ব্যায়াম করার পদ্ধতি

প্রতিদিন ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম করুন আজীবন সুস্থ্য থাকুন

যদি তুমি স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিতে, তবে ব্যাধি তোমাকে বিরক্ত করতো না। – সক্রেটিস।
যাদের সময় খুব কম তাদের জন্য খুব দরকারী ১০টি ব্যায়াম করার পদ্ধতি বর্ণনা করা হল। যা প্রতি দিনের জন্য পলনীয়।
সেই সাথে সে সকল ব্যায়ামের উপকারিতাও উল্লেখ করা হল। আপনার এই ব্যায়াম করে কি কি লাভ হল তা জনতে পারবেন।
নিচের নিত্য ব্যায়াম শরীরের প্রতিট অংশের ব্যায়াম।
আপনি মাত্র ১০ মিনিট ব্যায় করে অনায়াসে এ ব্যায়াম করে সুফল অর্জন করতে পারেন।
উল্লেখ্য যে, ব্যায়ামের ধারাবাহিকতা অবশ্যই পালন করবেন।

হাতের ব্যায়াম: ১ নম্বর ব্যায়াম:

দু’হাত দু’পাশে রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার ডান হাত সামনে এবং ডান পা পিছনে রাখুন।
আবার বাম হাত পিছনে এবং বাম পা সামনে রাখুন।
এবার হাত পা পরিবর্তন করে সামনে পিছনে আনা নেওয়া করুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভারিক রেখে
১ মিনিট সময় নিয়ে এভাবে ২০ বার করুন।

ঘারের ব্যায়াম: দুই নম্বর ব্যায়াম

দু’হাত পাশাপাশি রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার শ্বাস নিতে নিতে ঘাড় পিছনে বাঁকান এবং সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন।
আবার শ্বস নিতে নিতে সামনে ঘাড় বাঁকান এবং সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন। আবার শ্বাস নিতে নিতে সামনে ঘাড় বাাঁকান
এবং সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন। এখন আবার শ্বাস নিতে নিতে ঘাড়টিকে ডান দিকে বাঁকান এবং সোজা হয়ে ছেড়ে দিন।
ঠিক এমনি আবার শ্বাস নিতে নিতে বাম দিকে ঘাড়টি বাঁকান এবং সোজা হয়ে ছেড়ে দিন। (৪*৪)= ১৬ বার এভাবে
১ মিনিট সময় নিয়ে করুন।

কাঁধের ব্যায়াম: তিন নম্বর ব্যায়াম

পাশাপাশি হাত রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার শ্বস নিতে নিতে বাম হাত মুঠ করে টান-টান ভবে উপরে তুলুন।
আবার দম ছাড়তে ছাড়তে বাম হাত পাশে রাখুন। (৬*২) = ১২ বার ১ মিনিট সময় নিয়ে এভাবে করুন।

কোমেরর ব্যায়াম: চার নম্বর ব্যায়াম

দুই পা দুই হাত পরিমাণ ফাঁক করে কোমরে দই হাত রেখে দাঁড়ান। এবার শ্বাস নিতে নিতে ডান হাত দিয়ে বাম পায়ের হাঁটু স্পর্শ করুন।
সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন। আবার শ্বাস নিতে নিতে বাম হাত দিয়ে ডান পায়ের হাঁটু স্পর্শ করুন।
এবং সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন। (৬*২) = ১২ বার ১ মিনিট সময় নিয়ে এভাবে করুন।

নিতম্ব উরু ও হাঁটুর ব্যায়াম: ৫ নম্বর ব্যায়াম

দুই পায়ের মধ্যে এক ফুট পরিমাণ ফাঁক রেখে পায়ের আঙ্গুলের উপর ভর করে বসুন। দই হাত জোড়া করে সামনে রাখুন।
এবার শ্বাস নিতে নিতে সোজা হয়ে দাঁড়ান এবং দুই হাত শরীরের দই পাশে কাঁধ বরাবর ছড়িয়ে দিন। আবার পূর্বের অবস্থায় বসে শ্বাস
ছেড়ে দিন (১০বার) ১ মিনিট সময় নিয়ে এ ব্যায়ামটি করুন।

হাতও পায়ের শক্তি বৃদ্ধির ব্যায়াম: ৬ নম্বর ব্যায়াম

সমস্ত শরীর দই হাত ও দুই পায়ের উপর ভর করুন। এবার ডান পা পিছনে রেখে বাম পা বাম হাতের কাছে আনুন।
আবার বাম পা পিছনে রেখে ডান পা ডান হাতের কাছে আনুন। একবার ডান একবার বাম এভাবে আনা নেওয়া করুন।
(১০*২) = ২০ বার ১ মিনিট সময় নিয়ে এভাবে করুন।

মেরুদন্ডের ব্যায়াম: ৭ নম্বর ব্যায়াম

দুই পা সামনে রেখে বসুন। এবার শ্বাস নিতে নিতে সমস্ত শরীর ডান দিকে বাঁকান। বাম হাত কোমন সোজাসুজি এক হাত
দূরত্বে রাখুন। সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন। আবার ছিক তেমনি শ্বাস নিতে নিতে সমস্ত শরীর বাম দিকে বাঁকান। হান হাত
কোমর সোজাসুজি ১ হাত দূরত্বে রাখুন। সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন।

বসে মাথা পায়ে লাগানোর ব্যায়াম: ৮ নম্বর ব্যায়াম

দু’পা যতদূর সম্ভব ফাঁক করে বসুন এবং বাম হাত উরুর উপর আড়াআড়ি করে রাখুন। এবার ডান হাত মাথার উপর
দিয়ে শ্বস নিতে নিতে বাম পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ করার চেষ্টা করুন। সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন।
আবার ডান হাত উরুর উপর রাখুন এবং বাম হাত মাথার উপর দিয়ে শ্বাস নিতে নিতে ডান পায়ের আঙ্গুল স্পর্শ
করার চেষ্টা করুন। সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন। এবার আবার দুই হাত দিয়ে দুই পায়ের আঙ্গুল ধরে সামনের
মাটিতে নাক স্পর্শ করুন। লক্ষ্য রাখুন কোন ক্রমেই হাঁটুতে যেন ভাঁজ না পড়ে। (৫*৩) = ১৫ বার ১ মিনিট
সময় নিয়ে এভাবে করুন।

সমস্ত শরীর সামন পেছন করার ব্যায়ম: ৯ নম্বর ব্যায়াম

মাথায় দুই হাত রেখে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এবার শ্বাস নিতে নিতে সমস্ত শরীরকে যতদূর পারেন ফিছনের দিকে বাঁকান।
সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন। এবার শ্বাস নিতে নিতে সামনে সমস্ত শরীর কে নীচু করুন। সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন।
হাঁটুতে যেন ভাঁজ না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। (৫*২) = ১০ বার ১ মিনিট সময় নিয়ে এভাবে করুন।

বসে মাথা মাটিতে লাগানোর ব্যায়াম: ১০ নম্বর ব্যায়াম

সামনের দিকে পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। তারপর বাম পা হাটু ভেঙ্গে ডান উরুর উপর এবং ডান পা হাটু ভেঙ্গে
বাম উরুর উপর রাখুন। এবার ডান হাত পিছনে নিন এবং বা হাত দ্বারা করইজ শক্ত করে ধরুন। এবার দীর্ঘ শ্বাস
নিতে নিতে নাক দিয়ে সামনের মাটি স্পর্শ করুন। সোজা হয়ে শ্বাস ছেড়ে দিন। দই থেকে ছয় বার করুন।
শেষ করে শবাসনে বিশ্রাম নিন।

আরও পড়ুন:




সংকলনে: আবু জাফর রাজুমেডিকেল ভিসা কনসালটেন্ট ( ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর)।
লেখাটি সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১
বিজ্ঞপ্তি: লেখাটি হুবহু কপি না করার জন্য অনুরোধ করছি। সাহায্যের জন্য বা রেফারেন্স হিসেবে অংশ বিশেষ ব্যবহার করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে এই পোস্টের লিংক প্রদানের অনুরোধ করছি। লেখকের কষ্টের মূল্য প্রদানে আপনার বিবেকের প্রতি আরজি রইল।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *