিদপুর | ২ মি. |
নওগাঁ ঝালকাঠি গোপালগঞ্জ | ৩ মি. | শেরপুর খুলনা টাঙ্গাইল নড়াইল | ৩ মি. |
নাটোর পাবনা কুষ্টিয়া রাজবাড়ী মাগুরা পিরোজপুর বরগুনা পটুয়াখালী নড়াইল বাগেরহাট | ৪ মি. | সিরাজগঞ্জ জামালপুর মাগুরা | ৪ মি. |
রাজশাহী ঝিনাইদহ যশোর খুলনা | ৫ মি. | পাবনা ঝিনাইদা যশোর সাতক্ষীরা রাজবাড়ী | ৫ মি. |
চাঁপাইনবাবগঞ্জ চুয়াডাঙ্গা | ৬ মি. | চুয়াডাঙ্গা গাইবান্ধা কুষ্টিয়া বগুড়া | ৬ মি. |
সাতক্ষীরা মেহেরপুর | ৭ মি. | নাটোর মেহেরপুর কুড়িগ্রাম | ৭ মি. |
৮ মি. | রাজশাহী নওগাঁ রংপুর জয়পুরহাট লালমনিরহাট | ৮ মি. | |
৬ মি. | নীলফামারী দিনাজপুর চাঁপাইনবাবগঞ্জ | ১০ মি. | |
পঞ্চগড় ঠাকুরগাঁও | ১২ মি. |
উপরে ঢাকার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি বর্ণনা করা হয়েছে এবং নিচে জেলা ভিত্তিক সেহরী ও ইফতারের সময়সূচি উল্লেখ করা হল।
ঢাকার সময় থেকে কমবে:
জেলার নাম | সেহরি | জেলার নাম | ইফতার |
নোয়াখালী শেরপুর জামালপুর কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট নর্সিংদি গাইবান্ধা কক্সবাজার | ১ মি. | শরীয়তপুর নর্সিংদি বরিশাল পটুয়াখালী সুনামগঞ্জ | ১ মি. |
চট্টগ্রাম কুমিল্লা ফেনী | ২ মি. | চাঁদপুর লক্ষ্মীপুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া নোয়াখালী | ২ মি. |
ময়মনসিংহ বি-বাড়িয়া কিশোরগঞ্জ | ৩ মি. | কুমিল্লা মৌলভীবাজার ভোলা হবিগঞ্জ | ৩ মি. |
রাঙ্গামাটি বান্দরবান নেত্রকোনা হবিগঞ্জ | ৪ মি. | ফেনী সিলেট | ৪ মি. |
খাগড়াছড়ি | ৫ মি. | খাগড়াছড়ি চট্টগ্রাম | ৭ মি. |
সুনামগঞ্জ মৌলভীবাজার | ৬ মি. | রাঙ্গামাটি | ৮ মি. |
সিলেট | ৭ মি. | বান্দরবান কক্সবাজার | ১০ মি. |
নিচে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ২০২২সালের সাহরী ও ইফতারের ক্যালেন্ডার এর JPEG ডাউনলোড লিংক দেওয়া হল।
রমজান অর্থ কি?
রমজান আরবি শব্দ। যার উৎপত্তি রজম ধাতু থেকে। অর্থ- দহন করা । ঝলসে দেওয়া। রমজানের এক মাস রোজা রাখার দ্বারা সাধকের সব পাপ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রুহের কালিমা দূর হয়। মমিনের হৃদয়ের ঔজ্জল্য আসে। তাকওয়ার অধিকারী ও মুত্তাকী হতে পারে। তাই এ মাসটির নাম রমজান।
মাহে রমজান বিষয়ে আরও পড়ুন:
১. সেহরির দোয়া ও বিধান…
২. ইফতারের দোয়া ও বিধান…
রোজার ১২ টি পালনীয় বিষয়:
রমজান আরবি শব্দ। যার উৎপত্তি রজম ধাতু থেকে। অর্থ- দহন করা । ঝলসে দেওয়া। রমজানের এক মাস রোজা রাখার দ্বারা সাধকের সব পাপ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রুহের কালিমা দূর হয়। মমিনের হৃদয়ের ঔজ্জল্য আসে। তাকওয়ার অধিকারী ও মুত্তাকী হতে পারে। তাই এ মাসটির নাম রমজান।
বছর ঘুরে মাত্র একবার আসে রমজান মাস। আর এ মাসেই ফরজ করা হয়েছে সাওম, সিয়াম বা রোজা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
يَـٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
O believers! Fasting is prescribed for you—as it was for those before you, so perhaps you will become mindful of Allah.
আর এ মাসে মাত্র ১২ টি বিষয় পালন করার মাধ্যমে একজন মানুষ রোজার এ মাসের সঠিক ও পরিপূর্ণ ব্যবহার করার মাধ্যমে নিজের জীবনের সকল
গুনাহ মাফ লাভের সুযোগ পেতে পারে।
নিচে রমজান মাসে ১২ টি পালনীয় বিষয় আলোচনা করছি।
- রমজান জুড়ে ভালো কাজের পরিকল্পনা করবেন – ০১
- ওজর ব্যতীত রোজা বাদ দেবেন না- ০২
- লোক দেখানে রোজা পরিহার করা-০৩
- মন্দ কাজ থেকে বেচে থাকা- ০৪
- রোজার পুরস্কার সমূহ লাভের দোয়া করা-০৫
- রোজার কষ্টকে হাসিমুখে মেনে নেবেন ০৬
- ওজর থাকলে রোজা পরিত্যাগ করবেন-০৭
- গীবত ও কুসৃস্টি থেকে বেঁচে থাকবেন -০৮
- হালাল রুজির চেষ্টা করবেন -০৯
- সেহরি নিয়ম অনুযায়ি খাবেন ১০
- ইফতার করবেন যে পদ্ধতিতে- ১১
- রোজাদারকে বেশে বেশি ইফতার করাবেন- ১২
সেহরি কেন খাবেন?
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন তোমরা খাও কেননা সেহরিতে বরকত রয়েছে বোখারী তোমরাই খাও যদিও তা এক ঢোক পানি ও হয় আত তারগীব সেহরি খাওয়ার সুন্নত আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর ফেরেশতাগণ খানেওয়ালা দের উপর রহমত বর্ষণ করেন রোজার নিয়ত করা ফরয নিয়ত না করে উপবাস করলে রোজা হবে না হে আল্লাহ আমি আজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম অন্তরে এতোটুকু নিয়ত থাকাই যথেষ্ট আরবিতে বা মুখে বলা জরুরী নয় তবে রোজার উদ্দেশ্য সেহরি খাওয়ার দাড়াও রোজার নিয়ত হয়ে যায়।
ইফাতারের ফজিলত:
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যতদিন পর্যন্ত মানুষ অবিলম্বে ইফতার করবে ততদিন পর্যন্ত তারা কল্যাণ এর মধ্যে থাকবে যে ব্যক্তি রোজাদারকে ইফতার করাবে সমপরিমাণ সওয়াব পাবে কিন্তু রোজাদারের কাছ থেকে কিছুই কমবে না সূর্য অস্ত যাওয়ার পর তাড়াতাড়ি ইফতার করা মুস্তাহাব দেরি করা মাকরুহ সূর্য অস্ত যাওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহ থাকা অবস্থায় ইফতারি করা বৈধ নয় ইফতারের সময় দোয়া কবুল করা হয় ইবনে মাজাহ আবদুল্লাহ ইবনে ওমর বাড়ির সবাইকে সমবেত করে দোয়া করতেন আপনার জন্য আপনার ইফতার ইফতার ইফতার শেষে আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ
এবং খাবার শেষের দোয়া পড়বে মনে রাখতে হবে ইফতার যেন রসনা বিলাসে পরিণত না হয় ক্ষুধা নিবারণ হয় এমন ইফতারি উত্তম রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেনঃ তোমরা খেজুর দিয়ে ইফতার করো আতা না পাওয়া গেলে পানি দিয়ে ইফতার করো তিরমিজি।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর স্ত্রী ও ইফতার ছিল সাধারণের চেয়েও অতি সাধারণ হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু বলেন খেজুর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকটি ভেজা খেজুর তা না পেলে কয়েকটি শুকনা খেজুর দিয়েই ইফতার করছেন করতেন কোনোটাই না পেলে পানি হতো তার ইফতার আর্চারিতে দুধ ও খেজুর পছন্দ করতেন তিরমিজি
রমজানে চোখের হেফাজত
চক্ষুর হেফাজত করা অর্থাৎ অপাত্রে দৃষ্টিপাত না করা জীবনের হেফাজত করা অর্থাৎ মিথ্যা চোগলখুরী বাজে কথা কটু বাক্য হতে বাকি সংযত রাখা কানের হেফাজত করা মুখে উচ্চারণ করা যায় তার প্রতি কর্ণপাত করা জায়েজ রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন গীবতকারী ও শ্রোতা উভয়ই পাপের মধ্যে শামিল বাকি সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গের হেফাজত করা ইফতারের সময় হালাল খাদ্য দেওয়া হলেও উদর পূর্ণ করে না খাওয়া কিন্তু রোজা কবুল হয় কিনা এই ভয়ে সব সময় কম্পিত থাকা প্রত্যেকেই ভয়-ভীতি থাকা বাঞ্চনীয় এমন যেন না হয় আমাদেরও যা শুধু অনাহারে থাকা।
ইফতারে যা খাবেন:
ডাবের পানি, ঘরে তৈরি আচার, ঘিয়ে ভাজা বাদাম, অনেক রকম মিক্স সালাত, ডিম, প্রচুর শাক সবজি, ছোলা বুট, টক ফল, পেয়ারা, আনারস, তরমুজ, এ্যাকটেরিয়া ক্যাপ্সুল,
গরুর মগজ, কলিজা, মাছ ইত্যাদি।
বাঙালি প্রবাদে আছে ঊন ভাতে দুনো বল, বেশি খেলে রসাতল। তাই আপনি চাইলে শুধু পানিতে একটিু লবন দিয়ে খেতে পারেন। বা কয়েকট খেজুর খেতে পারেন।
সামান্য ভাত খেতে পারেন। শাক সবজি বেশি বেশি খেতে পারেন। যথেষ্ট পরিমাণে ইফতারের পর ডিনারের প্রয়োজন থাকে না।
প্লেট ভর্তি ইফতার খেয়ে এবং মধ্যরাতে সেহরীর ব্যবস্থা নিশ্চিত জেনেও ডিনারের মানসিক আসক্তি মনের বা চোখের ক্ষুধার মত। তাই পেটভর্তি ইফতারের ঘুমানোর পূর্বে সামান্য স্যুপ, দুধ, কাস্টার্ড বা ফল খাওয়া উত্তম।
রমজান মাসের ফজিলত
এ মাসে জান্নাতের দরজা খুলে জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় আর শয়তানকে শিকল বন্দি করা হয়।- সহি বুখারী।
যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সোয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে তার পিছনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।- বোখারী।
যে ব্যক্তি রমজান মাসে ঈমানের সাথে সোয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। – বোখারী।
জান্নাতের একটি বিশেষ দরজা রয়েছে যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন কেবল রোজাদাররা এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সেখানে দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। – বুখারী।
মানুষের জন্য তার পরিবার ধন-সম্পদ প্রতিবেশী হলো ফেৎনার স্বরূপ\’ আর তার কাফফারা হল সালাত সিয়াম ও সাদাকা। – বোখারী।
রমজানের প্রতিরাতেই আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য জাহান্নামীকে জাহান্নাম থেকে নাজাত দিয়ে থাকেন। – ইবনে মাজাহ।
ইফতারের সময় আল্লাহ তাআলা অনেক সংখ্যক লোককে নাজাত দেন। আর তা প্রতিরাতেই সংঘটিত হয়ে থাকে। – ইবনে মাজাহ ।
রোজাদারদের বিশেষ পাঁচটি পুরুস্কার
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন আমার উম্মতকে রমজানের ব্যাপারে পাঁচটি জিনিস বিশেষভাবে দান করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে আর কোন নবীকে দান করা হয়নি। সেগুলো হচ্ছে
- রোযাদারের মুখের ঘ্রাণ আল্লাহর কাছে মেসক এর চেয়েও অধিক প্রিয়।
- ফেরেস্তারা প্রতিদিন রোজাদারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে।
- জান্নাতকে প্রতিদিন তাদের জন্য সুসজ্জিত করা হয় অতঃপর আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, আমার নেক বান্দারা দুনিয়ার ক্লেশ যাতনা দূরে নিক্ষেপ করে অতিসত্বর তোমার নিকট আসছে।
- এ মাসে দুষ্টুও অবাধ্য শয়তান দিগকে আবদ্ধ করে রাখা হয়। যার কারণে তারা ঐ সব পাপ করাতে পারে না, যা অন্য মাসে করানো সম্ভব।
- রমজানের সর্বশেষ রাতে রোজাদারদেরকে মাফ করে দেওয়া হয়। সাহাবা একরাম আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ সেই রাত কি শবে কদর? উত্তরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না বরং নিয়ম হলো কাজ শেষ হলে মজুরকে তার মজুরী দিয়ে দেওয়া। বায়হাকীর শুয়াবুল ঈমান কানযুল উম্মাল, পৃ. ৩০২।
রমজানের বিশেষ বরকত সমূহ
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রমজান মাসে প্রতিটি নেক কাজের প্রতিদান 70 গুণ বেশি হয়। নফলের সওয়াব বৃদ্ধি হয়ে একটি ফরজের সমপর্যায়ে পৌঁছে যায়। একটি ফরজ 70 টি ফরজ এর সমতুল্য হয়ে যায়। – বায়হাকী 39 জাকাতের দান সদকা অন্যান্য সময়ের তুলনায় 70 গুণ বেশি মূল্যবান হয়ে যায়।
এ মাসে অধিক পরিমাণে কোরআন তেলাওয়াত করা। কারণ রমজানে একবার তাসবিঃ পাঠ করা অন্য সময় 1000 বার পাঠ করার চেয়ে উত্তম। -তিরমিযী
হযরত উবাদা ইবনে সামেত রাদিয়াল্লাহু বর্ণনা করেন একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের পূর্বে আমাদেরকে বললেন রমজান মাস আগে বরকতের মাস এ মাসে আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি
- বিশেষ দৃষ্টি দেন
- বিশেষ রহমত নাযিল করেন
- গুনাহ মাফ করেন
- দোয়া কবুল করেন
- ইবাদতের প্রতি তোমাদের আগ্রহ দেখে থাকেন এবং ফেরেশতাদের নিকট গর্ব করেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে বেশি বেশি সৎকাজ দেখাও।
রমজানে বেশি বেশি দান করা
রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম রমজান মাসে দানশীলতায় প্রবাহিত বায়ুর চেয়েও অধিক গতিশীল হয়ে যেতেন অর্থাৎ বেশি বেশি দান করতেন। – বোখারী।
গরিবের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মাস রমজান রোজা রাখ আর কিন্চিত হলেও অনুধাবন করো যে ক্ষুধার জ্বালা তুমিতো জানোনা আল্লাহর জমিনে কত অসহায় গরীব অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটায় ক্ষুধার তীব্র পিরনে জর্জরিত কত হতদরিদ্র মায়ের দু চোখ দুটো ছল ছল করে সন্তানের ক্ষুধার তাড়নায় ক্ষুধার জ্বালায় ছটফট করে কত রাত কেটে যায় ক্ষুধার যন্ত্রণা তা ক্ষুধার্ত ছাড়া কেউ বুঝতে পারে না তা বুঝার জন্য একটি উত্তম ব্যবস্থা যাতে একটু হলেও ধনীদের অন্তরে বেদনার অনুভূতি জাগ্রত হয় আর গরিবের প্রতি সদয় হওয়া যায়।
রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন জিবরাঈল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন ধ্বংস হোক ঐ ব্যক্তি যে রমজান মাসেও নিজের গুনাহ মাফ করাতে পারল না আমি বললাম আমিন ইবনে খুযাইমা হতভাগা ঐ ব্যক্তি যে আল্লাহর রহমত হতে বঞ্চিত রইল।
ঘরে বসে অনলাইনে ইসলামিক স্টাডিজ বেসিক কোর্স করুন ও নিয়ে নিন ১০০০+ ইসলামিক বই। রেজিস্ট্রেশ করুন এখনি…
রমজানের আহ্বান
বেশি বেশি দান সদকা করা আল্লাহর কাছে বেশি বেশি গুনাহ মাফ চাওয়া আত্মসংযম আল্লাহভীতি সততা ইনসাব ন্যায়-নীতি কায়েম করা জামাতের সাথে নামাজ পড়া জাকাত আদায় করা বেশি বেশি দান-খয়রাত সদকা করা মানুষের সেবা করা দিনের কাজ করা কুরআন তেলাওয়াত করা সহি হাদিস সমূহ বুঝে পড়া গরিবদের অন্নবস্ত্র চিকিৎসা করা লেখাপড়াসহ সব ধরনের সমস্যা দূর করার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া ছলচাতুরি প্রতারণা করা ওজনে কম না দেয়া পণ্য গুদামজাত করা খাদ্য পণ্যদ্রব্য তীরে রেজাল নামে সাকিনা দেওয়া কারো সাথে মিথ্যা বলা কাউকে সামান্যতম কষ্ট দেওয়া উচিত নয় কর্মচারীদের ওপর অতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে না দেয়া পাওনাদারের পাওনা আদায় করা সকল মানুষ ও প্রাণীর প্রতি জুলুম না করা কোন অবস্থাতেই নিজ পরিবারের লোকজন প্রতিবেশী বন্ধু মহল নিজের কর্মচারী পরিচিত বা অপরিচিত কারো সাথেই দুর্ব্যবহার না করা।
পবিত্র ঈদুল ফিতর আগাম ঘোষণা:
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজান শেষে ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখে গেলে ৯৫৫৯৪৯৩, ৯৫৫৫৯৪৭, ৯৫৫৬৪০৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭ ফোন নম্বরে
এবং ৯৫৬৩৩৯৭ ও ৯৫৫৮৩৩৭ ফ্যাক্স নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ প্রকাশ করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। আরবী ১৪৪২ হিজরি/২০২১ সালের যে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। তবে সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলক ভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পূর্বে ধরা হয়েছে।
এবং ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহে সাদিকের তিন মিনিট পর রাখা হয়েছে।
অতএব সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান দিতে হবে।
সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলক ভাবে তিন মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। – ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
নিচে বাংলাদেশের জেলা ভিত্তিক পবিত্র মাহে রমজান এর সেহরি ও ইফতার এর সময় উল্লেখ করা হল।
আরও পড়ুন:
- ইসলাম শান্তির ধর্ম: মানসিক প্রশান্তি অর্জনে ইসলামের নির্দেশনা
- রোগ মুক্তির ৬টি দুআ…
- রংপুর জেলার সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২১
ট্যাগ: রমজান ক্যালেন্ডার – সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২২, রমজান ক্যালেন্ডার ২০২২,মাহে রমজান, রমজান সময় সূচী, রমজানের আমল সমূহ,রোজা ভঙ্গের কারণ,রোজা মাকরুহ হবার কারণ,ইফতারের সুন্নত সমূহ, প্রয়োজনীয় দোয়া, রমজান সময়সূচ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচী ২০২২, ইফতারের সময়সূচি ২০২২, রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২২, সেহরির শেষ সময়, রোজার সময়সূচি ২০২২, আজকের সেহরির শেষ সময়, ইফতারের সময়সূচি, iftar time today dhaka, sehri time in dhaka today 2021, sehri time dhaka 2020, today sehri time in dhaka bangladesh, dhaka iftar time 2021, sehri time in dhaka today 2021, sehri time dhaka today islamic foundation, last time of sehri in chittagong today
আশা করি উপরের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি ২০২২ pdf (৬৪ জেলা) আপনার কাজে লাগবে।
আমরা চেষ্টা করেছি বাংলাদেশী হানাফী মতালম্বিদের জন্য সঠিক তথ্যটি আপনার কাছে তুলে ধরতে। তার পরও ভুলত্রুটির জন্য পরমর্শ চাই।