ঔষধি গাছ

ঔষধি গাছ গুলোর প্রকৃত ইতিহাস কি?

বেশ প্রাচীন কাল থেকে ঔষধি গাছ গুলো মানুষকে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে এবং  বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করেছে। এমন সে বর্তমান সময়ে এসেও বিভিন্ন ধরনের ঔষধি ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার প্রায়শই দেখতে পাওয়া যায়।

মূলত বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গাছ গুলোতে ফাইটো কেমিক্যাল থাকে যা মানব দেহে অথবা যে কোন প্রাণীর দেহে

বিভিন্ন ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে পারে। 

এ ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল কোন একজন মানুষের রোগ মুক্তিতে সহায়তা করতে পারে আবার অনেক ক্ষেত্রে বিষয়ে পরিণত হতে পারে।

ঠিক কোথায় এই ধরনের ভেষজ ঔষধি গাছের ব্যবহার শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা সম্ভব নয়। তবে ধারণা করা হয়ে থাকে সর্বপ্রথম চীনদেশে  চিকিৎসাশাস্ত্রে ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার শুরু হয়। 

এছাড়াও আমাদের ভারতবর্ষের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার ভিত্তি মূলত এ ধরনের ভেষজ উদ্ভিদ। আবার অধিকাংশ পশ্চিমা দেশের মানুষ মনে করেন, ভেষজ উদ্ভিদের ব্যবহার মূলত শুরু করা হয়েছিল  হিপোক্রেটিক চিকিৎসা শাস্ত্রের মতে দিয়ে।

ইতিহাস ঘাটাঘাটি করে বেশ কয়েকজন ভেষজ চিকিৎসকের নাম খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলেন  ইবনে সিনা, গ্যালেন,কাল পেপার  এবং প্রমুখ। 

প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন ধরনের  উদ্ভিদে  নেশার উপাদান পাওয়া যায়। যেগুলো মূলত মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে আসছে।

যার মধ্যে অন্যতম গাঁজা গাছ এবং  তামাক পাতা জাতীয় ঔষধি গাছ । 

এক ওয়েবে সব কিছু !

স্বাস্থ্য-সেবাশিক্ষা-সেবাচাকরি-সেবা
ডাক্তারের তালিকাবিদেশে উচ্চশিক্ষাচাকরির ভিসা
হারবাল চিকিৎসামালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষাচাকরির আবেদন
ফিজিও থেরাপিস্কলারশিপ-সেমিনারচাকরির খবর
সেবারু ডট কম

একপর্যায়ে চিকিৎসা  ক্ষেত্রে এর ব্যবহার ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে, জানোনা ততদিনে  বহুমুখী গুনাগুন মানসম্পন্ন বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া যায়। 

পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে এগুলো নৈতিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দারা খুব ব্যাপকভাবে বিভিন্ন ধরনের ভেষজ গাছের ব্যবহার শুরু করেছিল। মূলত তারাই সর্বপ্রথম ওয়াটল  এবং ইউক্যালিপটাস গাছের  বিভিন্ন অংশের মাধ্যমে  সর্দি কাশি, জ্বর, এবং ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছিল।

প্রাচীনকাল থেকে বিভিন্ন  এই ধরনের ভেষজ উদ্ভিদগুলো  পবিত্রতার স্থান পেয়েছে।

যেমন হেলেস্টিনিক ধর্মে নিম  এবং বেলপাতা এবং হিন্দু ধর্মে  তুলসী গাছ, গাজা, বেলপাতা  ও হলুদকে  পবিত্রতার প্রতীক বলে মনে করা হয়।

প্রসাধনী তৈরীর কাজে ব্যাপক ভাবে ঔষধি গাছের ব্যবহার শুরু করা হয়েছিল ইউরোপ এবং এশিয়ার  দেশগুলোতে। 

বিশেষ করে মিশরীয়  জাতিগোষ্ঠী  প্রসাধনের  ব্যাপারে  বেশ সৌখিন ছিল,এবং তারা বিভিন্ন ঔষধি গাছের সমন্বয়ে প্রসাধনী পণ্য তৈরি করতো।

আশা করি সেবারু ডটকম এর ঔষধি গাছ ব্লগ টি ভালো লেগেছে। কোন প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্সে দয়া করে জানাবেন।
ও হাঁ, আপনিও কিন্তু এরকম ব্লগ লিখতে বা আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন! আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।
আরও ভালো জানার জন্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন। প্রবন্ধটি সংরক্ষণে রাখতে আপনার সোসাল মিডিয়ায় শেয়ার করে রাখুন।
যাতে প্রয়োজনে খুজে পেতে সহজ হয়। সাথে থাকার জন্য অন্তরের অন্তরস্থল থেকে এক রাশ প্রিতি ও ভালোবাসা রইল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *