ফেইসবুকে অনলাইন ব্যবসা

ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা ও ৫ টি উপায়

ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা বাক্যটির সাথে আজকাল সবাই পরিচিত। বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষ। কারন এই ফেইসবুক
নামক সোশ্যাল মিডিয়াটি সবচেয়ে জনপ্রিয় আমাদের এই অঞ্চলে। যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে তাদের প্রত্যেকের একটি একাউন্ট আছে
এই মাধ্যমে। আর তাই এই মিডিয়ায় ব্যবসার মার্কেটিং করে সহজেই বিপুল সংখ্যক মানুষের কাছে কম সময়ে দ্রুত পৌঁছানো যায়। তাই
ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা আজকাল জনপ্রিয় ব্যবসা সব মানুষের কাছে। চলুন জেনে নেই এর সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।

অনলাইন ব্যবসা কি?

ব্যবসা কি তা আমরা মোটামুটি সবাই জানি। তবে অনলাইন ব্যবসা নিয়ে খুব কম মানুষের ধারনা আছে। আজকাল বিভিন্ন
প্ল্যাটফর্ম আছে যার মাধ্যমে আপনি নিমিষেই বিপুল সংখ্যক লোকের কাছে আপনার পণ্যের কথা তুলে ধরতে পারবেন।
আর অনলাইন তেমনই মাধ্যম। একটি উদাহরন দেই আপনাদের বুঝার সুবিধার্তে। ধুরুন আপনি চাপাতা বিক্রি করবেন
কিন্তু আপনি জনে জনে গিয়ে প্রচার করতে পারবেন না। তাই একটি এড বা বিঞ্জাপন দিয়ে আপনি সহজেই প্রচার আর
প্রসার পাবেন। আর এই প্রচারের মাধ্যম ডিজিটাল পদ্ধতিতে হলে তাকেই অনলাইন বলে। যেমন, টিভি, ওয়েবসাইট,
সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি।

কিভাবে ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা শুরু করব?

যখনই আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন অনালাইনে ব্যবসা করার তখনই মাথায় এই প্রশ্ন আসবে কিভাবে শুরু করব? কি নিয়ে শুরু করব ?
এই প্রশ্নের একটাই উত্তর। আগে জানুন বাজার সম্পর্কে তার পর চিন্তা করুন কোন মাধ্যমে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে চান।
সাধারনত আপনার যে বিষয়ে আইডিয়া আছে তা নিয়ে রিসার্চ করে নেমে পড়ুন অনলাইন ব্যবসায়। আর আজকাল এত প্ল্যাটফর্ম
আছে অনলাইনে যে আপনি স্বল্প পুঁজি দিয়ে অধিক মুনাফা লাভ করতে পারবেন এই জায়গায়।

তাই যে পণ্য বা কাজ আপনি জানেন তার আপাদমস্তক নিয়ে ভাবুন। আর গ্রাহকের চাহিদা আর মান নিয়ে একটি বিজনেস প্ল্যান
তৈরি করুন ব্যবসা শুরুর আগে। প্ল্যান রেডি থাকলে তার কাজ পদ্ধতি সুচারু রুপে করা যায়। আর এতে সাফল্য আসে নিশ্চিত
ভাবে। আর আপনার ফেইসবুক ব্যবসার আইডিয়া যদি হয় একদম অভিনব তবে তা গ্রাহকের নজর কাড়বেই।

পাঁচটি নিয়ম ফেইবুকে অনলাইন ব্যবসার

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ফেইসবুকে ব্যবসা করা সবচেয়ে সোজা। আর যে কেউ চাইলে নিদির্ষ্ট নিয়ম মেনে আজই চালু করতে পারে
তার অনলাইন বিজনেস। তবে তার আগে ৫টি নিয়ম জানুন কিভাবে ফেইসবুকে অনলাইন ব্যবসার

  • ফেইসবুক একাউন্ট খোলা
  • ফেইসবুক পেইজ খোলা
  • এড দেয়া
  • মার্কেটিং করা
  • স্ট্রিমইয়ার্ড করা

এছাড়া আরো জানতে হবে ফেইসবুক স্টোর কাস্টমাইজেশন বিষয়েও। উপরোক্ত সব বিষয় নিয়ে আপনার স্পষ্ট ধারনা থাকলেই আপনি
এই মাধ্যমে সফল হতে পারবেন।

১। ফেইসবুক একাউন্ট খোলা

এই মিডিয়ায় ব্যবসা করতে হলে এখানে আপনার একটি পারসোনাল একাউন্ট লাগবে। যার সাহায্যে আপনি ব্যবসা পরিচালনা করবেন।
আর তাই যখনই একাউন্ট খুলবেন অবশ্যই তাতে সঠিক তথ্য সরবরাহ করবেন। এতে বিশ্বস্ততা বাড়ে। আর এই একাউন্ট খুলা
একেবারেই সহজ। এর জন্য আপনি অনলাইনে সার্চ ইঞ্জিনে ফেইসবুক বা Facebook লিখে সার্চ দিলেই সবার প্রথমেই
www.facebook.com ঠিকানা পাবেন। আর তাতে ক্লিক করলেই আপনার ব্যক্তিগত পরিচয় চাইবে। আর সমস্ত তথ্য দেয়ার পর
পাসওয়ার্ড দিয়ে আপনার একাউন্ট নিশ্চিত করুন।

২। ফেইসবুক পেইজ খোলা

একাউন্ট খোলার পরে সর্বপ্রথম কাজ হল আপনার পণ্য বা সার্ভিসের জন্য একটি পেইজ খোলা। যার মাধ্যমে আপনি মার্কেটিং করবেন।
আর পেইজ খুলতে অবশ্যই এডমিন রুপে নিজেকে সিলেক্ট করবেন। কারন আপনি যদি সরাসরি পেইজের সাথে যুক্ত থাকেন তবে
গ্রাহকের চাহিদা নিয়ে আপনি সচেতন হবেন। পেইজ খুলতে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি বাছাই করুন পণ্য বা সার্ভিস দেখে। তারপর ডেসক্রিপশন
বক্সে আপনার পেইজ নিয়ে সঠিক বর্ণনা দিন। যাতে গ্রাহক পেইজ দেখে তার নিয়ে বুঝতে পারে সহজেই। খেয়াল রাখবেন আপনার
পেইজের নাম যেন সহজেই উচ্চারণ করা যায় এবং তা যেন শ্রুতিমধুরও হয়। তাতে সবাই আগ্রহী হবে পেইজ খুঁজে পেতে। আর
এভাবেই করতে পারবেন ফেইসবুক পেজে ব্যবসা

৩। পণ্যের এড দেয়া

আপনার পণ্যের এড বা বিঞ্জাপণ তৈরি করুন। আর তা প্রচার করুন এই ফেইসবুক মিডিয়াতেই। খুব সহজেই আপনি পণ্যের ছবি বা
ভিডিও দিয়ে এড বানাতে পারেন। আর ফেইবুকের নিয়ম মেনে তা প্রচার করতে পারেন। এতে ছবি বা ভিডিও এর মান ও
কাজ ভালোহলে গ্রাহক আপনাকে খুঁজে বের করবে। আর তাই প্রচার বাড়াতে এর সম্প্রচার জরুরী তা জেনে নিন।

৪। মার্কেটিং করা পণ্যের বা সার্ভিসের

উপরের সব নিয়ম মেনে আপনি যদি মার্কেটিং করতে সচেষ্ট হন তবে আপনার সাফল্য অবধারিত, কারন এই মাধ্যমে মার্কেটিং খুব
সোজা। চাইলে আপনি নিজে বিভিন্ন গ্রুপে আপনার পণ্যের প্রচার করতে পারেন। অথবা ফেইসবুকের নিয়ম মেনে তাদের কিছু
টাকা দিয়ে আপনার টার্গেটেড কাস্টমারকে এড দেখাতে পারেন। মার্কেট এনালাই করে যদি আপনি গ্রাহক এর সব তথ্য নির্ধারন
করতে পারেন তবে খুব সহজেই মার্কেটিং করে ওই গ্রাহকদের নজর কাড়া যায়। তাই আজই রিসার্চ শুরু করুন মার্কেটিং
করার জন্য।

৫। স্ট্রিমইয়ার্ড করা

স্ট্রিমইয়ার্ড করা

অনেকেই পণ্যের ছবি দেখে প্রোডাক্ট কিনতে রাজি হয় না। তাই লাইভ প্রোগামের মাধ্যমে পণ্যের ছবি কাস্টমারকে উৎসাহী করে পণ্য
ক্রয়ের জন্য। এর জন্য এখন কিছু দিন পরেই স্ট্রিমইয়ার্ড করা একান্ত জরুরী। এতে সরাসরি গ্রাহকের ফিডব্যাক পাওয়া যায় পণ্যের
মান ও চাহিদা নিয়ে। আর এ জন্য আপনার ব্যবসা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে প্রয়োজন লাইভ করা।

কেন বেছে নিবেন ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা ?

যখনই আপনি ব্যবসায় নামবেন চাইবেন সবচেয়ে যেখানে বা যেটা মানুষ চায় সেই জিনিষ বা সেই জায়গা বেছে নিতে যেখানে লোক
সমাগম বেশি। আর ফেইবুক সোশ্যাল মিডয়ার সেই নাম যার কথা শুনে নি বা জানে না এমন কেউ নেই। আর তাই ব্যবসার
প্ল্যাটফর্ম রুপে এর অবদান বেশি। আর এই জন্য আপনি যদি নতুন বা পুরোতন যেই ব্যবসাই হোক না কেন এটি আপনার
উপযুক্ত স্থান।

এছাড়াও আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন আপনার নিজস্ব ছাড়া। আর তাই জানতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং। তবে যে
ব্যবসাই করুন না কেন অবশ্যই তবে তার জন্যেও ফেসবুক মার্কেটিং দরকার জানা। আর দরকার সেই মাধ্যমের নিয়ম কানুন।
কাজেই দেরি না করে শিখে নিন নিয়ম নীতি। আর দেরি না করে চালু করুন ফেসবুকে অনলাইন ব্যবসা

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রি কোর্স !

২০২৩ সালের নতুন বছর উপলক্ষ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রি কোর্স করে ”গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম” করার দারুন সযোগ দিচ্ছে সেবারু ডট কম।
নিচের লিংক এ দেওয়া গুগল ফরমটি ক্লিক করুন এবং পুরণ করুন। আমাদের টিমমেম্বাররা আপনার সাথে যোগাযোগ করে ফ্রি ক্লাশের লিংক দিয়ে দেবে ইনশাআল্লাহ।

এই আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্ট বক্সে জানাবেন। তাছাড়া একই সাথে আপনি পড়তে পারেন আমাদের
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স আর গুগল এড সন্স আর্টিকেলটি। এছাড়াও পড়তে পারেন, ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় : আইডি, পেজ ও গ্রুপ দিয়ে আয়? ও
কনটেন্ট বানিয়ে ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়? আর গড়তে পারেন আপনার সুন্দর আগামী। পরিশেষে বলা যায়, আর কোন বিষয় নিয়ে
জানতে চান তাও জানতে পারেন আমাদের।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *