Shebaru

হাঙ্গেরীতে উচ্চশিক্ষা : জেনে নিন সকল আপডেটেড তথ্য

বিদেশে উচ্চশিক্ষা কোথায় কখন ও কিভাবে

হাঙ্গেরীতে উচ্চশিক্ষা : জেনে নিন সকল আপডেটেড তথ্য

ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটা ছোট দেশ হাঙ্গেরি। আকারে ও আয়তনে ক্ষুদ্র এই দেশ শিক্ষায় ব্যাপক প্রসার করেছে। তার ফলশ্রুতি স্বরুপ   ২০১৩ সাল থেকে তারা
“স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ “চালু করে।বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা ২০১৯ থেকে হাঙ্গেরীতে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার জন্য এই স্কলারশিপের সুবিধা গ্রহণ করতে পারছে।

কারা আবেদন করবে?

বাংলাদেশের নাগরিক যাদের বয়স ১৮ এর উপর আর যারা এইচ.এস.সি পাশ বা অনার্স  করেছে তারা আবেদন করতে পারবে। হাঙ্গেরি সরকার আন্ডারগ্র‍্যাডুয়েট,গ্র‍্যাডুয়েট,ডক্টরোলা সব ক্ষেত্রে স্কলারশিপ দিয়ে থাকেন। যার ফলে সবাই এই স্কলারশিপ এর জন্য আবেদন করতে পারবে।তাদের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ  আছে সব বিষয়ে। যার ফলে সবাই এই স্কলারশিপ এর জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

কিভাবে আবেদন করবে?

জানুয়ারী থেকেই এই স্কলারশিপ এর অনলাইন আবেদন শুরু হয়। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশে এর আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে।এখনো তার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। ২০২৩/২০২৪ সালের স্কলারশিপ এর আবেদন পত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে ২০২৩ এর ১৫ নভেম্বর থেকে। যারা এতে অংশগ্রহণ করতে চান তারা অনলাইনে এখনই আবেদন শুরু করুন।অনলাইন আবেদন শেষ হ্লে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা ওয়েবসাইট এ গিয়ে আবার কিছু নির্দেশনা মেনে ফরর্ম পূরণ করতে হবে। তারপর রেজাল্ট অনুযায়ী ভর্তি হতে হবে।

আবেদন করতে কি লাগবে?

এই হাঙ্গেরীতে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক স্কলারশিপ সম্পর্কে অনেক মানুষ জানে না তাই আবেদন কম আসে।আর তাই এই স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। আবেদন সহজ হওয়ায় প্রায় সবাই এতে অংশগ্রহণ করতে পারে।

** আন্ডারগ্র‍্যাডুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রশংসা পত্র, মার্কশীট, জাতির পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধ লাগবে।

**গ্র‍্যাডুয়েট শিক্ষার্থীদের সব পরীক্ষার সার্টিফিকেট, মার্কশীট লাগবে। আর জাতীয় পরিচয়ত্রও লাগবে।এক্সট্রা  কারিকুলাম ও এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য  ভুমিকা রাখে।

**আবেদনকৃতদের Entry Qualification পূরণ করতে হবে।

**আইইএলটিএস এর স্কোর ৫ হলেই আবেদন করা যায় এই স্কলারশিপ এর জন্য।কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএস ও লাগে না।

** গ্র‍্যাডুয়েটদের জন্য  দুই সেমিস্টারে ১৮ ক্রেডিট পেতে হবে।

এই স্কলারশিপ এ আপনি ক্রেডিট ট্রান্সফার বা পার্টটাইম  শিক্ষার সুবিধাও পাবেন।

আবেদনের নিয়ম কি?

প্রথমে, সর্বোচ্চ ২টি প্রোগ্রামে আপনি আবেদন করতে পারবেন  আপনি হাঙ্গেরি স্কলারশিপ এর জন্য। আপনি  মাস্টার্স অথবা পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। একসাথে মাস্টার্স বা পিএইচডি এর জন্য আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।

তারপর, বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে অনলাইন আবেদনে করতে হবে। তার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, মার্কশিট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্রের হার্ডকপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।

অনলাইন আবেদনের লিংক – http://scholar.banbeis.gov.bd/hungary/

কোন বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করতে পারবেন?

হাঙ্গেরির প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যাবে।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হলঃ

১। Semmelweis University

২। Eötvös Loránd University

৩। University of Pécs

৪। University of Debrecen

এছাড়া প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সব বিষয়ে তারা স্কলারশিপ প্রদান করে।আপনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করে না দেন তবে আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী তারা স্কলারশিপ প্রদান করবে।

স্কলারশিপ এর সুবিধা সমুহ কি?  

এই স্কলারশিপ অনেক সুবিধা। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আপনি পড়তে পারবেন।এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ডরমেটোরিতে বিনামূল্যে  থাকার সুব্যবস্থা আছে।

 হাঙ্গেরিতে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করতে পারবেন। যা দিয়ে খুব সহজেই নিজের অন্যান্য খরচ  করতে পারবেন। গড়ে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী ঘন্টায় ৮০০ HUF থেকে প্রায়  ২০০০ HUF আয় করতে পারে। ছোট  শহরের তুলনায় বড় শহরে চাকরি  পাওয়া সহজ।

শিক্ষাবৃত্তি: হাঙ্গেরিয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর নানা ধরণের শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ দিয়ে থাকে। হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর ৫.৫ বা তার বেশি থাকতে হয়। এটা নির্ভর করে ইউনিভার্সিটি ও কোর্সের উপর। ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।

অবসরে কাজের সুযোগ: হাঙ্গেরিতে পড়াশোনার পাশাপাশি খন্ডকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। একজন শিক্ষার্থী প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। তবে কাজের ক্ষেত্রে যারা হাঙ্গেরিয়ান ভাষা জানেন তাদের বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। তাই উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চাইলে হাঙ্গেরিয়ান ভাষা শিখে নেয়া উচিৎ।

আবাসনের সুবিধা: হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে চাইলে, আপনাকে আবাসন নিয়ে তেমন একটা মাথা ঘামাতে হবে না। কারণ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই আবাসন সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। বেশিরভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য হোস্টেল আছে। তবে আপনি যদি হোস্টেলে থাকতে না চান বা সিট না পান তাহলে অন্য কোনো হোস্টেল বেছে নিতে পারেন অথবা আলাদা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে পারেন। তবে বাসা ভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রে ভাড়া চুক্তি সই করার সময় আপনাকে অগ্রিম দুই তিন মাসের ভাড়া নগদ পরিশোধ করে হবে।

খরচ কম: হাঙ্গেরিতে টিউশন ফি ও থাকা খাওয়ার খরচ ইউরোপের অন্যসব দেশের তুলনায় অনেক কম। বুদাপেস্টের মতো বড় শহরগুলোতে টিউশন ফি ও থাকা খাওয়ার খরচ একটু বেশি তবে অন্যান্য শহরগুলোতে খরচ কম।

আরও পড়ুন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও স্কলারশিপ

কোন বিষয়ে স্কলারশিপ পাওয়া যায়?

হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষার জন্য পড়তে গেলে আপনি প্রায় যেকোনো বিষয় নিয়ে পড়তে পারবেন। তবে আর্কিটেকচার, এগ্রিকালচার, সাইন্স, বিবিএ, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি সহ সকল বিষয়ে হাঙ্গেরি সরকার তাদের “স্টাইপেন্ডিয়াম হাঙ্গেরিকাম স্কলারশিপ ” দিয়ে থাকে।বছরের শুরুতে এই বৃত্তি চালু করায় আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের জন্য আবেদন করতে সুবিধা হয়।তাছাড়া সব বিষয়ে পড়ার সুযোগ একটা বিশাল বড় পাওয়া।এই বৃত্তি বহুল সমাদৃত না হওয়ায় আবেদন করলে মোটামুটি ভালো রেজাল্ট থাকলেই বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ আছে।তাছাড়া কাজের সুযোগ সহ থাকা খাওয়ার সুবিধার কারনে এই বৃত্তি সবার কাছে এখন সমাদৃত।  

বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক যেকোনো প্রয়োজনে-

যোগাযোগঃ সেবারু,২/৪ ব্লক-জি,লালমাটিয়া,ঢাকা-১২০৭,বাংলাদেশ।০১৭১১-৯৮১০৫১,০১৮৯৭৯৮৪৪২০,০১৮৯৭৯৮৪৪২১।

PLEASE SHARE THIS

আমাদেরকে আনুসরন করুন

SOCIAl MEDIA

নিউজলেটার

আমাদের বিভিন্ন প্যাকেজ আপডেট, অফার কিংবা নিউজ আপনার ইমেইলে সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব করুন।

Scroll to Top
× How can we help you?