বাংলা চটি গল্প

চটি গল্প ও আমার যৌবন একাকার হল আমেরিকা এসে

আমেরিকায় এসে চটি গল্প হার মানল তার কাছে।শান্ত এক সাগরের মধ্যে মাঝখানেই স্থির ছিল তার জীবন নৌকা।
তার বিশাল পালের এক পাশটা খুলে পড়েছিল। নৌকাতে দাড়িয়ে ছিল নিঃসঙ্গ একজন। দুঃখী চোখ, মুখটা মায়াময়। চেনা চেনা লাগছিল কেন?
বুকের ভেতরে এতো তোলপাড় কেন?
কারণ তার স্বপ্ন পূরণের বদলে বেছে নিতে হয়েছিল যৌন পেশা আর যৌন দাসত্ব। ১৯৯৮সালের মে তে কলকাতা থেকে সোনাক্ষী আমেরিকায় আসে।

সোনাক্ষী তাঁর বয়ফ্রেন্ডের মাধ্যমে আমেরিকায় আসেন, বয়ফ্রেন্ডের একজন কলিগ নিউইয়র্কের বিমানবন্দরে তাকে গ্রহণ করে, এবং সোনাক্ষীকে
সরাসরি একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। হোটেলে গিয়ে সোনাক্ষী বুঝতে পারে হোটেলে তার আশে পাশে পরিবেশ বিপদজনক।

এটা সোনাক্ষীর জীবন? নাকি চটি গল্প?

আমাকে হোটেলের একজন এস প্রশ্ন করল-

তুমি কি বিবাহিত?

জ্বি না, উত্তর দিলাম।

তোমার কি বাচ্চা আছে?

আমি মনে মনে বললাম,
এইটা কি ধরণের প্রশ্ন ? মাত্র না বললাম আমি অবিবাহিত।
পরে মনে হল, ওদের দেশে এই ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু না। আমি উত্তর দিলাম,

জ্বি না। আমার বাচ্চা নেই।

তোমার কি ইন্ডিয়ায় কোন বাড়ি আছে?

বল্লাম, বাবার গ্রামে একটা বাড়ি আছে।

আমি তোমার কথা জিজ্ঞাসা করেছি? তোমার নিজের বাড়ী আছে?

মনে মনে ভাবছি, ব্যাটা বাড়ী থাকলে কি আর আমেরিকা আসি?
আমেরিকা আসি তো বাড়ি যাতে বানাতে পারি সেই আশায়।

আমি বললাম, জ্বি না ।

এর পর সব ঘটনা খুলে বলল, সোনাক্ষী।

লিংগ ছোট হলে কি ক্ষতি হতে পারে?

কলকাতায় কোন রকম জীবন চলছিল সোনাক্ষীর। জীবন বদলানের আশায় যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন সোনাক্ষী। সোনাক্ষী আমেরিকায় একেবারেই নতুন। বয়স মাত্র ২২। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার পর, কলকাতার একটি প্রাইভেট ব্যাংকে কাজ করতেন সোনাক্ষী। ব্যাংকটি মন্দায় পড়লে আরো অনেকের মতো তিনিও চাকরি হারান। তখন তার আমেরিকা প্রবাশী এক জন ইন্ডিয়ানের প্রেমে পড়ে যান সোনাক্ষী। সে তাকে আমেরিকার হোটেল খাতে এই চাকরির প্রস্তাব করে। সোনাক্ষীকে মাসে সাত হাজার ডলার বেতন দেয়ার কথা বলা হয়। সোনাক্ষী বলেন, আমেরিকার বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে প্রথমে আমাকে একটি গাড়িতে উঠানো হয়। এরপর আমাকে অন্য আর একটি গাড়ীতে উঠানো হয়, এভাবে আরো দুইবার গাড়ি বদলে শেষে এমন একজন ড্রাইভারের হাতে আমাদের তুলে দেয়। অত:পর সে পথে আমাকে একটি পিস্তল দেখিয়ে ব্রুকলিনের একটি বাসায় নিয়ে যায়।

ঠিক তখনি আমি বুঝতে পারি, আমি একটি চক্রের হাতে পড়েছি। বাসায় ঢুকেই আমি দেখতে পাই, একটি মেয়েকে কয়েকজন মিলে ধর্ষণ করছে। এবং এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাকে জোর করে যৌন কাজে বাধ্য করা হয়। পাশেই চলতে থাকে ইংরেজীতে অশ্লীল কিছু গল্পের ভিডিও চিত্র যা
হুবহু বাংলা চটি গল্প অথবা চটি গল্পের ইংরেজী ভার্সন বলা চলে।

আরও পড়ুন: বাংলার সেরা ১০ টি চটি গল্প যা আজও ভোলার মত নয়

কি প্রলোভন দেখিয়ে ছিল তারা?

সোনাক্ষীর বর্ণনা আরও জানা যায়, আমাকে ৫০ হাজার ডলার দিয়ে তারা কিনেছে বলে আমাকে জানায়। এরপর তারা আমাকে নানা স্টেটের নানা হোটেল, ব্রোথেল, বাসা ও ক্যাসিনোতে নিয়ে যায়। এমনকি তারা আমাকে লাসভোগাসের ক্যাসিনোতেও নিয়ে যায়। সেখানে বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়া থেকে আসা জুয়ারীদের সাথে আমাকে রাখা হয়।

এই সেই বেড যেখানে সোনাক্ষীকে যৌন হয়রানির স্বীকার হতে হয় যা চটি গল্পকেও হার মানিয়েছে

সে বলে, গ্রাহকদের মন জয় করার জন্য আমাকে প্রায় চব্বিশ ঘণ্টায় নগ্ন করে আটকে রাখা হতো। কোন গ্রাহক না এলে
চটি গল্প পড়তে দেওয়া হত। আমার সাথে বাংলাদেশের কয়েকটি মেয়েও ছিল। এর মধ্যে একজনের নাম ছিল মাহিয়া।
তার দায়িত্ব পড়েছিল অবসরে চটি গল্প লেখার। সে ইন্টারনেট থেকে চটি গল্পের ধারণা নিয়ে লিখত।
সে দীর্ঘ সাত বছর ধরে বাংলা চটি গল্প লেখে। পরে সেগুলোকে ইংরেজীতে অনুবাদ করেন আরেকটি মেয়ে। সে এসেছে ফ্রান্স থেকে।
সে খদ্দের আসলে তাকে ইংরেজীতে চটি গল্প গুলো শোনায়। এবং তাদেরকে যেীনতায় আকৃস্ট করে।

হোটেল বা ক্যাসিনোতে সবসময়েই পিস্তল নিয়ে পাহারায় থাকতো এক দল যুবক। সে বলে, আমি যেন অনেকটা অভস্ত হয়ে গিয়েছিলাম।
মারধরের ভয়ে তারা যা বলতো, তাই করতাম। এমনকি খদ্দের না থাকলে পাহারাদার যুবকরা মিলে আমাদের গণধর্ষণ করত।

যে ভাবে বেচেঁ গেল সোনাক্ষী!

কোন এক সময় এই চক্রের কাছ থেকে পালিয়ে একটি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নিজের কাহিনী বলেন সোনাক্ষী। আমেরিকার পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে বিশ্বাস করেননি। ইন্ডিয়ার দূতাবাসে গিয়েও তিনি এসব কথা বলেন। দূতাবাসের এক কর্মকর্তা তাকে প্রতিকারে আশ্বাস ও পুনর্বাসনের কথা বলে যেীন সম্পর্ক স্থাপন করে। কিন্তু সেও সোনাক্ষীর সাথে প্রতারণা করে। ফলে সে কিছুদিন আমেরিকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়।

একদিন এফবিআইকে খবর দিলে তারা তার তথ্য যাচাই করে দেখে। অতপর এফবিআই ডিটেকটিভরা ব্রুকলিনের সেই বাসায়
অভিযান চালিয়ে চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। ঐ দিনটা ছিল সোনাক্ষীর কাছে স্বাধীনতার একটি দিন।

আরও পড়ুন: বাংলা চটি গল্পের নেশা যেভাবে পর্ন আসক্তির দিকে ঠেলে নিয়ে যায়

সোনাক্ষীর বর্ণনায় সেক্স চটি অধ্যায়

চটি বাংলা গল্প লেখা থেকে শুরু করে ওয়েব সাইটে প্রকাশ বা চটি বই আকারে প্রিন্ট পর্যন্ত সমাপ্ত করতে একটা বিরাট কর্মযোগ্য চলে। এক কথায় এটি একটি চটি শিল্প।
এ শিল্পের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযোগ আছে এরা যুবতীদেরকে শিকারে পরিণত করে। তরুনীদের নানা রকম ফাঁদে ফেলে বিপদে ফেলা হয়।
এর পর বাধ্য করা হয় সেক্স চটি জগতে আসতে। অনেক সময় এমন মগজ ধোলাই করা হয় যাতে তারা নিজেই পর্নোগ্রাফিতে রাজি হয়।

এই সেক্স চটি কাহিনী লেখকের তালিকায় আছেন কলকাতার পর্নো তারকা জিঙ্কী। তিনি মাদক ও ১২ জন সহযোগী তরুণী সহ ২০২০ সালে গ্রেফতার হন।
তার নিজের জীবনের কাহিনী এবং সে কিভাবে এই শিল্পে যোগ দিয়েছে, তা সত্যিকার অর্থেই এক কালো অধ্যায়। জিঙ্কী এমন এক পরিবারে বড় হয়েছে যে পরিবারে ছিল মাদকের রমরমা ব্যবসা, এলকোহল পান করা ছিল প্রতিদিনের রুটিন। শারীরিক, মানসিক, মৌখিক এবং যৌন নির্যাতন করা হতো ওই পরিবারের মেয়েদের।

এই জগতের মেয়াদ কত?

প্রশ্ন করা হয় এই বাংলা চটি কাহিনী জগতে তারকাদের সময়কাল কত দিন? উত্তরে বলা যায় যদি কেউ এ জগতে অনেক সময় থাকে, তবু তার সময়কাল ছোট হয়ে আসে।
প্রতি বছর বা দু’বছরে এ শিল্পে যোগ দেয় বিপুল সংখ্যক সুন্দরী যুবতী তরুনী। এ শিল্পে যুবতীদের শিকারে পরিণত করা হয়। তাদেরকে বৈধভাবে এই পেশায় আনতে ফাঁদ পাতা হয়। তখন বাধ্য হয়ে তারা এ জগতে নাম লেখায়। পর্নো জগতে অভিনয় প্রতিযোগিতামূলক। তাই এ নিয়ে কেউ কিছু বলেন না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পর্নো তারকা ওডেতে ডেলাক্রোইক্স (২৮)। তিনি বলেন, অনলাইনে এবং অফলাইনে তাদেরকে সমালোচনা এবং হুমকির মুখোমুখি হতে হয়। তার ভাষায়, আমার ক্যারিয়ারে এমন কোনো দিন নেই, যেদিন অনলাইনে বা ব্যক্তিগত অবমাননার শিকার না হই।

চটি গল্পের শুরু হয় যেভাবে

১৩ শ শতাব্দির শুরুতে ইন্ডিয়ায় নিরোধম নামক এক মদ্যপ লেখকের হাত ধরে মূলত এ ধরনের সেক্স চটি লেখার গোড়াপত্তন হয়।
চটি কাহিনী গুলো চলছে আজ অবধী।আজকাল ঘটকালীর আড়ালেও চলছে এসব কর্ম। তবে ব্যাতিক্রম ঘটকের ঠিকানা রয়েছে বেশ।
বর্তমানে চটি গল্প লেখকরা পর্ন ছবির স্ক্রিপ্ট লেখক হিসেবেও কাজ করে থাকেন। পাশা পাশি সেই চটি কাহিনী গুলো ভাই বোনের চটি, বাংলা
পারিবারিক চটি গল্প, বাংলা চটি নতুন, মজার চটি ইত্যাদি নামে প্রকাশিত হয় থাকে।

বাংলা চটি গল্প শব্দকোষ

নিচে বাংলা চটি গল্প ও এর সঙ্গে সম্পর্কিত সকল অশ্লিল শব্দ সম্পর্কে আলোচনা করা হল,

চটি গল্প কি?

চটি গল্প মূলত বাংলাদেশ, ইন্ডিয়ায় প্রচলিত অশ্লিল ভাষায় ও বাক্য ব্যবহার করে লেখা এক ধরনের কাল্পনিক গল্প।
এ ধরনের চটি গল্পের মাধ্যমে মূলত সাময়িক আনান্দ প্রদান করা হয়। এক কথায় যৌন সুর সুরীমূলক বাজে কথার মিথ্যা
ফুল ঝুড়িই চটি গল্প বা চটি কাহিনী বা হট চটি নামে অভিহিত। আবার এটাকে চটি উপন্যাস ও বলা হয়।
কেউ কেউ সেক্স চটি বলে থাকে।
আরও পড়ুন : চটি গল্প পড়ে একটি মেয়ের অভিজ্ঞতা

চটি ক্লাব কি?

চটি পাঠকরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে অশ্লিল সিনেমা ও কারয়কলাপ করার উদেশ্যে চটি ক্লাব গঠন করে থাকে। এই ক্লাবগুলোতে সামাজিক
নানা অপরাধ সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া সহ বিভিন্ন দেশে এ ধরনের চটি ক্লাব বিদ্যামান।

অজাচার বাংলা চটি কি?

আর হাঁ, অজাচার বাংলা চটি সম্পর্কে জানার আগে জানতে হবে অজাচার কি? অজাচার হলো ঘনিষ্ঠ রক্তীয় সম্পর্ক আত্মীয়ের সঙ্গে যৌনকর্ম বা যৌনসঙ্গম। মূলত অজাচার তিনটি যৌন সম্পর্ক কে ইঙ্গিত করে;
এক: কন্যার সঙ্গে পিতার, দুই: পুত্রের সঙ্গে মাতার তিন: বোনের সঙ্গে ভাইয়ের যৌনকর্ম বা যৌনসঙ্গম হল অজাচার।
আর এধরনের টপিক নিয়ে যে কাল্পনিক গল্প লেখা হয় তাকে অজাচার বাংলা চটি বলা হয়।

ট্যাগসমূহ: বাংলা চটি গল্প, চটি, চটি গল্পের শুরু, চটি বাংলা, চটি কাহিনী, হট চটি, চটি উপন্যাস, সেক্স চটি,
অজাচার বাংলা চটি, ভাই বোনের চটি, বাংলা পারিবারিক চটি গল্প, বাংলা চটি নতুন, মজার চটি, বাংলা চটি কালেকশন, চটি ক্লাব।

আর পড়ুন: আমেরিকার বাংলা সংবাদ ও সংবাদ পত্র ২০২১

পাঠক! আপনার জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা আমাদের জানাতে নিচে কমেন্ট করুন অথবা মেইল করুন। পাঠকের মতামত বিভাগে লেখা
পাঠানোর ইমেইল: shebarubd@gmail.com ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *